নওগাঁ সদর উপজেলায় কর্মরত উপসহকারী কৃষি অফিসার
মোঃ মেসবাউল আরেফীন জেলা পর্যায়ে শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে
দাপ্তরিক কাজে পেশাগত দক্ষতাসহ শুদ্ধাচার চর্চাবিষয়ক বিভিন্ন সূচকে সন্তোষজনক
লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ গতকাল দুপুরে নওগাঁ জেলা কার্যালয়ের পক্ষ
থেকে এ পুরস্কার প্রাপ্ত হন তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁ কার্যালয়ের আওতাধীন
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একজন, উপসহকারী কৃষি অফিসার একজন, অফিস স্টাফ তিন জনকে
শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য নির্বাচন করা হয়। ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান নীতিমালা,
২০২১’ অনুযায়ী বিভিন্ন সূচক বিবেচনায় প্রথম স্থান অধিকার করায় তারা শুদ্ধাচার
পুরস্কার-২০২৩ লাভ করেন।
কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর, নওগাঁ খামারবাড়ির
উপ-পরিচালকের অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলা কার্যালয়ের আওতাধীন উপজেলা কার্যালয়ের
মধ্য থেকে সাপাহার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাপলা খাতুন, নওগাঁ সদর উপজেলায় কর্মরত
উপসহকারী কৃষি অফিসার মেসবাউল আরেফীন ও জেলা কার্যালয়ের গুদাম রক্ষক আসমত আলী,
নিরাপত্তা প্রহরী বিষ্ণুপদ দেবনাথ ও উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয়, মান্দায়
কর্মরত নিরাপত্তা প্রহরী সাইফুল ইসলামকে শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য নির্বাচন করা
হয়। কর্মক্ষেত্রে নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য শুদ্ধাচার পুরস্কার
দেয়া হয়। এতে কর্মকর্তাদের মধ্যে কাজের গতি বাড়ে, দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হন।
এছাড়াও কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর আঞ্চলিক পর্যায়ে
জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২৩ প্রাপ্ত অত্র দপ্তরে কর্মরত জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার
কৃষিবিদ এ কে এম মঞ্জুরে মাওলাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহী অঞ্চল এর অতিরিক্ত
পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ শামসুল ওয়াদুদ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন নওগাঁ কৃষি
স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ।
নওগাঁ শুদ্ধাচার প্রতিযোগিতা কৃষি অফিসার
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ। সম্প্রতি এক শুভেচ্ছা বার্তায় এ অভিনন্দন জানান তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী বছরগুলোতে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ।
বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাজ করতে চান উল্লেখ করেন এন্থনি এলবানিজ।
প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, ভারত মহাসাগরের দেশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উভয় দেশের একই ধরনের স্বার্থ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অস্ট্রেলিয়া এন্থনি এলবানিজ বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু’র সফর আর নির্বাচনের পরে তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর, দুটোর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। ডোনাল্ড লু নিজেই স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশ সফর শেষে যাওয়ার পথে তিনি তার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার বলেছেন, অতীতের মতপার্থক্যকে সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে আগের অবস্থানে নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
কীভাবে সম্ভব হল, কীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউটার্ন নিল? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার পার্সোনাল ডিপ্লোমেসির কারণে। এটি ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর আরেকটি অংশ। ২০১৮ সালের পর থেকেই বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি নেতিবাচক অবস্থান গ্রহণ করতে শুরু করে। বিশেষ করে জো বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নীতি বদলাতে থাকে। এসময় একের পর এক চাপ প্রয়োগ করা হতে থাকে বাংলাদেশের উপর।
বিশেষ করে ২০২২ সালের ১৫ মার্চ পিটার ডি হাস বাংলাদেশে আসার পর সরকারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় মুখোমুখি একটি অবস্থানে চলে যায়। দুই দেশের মধ্যে নানা রকম ভুল বোঝাবোঝি সৃষ্টি হয়েছিল। এর একটি বড় কারণ ছিল যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছিল। আর এই সমস্ত ভুল তথ্যের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র একটি ভিন্নরকম অবস্থান গ্রহণ করেছিল বাংলাদেশের ব্যাপারে।
কিন্তু ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আস্তে আস্তে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য মনে করেন যে, নির্বাচনের আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিবর্তন ঘটে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একাধিক ভূমিকা কাজ করেছে বলেই অনেকে মনে করে যেটি ডোনাল্ড লু’র সফরে স্পষ্ট প্রতিভাত হয়েছে।
প্রথমত ভারতের প্রভাব। ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের ব্যাপারে নেতিবাচক অবস্থান থেকে সরে আসার জন্য চেষ্টা করেছে এবং সফল হয়েছে। ভারতের এই অবস্থানের প্রধান কারণ ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত বিশ্বাস করে তার উপর আস্থা রাখে এবং শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প বাংলাদেশে নেই, এই উপলব্ধি থেকেই নরেন্দ্র মোদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেছেন বলে কূটনৈতিক মহল মনে করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত কারণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে চাইনি।
দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে ব্যক্তিগত উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পর তিনি সেখানে নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়াও ভারত সফরের সময় তিনি অ্যান্থনি ব্লিনকেন এবং জো বাইডেনের সঙ্গেও কথা বলেন। সবকিছু মিলিয়ে তার উদ্যোগ সফল হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সালমান এফ রহমানকেও দায়িত্ব দিয়েছিলেন এবং সালমান এফ রহমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন।
তৃতীয়ত, বিরোধী দলের ভুল রাজনীতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করেছিল যে, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং এই কারণেই নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু শর্তহীন সংলাপের উপর জোর দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যখন বিএনপি নির্বাচনে যায়নি, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেনি। আর সবকিছু মিলিয়ে এখন নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আছে, মার্কিন স্বার্থ আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে চায়, চীনের আগ্রাসন কমাতে চায়। সবকিছু মিলিয়ে তাদের সামনে বর্তমান সরকারই একমাত্র বিকল্প। আর তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে, রীতিমতো ইউটার্ন নিয়েছে।
বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জো বাইডেন ডোনাল্ড লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
ছাগলনাইয়া উপজেলা মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল
মন্তব্য করুন
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দদিঘলিয়া গ্রামে বিজয়ী প্রার্থী কামরুজ্জামান ভূইয়ার সমর্থকদের ছোড়া গুলিতে ওসিকুর ভূইয়া নামে এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর
থেকে গোপালগঞ্জ জেলা সদর সহ
উপজেলার সর্বত্র উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দোষীদের
ফাঁসির দাবীতে মাঠে নামে হাজার
হাজার লোক।
আজ
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১
টা থেকে বেলা ১টা
পর্যন্ত ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া
বাজার এলাকায় গাছের গুড়ি ফেলে, টায়ারে
আগুন ধরিয়ে রাস্তার উপর বসে আন্দোলন
করতে থাকে। এতে রাস্তায় যানবাহন
চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।ড়ক
অবরোধ চলাকালে রাস্তার উভয় পাশে ৫শতাধিক
বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন
আটকা পড়ে।
পরে
পুলিশের অনুরোধে বেলা ১টায় যানবাহন
চলাচল শুরু হয়।এলাকায় শান্তি
শৃংখলা বজায় রাখতে পুলিশ,
র্যাব ও বিজিবি নামানো
হয়েছে।
আগামী
রোববার (১৯ মে) ডিসি অফিস ঘেরাও
কর্মসূচী গ্রহন ও চলমান আন্দোলন
অব্যাহতের ঘোষনার মধ্য দিয়ে আজ
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচী প্রত্যাহার করেছেন আন্দোলনকারীরা।
গতকাল
মঙ্গলবারও (১৪ মে) তারা নিহতের লাশ
নিয়ে জেলা সদরের চেচানিয়াকান্দি
এলাকায় ঘন্টাব্যাপী ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক
অবরোধ করে রাখে।
মন্তব্য করুন
কোরবানি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু’র সফর আর নির্বাচনের পরে তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর, দুটোর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। ডোনাল্ড লু নিজেই স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশ সফর শেষে যাওয়ার পথে তিনি তার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার বলেছেন, অতীতের মতপার্থক্যকে সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে আগের অবস্থানে নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ২০১৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের উপজেলা চেয়ারম্যান পদ অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে যত বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি গ্রহণ করেছেন তা ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই সময়ের মধ্যে ফেরত না দিলে ফেনীর জেলা প্রশাসককে তার থেকে আদায় করতে বলা হয়েছে।