ইনসাইড বাংলাদেশ

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনি কাঠামোতে সন্তুষ্ট ইইউ: আইন সচিব

প্রকাশ: ০৭:২৮ পিএম, ১২ জুলাই, ২০২৩


Thumbnail

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের আইনি কাঠামো যথেষ্ট বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। বুধবার (১২ জুলাই) সচিবালয়ে জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ মূল্যায়ন করতে আসা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ছয় সদস্যের নির্বাচনী অনুসন্ধানী দলের সঙ্গে বৈঠকে জিজ্ঞাসার জবাবে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এ কথা জানান। জবাবে প্রতিনিধি দল সন্তোষ প্রকাশ করেছে। বৈঠক শেষে আইন সচিব সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

সচিব বলেন, ‘আমাদের আইনগত কাঠামো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট কি না- এটা তারা জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের যে আইনগত কাঠামো আছে, সেটা যথেষ্ট। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) পাস হয়েছে, সেখানকার ৯১(১)এ-তে নির্বাচন বাতিল করার ব্যবস্থা আছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ৯১-এএ যুক্ত করে নির্বাচন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করেছেন। এটা ওটার আরও বাড়তি। ওনারা এতে সন্তুষ্ট হয়েছেন।’সচিব বলেন, ‘আমাদের আইনগত কাঠামো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট কি না- এটা তারা জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের যে আইনগত কাঠামো আছে, সেটা যথেষ্ট। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) পাস হয়েছে, সেখানকার ৯১(১)এ-তে নির্বাচন বাতিল করার ব্যবস্থা আছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ৯১-এএ যুক্ত করে নির্বাচন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করেছেন। এটা ওটার আরও বাড়তি। ওনারা এতে সন্তুষ্ট হয়েছেন।’


তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্প্রতি যে আইন করা হয়েছে, উপমহাদেশে এ রকম আর কোনো আইন নেই।’

নির্বাচন কমিশন গঠনের সার্চ কমিটির বিষয়ে তাদের বলা হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘তারা এটার বিষয়ে প্লিজড (সন্তুষ্ট) হয়েছেন। আইনটাও আমরা তাদের দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আরেকটি বিষয় তাদের জানিয়েছি, যেটি তারা হয়তো আগে জানতেন না। যেটি আমাদের আইন ও বিচার বিভাগের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সম্পৃক্ত, সেটি হলো- নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর একজন যুগ্ম জেলা জজ এবং একজন সিনিয়র সহকারী জজের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এটা তফসিলের শুরুর দিন থেকে নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট নোটিফিকেশন হওয়া পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময়ে নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিয়ম বা কারও কোনো অভিযোগ থাকলে তারা সেটার প্রতিবেদন তৈরি করে নির্বাচন কমিশনকে দেন। নির্বাচন কমিশন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে।’

সচিব আরও বলেন, ‘এছাড়া আরেকটা বিষয় আছে জুডিসিয়াল অফিসারদের দেওয়া। বিচার বিভাগ স্বাধীন। নির্বাচন কমিশন রিকুইজিশন দিলে আমরা সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্বাচন কমিশনে ন্যস্ত করি। আমরা যখন নির্বাচন কমিশনে ন্যস্ত করি তখন আমাদের কাছে তাদের ইয়া নেই। তখন তারা নির্বাচন কমিশনের অধীনে দায়িত্ব পালন করেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা নির্বাচনের আগে দুদিন, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচনের পর দুদিনসহ মোট পাঁচদিন দায়িত্ব পালন করেন। তখন কোনো অনিয়ম হলে তারা সংক্ষিপ্ত বিচার (সামারি ট্রায়াল) ও আরপিওতে যে বিধানগুলো আছে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এটার বিষয়ে তারা প্রশংসা করেছে।’

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিয়ে তারা কোনো কিছু বলেছেন কি না- এ বিষয়ে গোলাম সারওয়ার বলেন, ‘না, এসব নিয়ে কোনো আলাপ করা হয়নি।’

তারা কোনো পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন কি না- জানতে চাইলে গোলাম সারওয়ার বলেন, ‘না, তারা জানতে চেয়েছেন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এ আইনি কাঠামো যথেষ্ট কি না! আমরা বলেছি, হ্যাঁ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের মেকানিজম আছে, আইনি কাঠামো আছে। এ আইনি কাঠামো যথেষ্ট অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অন্য কোনো কিছু করার প্রয়োজন নেই।’

আরপিও সংশোধন নিয়ে তারা কিছু বলেছেন কি না- এ বিষয়ে সচিব বলেন, ‘আগের আরপিও অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা রয়েছে, তারা যে কোনো ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দিতে পারে। পুরো নির্বাচনী আসনের ভোট বন্ধ করে দিতে পারবে।’


অবাধ   সুষ্ঠু   নির্বাচন   আইনি কাঠামো   ইইউ   আইন সচিব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস, আ.লীগ নেতাকে অব্যহতি

প্রকাশ: ০৬:০৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail অভিযুক্ত আ.লীগ নেতা সরদার আবুল কালাম আজাদ

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে ওই নেতাকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (৩০ মে) দিবাগত রাতের পর কোনো এক সময় আবুল কালাম আজাদ তার ফেসবুক একাউন্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে স্ট্যাটাস দেন।

 

পরদিন বুধবার (০১ মে) সকালে তার লেখাটি সবার নজড়ে আসার পর ভাইরাল হয়ে যায়। এতে সমালোচনার ঝড় ওঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে। সমালোচনার মুখে বাধ্য হয়ে এক পর্যায়ে পোস্টটি তার ফেসবুক থেকে ডিলিট করে দেন ওই নেতা।

 

বিষয়টি উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নজড়ে এনে তার শাস্তির দাবি জানান স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বুধবার (১ মে) রাতে এক চিঠিতে সরদার আবুল কালাম আজাদকে তার প্রস্তাবিত পদ থেকে অব্যহতি দেয় জেলা আওয়ামী লীগ।


আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া?

 

জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সুইট স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, 'কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের জরুরী সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে ফেসবুকে অশালীন ও কুরুচপিূর্ন মন্তব্য করায় সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে তার সকল পদ থেকে অব্যহতি প্রদান করা হলো। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা পত্র প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ প্রদান করা হলো। যদি তিনি সাত দিনের মধ্যে জবাব না দেন তাহলে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ করা হবে।'

 

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে সরদার আবুল কালাম আজাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।


আরও পড়ুন: নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের সাধারণ ক্ষমা?

 

পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার এমন স্ট্যাটাস খুবই ন্যাক্কারজনক। বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে কথা বলে তাকে সকল পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।


অব্যহতি   আওয়ামী লীগ নেতা   স্যাটাস   কুরুচীপূর্ণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু

প্রকাশ: ০৫:৩৫ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে গত ১৫ এপ্রিল এ অধিবেশন আহ্বান করেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেল ৫টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে এ অধিবেশন শুরু হয়।

অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার সভাপতিমণ্ডলী এম এ মান্নান, আসাদুজ্জামান নুর, শফিকুল ইসলাম শিমুল, গোলাম কিবরিয়া টিপু ও ফজিলাতুন্নেছার নাম ঘোষণা করেন।

স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতি নামের অগ্রবর্তিতা অনুযায়ী সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন।

এর পর অধিবেশনে গত ১৬ মার্চ ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব আনা হয়। এ ছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য শামছুল হক ভূঁইয়া, আবুল হাসেম খান, পিনু খান, নজির হোসেন ও মোখলেছুর রহমান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিক, একুশে পদকপ্রাপ্ত ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ড. প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়।

এরপর সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শুরু হয়।

জাতীয় সংসদ   রাষ্ট্রপতি   মো. সাহাবুদ্দিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সহকারী সচিব হলেন ক্যাডার বহির্ভূত ৭ কর্মকর্তা

প্রকাশ: ০৫:২৩ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্যাডার বহির্ভূত ৭ কর্মকর্তাকে সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৭ কর্মকর্তাকে সহকারী সচিব (ক্যাডার বহির্ভূত) পদে পদোন্নতি দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পদে নিয়োগ করা হলো। নিয়মানুযায়ী পরবর্তীতে তাদের পদায়ন করা হবে।
 
জাতীয় বেতনস্কেল, ২০১৫ অনুযায়ী তারা ৯ম গ্রেডে বেতন-ভাতা পাবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

সহকারী সচিব   জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: রাশেদা সুলতানা

প্রকাশ: ০৪:৩৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনা জেলা শিল্পকলা একাডমেীতে

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ‘নির্বাচনী আইন যারা মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আইনী ব্যবস্থা নেবে। প্রভাবশালীরা নির্বাচনে কোনোরেকম প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে তাদেরও ছাড় দেওয়া না। তিনি এমপি মন্ত্রী যেই হোক। নির্বাচন কমিশন কিন্তু এতো দুর্বল নয়।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুরে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন নিয়ে পাবনা জেলার সকল উপজেলার প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রাশেদা সুলতানা।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনকে সাধারন মানুষের কাছে হেনস্তা করবেনির্বাচনকে কলুষিত করবে, দেশের ভাবমূর্তি যে নষ্ট করে তার বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাংবাদিকদের কোনো কাজে বাধা দেওয়া যাবে না। দিলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

রাশেদা সুলতানা বলেন, 'দেশের নিদারুণ বাস্তবতা হলো ভোটারদের সাথে প্রার্থীদের সম্পর্ক ভাল নেই। ভোটার ছাড়া ভোট হয়ে যাবে ওইদিন চলে গেছে। তাই প্রার্থী যারা আছেন তারা ভোটারদের কাছে যান, তাদের সাথে সম্পর্ক ভাল করেন। তাদের কাছে টেনে নেন। তাদের ভোটেরই আপনাকে নির্বাচিত হতে হবে। নির্বাচনী আইন মেনে প্রচারণা করেন। নির্বাচন কমিশন যেকোনো মুল্যে ভাল ভোট করবে।'

রাজশাহী বিভাগীয় স্থানীয় সরকারের পরিচালক পারভেজ রায়হানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিজিবির সিইও গোলাম কিবরিয়াজেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।

পাবনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত মতবনিমিয় সভায় পাবনা জেলার নয়টি উপজেলার চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রার্থীরা তাদের নানা অভিযোগের কথা তুলে ধরে সমাধান দাবি জানান। এসময় সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাব অভিযোগ করেন, 'সুজানগর পৌরসভার বর্তমান মেয়র একটি সভায় বলেছেন ভোট দিতে হবে, না হলে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হবে। তার এমন বক্তব্যের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আমার নির্বাচনী অফিসে হামলা হয়েছে। মোবাইলে ভোটারদের প্রতিনিয়ত হুমকি দেয়া হচ্ছে। এসব অভিযোগ তথ্য প্রমাণসহ লিখিতভাবে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।'

চাটমোহর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাইদুল ইসলাম চৌধুরী অভিযোগ করেন, 'সাধারণ মানুষের কাছে প্রচার করা হচ্ছে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দুলাল মির্জা এমপির লোক, এমপির প্রার্থী। আপনি ভোট পাবেন কিভাবে। ভোট তো ওরা সব নিয়ে নেবে। প্রার্থীকে এমপির লোক বলে প্রচারণা চালানো বন্ধের দাবি জানান তিনি।'

ঈশ্বরদী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু অভিযোগ করেন, '২ জন শিক্ষককে বিশেষ লোকের নাম বলে দু'টি মোটরসাইকেল পাঠিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একজন প্রার্থীর সভায় যেতে বাধ্য করা হয়েছে। নির্বাচন শুরুর আগেই তো প্রভাবশালীদের প্রভাব বিস্তার চলছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই।'


নির্বাচন   প্রভাব বিস্তার   নির্বাচন কমিশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভোক্তা পর্যায়ে কমলো এলপি গ্যাসের দাম

প্রকাশ: ০৩:০৯ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভোক্তা পর্যায়ে এলপি গ্যাসের ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৪২ টাকা থেকে ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে নতুন এ দর ঘোষণা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। যা আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে, টানা ৮ মাস বাড়ার পর গত এপ্রিল মাসে কমেছিল এলপি গ্যাসের দাম। ৩ এপ্রিল মার্চ মাসের তুলনায় ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া গত মার্চ মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৮২ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা ও জানুয়ারিতে ২৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

একইসঙ্গে বৃহস্পতিবার অটোগ্যাসের দামও কমিয়েছে বিইআরসি। মে মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আর গত এপ্রিল মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৬ টাকা ২১ পয়সা নির্ধারণ করেছিল সংস্থাটি। আর মার্চ মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৮ টাকা ৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। আর গত ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারি মাসে যা মূসকসহ নির্ধারণ করা হয়েছিল যথাক্রমে ৬৭ টাকা ৬৮ পয়সা ও ৬৫ টাকা ৬৭ পয়সা।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিইআরসি জানিয়েছে, মে মাসের জন্য সৌদি আরামকোর প্রোপেন এবং বিউটেনের ঘোষিত সৌদি সিপি প্রতি মেট্রিক টন যথাক্রমে ৫৮০ মার্কিন ডলার ও ৫৮৫ মার্কিন ডলার এবং প্রোপেন ও বিউটেনের অনুপাত ৩৫:৬৫ অনুযায়ী প্রোপেন ও বিউটেনের গড় সৌদি সিপি প্রতি মেট্রিক টন ৫৮৩ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার বিবেচনায় মে মাসের জন্য বেসরকারি এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম ভোক্তা পর্যায়ে সমন্বয় করা হলো।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ৫ দফা কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম, আর বেড়েছে ৭ দফা। গত বছরের জানুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, জুন ও জুলাই মাসে কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম। আর দাম বেড়েছিল ফেব্রুয়ারি, মে, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে।


ভোক্তা   এলপি গ্যাস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন