ইনসাইড বাংলাদেশ

এবছর গুচ্ছভুক্ত ইবিতে আবেদন কমেছে ১৫ হাজার

প্রকাশ: ১২:১৭ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০২৩


Thumbnail

(২০২২-২৩) শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তির জন্য তিন ইউনিটে মোট আবেদন করেছেন ২৭ হাজার ৩৪৩ জন ভর্তিচ্ছু।  বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৩২টি বিভাগে ২ হাজার ৫০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১৩ জন প্রার্থী। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটি সূত্র তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত (২০২১-২২) শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে ইবিতে ৪২ হাজার ৪২৯ ভর্তিচ্ছু আবেদন করেন। সেই হিসেবে এ বছর আবেদন কমেছে ১৫ হাজার ৮৬ জন (৩৫ শতাংশ)।

তথ্য মতে, এবছর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এ’ ইউনিট অর্থাৎ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য ৯৭০টি (মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগসহ), ‘বি’ ইউনিট অর্থাৎ মানবিকের শিক্ষার্থীদের জন্য ৬৪২টি (বাণিজ্যসহ), ‘সি’ ইউনিট অর্থাৎ বাণিজ্যের শিক্ষার্থীদের জন্য ৪৩৮টি (মানবিকসহ) আসন বরাদ্দ রয়েছে।

এর আগে গত ২০ জুন শুরু হয়ে ২৭ জুন গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির আবেদন ও বিষয় পছন্দক্রম শেষ হয়। এতে সর্বোচ্চ আবেদন পড়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২৯ হাজার ৯৮৯ জন।

প্রসঙ্গত, গুচ্ছের নানা ভোগান্তির কথা মাখায় রেখে গত ১২ই এপ্রিল জরুরি সিন্ডিকেট সভায় নিজস্ব পদ্ধতিতে (২০২২-২৩) শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে ১৩ এপ্রিল পরীক্ষা কমিটির সভায় ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত শেষে ওয়েবসাইটে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে ১৫ এপ্রিল গুচ্ছে থাকা ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়কে (২০২২-২৩) শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে থেকে ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। রাষ্ট্রপতির নির্দেশনার প্রতি সম্মান জানিয়ে পরবর্তীতে নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে ইবি। একইসঙ্গে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তিটি প্রত্যাহার করা হয়। এ বছর (২০২২-২৩) শিক্ষাবর্ষে দেশের ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয়বারের মত গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবার সময়ক্ষেপণ রোধে তিনটি ধাপেই ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে জুলাই কিংবা আগস্টেই প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা কমিটি।


কুষ্টিয়া   ভর্তি আবেদন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫-প্রত্যাশীদের বিক্ষোবে পুলিশের বাধা, আটক ১৫, আলটিমেটাম

প্রকাশ: ১০:০৩ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

গণভবনের উদ্দেশে মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনরত একদল ব্যক্তি। বেলা তিনটার দিকে এ কর্মসূচি থেকে ১৫ জনকে শাহবাগ থানা-পুলিশ আটক করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আটককৃতদের ছেড়ে দিতে রাত ১০টা পর্যন্ত সময় বেঁধে (আলটিমেটাম) দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

শনিবার (১১ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবিতে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। ‘চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫-প্রত্যাশী সমন্বয় পরিষদ’ নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে এই কর্মসূচি ডাকা হয়েছিল।

রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। সমাবেশ শেষে বেলা তিনটার দিকে আন্দোলনকারীরা গণভবনের উদ্দেশে মিছিল নিয়ে যাত্রা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিলটি শাহবাগ মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এ সময় পুলিশ তাদের ব্যাপক মারধর ও লাঠিপেটা করে এবং তাদের ১৫ জনকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। এরপর ৩৫-প্রত্যাশীরা আবার রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হন। সন্ধ্যায় সেখানে সংবাদ সম্মেলন করে ১৫ শিক্ষার্থীকে আটকের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫-প্রত্যাশী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শরিফুল হাসান। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে তিনি বলেন, ‘আমরা রাত ১০টা পর্যন্ত আলটিমেটাম দিলাম। এর মধ্যে আমাদের আটক শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে গণভবন থেকে আমাদের দাবি পূরণের বিষয়টি সুরাহা করতে হবে।’

শরিফুল হাসান পরে বলেন, ‘রাত ১০টার মধ্যে আটক আন্দোলনকারীদের ছেড়ে দেওয়া না হলে সাড়ে ১০টায় রাজু ভাস্কর্যে সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।’ রাত পৌনে আটটায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় আন্দোলনকারীরা রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন।

শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) আরশাদ হোসেন বলেন, আন্দোলনকারীরা কয়েকটি স্থানে সড়ক আটকিয়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন দেন। তাদের সরে যেতে বললেও সরে না যাওয়ায় বাধ্য হয়ে ১৩ জনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে।


চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫-প্রত্যাশীদের বিক্ষোব   আটক   আলটিমেটাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

'আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো না'

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আজ ভোর রাতে চিরবিদায় নিয়েছেন হায়দার আকবর খান রনো। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের শেষ আলোকবর্তিকা। বাংলাদেশের সৎ রাজনীতির শেষ উত্তরাধিকার। বাংলাদেশে প্রগতিশীল এবং বাম রাজনীতির শেষ অনুকরণীয় উদাহরণ। হায়দার আকবর খান রনোর বিদায় বাম রাজনীতিতে এক নতুন করে শূন্যতা তৈরি করল। এই শূন্যতা কখনও পূরণ হবে না। নিজে একসময় চৈনিক বামে আসক্ত হলেও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তিনি চীনপন্থী নীতির সাথে একমত পোষণ করেন৷ চীনপন্থী বামরা যখন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, আমাদের অস্তিত্বের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল সেইসময় হায়দার আকবর খান রনো দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। বাম রাজনীতিতে তার বিভ্রান্তি থাকতে পারে কিন্তু ন্যায় নীতি এবং আদর্শের প্রশ্নে তিনি ছিলেন অটল।

বাংলাদেশের বাম রাজনীতিতে হায়দার আকবর খান রনো এবং রাশেদ খান মেনন যেন যুগলবন্দি নাম ছিল। দুইজনই বাংলাদেশের বাম রাজনীতির ধারাকে বিকশিত করেছিলেন। এই দুইজনের কারণেই তরুণ এবং ছাত্র সমাজের মধ্যে বাম রাজনীতির একটা বিকাশ হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুই বন্ধু এক থাকতে পারেননি। এক বৃন্তের দুটি ফুল ভেঙে যায়। হায়দার আকবর খান রনো তার আদর্শের প্রশ্নে শেষ জীবন পর্যন্ত অটল থেকেছেন। অন্যদিকে, রাশেদ খান মেনন ক্ষমতার হালুয়া-রুটি খাওয়ার লোভে বাম আদর্শ ত্যাগ করে আওয়ামী লীগের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন। মন্ত্রী হয়েছেন, এমপি হয়েছেন এবং নিজের আদর্শকে সেলফি তুলে রেখেছেন। দুই বাম নেতার এই দূরত্ব বাংলাদেশের বাম রাজনীতিতে অনেকখানি ক্ষতি করেছে।

হায়দার আকবর খান রনো ছিলেন আদর্শবাদী স্বাধীনচেতা। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং মুক্তবুদ্ধি চর্চায় অবিচল আস্থাবান এক মানুষ। তিনি শেষ জীবনে তার নিজের হাতে গড়া দল ওয়ার্কার্স পার্টি তে থাকেননি। তিনি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। এর প্রধান লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের বাম রাজনীতিকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং একটি সুবিন্যস্ত ধারায় বাম রাজনীতিকে নতুন করে সংগঠিত করা। কিন্তু তার সেই যুদ্ধ শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। তবে রাজনীতিতে তার অবস্থান খুব জোরালোভাবে স্পষ্ট করতেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে থাকার কারণে সবসময় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে সচল ছিলেন।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় এবং একে একে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দেয়া শুরু করে তখন হায়দার আকবর খান সরকারের এই নীতির প্রশংসা করেছিলেন৷ সেই সময় এক টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য আওয়ামী লীগের কোনো অবদান নেই বলে তিনি উল্লেখ করে বলেছিলেন যে, এটি শেখ হাসিনার একক অবদান। শেখ হাসিনার সাহস এবং প্রজ্ঞার কারণেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব হয়েছে বলে হায়দার আকবর খান রনো মন্তব্য করেছিলেন।

ওই টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, 'শেখ হাসিনা যদি প্রধানমন্ত্রী না থাকতেন, আওয়ামী লীগও যদি ক্ষমতায় থাকতো তাহলে এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কখনোই সম্ভব হতো না।' এভাবেই নিজের মনের ভাবনা স্পষ্ট এবং অবিচল ভাবে বলার এক সাহস ছিল তার। জীবনে তিনি একজন নির্ভীক রাজনীতিবিদ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন না, একজন সৎ মানুষ হিসেবে নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশের বাম রাজনীতিতে মুণি সিং, মোহাম্মদ ফরহাদের পর হায়দার আকবর খান ছিলেন এক উজ্জ্বল তারকা। তার চলে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশের বাম রাজনীতিতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হল সেই শূন্যতা কেউ কোনদিন পূরন করতে পারবে না।


আওয়ামী লীগ   শেখ হাসিনা   প্রধানমন্ত্রী   যুদ্ধাপরাধী   হায়দার আকবর খান রনো  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সন্ধান মিলল ছয় মাস ধরে নিখোঁজ যুবকের, পেটে কাটা দাগ

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থেকে প্রায় ছয় মাস আগে নিখোঁজ হন মানসিক ভারসাম্যহীন মো. সেলিম (৪০)। রাজধানীর মিরপুরে মিল্টন সমাদ্দারের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে তাকে উদ্ধার করেছেন পরিবারের সদস্যরা।

নিখোঁজ হওয়া সেলিম ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বৃ-পাঁচাশি গ্রামের মো. হাসিম উদ্দিনের ছেলে। 

স্বজনেরা জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখে তারা সেলিমকে চিনতে পারেন। পরে ঈশ্বরগঞ্জ থেকে স্বজনেরা ঢাকায় গিয়ে মিল্টন সমাদ্দারের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বৃহস্পতিবার তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

সেলিমের ছোট ভাই মাহিন মিয়া বলেন, ভাইকে নিয়ে আসার সময় ফাউন্ডেশনে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হয়েছে। বাড়িতে আনার পর ভাইয়ের পেটের ডান পাশে অস্ত্রোপচারের বড় দাগ দেখে তারা সন্দেহ করছেন, ভাইয়ের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি হতে পারে। 

তিনি বলেন, ‘আমরা হতদরিদ্র পরিবার। অর্থের অভাবে এখন ভাইয়ের অঙ্গহানি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করতে চিকিৎসকের কাছে যেতে পারছেন না।

সেলিমের ছোট বোন ফারজানা আক্তার জানান, চার ভাইয়ের মধ্যে সেলিম সবার বড়। তার সংসারে দুটি মেয়ে আছে। তিনি এলাকায় কাজকর্ম করে পরিবারের ভরণপোষণ করতেন। বছরখানেক আগে ভাইয়ের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। মানসিক সমস্যার কারণে তাকে (সেলিম) মাঝেমধ্যে বাড়িতে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো। তিনি শিকল খুলে বিভিন্ন জায়গায় চলে যেতেন। আবার কয়েক দিন পর ফিরে আসতেন। কিন্তু এবার তাকে খোঁজ করেও পাওয়া যাচ্ছিল না।

সেলিমের স্ত্রী ফাতেমা বলেন, ছয় মাস আগে এক সন্ধ্যায় তার স্বামী বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি। দীর্ঘদিন পর মিল্টন সমাদ্দারের গ্রেপ্তারের খবর টেলিভিশনে দেখেন। এর মধ্যে তার দেবর ও অন্য স্বজনেরা একদিন ইউটিউব ভিডিওতে মিল্টনের চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারের শয্যায় সেলিমকে শুয়ে থাকতে দেখে চিনে ফেলেন। পরে সেখান থেকে সেলিমকে উদ্ধার করে গ্রামে আনা হয়েছে। সেলিম আগে নিজে চলাফেরা করতে পারলেও এখন তার অন্যের সাহায্য লাগছে।

সেলিমের স্ত্রী ফাতেমা বলেন, তার স্বামীর মানসিক সমস্যা থাকলেও কোনো শারীরিক সমস্যা ছিল না। পেটে এত বড় অপারেশনের দাগ কিসের, জানতে চান তিনি। মিল্টন সমাদ্দারের কেয়ারে স্বামীর কোনো অঙ্গহানি হলে দায়ী ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন তিনি।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রম থেকে সেলিম নামের এক ব্যক্তিকে উদ্ধারের ঘটনাটি জানার পর থানা থেকে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে তাঁর বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। তবে সেলিমের পরিবার থানায় কোনো অভিযোগ করেননি।


ময়মনসিংহ   ঈশ্বরগঞ্জ   নিখোঁজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হবে পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে’

প্রকাশ: ০৮:৫৪ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক দেশে কোন দল ক্ষমতায় আছে তার ওপর নির্ভর করে করা উচিত নয়। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক হতে হবে পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে স্থায়ী বন্ধন।

শনিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যাস কমিউনিকেশন (আইআইএমসি) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা এবং ইহসানুল করিম অ্যাওয়ার্ড ফর মিডিয়া এক্সিলেন্স অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাবের হোসেন বলেন, পারস্পরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং আঞ্চলিক সমৃদ্ধির উন্নয়নে গঠনমূলক সংলাপ ও সহযোগিতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব স্থায়ী হবে।

তিনি বলেন, উন্নয়ন সাংবাদিকরা পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। টেকসই উন্নয়নের চর্চা এবং জনমত গঠনের জন্যও তারা গুরুদায়িত্ব পালন করেন।

এসময় মন্ত্রী দেশের পরিবেশের মানোন্নয়নের জন্য সংবাদ পরিবেশন করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের সম্পাদক ফরিদ হোসেন, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খান এবং কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ ভারত থেকে আসা অনিমেষ বিশ্বাস প্রমুখ।

এছাড়া বাংলাদেশের বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, কলামিস্ট, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক আফসান চৌধুরীকে এ বছর ইহসানুল করিম অ্যাওয়ার্ড ফর মিডিয়া এক্সিলেন্স পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার হিসেবে নগদ ১ লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় ফরিদ হোসেনকে সভাপতি ও আঙ্গুর নাহার মন্টিকে সাধারণ সম্পাদক করে আইআইএমসি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের ২০২৪-২৬ মেয়াদের জন্য ১৩ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়।


মন্ত্রী   সাবের হোসেন চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

প্রকাশ: ০৮:৪৪ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও লেখক হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (১১ মে) এক বার্তায় হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। 

শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ২টায় আকবর খান রনো রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

মৃত্যুকালে তিনি একমাত্র কন্যা রানা সুলতানা, জামাতা মনির জামান রাজু, দুই নাতি, অগণিত রাজনৈতিক সহকর্মী, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব রেখে গেছেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের সদস্যরা দেশের বাইরে থাকায় মরদেহ সোমবার পর্যন্ত শমরিতা হাসপাতালের মর্গে রাখা হবে। স্বজনরা দেশে ফিরলে শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নেওয়া হবে এই প্রবীণ রাজনীতিবিদের মরদেহ। এরপর বাবা-মায়ের কবরের পাশে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে হায়দার আকবর খান রনোকে।

হায়দার আকবর খান রনো ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস নড়াইলের বরাশুলা গ্রামে। 

উল্লেখ্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও নেতা হায়দার আকবর খান রনো একাধিক বইয়ের লেখক। মার্ক্সবাদী এই তাত্ত্বিক পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। 


হায়দার আকবর খান রনো   প্রধানমন্ত্রীর শোক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন