ইনসাইড বাংলাদেশ

ইবিতে 'দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পদ্ধতি' বিষয়ক সেমিনার

প্রকাশ: ০৪:১৭ পিএম, ১৬ জুলাই, ২০২৩


Thumbnail

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের আয়োজনে 'দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পদ্ধতি: একটি একাডেমিক আলোচনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৬ জুলাই) মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের ২০৫ নং কক্ষে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিভাগের অধ্যাপক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. এ কে এম মতিনুর রহমান। বিভাগের অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, অধ্যাপক মো. গিয়াস উদ্দিন, আইন বিভাগের অধ্যাপক কাজী আতিকুর রহমান ও আল ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ারুল ওহাব। এসময় অধ্যাপক ড. শাহজাহান মন্ডল, অধ্যাপক ড. রাকিবা ইয়াসমিন, অধ্যাপক ড. জুলফিকার হোসেন, অধ্যাপক ড. মুন্সি মুর্তজা আলীসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শতাধিক শিক্ষার্থী সেমিনারে অংশ নেন।

সেমিনারে বক্তারা বাংলাদেশের সংবিধান, গণতন্ত্র এবং নির্বাচন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, অতিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অবস্থা, আসন্ন নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যৌক্তিকতা ও বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে মানুষের মৌলিক অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং মুক্ত চিন্তার কণ্ঠে শিকল পড়ানো হয়েছে, যা কোন সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে চিন্তা করা যায় না। এভাবে জনগণের অধিকার একের পর এক হরণ করে দমন-নির্যাতনের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে দানবে পরিণত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকার ফলে প্রশাসনের সর্বস্তরে একটি সুবিধাভোগী শ্রেণি তৈরি করেছে, যা প্রকারান্ত একটি কর্তৃত্ববাদী প্রশাসনে পরিণত হয়েছে। এই বাস্তবতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক করতে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিকল্প আর কোন পদ্ধতি হতে পারে না। তাই দেশ ও জাতির স্বার্থে জনগণ এবং দেশ প্রেমিক সকল রাজনৈতিক দল সমূহকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে।


ইবি   সংসদ নির্বাচন   সেমিনার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

'আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো না'

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আজ ভোর রাতে চিরবিদায় নিয়েছেন হায়দার আকবর খান রনো। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের শেষ আলোকবর্তিকা। বাংলাদেশের সৎ রাজনীতির শেষ উত্তরাধিকার। বাংলাদেশে প্রগতিশীল এবং বাম রাজনীতির শেষ অনুকরণীয় উদাহরণ। হায়দার আকবর খান রনোর বিদায় বাম রাজনীতিতে এক নতুন করে শূন্যতা তৈরি করল। এই শূন্যতা কখনও পূরণ হবে না। নিজে একসময় চৈনিক বামে আসক্ত হলেও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তিনি চীনপন্থী নীতির সাথে একমত পোষণ করেন৷ চীনপন্থী বামরা যখন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, আমাদের অস্তিত্বের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল সেইসময় হায়দার আকবর খান রনো দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। বাম রাজনীতিতে তার বিভ্রান্তি থাকতে পারে কিন্তু ন্যায় নীতি এবং আদর্শের প্রশ্নে তিনি ছিলেন অটল।

বাংলাদেশের বাম রাজনীতিতে হায়দার আকবর খান রনো এবং রাশেদ খান মেনন যেন যুগলবন্দি নাম ছিল। দুইজনই বাংলাদেশের বাম রাজনীতির ধারাকে বিকশিত করেছিলেন। এই দুইজনের কারণেই তরুণ এবং ছাত্র সমাজের মধ্যে বাম রাজনীতির একটা বিকাশ হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুই বন্ধু এক থাকতে পারেননি। এক বৃন্তের দুটি ফুল ভেঙে যায়। হায়দার আকবর খান রনো তার আদর্শের প্রশ্নে শেষ জীবন পর্যন্ত অটল থেকেছেন। অন্যদিকে, রাশেদ খান মেনন ক্ষমতার হালুয়া-রুটি খাওয়ার লোভে বাম আদর্শ ত্যাগ করে আওয়ামী লীগের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন। মন্ত্রী হয়েছেন, এমপি হয়েছেন এবং নিজের আদর্শকে সেলফি তুলে রেখেছেন। দুই বাম নেতার এই দূরত্ব বাংলাদেশের বাম রাজনীতিতে অনেকখানি ক্ষতি করেছে।

হায়দার আকবর খান রনো ছিলেন আদর্শবাদী স্বাধীনচেতা। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং মুক্তবুদ্ধি চর্চায় অবিচল আস্থাবান এক মানুষ। তিনি শেষ জীবনে তার নিজের হাতে গড়া দল ওয়ার্কার্স পার্টি তে থাকেননি। তিনি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। এর প্রধান লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের বাম রাজনীতিকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং একটি সুবিন্যস্ত ধারায় বাম রাজনীতিকে নতুন করে সংগঠিত করা। কিন্তু তার সেই যুদ্ধ শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। তবে রাজনীতিতে তার অবস্থান খুব জোরালোভাবে স্পষ্ট করতেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে থাকার কারণে সবসময় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে সচল ছিলেন।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় এবং একে একে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দেয়া শুরু করে তখন হায়দার আকবর খান সরকারের এই নীতির প্রশংসা করেছিলেন৷ সেই সময় এক টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য আওয়ামী লীগের কোনো অবদান নেই বলে তিনি উল্লেখ করে বলেছিলেন যে, এটি শেখ হাসিনার একক অবদান। শেখ হাসিনার সাহস এবং প্রজ্ঞার কারণেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব হয়েছে বলে হায়দার আকবর খান রনো মন্তব্য করেছিলেন।

ওই টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, 'শেখ হাসিনা যদি প্রধানমন্ত্রী না থাকতেন, আওয়ামী লীগও যদি ক্ষমতায় থাকতো তাহলে এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কখনোই সম্ভব হতো না।' এভাবেই নিজের মনের ভাবনা স্পষ্ট এবং অবিচল ভাবে বলার এক সাহস ছিল তার। জীবনে তিনি একজন নির্ভীক রাজনীতিবিদ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন না, একজন সৎ মানুষ হিসেবে নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশের বাম রাজনীতিতে মুণি সিং, মোহাম্মদ ফরহাদের পর হায়দার আকবর খান ছিলেন এক উজ্জ্বল তারকা। তার চলে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশের বাম রাজনীতিতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হল সেই শূন্যতা কেউ কোনদিন পূরন করতে পারবে না।


আওয়ামী লীগ   শেখ হাসিনা   প্রধানমন্ত্রী   যুদ্ধাপরাধী   হায়দার আকবর খান রনো  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সন্ধান মিলল ছয় মাস ধরে নিখোঁজ যুবকের, পেটে কাটা দাগ

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থেকে প্রায় ছয় মাস আগে নিখোঁজ হন মানসিক ভারসাম্যহীন মো. সেলিম (৪০)। রাজধানীর মিরপুরে মিল্টন সমাদ্দারের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে তাকে উদ্ধার করেছেন পরিবারের সদস্যরা।

নিখোঁজ হওয়া সেলিম ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বৃ-পাঁচাশি গ্রামের মো. হাসিম উদ্দিনের ছেলে। 

স্বজনেরা জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখে তারা সেলিমকে চিনতে পারেন। পরে ঈশ্বরগঞ্জ থেকে স্বজনেরা ঢাকায় গিয়ে মিল্টন সমাদ্দারের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বৃহস্পতিবার তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

সেলিমের ছোট ভাই মাহিন মিয়া বলেন, ভাইকে নিয়ে আসার সময় ফাউন্ডেশনে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হয়েছে। বাড়িতে আনার পর ভাইয়ের পেটের ডান পাশে অস্ত্রোপচারের বড় দাগ দেখে তারা সন্দেহ করছেন, ভাইয়ের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি হতে পারে। 

তিনি বলেন, ‘আমরা হতদরিদ্র পরিবার। অর্থের অভাবে এখন ভাইয়ের অঙ্গহানি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করতে চিকিৎসকের কাছে যেতে পারছেন না।

সেলিমের ছোট বোন ফারজানা আক্তার জানান, চার ভাইয়ের মধ্যে সেলিম সবার বড়। তার সংসারে দুটি মেয়ে আছে। তিনি এলাকায় কাজকর্ম করে পরিবারের ভরণপোষণ করতেন। বছরখানেক আগে ভাইয়ের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। মানসিক সমস্যার কারণে তাকে (সেলিম) মাঝেমধ্যে বাড়িতে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো। তিনি শিকল খুলে বিভিন্ন জায়গায় চলে যেতেন। আবার কয়েক দিন পর ফিরে আসতেন। কিন্তু এবার তাকে খোঁজ করেও পাওয়া যাচ্ছিল না।

সেলিমের স্ত্রী ফাতেমা বলেন, ছয় মাস আগে এক সন্ধ্যায় তার স্বামী বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি। দীর্ঘদিন পর মিল্টন সমাদ্দারের গ্রেপ্তারের খবর টেলিভিশনে দেখেন। এর মধ্যে তার দেবর ও অন্য স্বজনেরা একদিন ইউটিউব ভিডিওতে মিল্টনের চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারের শয্যায় সেলিমকে শুয়ে থাকতে দেখে চিনে ফেলেন। পরে সেখান থেকে সেলিমকে উদ্ধার করে গ্রামে আনা হয়েছে। সেলিম আগে নিজে চলাফেরা করতে পারলেও এখন তার অন্যের সাহায্য লাগছে।

সেলিমের স্ত্রী ফাতেমা বলেন, তার স্বামীর মানসিক সমস্যা থাকলেও কোনো শারীরিক সমস্যা ছিল না। পেটে এত বড় অপারেশনের দাগ কিসের, জানতে চান তিনি। মিল্টন সমাদ্দারের কেয়ারে স্বামীর কোনো অঙ্গহানি হলে দায়ী ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন তিনি।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রম থেকে সেলিম নামের এক ব্যক্তিকে উদ্ধারের ঘটনাটি জানার পর থানা থেকে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে তাঁর বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। তবে সেলিমের পরিবার থানায় কোনো অভিযোগ করেননি।


ময়মনসিংহ   ঈশ্বরগঞ্জ   নিখোঁজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হবে পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে’

প্রকাশ: ০৮:৫৪ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক দেশে কোন দল ক্ষমতায় আছে তার ওপর নির্ভর করে করা উচিত নয়। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক হতে হবে পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে স্থায়ী বন্ধন।

শনিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যাস কমিউনিকেশন (আইআইএমসি) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা এবং ইহসানুল করিম অ্যাওয়ার্ড ফর মিডিয়া এক্সিলেন্স অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাবের হোসেন বলেন, পারস্পরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং আঞ্চলিক সমৃদ্ধির উন্নয়নে গঠনমূলক সংলাপ ও সহযোগিতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব স্থায়ী হবে।

তিনি বলেন, উন্নয়ন সাংবাদিকরা পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। টেকসই উন্নয়নের চর্চা এবং জনমত গঠনের জন্যও তারা গুরুদায়িত্ব পালন করেন।

এসময় মন্ত্রী দেশের পরিবেশের মানোন্নয়নের জন্য সংবাদ পরিবেশন করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের সম্পাদক ফরিদ হোসেন, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খান এবং কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ ভারত থেকে আসা অনিমেষ বিশ্বাস প্রমুখ।

এছাড়া বাংলাদেশের বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, কলামিস্ট, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক আফসান চৌধুরীকে এ বছর ইহসানুল করিম অ্যাওয়ার্ড ফর মিডিয়া এক্সিলেন্স পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার হিসেবে নগদ ১ লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় ফরিদ হোসেনকে সভাপতি ও আঙ্গুর নাহার মন্টিকে সাধারণ সম্পাদক করে আইআইএমসি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের ২০২৪-২৬ মেয়াদের জন্য ১৩ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়।


মন্ত্রী   সাবের হোসেন চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

প্রকাশ: ০৮:৪৪ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও লেখক হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (১১ মে) এক বার্তায় হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। 

শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ২টায় আকবর খান রনো রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

মৃত্যুকালে তিনি একমাত্র কন্যা রানা সুলতানা, জামাতা মনির জামান রাজু, দুই নাতি, অগণিত রাজনৈতিক সহকর্মী, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব রেখে গেছেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের সদস্যরা দেশের বাইরে থাকায় মরদেহ সোমবার পর্যন্ত শমরিতা হাসপাতালের মর্গে রাখা হবে। স্বজনরা দেশে ফিরলে শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নেওয়া হবে এই প্রবীণ রাজনীতিবিদের মরদেহ। এরপর বাবা-মায়ের কবরের পাশে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে হায়দার আকবর খান রনোকে।

হায়দার আকবর খান রনো ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস নড়াইলের বরাশুলা গ্রামে। 

উল্লেখ্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও নেতা হায়দার আকবর খান রনো একাধিক বইয়ের লেখক। মার্ক্সবাদী এই তাত্ত্বিক পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। 


হায়দার আকবর খান রনো   প্রধানমন্ত্রীর শোক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিঙ্গাপুর থেকে বউ নিয়ে হেলিকপ্টারে বাড়ি ফিরলেন রেজাউল

প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিদেশি বউ নিয়ে হেলিকপ্টারে বাড়ি ফিরেছেন এক সিঙ্গাপুর প্রবাসী। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার কর্ণসূতি দক্ষিণ পাড়া ঈদগাহ মাঠে হেলিকপ্টার থেকে নামেন তারা। এই দম্পতিকে এক নজর দেখতে এ সময় ঈদগাহ মাঠে শত শত নারী-পুরুষ ভিড় করেন। 

সিঙ্গাপুর প্রবাসী রেজাউল ইসলাম কামারখন্দ উপজেলার কর্ণসূতি গ্রামের মৃত মকুল প্রামাণিকের ছেলে। আর তার স্ত্রী জানু ইন্দোনেশিয়ান বংশোদ্ভূত সিঙ্গাপুরের নাগরিক। পেশায় তিনি ব্যাংকার। 

পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে ১৭ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে কনস্ট্রাকশনের কাজের জন্য সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান রেজাউল করিম। দীর্ঘদিন সেখানে কাজ করতে করতে একটা সময় নিজেই একটা কোম্পানি খুলে কিছু লোকজন কাজে লাগান বিভিন্ন জায়গায়। এরপর পরিচয় হয় ইন্দোনেশিয়ান বংশোদ্ভূত সিঙ্গাপুরের নাগরিক ও ব্যাংকার জানুর সঙ্গে।

প্রথমে ভালোবাসার সম্পর্ক হলেও গত এক বছর আগে দুই পরিবারের সম্মতিতে সিঙ্গাপুরেই বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন রেজাউল। বিয়ের পর থেকে স্মার্টফোনে বাংলাদেশে শাশুড়ি ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা ও দেখা হলেও সরাসরি শাশুড়িকে দেখার এবং শশুর বাড়িতে যাওয়ার ইচ্ছে জ্ঞাপন করেন সিঙ্গাপুরের স্ত্রী।

অবশেষে সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে স্ত্রীকে আনেন রেজাউল। গ্রামের সবাইকে অবাক করে দিয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে বউ নিয়ে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের কর্ণসূতি গ্রামে যান তিনি।

শনিবার (১১ মে) পৌনে ১২টায় উপজেলার নিজ গ্রামের দক্ষিণপাড়া ঈদগাঁও ময়দানে হেলিকপ্টার অবতরণের পর স্ত্রীকে নিয়ে নামার পর প্রাইভেট কারে বাড়িতে যান তিনি। এ সময় নবদম্পতি এবং হেলিকপ্টার দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ চারপাশে ভিড় জমান। উপস্থিত জনতা নবদম্পতি এবং হেলিকপ্টার দেখে উৎসবে মেতে ওঠেন এবং হাত তালি দিতে থাকেন।

সিঙ্গাপুরের বউ এবং হেলিকপ্টার দেখতে আসা ষাটোর্ধ্ব বয়স্ক আবুল কালাম বলেন, আমাদের গ্রামের ছেলে হেলিকপ্টারে করে এবং বিদেশি বউ নিয়ে গ্রামে আসছে, খুব ভালো লাগছে। এর আগে কখনো এত কাছ থেকে হেলিকপ্টার দেখি নাই। তাই দেখতে এসেছি।

এ ব্যাপারে সিঙ্গাপুর প্রবাসী রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সিঙ্গাপুরে ছিলাম। গত এক বছর হলো সিঙ্গাপুরের নিয়মরীতি অনুযায়ী আমরা বিয়ে করেছি। আজকে জন্মভূমির নিজ গ্রামে ফিরে খুব ভালো লাগছে।

নিজ গ্রামের ছেলে বউ নিয়ে হেলিকপ্টার করে আসার বিষয়ে জামতৈল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান ফেরদৌস বলেন, আমার ভাতিজা সিঙ্গাপুর থেকে গ্রামের বাড়িতে বউ নিয়ে হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে আসার কথা শুনে অত্র এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে সহস্রাধিক মানুষ দেখার জন্য এসেছে। বিষয়টি নিয়ে কর্ণসূতি গ্রামের সব মানুষের মনে আনন্দের সঞ্চার হয়েছে। গ্রামে নতুন বউ ঘরে আসা উপলক্ষে আগামীকাল অনুষ্ঠান আছে। এক সপ্তাহ গ্রামে থাকার পর আবারো সিঙ্গাপুরে চলে যাবেন রেজাউল এবং তার স্ত্রী। আপনারা সবাই ওদের জন্য দোয়া করবেন।

এ ব্যাপারে কামারখন্দ থানা ওসি মোহা. রেজাউল ইসলাম বলেন, হেলিকপ্টারে করে সিঙ্গাপুর প্রবাসী ওনার স্ত্রীকে নিয়ে কর্ণসূতি গ্রামে আসবেন বিষয়টি আমাকে অবগত করা হয়েছে। তারা বলেছেন- নিজেদের স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে নিরাপত্তা দেবেন।


সিঙ্গাপুর   হেলিকপ্টার   ইন্দোনেশিয়া  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন