ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীতে সমাবেশ: পথে পথে তল্লাশি, অভিযান, গ্রেপ্তার ৪৪৭

প্রকাশ: ০৯:৪১ এএম, ২৮ জুলাই, ২০২৩


Thumbnail রাজধানীতে সমাবেশ: পথে পথে তল্লাশি, অভিযান, গ্রেপ্তার ৪৪৭।

ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে বসানো হয়েছে তল্লাশিচৌকি। ঢাকামুখী সব বাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার আটকে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। পাশাপাশি ঢাকায় বিএনপির নেতাদের বাসাবাড়ি এবং হোটেলে হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির আজকের মহাসমাবেশ সামনে রেখে গত মঙ্গলবার রাত থেকে পুলিশের এসব তৎপরতা চলছে।

পুলিশের এই অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে অন্তত ৪৪৭ জনকে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীতে গ্রেপ্তার করা হয় বিএনপির ৭৫ নেতা-কর্মীকে।

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপির এই মহাসমাবেশ সামনে রেখে গ্রেপ্তার অভিযান চলছে দেশের অন্যান্য জায়গাতেও। বিভিন্ন জেলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশের তল্লাশির খবর পাওয়া গেছে। ঢাকার আশপাশের তিন জেলা থেকে বুধবার রাতে ১১ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন। তার আগের রাতে এই তিন জেলায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা ছিল ১০। 

বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, মহাসমাবেশে জনসমাগম ঠেকাতে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে আতঙ্ক তৈরি করছে পুলিশ। বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে একটি চিঠি দিয়ে হয়রানিমূলক গ্রেপ্তার বন্ধের অনুরোধ জানান। তবে গতকাল বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, আশুরা উপলক্ষে এটা পুলিশের নিয়মিত অভিযান। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

হোটেলে হোটেলে অভিযান

রাজধানীর বিভিন্ন হোটেলে মঙ্গলবার রাত থেকে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। বুধবার রাতে নয়াপল্টনের দুটি হোটেলে প্রায় দুই ঘণ্টা অভিযান চালান গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মতিঝিল বিভাগের সদস্যরা। সেখানকার একটি হোটেল থেকে বিএনপির ৫০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মধ্যে ফেনী জেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের ১৯ জন নেতাকর্মী রয়েছেন। এ ছাড়া ডিবি লালবাগ বিভাগ বুধবার মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সহসভাপতি মীর আশরাফ আলীকে (আজম) গ্রেপ্তার করে। তিনি এখন পুলিশ হেফাজতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আশরাফ আলীর স্ত্রী অভিযোগ করেন, গ্রেপ্তারের সময় পুলিশ পিটিয়ে তাঁর স্বামীর পা ও কোমর ভেঙে দিয়েছে। তাঁর ছেলে আইনজীবী পরিচয় দেওয়ার পর তাঁকেও ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় তাঁর পুত্রবধূর সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করা হয়।

পরে অবশ্য আশরাফ আলীর ছেলে মীর মুহতাসিম আলীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ডিবির লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, গ্রেপ্তারের সময় বাসা থেকে পালাতে গিয়ে আহত হয়েছেন আশরাফ আলী।

আদালতে গ্রেপ্তারকৃত স্বজনদের ভিড়

গ্রেপ্তার বিএনপির নেতা-কর্মীদের আত্মীয়স্বজনেরা গতকাল সকাল থেকেই ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সামনে ভিড় করতে শুরু করেন। দুপুর ১২টার পর থেকে প্রিজন ভ্যানে করে গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির নেতা-কর্মীদের আদালতের হাজতখানায় আনতে শুরু করে পুলিশ। আদালতের ফটকে প্রিয়জন ভ্যান প্রবেশের পর বিএনপির নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় সেখানে অপেক্ষারত ব্যক্তিরা প্রিজন ভ্যানের ভেতরে স্বজনদের দেখে চিৎকার করে ডাকতে থাকেন। শুনানি শেষে বিকেল চারটার পর প্রিজন ভ্যানে করে যখন বিএনপির নেতা-কর্মীদের কারাগারে নেওয়া হচ্ছিল, তখন স্বজনেরা প্রধান ফটকের সামনে ছোটাছুটি করছিলেন। এ সময় প্রিজন ভ্যানে থাকা নেতা-কর্মীরা সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের একজন শফিকুল ইসলাম ওরফে শাহীন পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী। রাজধানীর জুরাইনে তাঁর ফার্মেসি রয়েছে। আদালত প্রাঙ্গণে শফিকুলের স্ত্রী মাহফুজা আক্তার বলেন, বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে শফিকুল দোকানে ছিলেন। পরে তাঁকে কদমতলী থানায় যেতে বলা হয়। তিনি রাতে থানায় গেলে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মাহফুজা বলেন, ‘আমার স্বামী এখন কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। অনেক আগে তিনি বিএনপির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। হঠাৎ করেই আমার স্বামীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।’ শফিকুলকে কদমতলী থানার পুরোনো একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল আদালতে হাজির করা হয়। তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

গতকাল আদালত প্রাঙ্গণে গ্রেপ্তার বিএনপির অন্তত ২০ নেতা-কর্মীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো। তাঁরা সবাই বলেছেন, পুলিশ হঠাৎ করেই বাসা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে স্বজনদের গ্রেপ্তার করেছে। এতে এলাকায় গ্রেপ্তার–আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

ঢাকায় ঢুকতে পথে পথে তল্লাশি

গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার ও কেরানীগঞ্জ থেকে প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা জানান, বিএনপির মহাসমাবেশ সামনে রেখে গতকাল সকাল থেকেই ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে তল্লাশিচৌকি বসায় পুলিশ।

সাভারের আমিনবাজার এলাকায় গাড়ি আটকে পুলিশকে তল্লাশি করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে মাইক্রোবাস ও কার থামিয়ে ঢাকায় কোথায় যাচ্ছেন, কী প্রয়োজনে-এসব জিজ্ঞাসা করা হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় তল্লাশিচৌকি বসিয়ে একইভাবে যানবাহনের যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গতকাল বিকেলে কুমিল্লা থেকে আসা তিশা পরিবহনের যাত্রী কাউসার আলম বলেন, ঢাকায় আসার পথে তিন জায়গায় তাঁদের গাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। পুলিশের এমন তল্লাশিতে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়।‌

রাজধানীর আরেক প্রবেশপথ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কদমতলী এলাকায় বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে তল্লাশিচৌকি বসায় পুলিশ। ঢাকা জেলার সহকারী পুলিশ সুপার মো. সাহাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির মহাসমাবেশ থাকায় সেখানে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অঘটন না ঘটে, সে জন্য রাজধানীর প্রবেশমুখ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কদমতলী ও হাসনাবাদ এলাকার যাত্রীবাহী যানবাহনে তল্লাশি করা হচ্ছে। এ সময় সন্দেহভাজন পাঁচজনকে আটক করা হয়।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান গতকাল সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার রাত থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশ ও ঢাকার বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড থেকে তাঁদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, একটা গণতান্ত্রিক দেশে সভা-সমাবেশ করার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। অনুরোধ থাকবে, প্রশাসন যাতে এতে হস্তক্ষেপ না করে।


রাজধানী   সমাবেশ   তল্লাশি   অভিযান   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রীর লড়াই

প্রকাশ: ১০:১১ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ২৯ মে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা যেন কোন প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে না যায় বা না সমর্থন করে এমন নির্দেশনা থাকলেও চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রীর লড়াই চলছে।

জানা গেছে, আনোয়ারায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন প্রার্থী। তবে এর মধ্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান কাজী মোজাম্মেল হককে (আনারস) ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এম এ মান্নান চৌধুরীকে (মোটরসাইকেল) সমর্থন দিচ্ছেন। ভোট ছাপিয়ে উপজেলা নির্বাচন পরিণত হয়েছে সাবেক ও বর্তমান দুই মন্ত্রীর লড়াইয়ের মঞ্চ। তবে দুই নেতার বাইরে আলাদাভাবে প্রচারণা এগিয়ে নিচ্ছেন দুবারের চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী (দোয়াত কলম)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ১ মে সন্ধ্যায় আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভা ডেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বটতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান চৌধুরীকে প্রার্থী ঘোষণা করে। ওই সভায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী তাকে সমর্থন দেন। একই দিন রাতে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের অনুসারী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক প্রার্থী হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে আনোয়ারার চাতরী চৌমুহনীসহ বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ মিছিল করেন ওয়াসিকার অনুসারীরা। 

তবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের অনুসারী কাজী মোজাম্মেল হক উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচনী পরিবেশের মোড় ঘুরে যায়। মোজাম্মেলের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের অনেকে থাকায় জমে উঠেছে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী আমেজ।

উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ঘিরে আনোয়ারায় তিন পক্ষ একে অপরের মুখোমুখি অবস্থানে আছে। সাবেক ভূমিমন্ত্রীর প্রার্থী এম এ মান্নানকে জেতাতে ১০ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এককাট্টা হলেও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা মাঠে নেমেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের প্রার্থী কাজী মোজাম্মেল হককে জেতাতে। ওই দুই প্রার্থীর বাইরে জেলা-উপজেলার বেশ কিছু নেতাকে নিয়ে মাঠে আছেন তৌহিদুল হক চৌধুরী।

উল্লেখ্য, আনোয়ারা উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ৭৪টি ভোটকেন্দ্র আছে। তার মধ্যে স্থায়ী ভোটকক্ষ ৪৮৪টি এবং অস্থায়ী ভোটকক্ষ ৫০টি। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৮ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৯ হাজার ২২১ জন।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এমপিপুত্রের দাপটে অন্যরা কোণঠাসা

প্রকাশ: ০৯:৩৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সেনবাগ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলম দিপুর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসনকে নিজেদের সুবিধামতো ব্যবহার করার ফলে অন্য প্রার্থীরা তাদের শঙ্কার কথা জানিয়েছে।

প্রার্থীদের অভিযোগ, দিপু বাবার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তার সমর্থকরা পদে পদে হয়রানি করছে অন্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের। প্রশাসনকে নিজেদের কাজে লাগানো, অন্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের হুমকি, প্রচারণায় বাধাসহ বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ড করছেন ভোটের মাঠে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তার বাবা মোরশেদ আলম। সম্মেলনের মাধ্যমে লায়ন জাহাঙ্গীর আলম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। কিন্তু গত সংসদ নির্বাচন আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের পক্ষে ভোট করার দায়ে লায়ন জাহাঙ্গীরকে পদ থেকে বহিষ্কার করেন এমপি মোরশেদ। এরপর নিজের পছন্দের বাহার উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করেন তিনি। এ ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন মোরশেদ। কোনো সম্মেলন ছাড়াই তিনি এসব কমিটি দিচ্ছেন। সব মিলেয়ে সেনবাগে রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্বাভাবিক করে তুলেছে এমপি পরিবার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটিগুলোও তাদের দখলে।

জানা গেছে, নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই অন্য প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি এবং দলীয় সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার হুমকি দিচ্ছেন সাইফুল আলম দিপু ও তার অনুসারীরা। নির্বাচনে ১, ৬,৭ ও ৮ নং ইউনিয়নসহ অন্য ইউনিয়নেও অন্য প্রার্থীর এজেন্ট প্রবেশ না করার জন্যও প্রতিনিয়ত চাপ ও হুমকি দিচ্ছেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলীয় নেতা জানান, তার বিপক্ষে গিয়ে অন্য প্রার্থীর ভোট করায় তাদের সরকারি বরাদ্দ টিআর, কাবিখা এবং দলীয় পদপদবি না দেওয়ার চাপ দিচ্ছেন দিপু। এজন্য প্রশাসন দিয়েও নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। মামলারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আগামী মঙ্গলবার (২১ মে) দেশের ১৫৭টি উপজেলায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ২য় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২য় ধাপে সেনবাগসহ নোয়াখালীতে মোট ৩টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সেনবাগ উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়াই করছেন মোট ১৫ জন প্রার্থী৷ তারা সবাই ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে আনারস প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল আলম দিপু ছাড়াও চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন সেনবাগ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু জাফর টিপু, বর্তমান চেয়ারম্যান হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী জাফর আহাম্মদ চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী হাসান মঞ্জুর, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সদস্য মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম জাকির হোসেন জুয়েল ও টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর আলম মানিক।

উপজেলা নির্বাচন   নোয়াখালী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বান্দরবানে সেনা অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত

প্রকাশ: ০৭:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলা সীমান্তে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তিন সদস্য নিহত হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র, কার্তুজ, সামরিক পোশাক ও অন্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রুমা উপজেলায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডেবাছড়ার গভীর অরণ্যে কেএনএফ আস্তানা গেড়েছে- এমন খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ঘণ্টা ব্যাপী গুলি বিনিময়ের পর সেখান থেকে কেএনএফের দু’জন সদস্যের লাশ ও একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তিনিও মারা যান। নিহতদের এখনো কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রুমা উপজেলার রনিন পাড়ার কাছে ডেবাছড়া এলাকায় কেএনএফের একটি আস্তানায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিনজন নিহত হয়েছে। ঘটনার পর মরদেহ উদ্ধারের জন্য পুলিশ সেখানে গিয়েছে।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে বান্দরবানজুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

বান্দরবান   কেএনএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নিয়ে মতবিনিময় সভা

প্রকাশ: ০৭:৩৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস। 

 

মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

 

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।


ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য   মতবিনিময়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৭:২৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।

 
রোববার (১৯ মে) মোটরসাইলে প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

 
অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা ও মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে প্রচার কাজ চালিয়েছেন। যা নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঙ্ঘন।

 

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’

পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   আচরণ বিধি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন