ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক, অত্যন্ত হতাশার। আমাদের মন্ত্রণালয়ে মিটিং হয়। আন্তঃমন্ত্রণালয় মিটিং হয়। একাধিকবার মিটিং হয়েছে। আমরা সবাই কিন্তু বলেছি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবো। দায়িত্ব পালন করবো। সবাই মুখে বলে কিন্তু বাস্তবে কেউ দায়িত্ব পালন করছে না।’
সোমবার (১০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ঝটিকা অভিযানে গিয়ে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র দুপুর বারোটার দিকে ঝটিকা অভিযানে গিয়ে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সরকারি ও বেসরকারি কয়েকটি ভবন পরিদর্শন করেন। এ সময় জাহাঙ্গীর টাওয়ার, কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা), যমুনা অয়েলের নির্মাণাধীন ভবন, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশনের বেজমেন্টে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ টাকা করে মোট ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ। এছাড়াও মেয়র ওয়াসা ভবনসহ আরও কয়েকটি ভবনের বেজমেন্ট পরিদর্শন করেন।
কারওয়ান বাজার ছাড়াও ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলেই একযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের অভিযানে ১১টি মামলায় ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়াও ৩টি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
কারওয়ান বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাস্তবে যদি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সবাই দায়িত্ব পালন করতো তাহলে আজকে এই সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যেতো না। যে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে তা হয়তো লাগতো না, যদি তারা মাত্র ৫০০ টাকা খরচ করতো। তাদের দায়িত্ব ছিল এখানে ওষুধ ছিটিয়ে দেওয়া, একটু ব্লিচিং পাউডার, একটু কেরোসিন ব্যবহার করা।’
মেয়র বলেন, ‘আমি মনে করি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বটা সবাইকে নিতে হবে। দায়িত্ব কিন্তু একা সিটি কর্পোরেশনের না। এই শহর আমাদের সবার। এই শহরটাকে সবাইকেই ভালোবাসতে হবে। আমরা এডিস মশা বিরোধী সচেতনতা বাড়ানোর জন্য মসজিদের ইমাম, খতিব, ক্যাডেট কোর, শিক্ষামন্ত্রীর মাধ্যমে স্কুল কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমরা মেসেজ দিচ্ছি যার যার প্রতিষ্ঠান অঙ্গন যেন আমরা পরিষ্কার রাখি। সবাই যার যার প্রতিষ্ঠান, ভবন পরিষ্কার রাখলে আমরা এডিস মশা থেকে অনেকখানি রক্ষা পেতে পারি। এতে করে শহরবাসীও রক্ষা পাবেন।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, গত পরশু দিন আমরা রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জাপান গার্ডেন সিটিতে অভিযান পরিচালনা করেছি, সেখানকার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। সেখানে ২৭টা বিল্ডিংয়ের নিচে অভিযানে দেখেছি এডিস মশার লার্ভার চাষ হচ্ছে। আজকে আমরা সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনে এসে দেখলাম এডিস মশার চাষ হচ্ছে। গ্রাউন্ড ফ্লোরে যেখানে গাড়ি রাখে, সেখানে ড্রেনে পানি। সেখানে মশার চাষ হচ্ছে।’
ভবনের ভিতরে বেজমেন্ট পরিষ্কার করার দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের নয় উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা রাস্তা, ড্রেন, ফুটপাত এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করছে। কিন্তু অফিসের, মার্কেটের, ও বাড়ির বেজমেন্ট পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব ভবন মালিক বা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে।’
এসময় ডিএনসিসি মেয়র অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘সরকারি, বেসরকারি, আধা সরকারি, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, বাসা-বাড়ি, আমরা নিজ নিজ অঙ্গন পরিষ্কার রাখি। আমরা কিছুদিন ধরে দেখছি কী ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। আমরা টেলিভিশন পত্রিকা অনলাইন খুললে ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা জানতে পারছি। সবার সচেতনতা অত্যন্ত জরুরী।’
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘সামনে ঢাকার পরিস্থিতি আরো ভয়ানক অবস্থা সৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে। আমরা গতকাল জরিমানা করেছি প্রায় ৯ লাখ টাকা। তার আগের দিন জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ টাকা। অভিযান চলছে, চলবে। আমার অনুরোধ আপনারা জরিমানা না দিয়ে পরিষ্কার রাখুন নিজ নিজ অঙ্গন। আমরা যেখানেই এডিস মশার লার্ভা পাবো সেখানে জরিমানা করবো।’
অভিযানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. এ.কে.এম শফিকুর রহমান।
ডিএনসিসি অভিযান সরকারি প্রতিষ্ঠান জরিমানা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বাসিন্দা ইতালি প্রবাসী বাচ্চু শেখ অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে মারা যান ৩ বছর আগে। সেই মামলার রহস্যের জট খুলেছে ৩ বছর পর। আসামী আমির হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ঘটনার সত্যতা প্রকাশ করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই-এর এসআই ফিরোজ আহমেদ জানান, বিগত ২০২১ সালের ৯ মার্চ ইতালি প্রবাসী বাচ্চু শেখ হানিফ এন্টারপ্রাইজের একটি বাসে করে তার গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার তপারকান্দি গ্রামে আসছিলেন। পথিমধ্যে অজ্ঞান পার্টির সদস্য আমির হোসেন ও তার দলবল কায়দা করে ভিকটিমের সাথে ভাব জমিয়ে তাকে বিস্কুটের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খ্ইায়ে দেয় এবং তার কাছে থাকা মালামাল নিয়ে যায়। এতে সে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে বাসের হেলপার তার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে ছাগলছিড়া এলাকায় তাকে বুঝে দিয়ে বরিশালের দিকে বাস চলে যায়।
পরে
মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় বাচ্চু শেখকে প্রথমে মাদারীপুরের রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মৃত বাচ্চু শেখের স্ত্রী মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গোপালগঞ্জ পিবিআই মূল অভিযুক্ত আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে এবং সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে গোপালগঞ্জের পিবিআই-এর পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
নওগাঁয় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে খরিপ মৌসুমে উফশী আউশ, পাট ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
এসময় নওগাঁ সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা শওকত মেহেদী সেতু’র সভাপতিত্বে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। এসময় নওগাঁ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হক কমল ও সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রণোদনার অংশ হিসেবে মোট ৭ হাজার ১৫০ জন কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে প্রতি বিঘা ফসলের জন্য উফশী আউশ ৬ হাজার ৬৭০ জনকে ৫ কেজি বীজ, ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ১০ কেজি। এছাড়া ২৩০ জনের প্রত্যেককে এক কেজি করে পাট বীজ এবং গ্রীষ্মকালিন ২৫০ জন কৃষককে পেয়াঁজ চাষে এক কেজি বীজ, ডিএপি ২০ কেজি এবং এমওপি ২০ কেজি দেয়া হয়।
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা গেছে, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরের পর দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে একাধিক বার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের গাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশের গাড়িতে হামলার ঘটনায় বিজয়ী চেয়ারম্যান ওমর হোসাইন ভুলু ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেন বোরহান চৌধুরী সহ ১১ জনের নাম উল্লেখ ও আরো ৪/৫শ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে পুলিশবাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছে।
এঘটনায় বিজয়ী ও পরাজিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফ উদ্দিন আনোয়ার।গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আঁধার মানিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর আবারও দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫ রাউন্ড রাবার বুলেট, ৪ রাউন্ড গ্যাস সেল ও ২ রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিজয়ী ও ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি ওমর ইবনে হোসাইন ভুলু এবং পরাজিত প্রার্থী তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আকতার হোসেন বোরহান চৌধুরীকে আটক করেছে।
ইউপি নির্বাচন সংষর্ঘ চেয়ারম্যান প্রার্থী গ্রেপ্তার
মন্তব্য করুন
আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ফেনী-১
মন্তব্য করুন