ইনসাইড বাংলাদেশ

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ও জাল দলিল প্রস্তুতকারক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০২:৪৬ পিএম, ১১ জুলাই, ২০২৩


Thumbnail

রাজশাহী মহানগরীতে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট তৈরীর সরঞ্জাম, দেশী-বিদেশী ভুয়া দলিল দস্তাবেজ তৈরীর মূল কারিগরসহ দুই প্রতারককে আটক করেছে র‌্যাব। গতকাল সোমবার (১০জুলাই) বিকেল সাড়ে ৬টায় দিকে রাজশাহী র‌্যাব-৫ মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের সদসন্যরা রাজপাড়া থানার পূর্ব মোল্লাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক ও ওই সরঞ্জমাদি উদ্ধার করে।

আটককৃতরা হলো, নগরীর পূর্ব মোল্লাপাড়া এলাকার মৃত কাবিল উদ্দিনের ছেলে আনিসুর রহমান অরফে রেজাউল (৬৬) ও কোর্টবুলনপুর এলাকার রাজিব হোসেনের ছেলে শেখ রেজওয়ানুল করিম অরফে সানিক (২২)। আজ মঙ্গলবার ( ১১ জুলাই) দুপুরে র‌্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে, রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানাধীন পূর্ব মোল্লাপাড়া গ্রামের আনিছুর রহমান অরফে রেজাউল করিম তার বাড়িতে কতিপয় ব্যক্তিরা জালিয়াতির জন্য ভুয়া সীলমোহরের সাহায্যে জাল দলিল ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ তেরি করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে র‌্যাব আনিছুর রহমান অরফে রেজাউল করিমের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে তাদেরকে আটক করে র‌্যাব।

র‌্যাব জানায় আটকের পর জিজ্ঞাবাদে তারা জানিয়েছে, আনিছুর রহমান দীর্ঘদিন যাবৎ ভুয়া দলিল দস্তাবেজ তৈরীর কাজে নিয়োজিত ছিল। তিনি সুকৌশলে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে প্রস্তুত করত এবং মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধে অংশগ্রহণের প্রমাণক হিসেবে ব্যবহৃত অস্ত্র জমা দেয়ার জয় বাংলা লেখা সনদও প্রস্তুত করে দিত। তার কাছে কেউ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ, ভুয়া জামানত, ভুয়া দলিল চাইলে বিভিন্ন অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তিনি তা তৈরী করে দিতেন। ভুয়া দলিল দ্বারা জমি দখলদারদের তিনি পুরাতন পাকিস্তানী আমলের দলিলও নিজস্ব পন্থায় তৈরি করে দিতেন।

জাল দলিল তেরির জন্য কালীকলম ব্যবহার করতেন তিনি। কারণ পাকিস্তান আমলে কালি-কলমে দলিল লেখা হতো। তিনি পুরাতন দলিল প্রস্তুত কারণের ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের সীল নিজে তৈরি করে ব্যবহার করতেন। তার কাছে বিভিন্ন কর্মকর্তার ২০৫ টি ভুয়া সীলমোহর পাওয়া যায়। তিনি নিজেকে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ভুয়া জাল দলিল প্রস্তুতকারক হিসেবে দাবি করেন। তার কাছে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভুয়া দলিল প্রস্তুত করতে প্রতারক জমি দখলকারীরা যোগাযোগ করতো। তিনি এ যাবৎ সহস্রাধিক জাল দলিলসহ বহু মুক্তিযুদ্ধের জাল সনদ তৈরি করে দিয়েছেন। তিনি বিশেষ কেমিকেল ব্যবহার করে দলিলকে পুরাতন দেখানোর পন্থা আবিষ্কার করেছেন। যার মাধ্যমে তিনি জাল দলিল প্রস্তুত করেন যা ধরার উপায় থাকে না।

আটককৃতরা স্বীকার করে তারা পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন ধরে জাল-জালিয়াতির উপকরণ তৈরি করে প্রতারণা করে আসছে। এছাড়াও তিনি ২০১৩ সালে জাল জালিয়াতির মামলায় আটক হয়েছিলেন।


উদ্ধার সরঞ্জামাদির মধ্যে রয়েছে, ১৪ টি স্বাধীনতা সংগ্রামের ভুয়া সনদপত্র, ১৫টি ‘জয় বাংলা’ লেখা সম্বলিত ফাঁকা সনদ, ২৫৪৮টি বাংলাদেশী স্ট্যাম্প, ৮৩৩টি পাকিস্তানী স্ট্যাম্প, ২৫৩টি ভারতীয় স্ট্যাম্প, ২০৫টি জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তার নামীয় ও পদবী সম্বলিত ভুয়া সীল, ২টি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম সম্বলিত লোহার পাত ও ২টি পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম সম্বলিত লোহার পাত (যাহার সাহায্যে স্ট্যাম্পের পিছনে জল ছাপ দিয়া জালিয়াতির সাহায্যে বিভিন্ন ভুয়া দলিল প্রনয়ণ করা হয়), তিনটি জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত দোয়াত কলম, ১টি দোয়াত কালি, ১টি স্ট্যাম্প প্যাড।

আটককৃতদের রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানায় সোপর্দ করে তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।


র‌্যাব   আটক   ভুয়া সার্টিফিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শাজাহান খানের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৭:২৪ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এমপি শাজাহান খানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি অভিযোগ তুলেছেন মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক। 

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ডিসির ব্রিজ এলাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান তার নিজ নির্বাচনি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন। 

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

সংবাদ সম্মেলনে শফিক খান অভিযোগ করেন, উপজেলা নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যের ছেলে আসিবুর রহমান খান। শাজাহান খান তার ছেলেকে বিজয়ী করতে অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করছেন। তিনি আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীসহ নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের উপর খবরদারি করছেন। কালো টাকা বিলির মাধ্যমে ভোট কেনার চেষ্টা, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ শফিক খানের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। 

শফিক খান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে ১৫টি অভিযোগ দিলেও সে বিষয়ে কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যেকে এলাকা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশনাসহ ইলেকট্ররাল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আবেদন জানান নির্বাচন কমিশনের কাছে।’

সংবাদ সম্মেলন অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মাদারীপুর জেলার শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ।
 
তবে সংবাদ সম্মেলনের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আসিবুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা শাজাহান খান এলাকায় থাকলেও তিনি নির্বাচনি কাজে অংশগ্রহণ করছেন না।’ শাজাহান খান নিজেও তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কোনভাবেই নির্বাচনি কাজে অংশগ্রহণ করিনি। সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।’

শাজাহান খান   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে হিট স্ট্রোকে প্রাণ গেল ভ্যানচালকের

প্রকাশ: ০৬:১৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোকে বাবলু খন্দকার (৪৫) নামে এক ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে উপজেলার গোপীনাথপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ভ্যান চালক জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল সরকারপাড়া গ্রামের শুকুর মাহমুদ খন্দকারের ছেলে বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিক্রির জন্য বাবলু খন্দকার ভ্যান যোগে কয়েক বস্তা আলু নিয়ে গোপীনাথপুর হাটে যান। সেখানে আলুর বস্তা নামিয়ে রেখে চা খেতে দোকানে বসেন তিনি। এসময় হঠাৎ করে বুকে ব্যাথা উঠলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্তে কর্মকর্তা নয়ন হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


হিটস্ট্রোক   ভ্যান চালক   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় সেচের অভাবে অনাবাদি ১০০ বিঘা জমি

প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail সেচের অভাবে অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে ১০০ বিঘা জমি

নওগাঁ সদর উপজেলায় কৃষি কাজে ব্যবহৃত একটি গভীর নলকূপ বন্ধ রাখা হয়েছে। পানির অভাবে এই সেচযন্ত্রের আশ পাশের প্রায় ১০০ বিঘা জমি অনাবাদি পড়ে আছে। সেচ সংকটের কারণে কিছু কৃষক ধানের আবাদ না করে জমিতে তিলের চাষ করেছেন। অনাবৃষ্টির কারণে তিলের গাছও মরে যেতে বসেছে।

  

সেচ নিয়ে কৃষকদের এমন দুরাবস্থা নওগাঁ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপাড়া, মাদ্রাসা পাড়া, সরদার পাড়া, শেখপুরা ও মন্ডলপাড়া এলাকায়।

 

কৃষকদের দাবি, পৌরসভার হাজীপাড়া মহল্লা সংলগ্ন মাঠে একটি গভীর নলকূপ রয়েছে। গভীর নলকূপটি মকবুল হোসেন ওরফে গ্যাদো নামের এক ব্যক্তি পরিচালনা করে থাকেন। ওই এলাকায় প্রায় ২০০ বিঘা জমি রয়েছে। চলতি বোরো মৌসুমের শুরুতে নলকূপটির মালিক মকবুল হোসেন কৃষকদের কাছ থেকে বোরো ধান আবাদের জন্য প্রতি বিঘা জমিতে সেচের জন্য ২ হাজার টাকা করে দাবি করেন। আশপাশের অন্যান্য নলকূপের সেচ খরচের তুলনায় বেশি টাকা দাবি করায় কৃষকেরা ওই পরিমান টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। চাহিদা অনুযায়ী সেচ খরচ দিতে রাজি না হওয়ায় সেচযন্ত্রটি বন্ধ রেখেছেন গভীর নলকূপের মালিক মকবুল হোসেন। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেও কৃষকেরা কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না।

 

গত ১৯ মার্চ ৬০ জন কৃষক স্বাক্ষরিত ওই লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ পৌরসভার হাজীপাড়া, সরদারপাড়া ও মাদ্রাসাপাড়া মহল্লার মধ্যবর্তী মাঠে প্রায় ৩০০ বিঘা ফসলি জমি আছে। এসব জমিতে প্রতি মৌসুমে কয়েক হাজার মণ ধান হয়। বোরো মৌসুমে ওই এলাকার কৃষকদের কথা মাথায় রেখে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ওই মাঠে দুটি গভীর নলকূপ স্থাপন করে দিয়েছে। ওই দুটি সেচ যন্ত্রের মধ্যে মকবুল হোসেন পরিচালিত গভীর নলকূপের অধীনে প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে চাষাবাদ হয়ে থাকে। বিগত তিন বছর ধরে মকবুল হোসেনের ছেলে সবুজ কৃষকদের জিম্মি করে সেচ বাবদ বেশি টাকা আদায় করছে।

 

পার্শ্ববর্তী বোয়ালিয়া, শেখপুরা এলাকায় গভীর নলকূপ থেকে প্রতি বিঘা জমিতে সেচ খরচ বাবদ যেখানে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে, সেখানে সবুজ তার সেচযন্ত্র থেকে সেচ খরচ দাবি করে ২ হাজার টাকা।

 

অধিকাংশ কৃষক এই পরিমাণ টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মকবুল হোসেনের ছেলে সবুজ সেচ যন্ত্রটি থেকে পানি তোলা বন্ধ করে দেন। ধানের বীজ তলায় সেচ দিতে না পারায় কৃষকদের চারা নষ্ট হয়ে যায়। জমিতে ধান লাগাতে না পেরে অনেক কৃষক জমিতে তিলের চাষ করেছেন। কিন্তু দীর্ঘ অনাবৃষ্টির কারণে এবং সেচ যন্ত্র বন্ধ থাকায় অধিকাংশ তিল গাছ মরে যেতে বসেছে। এই দূরাবস্থা নিরসনে জেলা ও উপজেলা সেচ কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কৃষকেরা।

 

সোমবার (২৯ এপ্রিল) পৌরসভার হাজীপাড়া সংলগ্ন ওই ফসলি মাঠে গিয়ে দেখা যায়, ওই মাঠে অনেক জমি অনাবাদি পড়ে আছে। কিছু জমিতে তিলের চাষ করা হয়েছে। কিন্তু পানির অভাবে অনাবাদি জমি ও তিলের খেতের জমি শুকিয়ে আছে। পানির অভাবে শুকনো মাটিতে বপন করা তিল বীজ থেকে চারা গজায়নি। আবার কিছু কিছু জমিতে চারা গজালেও পানির অভাবে তিলের গাছগুলোর পাতা শুকিয়ে লালচে হয়ে মরতে বসেছে।

 

কৃষকদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সেচ যন্ত্রের মালিক মকবুল হোসেন ওরফে গ্যাদো বলেন, ‘একটা মৌসুমে একটা ডিপ টিউবওয়েল চালালে তিন থেকে চার লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে। এছাড়া ট্রান্সফরমার বা সেচ যন্ত্রের অন্য কোনো অংশ নষ্ট হয়ে গেলেও বাড়তি খরচ হয়ে যায়। মেশিন চালাতে যে খরচ হবে, সেটা তুলতে না পারলে লোকসান গুনতে হবে। তাই পানি তোলা বন্ধ রেখেছি।’

 

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি এস এম রবিন শীষ বলেন, ‘বেশ কিছু দিন আগে এ ধরণের একটি অভিযোগ পেয়েছিলাম। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে সম্ভবত এ বিষয়ে তদন্ত করতে বলেছিলাম। কৃষকদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে সেচ যন্ত্রটি চালু করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


অনাবাদি   সেচ   সেচযন্ত্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড চুয়াডাঙ্গায়

প্রকাশ: ০৪:২৪ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় এই জেলায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। 

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ।

তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গায় আজ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দুই দিন এমন অবস্থা বিরাজ করতে পারে।

এ দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দুপুর থেকেই মরুভূমির মতো তাপ অনুভূত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকূল। অস্বস্তি বাড়ছে জনজীবনে।

চলমান তাপদাহে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন শ্রমজীবীরা। তীব্র তাপদাহে নষ্ট হচ্ছে ধান, ভুট্টা, কলা, আম, লিচুসহ মৌসুমি ফসল।

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা   চুয়াডাঙ্গা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মৃত্যুর ৩ বছর পর রহস্য উন্মোচন করেছে পিবিআই

প্রকাশ: ০৪:৩১ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বাসিন্দা ইতালি প্রবাসী বাচ্চু শেখ অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে মারা যান বছর আগে। সেই মামলার রহস্যের জট খুলেছে বছর পর। আসামী আমির হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ঘটনার সত্যতা প্রকাশ করেছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই-এর এসআই ফিরোজ আহমেদ জানান, বিগত ২০২১ সালের মার্চ ইতালি প্রবাসী বাচ্চু শেখ হানিফ এন্টারপ্রাইজের একটি বাসে করে তার গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার তপারকান্দি গ্রামে আসছিলেন। পথিমধ্যে অজ্ঞান পার্টির সদস্য আমির হোসেন তার দলবল কায়দা করে ভিকটিমের সাথে ভাব জমিয়ে তাকে বিস্কুটের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খ্ইায়ে দেয় এবং তার কাছে থাকা মালামাল নিয়ে যায়। এতে সে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে বাসের হেলপার তার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে ছাগলছিড়া এলাকায় তাকে বুঝে দিয়ে বরিশালের দিকে বাস চলে যায়।

পরে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় বাচ্চু শেখকে প্রথমে মাদারীপুরের রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনায় মৃত বাচ্চু শেখের স্ত্রী মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গোপালগঞ্জ পিবিআই মূল অভিযুক্ত আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে এবং সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে গোপালগঞ্জের পিবিআই-এর পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন।


পিবিআই   মৃত্যু রহস্য   জবানবন্দি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন