ইনসাইড বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্র কি বাংলাদেশে সুশীলদের সরকার চায়?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ৩০ জুন, ২০২৩


Thumbnail যুক্তরাষ্ট্র কি বাংলাদেশে সুশীলদের সরকার চায়?

আস্তে আস্তে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব পরিষ্কার হচ্ছে। তারা বাংলাদেশের রাজনীতি এবং গণতন্ত্রের প্রকৃতি নিয়ে তাদের অবস্থান সুস্পষ্ট করছে। আস্তে আস্তে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাবও বুঝতে শুরু করছে নীতিনির্ধারকরা। যুক্তরাষ্ট্রে মনোভাব হল তারা আওয়ামী লীগ বা বিএনপি নয়, এর বাইরে একটি সুশীলদের সরকার দীর্ঘদিনের জন্য কায়েম হোক এটি চায়। এ লক্ষ্যেই মার্কিন যক্তরাষ্ট্র নানারকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। 

আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধি বাংলাদেশে সফর করবেন। তিনি মানবাধিকার এবং গণতান্ত্রিক বিষয়ে দেখাশুনা করেন। তার এই সফরে তিনি আওয়ামী লীগ, বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। আর এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পথ এবং পদ্ধতি সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব সুস্পষ্ট হতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে এটা স্পষ্ট যে, যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান সরকারের ওপর সন্তুষ্ট নয়। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এখন রাখ ঢাক ছাড়াই সুস্পষ্ট হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান সরকারকে একটি অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য বাধ্য করারও চেষ্টা করছে। তারা এজন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের মানবাধিকার বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ইত্যাদি ইস্যুকে সামনে এনে নানামুখী চাপ দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি বলেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয়ত চায় না যে আমি ক্ষমতায় থাকি। এজন্য তারা এসব করছে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী সরাসরি অভিযোগ করেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেন্টমার্টিন চায়। কিন্ত তিনি (শেখ হাসিনা) বঙ্গবন্ধু কন্যা কোনো অবস্থাতেই বাংলাদেশের ভূখন্ড অন্যকে ব্যবহার করার জন্য দেবেন না। আর এরপরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার দাবি করেছেন, তারা কখনো সেন্টমার্টিন চায়নি। এই নিয়ে যখন আওয়ামী লীগ সরকার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টাপাল্টি অবস্থান তখন সুস্পষ্ট যে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের পরিবর্তন চায়। তাহলে তারা কাকে আনতে চায়? 

অনেকেই মনে করছে যে, বিএনপির প্রতি হয়ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। বিকল্প হিসেবে বিএনপিকে তারা দেখতে চায়। কিন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর কোনো অভিপ্রায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই সংক্রান্ত সুস্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া গেছে। কোনো দলকে ক্ষমতায় আনার না আনার দায়িত্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নয়। বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশে এমন একটি নির্বাচন, যে নির্বাচনে জনগণের মতামতের প্রতিফলন হয় । জনগণ যাকে নির্বাচিত করবেন তারাই যেন ভোটে জয়ী হতে পারে এমন একটি ব্যবস্থা দৃশ্যমান দেখতে চায়। আর তাই বিএনপির ব্যাপারেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ রয়েছে বলে মনে হয় না। কারণ বিএনপির প্রতি বিভিন্ন বিষয়ে সহানুভূতি দেখানোর প্রধান কারণ হলো সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা এবং ভোটের অধিকারের দাবিকে সামনে নিয়ে আসা। তাই বিএনপিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প নয়। তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প কি? 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আসল বিকল্প হচ্ছে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং সেই সরকার ব্যবস্থাটা যেন দীর্ঘদিন দায়িত্বে থাকে সেরকম একটি অবস্থান। ২০০৭ সালে যেরকম এক-এগারো সরকার এসেছিল তারা বাংলাদেশে দুই বছর শাসন করেছে ঠিক তেমনি একটি সরকার যারা বাংলাদেশে আসবে এবং কতগুলো নীতি কৌশলের মৌলিক পরিবর্তন করবে। বাংলাদেশে মানবাধিকার, দুর্নীতি, অর্থনৈতিক জবাবদিহিতাসহ বিভিন্ন বিষয়গুলো একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনবে, তারপর নির্বাচন করবে। তাহলে কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরেকটি এক-এগারো সরকার আনতে চায়? এ ব্যাপারে অবশ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বক্তব্য এখন পর্যন্ত নেতিবাচক। তবে যুক্তরাষ্ট্র যাই বলুক না কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান যে অনেকটা সেরকম তেমনটি মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।


যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশ   সুশীল   সরকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পথ ধরেই বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

শেখ হাসিনা স্বদেশে ফিরে না আসলে আমাদের কোন স্বপ্নই সফল হত না। বঙ্গবন্ধুকন্যা পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রায় আমরা দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে চলেছি।

দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা । বাংলাদেশের মানুষের ভাগোন্নয়নে তার গৃহীত বলিষ্ঠ সব পদক্ষেপ তাকে বিশ্বজুড়া খ্যাতি এনে দিয়েছে । শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।

সতের মে ছিল শেখ হাসিনা ও স্বাধীনতায় বিশ্বাসী মানুষটির কান্না ঝরানোর দিন। শেখ হাসিনা সেদিন জনসভায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছিলেন, “আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছুই নেই এবং হারাবারও কিছুই নেই। আমি মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছি জীবন। আমি মানুষের কল্যাণ চাই।”

সেদিন মিটিং শেষে শেখ হাসিনা পিতৃগৃহে ফিরে যেতে পারেন নি জিয়ার বাঁধার কারণে। এরপর চলে শেখ হাসিনার সংগ্রাম, লড়াই ও গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য অবিনাশী আন্দোলন। এ আন্দোলনে বার বার তাকে মৃত্যুমুখে পতিত হতে হয়েছে। কিন্তু বিধাতার অসীম কৃপায় আজও তিনি বেঁচে আছেন। দেশ ও জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন।

শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা বিদেশে অবস্থানকালে ঢাকার ৩২ নম্বর সড়কের ৬৭৭ নম্বর বাড়িতে ঘটে নারকীয় ঘটনা। দেশী বিভীষণ, বিদেশী ষড়যন্ত্র ও স্বাধীনতা বিরোধী একটি চিহ্নিত চক্রের প্রত্যক্ষ মদদে একদল নরপশু বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

পনেরই আগস্ট শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা কোথায় ছিলেন? ছিলেন ব্রাসেলসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সানাউল হকের বাসায়। আগস্টের নারকীয় ঘটনার পরে এই মানুষটি এতিম দুই বোনকে বাসা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। ঐদিন জাতীয় সংসদের প্রাক্তন স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর পাঠানো গাড়িতে  শোকাতুর দুই বোন জার্মানি ফিরেছিলেন। এরপর পঁচাত্তর থেকে একাশির ১৭ মে পর্যন্ত শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনার দুঃসহ জীবন। তখন স্বদেশে ফিরার কথা চিন্তাও করা যেত না।

১৫ আগস্টের পর খুনি মোশতাক ও জিয়ারা অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি বনে যান। খন্দকার মোশতাক প্রায় তিন মাস ক্ষমতায় ছিলেন। এরপর জিয়ার সকল পাকিস্তানি কর্মকাণ্ড। যথাক্রমে- বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের রেহাই দান, জিন্দাবাদ প্রবর্তন, বাঙালির পরিবর্তে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রবর্তন, সংবিধানের মূল স্তম্ভ পরিবর্তন, মুক্তিযুদ্ধের পরিবর্তে স্বাধীনতা যুদ্ধ সংযোজন, সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার অবলুপ্তি ঘটিয়ে দেশটিকে হাফ পাকিস্তানে পরিণত করেন। একাত্তরের চরম শত্রু শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেন জিয়াউর রহমান। এভাবেই জিয়া ক্ষমতায় ছিলেন ১৯৮১ সাল পর্যন্ত। জিয়া আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চালায় স্টিম রোলার। বঙ্গবন্ধু শব্দটি ছিল নিষিদ্ধ। এক সময় জিয়া সেনানিবাসে রাজনৈতিক দল গঠন করে রাজনীতি শুরু করেন। খালেদ মোশাররফ ও কর্নেল তাহেরদের ঠান্ডা মাথায় খুন করেন। অপশাসন, সেনাভীতি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের নিধন ছিল তার নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।

এমনই এক কঠিন পরিবেশে শেখ হাসিনাকে স্বদেশে ফিরতে হয়। তখন তিনি সর্বহারা। শোক ও বেদনায় মূর্তিমান এক অবয়ব।

শেখ হাসিনা সকল ভয়ভীতি উপক্ষো করে নির্যাতিত নিপীড়িত বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দঢ়সংকল্প নিলেন। ভারতে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এ সময় মিত্রমাতা ইন্দিরা গান্ধীর সহায়তা লাভ করেন। ভারত তাকে একাত্তরের মতো আশ্রয় দিয়েছিল সেই দুঃসময়ে। 

দেশরত্ন শেখ হাসিনা এখন সারা বিশ্বে এক সুপরিচিত নাম। সে সুখ্যাতি তিনি অর্জন করেছেন নানামাত্রিক কর্মপ্রয়াসের অবিস্মরণীয় অধ্যায় রচনার মাধ্যমে। দক্ষ রাজনীতিবিদ-নীতি আদর্শ আর সততা এবং সাহসী উদ্যোগের অনন্য অসাধারণ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডের ফলে দেশ আজ উন্নয়নের বিশ্ব রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুকন্যার ক্ষেত্রে এ বিষয়টি বারবার উচ্চারিত হয়েছে যে, তিনি সকল ক্ষেত্রে অসামান্য সোনালি অধ্যায় রচনা করতে সমর্থ হয়েছেন, তা আজ সচেতন নাগরিক সমাজ একবাক্যে স্বীকার করছে।


শেখ হাসিনা   রোল মডেল   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সৌদিতে পৌঁছেছেন ২১০৬৩ হজযাত্রী

প্রকাশ: ১১:১৭ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছর হজ পালনের জন্য ইতোমধ্যে ২১ হাজার ৬৩ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৬ হাজার ৯০৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) হজ পোর্টালে আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন সূত্রে জানাযায়, বুধবার পর্যন্ত সর্বমোট ২১ হাজার ৬৩ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ১৭ হাজার ৩১৬ জন। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ৫৩টি।

এখন পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৮টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ১৬টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ১৯টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এবার হজ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।

উল্লেখ্য, গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন হজযাত্রীরা।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজযাত্রী হজ পালনের জন্য নিবন্ধন করেছেন। আর হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২০ জুন এবং ২২ জুলাই শেষ হবে।


হজযাত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুর মেডিকেলের আগুন নিয়ন্ত্রণে: জেলা প্রশাসক

প্রকাশ: ১১:১৩ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্টোর রুমে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলার স্টোর রুমে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং আগুন লাগার বিষয় খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

এসময় ঘটনাস্থলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলমসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তিন দিনের সফর শেষে ঢাকা ছাড়লেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশ: ১০:২১ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

তিন দিনের সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে তিনি ঢাকা ছাড়েন।

ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দেওয়া এক নৈশভোজে যোগ দেন।

তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। ডোনাল্ড লু নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।

বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ টি টোয়েন্টি জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সঙ্গে ক্রিকেট প্রীতি ম্যাচে অংশ নেন ডোনাল্ড লু।

উল্লেখ্য, গত ১৪ মে তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসেন ডোনাল্ড লু।  


ডোনাল্ড লু   মার্কিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুনামগঞ্জে ডেটোনেটর সদৃশ বস্তু বিস্ফোরণে আহত ৩


Thumbnail

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর সদৃশ বস্তু বিস্ফোরণে ৩ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার শ্রীপুর বাজারে মোবাইল সার্ভিসিং’র দোকানে বিকট শব্দে বিস্ফোরনের ঘটনাটি ঘটে।

 

এঘটনায় আহতরা হলেন, উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের তরং গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোবাইল মেকানিক আনোয়ার আলম এবং একই গ্রামের মৃত কফিল মিয়ার ছেলে নুরুল হুদা ও তার সহোদর আনিস মিয়া।

 

আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় আনোয়ার আলম ও নুরুল হুদাকে বুধবার (১৫ মে) রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত আনিসকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

 

আহত আনোয়ার আলমের ভাই মাহবুব আলম বাছির বলেন, ‘দোকানে শ্রীপুর গ্রামের মৃত ইসকন্দর আলীর ছেলে সাজু ছোট কলম আকৃতির দুটি বৈদ্যুতিক তার সংযুক্ত সিলভার রঙের একটি ইলেকট্রনিক্স সাদৃশ্য সামগ্রী নিয়ে আসে পাওয়ার চেক করার জন্য। প্রথমে আমার ভাই মাল্টিমিটারে বৈদুত্যিক তার দুটি পরীক্ষা করেন। এরপর এসি লোড টেষ্টারে ফের পাওয়ার চেক করার জন্য বৈদ্যুতিক তার দুটি সংযুক্ত করার সাথে সাথে বিকট শব্দে বিষ্ফোরন ঘটে আমার ভাই সহ সার্ভিসিং সেন্টার থাকা অপর দুই সহোদর গ্রাহক আহত হন।’

 

শ্রীপুর গ্রামের সাজুর নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি একটি দুর্ঘটনা। আমি মঙ্গলবার (১৪ মে) চারাগাঁও সীমান্তের চারাগাঁও শুল্ক ষ্টেশনের চুনাপাথরের ডিপোতে ছোট কলম আকৃতির দুটি বৈদ্যুতিক তার সংযুক্ত সিলভার রঙের একটি ইলেকট্রনিক্স সাদৃশ্য সামগ্রী পাই, এরপর এটি পরীক্ষা করার জন্য মোবাইল সার্ভিসিং’র দোকানে নিয়ে গেলে বিষ্ফোরণ ঘটে।’

চারাগাঁও শুল্ক ষ্টেশনের চুনাপাথর আমদানীকারকগণের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ভারতের চুনাপাথর খনিতে চুনাপাথর ভাঙ্গার জন্য সেখানকার রফতানীকারক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কোয়ারীতে এক ধরণের ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর (উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিষ্ফোরক) ব্যবহার করে থাকে। যেটি বুধবার সন্ধায় শ্রীপুর বাজারে বিস্ফোরিত হয়েছে সেটি ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর হতে পারে।

তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের নিকট বিষ্ফোরকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্যান্সিল ব্যাটারী জাতীয় কোন সামগ্রী যা পাওয়ার চেক করতে গিয়ে বিষ্ফোরণ ঘটে, এতে তিন জন আহত হয়েছেন।’


ডেটোনেটর   বিস্ফোরণ   আহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন