বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারী বিমানসংস্থা ইউএস-বাংলার বিমান বহরে যুক্ত হয়েছে ৯ম এটিআর ৭২-৬০০। রোববার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় এয়ারক্রাফটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে। এয়ারক্রাফটটি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন ইউএস-বাংলার চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ক্যাপ্টেন লুৎফর রহমান।
নতুন যুক্ত হওয়া এটিআর ৭২-৬০০সহ মোট ২০টি এয়ারক্রাফট রয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের। এর মধ্যে ৮টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ৯টি এটিআর ৭২-৬০০ ও তিনটি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট । ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই দু’টি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট নিয়ে যাত্রা শুরু করে ২০টি এয়ারক্রাফট দিয়ে বহরকে সমৃদ্ধ করেছে ইউএস-বাংলা। চলতি বছর ইউএস-বাংলার বহরে ছয়টি ওয়াইড বডি এয়ারক্রাফট যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
নতুন এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফটটি ফ্রান্সের ব্লাগনাক এয়ারপোর্ট থেকে মিশরের কায়রো হয়ে ওমানের মাস্কাট থেকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে সন্ধ্যা ৭টায় অবতরণ করে। এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফটে মোট ৭২টি আসন রয়েছে। যা দিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ রুট ও কলকাতায় ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সকল রুটসহ আন্তর্জাতিক রুট কলকাতা, চেন্নাই, মালে, মাস্কাট, দোহা, দুবাই, শারজাহ, ব্যাংকক, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর ও গুয়াংজু রুটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে।
নতুন যুক্ত হওয়া এয়ারক্রাফটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন। এয়ারক্রাফটটি গ্রহণ করার সময় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সহ দেশের এভিয়েশনের মঙ্গলকামনা করে প্রার্থনা করা হয়।
ইউএস-বাংলা বিমান বহর এয়ারক্রাফট
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জেলা প্রশাসক সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে একটি চালকলে ধান সিদ্ধ করার সময় বয়লার বিস্ফোরণে এক শ্রমিকে মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুই শ্রমিক। শুক্রবার (৩ মে) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জামতৈল পশ্চিম পাড়ার মেসার্স আজাহার চালকলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজল আলী (২৬) উপজেলার জামতৈল পশ্চিম পাড়ার রবিয়াল হোসেনের ছেলে।
আহত শ্রমিকরা হলেন, উপজেলার জামতৈল পশ্চিম পাড়ার মৃত পলান শেখের ছেলে জহুরুল শেখ (২৬) এবং কর্ণসূতি পশ্চিম পাড়ার মৃত সুরুত মন্ডলের ছেলে জিন্নাহ মন্ডল (৩০) ।
আহত শ্রমিক জহুরুল শেখ জানান, ‘ধান সিদ্ধ করার এক পর্যায়ে ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে বিকট শব্দে বয়লার বিস্ফোরণ হয়। এতে আমি সহ ফজল ও জিন্নাহ আহত হই। আমি আর জিন্নাহ হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা না পেয়ে বাড়িতে চলে এসেছি আর ফজলের অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।’
জহুরুল আরও জানান, ‘আমি গত এক বছরের বেশি সময় ধরে এই চালকলে কাজ করছি। এর মধ্যে বয়লারের পাইপ পরিবর্তন করা হলেও বয়লার পরিবর্তন করা হয়নি।'
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহত ফজলের ভাই আসলাম হোসেন জানান, ‘মেসার্স আজাহার চালকলে ধান সিদ্ধ করার এক পর্যায়ে বয়লার বিস্ফোরণে ফজল গুরুতর আহত হয়। প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।'
মেসার্স আজাহার চালকলের স্বত্বাধিকারী আজাহার আলী রাজা দাবি করেন, ‘গত ছয় মাস আগে বয়লার ও কয়েক দিন আগে বয়লারের পাইপ পরিবর্তন করা হয়েছে। বয়লার কেন বিস্ফোরণ হলো বুঝতে পারছি না।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুমনুল হক জানান, ‘বয়লার বিস্ফোরণে আহত তিন জন শ্রমিককে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। দুই জনকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়ে। এদের মধ্যে ফজল নামে একজন শ্রমিকের মুখের অনেকাংশ থেঁতলে গেছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা জানান, ‘মেসার্স আজাহার চালকলে বয়লার বিস্ফোরণের খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।'
মন্তব্য করুন