ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় কাশিপুর ইউপির, বুকধুড়ী পাড়ার ঈদগা মাঠের দক্ষিণে, আম বাগানের লিজ নেওয়াকে কেন্দ্র করে একাধিকবার লিজ গ্রহীতার উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর বরাবর আম বাগান রক্ষার্থে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪/১৪৫ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেন আম বাগানে লিজ গ্রহিতা অসীমের পাঞ্জাব। পরে উক্ত আম বাগানের উপর ১৪৪/ ১৪৫ ধারা জারি করে বিজ্ঞ আদালত। বিবাদীরা উক্ত নোটিশ পাওয়ার পরে গত ২৫ জুন ২০২৩ তারিখে আনুমানিক সকাল ৬টা হতে বেলা ১২টা পর্যন্ত ঐ বাগানের পাহাড়াদার হাফিজুল হক(৪৫) ও সবুজ (১৯) কে মারপিট করে মাথা ফাটিয়ে বাগান থেকে তারিয়ে, বাগানের আম লুটপাট চালায়। পরে এ ঘটনা লিজ গ্রহিতা অসিম হায়াত পাঞ্জাব জানতে পেরে জরুরী হটলাইন ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে। পরে পুলিশ ঘটনা স্থলে আসে। এই বিষয়ে আম বাগানের লিজ গ্রহীতা অসীম হায়াত পাঞ্জাব বলেন,এ ঘটনা জানতে পেরে জরুরি সেবা ট্রিপল নাইনে ফোন দিয়ে পুলিশকে জানাই। সে সময় কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার বলেন, আমরা এর আগে অভিযোগ পেয়েছি আপনি আপনার দলবল নিয়ে আম বাগানে আম ভাঙতে এসেছেন। তার প্রশ্নের জবাবে আমি বলি,এখানে আসলেই বুঝা যাবে ১৪৪ ধারা অবমাননা করে কারা আম ভাঙছে!
অসীমের পাঞ্জাব আরও বলেন,পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাপস নামে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে আম ভাঙতে দেখেন বলে আমাকে মুঠোফোনে নিশ্চিত করেন। সে সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নামে রাস্তা থেকে আম বাগানের দিকে ধাওয়া দিয়ে পাঞ্জাবকে বলেন যে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। তার কিছুক্ষণ পরে আমার কাছে আবার ফোন এলে আমি জানতে পারি যে আমার বাগান থেকে লুটপাট করছে তাপস ও মিঠু বাহিনী। পরে ঘটনাটি রানিশংকৈল থানার অফিসার ইনচার্জ কে মুঠোফোন এ জানাই। তখন তিনি লিজকৃত বাগানে আম পারা বিরত রেখে আপসের জন্য ফেরত দেন আমাকে।
তাই
আইনকে
শ্রদ্ধা রেখে,
বাগান
থেকে
ফিরে
যাই।
পরে
বিষয়টি
১৮
থেকে
২১
তারিখ
পর্যন্ত ওসিকে
আপসের
জন্য
একাধিকবার অনুরোধ
করেও
কোনও
সুরাহারনা পেয়ে
কোটের
আশ্রয়
নেই।
কোটের
নির্দেশ ১৪৪ধারা জারি
হয়েছে
বলে
ওসি
সাহেবকে জানলে
তিনি
বলেন
কোটের
নির্দেশ পেলে
আমরা
প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ
করব।
উল্লেখ্য থাকে
যে,
গত
১৮.০৬.২০২৩ তারিখের ঘটনাকে
কেন্দ্র করে,
২৫
জুন
তাপস
ও
মিঠু
বাহিনী
৭
থেকে
৮০০
ক্যারেট আম
ভেঙে
নিয়ে
যায়।
আনুমানিক জাহার
বাজার
মূল্য
৭
- ৮
লক্ষ
টাকা।
পান্জব
আরো
বলেন,২১জুন ২০২৩ রাত
৮টা
১৫
মিনিটে
মোছাঃ
দুলালি
২৮
স্বামী
মোস্তফিজুর রহমান
মুক্তা
বাদি
হয়ে
বাগানের লিজ
গ্রহিতা অসিম
হায়াত
পান্জাবকে ১নং
আসামী
করে
১০
জনের
বিরুদ্ধে ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/ ৩২৪/৩২৫/৩০৭/৩৫৪/৩৭৯/৪২৭/৫০৬/১১৪ ধারায় মামলা
দায়ের
করেন।
যার
জি,আর নং ১২৬/২৩ আর। মামলার
পরক্ষনে আমি
থানায়
হাজির
হলেও
আমাকে
গ্রেপ্তার না
করে
গভির
রাতে
প্রতিহিংসা মুলক
এ
মামলাতে ৩নং
আসামী
হাফিজুল হক
নামে
পাহাড়াদারকে গ্রেফতার করে
আদালতে
পেরন
করে।
যাতে
বাগানে
অন্য
পাহাড়াদার ভয়ে
না
থাকে
এবং
১৪৪
ধারাকে
অমান্য
বাগানের আম
লুটপাট
করে।
বর্তমানে ৩০/০৫/২৩ ও
২৫/০৬/২৩ এর
আসামীদের গ্রেপ্তার করার
জন্য
অনুরোধ
জানাই। এ বিষয়ে আমি
কোনো
সুরাহা
না
পেয়ে
ঠাকুরগাঁও পুলিস
সুপার
কে
অবগত
করি।
তিনি
আমাকে
আইনের
আশ্রয়
নিতে
পরামর্শ প্রদান
করেন।
উল্যেক্ষ যে,
আগেও
বাগান
পাহাড়া
ঘর
ও
ঘরে
রক্ষিত
দুইটি
মটর
সাইকেল
আগুনে
জ্বালিয়ে দেওয়ার
ঘটনা
ঘটে।
আর
এই
আগুনে
পুড়ে
ক্ষতি
হয়েছে
ঘর
সংলগ্ন
থাকা
আম
গাছ
ও
এর
ফল।
যা
আর
অল্প
কিছু
দিনের
ভিতর
বাজারজাত করা
হতো।
এ
ঘটনায়
সাতজনের নাম
উল্লেখ
করে
১৫/১৬ জনকে অজ্ঞাত
দেখিয়ে
রাণীশংকৈল থানায়
লিখিত
এজহার
দাখিল
করেছেন
মো:
অসীম
হায়াত
পাঞ্জাব ।
তিনি
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বেলসাড়া (বানিয়া
বস্তি)’র মৃত; আবুল
খায়ের
এর
ছেলে।
মামলার
আসামীরা হলেন-
রাণীশংকৈল উপজেলার বুগধরী
পাড়া
গ্রামের মৃত;
আব্দুস
সামাদের ছেলে
মো:
সাইফুল্লাহ বাবু(৫০) ও মো:
শহিদুল্লাহ মিঠু(৪৫)। একই
এলাকার
মৃত
হাফিজ
উদ্দিনের ছেলে-
মো:
মোস্তাফিজুর মুক্তা
(৪৮),
মো:
ওমর
ফারুক(৩৮), মো: মাসুদ
রানা
(৩৫),
ঝিকড়া
গ্রামের মৃত:
মফিজউদ্দিনের ছেলে
আফাক
আলী(৫০) ও বালিয়াডাঙ্গী থানাধীন নয়া
দলুয়া
গ্রামের মৃত;
ফারাজ
হোসেনের ছেলে
মো:
সফিজুল
ইসলাম
(৪২)। আসীম হায়াত
পাঞ্জাব জানান,
২০১৮
সালের
১৫
জানুয়ারী উল্লেখিত ব্যক্তিদের নিকট
হতে
আটটি
আমবাগান ৮
বছর
মেয়াদে
খায়-খালাসী হিসেবে ২০ লক্ষ
৫০
হাজার
টাকায়
চুক্তিবদ্ধ হন
তিনি।
এর
মধ্যে
উক্ত
পরিমাণ
টাকা
হতে
১৫
লক্ষ
৫০
হাজার
টাকা
বুঝে
নেন
চুক্তিকারিরা। পরবর্তীতে তিনি
জানতে
পারেন
তিনি
যাদের
কাছ
থেকে
আম
বাগানগুলো চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন
উনারা
মূল
মালিক
নয়-এমনকি তারা মূল
মালিকের মৌখিক
নির্দেশে বাগানগুলো দেখভাল
করছিলেন। পরবর্তীতে বাগানের মূল
মালিকের চাপে
তিনি
পুণরায়
১৫
জুলাই
২০২১
ইং
তারিখে
মূল
মালিকগণের নিকট
হতে
সাত
লক্ষ
পঞ্চাশ
হাজার
টাকায়
৬
বছরের
জন্য
বাগানগুলো চুক্তি
নেন।
এদিকে
বিষয়টি
জানতে
পেরে
পূর্বের চুক্তিকারীরা তাকে
বাগান
থেকে
বিতাড়িত করতে
নানা
ফন্দি
আটে।
এরই
ধারাবাহিকতায় গত
৩০
মে
দিবাগত
রাতে
তারা
সংঘবদ্ধ হয়ে
আমের
বাগান
পাহাড়াদারদের রশি
বেঁধে
রেখে
বাগান
পাহাড়
দেওয়া
ঘর
ও
ঘরে
থাকা
লিফান-১০০সিসি ও টিভিএস-১০০
সিসি
দুইটি
মটরসাইকেলে আগুন
ধরিয়ে
জ্বালিয়ে দেয়।
এসময়
ঘরের
আশেপাশে থাকা
আমগাছগুলোও আগুনে
পুড়ে
যায়।
এ
ঘটনায়
তিনি
সুষ্ঠু
বিচারের দাবি
জানিয়ে
দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি
জানান। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাইফুল্লাহ বাবু
সহ
অন্যদের সাথে
যোগাযোগ করা
হলে
তারা
বিষয়টি
অস্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মন্তব্য করুন
ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারি অথবা মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান এবং রং চটা, জরাজীর্ণ, লক্কর-ঝক্কর মোটরযান চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই এসব চালানো বন্ধ করা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)।
রোববার (১৯ মে) বিআরটিএ’র দেওয়ার এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যাটারি/মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি-হুইলার ঢাকা মহানগরীতে চলাচলের কারণে সড়ক নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ব্যাটারি/মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি-হুইলার এবং ফিটনেসের অনুপযোগী, রংচটা, জরাজীর্ণ ও লক্কর-ঝক্কর মোটরযান চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ অবস্থায়, ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারি/মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি- হুইলার এবং ফিটনেস এর অনুপযোগী, রং চটা, জরাজীর্ণ ও লক্কর-ঝক্কর মোটরযান চলাচল বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। অন্যথায়, এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
পরিবেশ রক্ষায় টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত হাইকিং পদযাত্রা শুরু করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছামিউজ্জোহা শাকিব। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী।
শনিবার (১৮মে) সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে অভিযান শুরু করে শাকিব। শাকিব জানান, পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশের দীর্ঘতম রুট টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া হাইকিং পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার হাইকিং করবেন। তার এবারের স্লোগান " হাইকিং ফর সেভিং বাংলাদেশ। যার শিরোনাম নির্ধারণ করা হয়েছে "Come Forward to
Protecting Nature".
শাকিবের এবারের লক্ষ্য দেশের জলবায়ু পরিবর্তনে বৃক্ষ নিধনের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সকল মানুষের মধ্যে তুলে ধরা। হাইকিং সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গ্রামে গ্রামে গিয়ে তরুণ শিক্ষার্থী যুবসমাজের মাঝে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ তুলে ধরা। সেই সাথে গাছ লাগানোর উপকারিতা ও গাছ কাটার কুফল সম্পর্কে অবগত করবেন তিনি।
হাইকিং শুরুর পূর্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন শকিব। এসময় তিনি হাইকিং চলাকালীন সময়ে নিরাপত্তা সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা করেন।
শাকিবের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, পরিবেশ রক্ষায় গাছ লাগানো ও মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির এই কাজ খুবই প্রশংসনীয়। প্রত্যেকের নিজ নিজ জায়গা থেকে এধরনের কাজে এগিয়ে আসা উচিত।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২২ সালে পরিবেশ রক্ষায় হাইকিং ফোর্স বাংলাদেশের আয়োজনে মুজিবনগরের ভারত সংলগ্ন সীমান্ত থেকে ১১ দিনের একটি অভিযান করেন। মুজিবনগর থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ছিলো অভিযানটি।
পরিবেশ রক্ষা হাইকিং পদযাত্রা জবি শিক্ষার্থী
মন্তব্য করুন
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় দুইটি গাভী ও একটি বাঁছুর গরু উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং-এ শেরপুরের পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন, কসবা কাঠগড়ের ট্রাক ড্রাইভার মোঃ আঃ জলিল ওরফে ফকির হোসেন (৩৪), টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুরের মো: মহির উদ্দিন (৫০), মোঃ আজিজুল ইসলাম (২৩), মোঃ সাহিজুল ইসলাম (৩০), মোঃ মিনহাজ (৩৫) ।
এবিষয়ে পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন জানান, ১২মে রাত আড়াইটার দিকে ঝিনাইগাতীর জড়াকুরার মোঃ শাহজাহান মিয়ার গোয়াল ঘর থেকে পাঁচটি গরু চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। গরু গুলোর আনুমানিক দাম ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। পরে শাহজাহান গত ১৪ মে এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর থেকে পুলিশ এ বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং সোর্সের মাধ্যমে চোর সনাক্তের চেষ্টা করে পুলিশ।
এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত আসামি ট্রাক ড্রাইভার মোঃ আঃ জলিল ওরফে ফকির হোসেনকে শুক্রবার (১৭ মে) শেরপুর শহরের কসবা কাঠগড় থেকে গ্রেপ্তার করে। আসামী আঃ জলিলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এ ঘটনার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত চোরদের নাম প্রকাশ করে।
তার দেয়া তথ্যমতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অভিযান পরিচালনা করে বাকি পাচঁ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে দুইটি গাভী ও একটি বাঁছুর গরু উদ্ধার করে। ঘটনার সাথে জড়িত আরও আসামি পলাতক আছে। তাদেরকে গ্রেপ্তাতারে জেলা পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
মন্তব্য করুন
বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। তিনি পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন।
রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি। বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিযানের প্রধান সমন্বয়ক ফরহান জামান।
হিমালয়ের শীতিধার চূড়া জয়ের জন্য বাবর আলী রওনা দিয়েছিলেন ১ এপ্রিল। চূড়াটি পর্বতের ১৫ হাজার ৫০০ ফুট ওপরে। সকাল সাড়ে ৮টায় সেখানে তিনি বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান।
তবে অভিযান কিন্তু এখনো শেষ নয়, বাবরের আসল লক্ষ্য শুধু এভারেস্ট নয়, সঙ্গে লাগোয়া পৃথিবীর চতুর্থ শীর্ষ পর্বত লোৎসেও। রোববার ক্যাম্প-৪ এ নেমে মাঝরাতে আবারো শুরু করবেন দ্বিতীয় লক্ষ্যের পথে যাত্রা। সব অনুকূলে থাকলে ভোরে পৌঁছে যাবেন এর চূড়ায়।
প্রসঙ্গত, এ লোৎসেতে ইতোপূর্বে কোনো বাংলাদেশি সামিট করেননি এবং কোনো বাংলাদেশি একই অভিযানে দুইটি আট হাজারী শৃঙ্গ চড়েননি। তাই লক্ষ্য পূরণে হলে বাবার আলী করবেন এ বিপজ্জনক খেলায় বাংলাদেশের ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
চলতি বছরের ১ এপ্রিল নেপালের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন বাবর আলী। পর্বতারোহণের প্রয়োজনীয় অনুমতি ও নানা সরঞ্জাম কেনার কাজ শেষ করে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে লুকলার উদ্দেশ্যে রওনা তিনি। সপ্তাহ খানেকের ট্রেকিং শেষ পৌঁছান এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে। মূল অভিযান শুরু হয় এখান থেকেই। পর্বতের চূড়ায় উঠতে সময় লাগে দুই মাসের মতো।
যাত্রা শুরু আগে বাবর আলী জানান, বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে জয় করা অনেকের স্বপ্ন। প্রতিবছর হাজারো পর্বতারোহী এভারেস্টের পথে হাঁটেন। কিন্তু এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার পর একই সঙ্গে আরেক পর্বতশৃঙ্গ লোৎসে ওঠার চেষ্টা বাংলাদেশ থেকে আগে হয়নি। আমি সেই চ্যালেঞ্জটাই নিলাম। অর্থাৎ একই অভিযানে মাউন্ট এভারেস্ট ও চতুর্থ উচ্চতম পর্বত মাউন্ট লোৎসের চূড়ায় উঠব।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন ৩৩ বছর বয়সী বাবর আলী। এরপর শুরু করেছিলেন চিকিৎসা পেশা। তবে থিতু হননি। চাকরি ছেড়ে দেশ-বিদেশ ঘোরার কর্মযজ্ঞ শুরু করেন। সাইকেলিংয়ের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত সারগো রি (৪ হাজার ৯৮৪ মিটার), সুরিয়া পিক (৫ হাজার ১৪৫ মি.), মাউন্ট ইয়ানাম (৬ হাজার ১১৬ মি.), মাউন্ট ফাবরাং (৬ হাজার ১৭২ মি.), মাউন্ট চাউ চাউ কাং নিলডা (৬ হাজার ৩০৩ মি.), মাউন্ট শিবা (৬ হাজার ১৪২ মি.), মাউন্ট রামজাক (৬ হাজার ৩১৮ মি.), মাউন্ট আমা দাবলাম (৬ হাজার ৮১২ মি.) ও চুলু ইস্ট (৬ হাজার ০৫৯ মি.) পর্বতের চূড়ায় উঠেছেন এই তরুণ।
বাংলাদেশ এভারেস্ট জয়ী বাবর আলী মাউন্ট এভারেস্ট
মন্তব্য করুন
সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে স্কুল ছুটি দিয়ে কর্মচারীর বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাবনার চাটমোহর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেএম আব্দুর রবের বিরুদ্ধে।
শনিবার
(১৮
মে)
দুপুরে
এ
ঘটনা
ঘটে।
ওই
স্কুলে
কর্মরত
(নৈশ
প্রহরী)
উপজেলার গুনাইগাছা গ্রামের বাসিন্দা আতাউর
রহমানের বাড়িতে
স্কুলের শিক্ষক
থেকে
শুরু
করে
সকল
কর্মচারীদের নিয়ে
তিনি
দাওয়াত
খেতে
যান
প্রধান
শিক্ষক।
এভাবে
স্কুল
ছুটি
দিয়ে
দাওয়াত
খেতে
যাওয়ার
ঘটনায়
ক্ষুব্ধ হয়ে
পড়েন
শিক্ষার্থী, অভিভাবক থেকে
শুরু
করে
এলাকার
সচেতন
মানুষ।
দুপুর
২টার
দিকে
সরেজমিন গিয়ে
দেখা
যায়,
স্কুলের প্রধান
গেট
বন্ধ।
ভেতরে
নতুন
ভবন
নির্মাণ কাজের
জন্য
কয়েকজন
নির্মাণ শ্রমিক
অবস্থান করছেন।
যে
সময়
শিক্ষার্থীদের ক্লাস
হওয়ার
কথা
সেই
সময়
স্কুলে
নেই
কোনো
শিক্ষার্থী। প্রধান
শিক্ষকের কক্ষ
থেকে
শুরু
করে
প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ ছিল
তালাবদ্ধ। চলতি
পথে
বেশ
কয়েকজন
শিক্ষার্থীদের সাথে
কথা
বলে জানা যায়, সকালের
কয়েকটা
ক্লাস
হওয়ার
পরেই
দুপুর
১টার
আগে
স্কুল
ছুটি
ঘোষণা
করা
হয়।
জানা
গেছে,
চাটমোহর পাইলট
বালিকা
উচ্চ
বিদ্যালয়ের নৈশ
প্রহরী
আতাউর
রহমান
এবার
স্ব-স্ত্রীক হজে যাবেন। এ
জন্য
শনিবার
নিজ
বাড়িতে
অনুষ্ঠানের আয়োজন
করেন
তিনি।
ওই
অনুষ্ঠানে যাওয়ার
জন্য
সকালে
কয়েকটা
ক্লাস
নেওয়ার
পরেই
তড়িঘড়ি
করে
দাওয়াতের অনুষ্ঠানে যাওয়ার
জন্য
প্রধান
শিক্ষক
কে
এম
আব্দুর
রবের
নির্দেশে স্কুল
ছুটি
দেওয়া
হয়।
সেই
অনুষ্ঠানে প্রধান
শিক্ষক
নিজেই
সকল
শিক্ষক
ও
কর্মচারীদের নিয়ে
দাওয়াত
খেতে
যান।
ক্লাস
বাদ
দিয়ে
প্রধান
শিক্ষকের এমন
স্বেচ্ছাচারিতা এবং
ছুটি
দেওয়ায়
ক্ষুব্ধ হয়ে
পড়েছেন
অভিভাবকরা।
কয়েকজন
অভিভাবক অভিযোগ
করে
বলেন,
এমনিতেই নানা
কারণে
বছরের
বেশিরভাগ সময়
স্কুল
ছুটি
থাকে।
বাচ্চাদের পড়াশোনা ঠিক
মতো
হয়
না।
তারপর
এভাবে
ছুটি
দিয়ে
দাওয়াত
খেতে
যাওয়ায়
বেশ
কয়েকটা
ক্লাস
করতে
পারলো
না
শিক্ষার্থীরা। আর
হুট
করে
ছুটি
দেওয়ায়
অনেক
অভিভাবকই তাদের
সন্তানদের নিতে
আসতে
পারেননি। এতে
বিপাকে
পড়ে
বেশ
কিছু
শিক্ষার্থী। এটা
কোনো
প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাজ
হতে
পারে
না
বলে
মন্তব্য করেন
তারা।
জানতে
চাইলে
চাটমোহর পাইলট
বালিকা
উচ্চ
বিদ্যালয়ের প্রধান
শিক্ষক
কে
এম
আব্দুর
রব
বলেন,
'আমার
এক
স্টাফ
হজে
যাবে,
সে
জন্য
দাওয়াত
খেতে
এসেছি।
আসলে
প্রতিষ্ঠানের কোনো
স্টাফের দাওয়াত
খেতে
এভাবেই
যাওয়া
হয়।
বরাবরই
তাই
হয়ে
আসছে।'
স্কুল
বন্ধ
করে
এভাবে
যাওয়ার
ব্যাপারে জানতে
চাইলে
তিনি
বলেন,
'আসলে
মেয়েরা
তো
দুষ্টু। স্কুল
চালু
রাখা
ঠিক
হবে
না।
তাই
ছুটি
দিয়ে
দাওয়াত
খেতে
আসা
হয়েছে।'
এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মগরেব আলী বলেন, 'স্কুল ছুটি দিয়ে দাওয়াত খেতে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমি প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
চাটমোহর উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা রেদুয়ানুল হালীম
বলেন,
'বিষয়টি
আমি
জানি
না।
এখানে
আমার
কিছু
বলার
নেই।
প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে
আপনি
কথা
বলেন।'
স্কুল বন্ধ দাওয়াত প্রধান শিক্ষক
মন্তব্য করুন
বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। তিনি পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন। রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি। বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিযানের প্রধান সমন্বয়ক ফরহান জামান। হিমালয়ের শীতিধার চূড়া জয়ের জন্য বাবর আলী রওনা দিয়েছিলেন ১ এপ্রিল। চূড়াটি পর্বতের ১৫ হাজার ৫০০ ফুট ওপরে। সকাল সাড়ে ৮টায় সেখানে তিনি বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান।