ঢাকায়
দাশেরকান্দি স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার
(১৩ জুলাই) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা ওয়াসার ‘দাসেরকান্দি
পয়ঃশোধনাগার’ প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়।
দেশে
এটাই প্রথম এ ধরনের প্লান্ট।
প্রতিদিন ৫ মিলিয়ন মেট্রিক
টন পয়ঃশোধন ক্ষমতাসম্পন্ন দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম একক পয়ঃশোধন কেন্দ্র
এটি; যা রাজধানীর মোট
পয়ঃশোধনের ২০ থেকে ২৫
শতাংশ। এটি রাজধানীর আশপাশের
নদীগুলোকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা
করবে।
ঢাকা
ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড সুয়েরেজ অথরিটির (ওয়াসা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান মঙ্গলবার
এক ব্রিফ্রিংয়ে বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে
ঢাকার শতভাগ পয়ঃশোধন প্রক্রিয়ার মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সে জন্য নারয়ণগঞ্জের
পাগলা, রাজধানীর উত্তরা, রায়েরবাজার ও মিরপুর এলাকায়
একটি করে আরও চারটি
পয়ঃশোধন কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। প্ল্যান্টটি
২০৩০ সালের মধ্যে সারা দেশে উন্নত
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার মাধ্যমে এসডিজি
লক্ষ্য-৬ বাস্তবায়নে সহায়ক
হবে।
ঢাকা
ওয়াসা প্রধান নির্বাহী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে
একটি সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
ব্যবস্থার আওতায় আনার পথপ্রদর্শক। এ
ধরনের একক পয়ঃশোধানাগার প্লান্ট
দক্ষিণ এশিয়ায় বৃহত্তম এবং এটিই সেরা।
প্লান্টটি পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও জনবান্ধব। এটি
নর্দমা থেকে পরিশোধিত পানি
বালু নদীর পানিতে ফেলছে,
যা নদীর পানির গুণগতমান
বাড়ানোর পাশাপাশি পানি সুপেয় করে
তোলে।
দাশেরকান্দি
শোধনাগার প্ল্যান্ট, যা খিলগাঁও থানার
অন্তর্গত, আফতাবনগর সংলগ্ন এবং গুলশান (একাংশ),
বনানী, তেজগাঁও, নিকেতন, মগবাজার, মালিবাগ, আফতাবনগর, বাড্ডা, কলাবাগান, পান্থপথ, ধানমন্ডি (একাংশ) ও হাতিরঝিলসহ রাজধানীর
বেশ কয়েকটি এলাকার পয়ঃশোধনের ব্যবস্থা করবে।
চীনের
অর্থায়নে ৩ হাজার ৪৮২.৪২ কোটি টাকা
ব্যয়ে প্রায় ৬২.২ একর
জমিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়। এই অর্থের
১ হাজার ১০৬.৪২ কোটি
টাকা জিওবি তহবিল থেকে, ১০ কোটি টাকা
ওয়াসার তহবিল থেকে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক এই প্রকল্পে অর্থায়ন
করেছে। প্রকল্পটির বাকি ২ হাজার
৩৬৬ কোটি টাকা ব্যাংকটি
থেকে সহায়তা হিসেবে আসবে।
প্রকল্পটিতে
প্রতিদিন প্রায় ৫৬০ টন বর্জ্য
প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতাসহ একটি স্লাজ ড্রাইং-বার্নিং সিস্টেম রয়েছে। এর নির্মাণ কাজ
শুরু হয় ২০১৭ সালের
১ আগস্ট। পাওয়ার চায়নার অধীনে চেংডু ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন দ্বারা ডিজাইন ও নির্মিত প্রকল্পটি
এক বছরের অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে
ওয়াসার কাছে হস্তান্তর করা
হয়।
ঢাকার চারপাশে নদী দূষণ রোধে পাঁচটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের জন্য ২০১৩ সালে ওয়াসার মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে দশেরকান্দি পয়ঃশোধানাগার প্লান্টটি নির্মিত হয়েছিল। প্রকল্প অনুযায়ী, প্রগতি সরণিতে রামপুরা সেতুর পশ্চিম পাশে একটি বর্জ্য উত্তোলন স্টেশন, রামপুরা থেকে আফতাবনগর পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার ট্রাঙ্ক স্যুয়ার লাইন এবং দশেরকান্দিতে মূল শোধনাগার নির্মাণ করা হচ্ছে।
দাশেরকান্দি দাশেরকান্দি স্যুয়েরেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
হিট স্ট্রোক তীব্র তাপদাহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ শিল্পমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
প্রায় ১৩ বছর পর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে তিনটিতে চেয়ারম্যান পদে নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। আর দক্ষিণ হামছাদী ও তেওয়ারীগঞ্জ এ দুইটি ইউনিয়নে এ পদে পুরাতনেই আস্থা রেখেছেন ভোটাররা। তবে পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে পেয়ে উল্লাস প্রকাশ করছে পুরো নেট দুনিয়া।