বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে। এই এক দফা আদায়ের লক্ষ্যে ১৯ জুলাই ঢাকায় বিভিন্ন প্রবেশমুখে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে বিএনপি। আজ বিএনপি এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সমাবেশ করছে। আর এই সমাবেশের পাশাপাশি বিএনপি আগামী আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এবং নির্বাচনকে মাথায় রেখে পুলিশ এবং সিভিল প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করছে। বিএনপির সাবেক আমলাদের নেতৃত্বে বিএনপির একটি দল এই তালিকা প্রনয়ণের কাজ চূড়ান্ত করেছে বলে জানা গেছে। তিনটি তালিকা নিয়ে বিএনপি কাজ করছে বলে জানা গেছে।
প্রথম তালিকা, যেখানে পুলিশ এবং প্রশাসনের যারা সরকারের পক্ষের লোক হিসেবে বিবেচিত- তাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে যেভাবেই বিএনপি অংশগ্রহণ করুক না কেন, এই সমস্ত ব্যক্তিদেরকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য বিএনপি পরামর্শ দিবে। আর যদি শেষ পর্যন্ত বিএনপির দাবি আদায় হয়, তাহলে বিএনপির অর্জিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে প্রশাসনের এবং পুলিশের এই সমস্ত ব্যক্তিদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হবে।
বিএনপির পক্ষ থেকে দ্বিতীয় তালিকা তৈরি করা হচ্ছে, যারা বিএনপির পক্ষের ব্যক্তি হিসেবে প্রশাসনে রয়েছে। বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, প্রশাসনে এখনও একাধিক সচিব, অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের শতাধিক ব্যক্তি যুগ্মসচিব এবং উপসচিব পর্যায়ে প্রায় ১ হাজার ব্যক্তির তালিকা তৈরি করা হয়েছে, যারা বিএনপির পক্ষের শক্তি হিসেবে বিবেচিত। তাদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বিএনপিপন্থী আবসরপ্রাপ্ত সাবেক সচিবরা যোগাযোগ করছেন এবং প্রশাসনের ভেতরে নানা রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের কাজে তাদেরকে ব্যবহার করছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছেন, বিএনপির সঙ্গে সক্রিয় পাঁচজন সাবেক আমলা এই কাজের সঙ্গে জড়িত। পুলিশের মধ্যেও যারা অবসরে গেছেন বা বাধ্যতামূলক অবসর গ্রহণ করেছেন। পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে যারা বিএনপিপন্থি আছেন, তাদের তালিকা তৈরি করছেন। বিএনপি মনে করছে, আন্দোলনের যে কোনো একটি পর্যায়ে যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে জনতার মঞ্চের আদলে তারা একটি মঞ্চ করবে এবং সেখানে এই সমস্ত পুলিশ এবং প্রসাশনের ব্যক্তিদেরকে নিয়ে আসা হবে। তারা সরকার বিরোধী আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ততা ঘোষণা করবে।
প্রশাসনের তৃতীয় যে তালিকাটি তৈরি করা হচ্ছে, তা হলো নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের তালিকা। বর্তমান প্রশাসনে যারা আওয়ামী লীগ বিএনপি কোনো পক্ষেই নন, যারা নিরপেক্ষ হিসেবে কাজ করছেন- এদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এই সমস্ত নিরপেক্ষ ব্যক্তিদেরকে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য বা তারা যেন বর্তমান সমরকারকে আর সমর্থন না করেন, এজন্য তাদের সঙ্গেও বিএনপিপন্থি সাবেক আমলা এবং পুলিশ প্রশাসনের সাবেক কর্মকর্তারা যোগাযোগ করছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৮ জুলাইয়ের মহাসমাবেশ থেকে প্রশাসনের প্রতি বিভিন্ন রকমের আহবান জানিয়েছেন। এ সমস্ত আহ্বানের মূল কথা ছিল, সরকারকে যেন তারা সহযোগিতা না করেন, তারা যেন সংবিধান এবং আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন এবং নিরপেক্ষ অবস।তানে থেকে কাজ করেন। আর তার এই বক্তব্য থেকে একটি সুস্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, বিএনপি এখন প্রশানকে ব্যবহার করতে চায়, তাদের আন্দোলনের শক্তি হিসেবে।
প্রশাসন পুলিশ বিএনপি তিন তালিকা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কমলা ভাসিন অ্যাওয়ার্ড খুশী কবির
মন্তব্য করুন
সুশীল ডোনাল্ড লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বদিউল আলম মজুমদার আদিলুর রহমান খান
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও একমত বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার (১৫ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, “গাজায় শান্তি স্থাপন করার বিষয়টি আমরা আলোচনা করেছি। তিনি (ডোনাল্ড লু) বলেছেন, ইউএস অত্যন্ত টায়ারডলেসলি (অক্লান্তভাবে) কাজ করছে যাতে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তিনি আমাকে যেটুকু বলেছেন- ‘তারা আশাবাদী’।”
‘আমরা বলেছি, গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে, নিরীহ নারী ও শিশুকে হত্যা করা হচ্ছে। ৩৫ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, তার মধ্যে ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু’, যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এটি আসলে মেনে নেয়া যায় না। আমি বলেছি, টেলিভিশনে যখন এগুলো দেখি, তখন টেলিভিশন দেখা কন্টিনিউ করতে পারি না। সেখানে শান্তি স্থাপন করা দরকার। তিনিও একমত যে, সেখানে শান্তি স্থাপন করা দরকার। তিনি জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য টায়ারলেসলি কাজ করছেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক খুবই চমৎকার। আমাদের বহুমাত্রিক সহযোগিতার ক্ষেত্র রয়েছে। একইসাথে গত ৫৩ বছরের আমাদের অভিযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যে কারণে ডোনাল্ড লুকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তিনি সম্পর্ককে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছেন। সেই অভিপ্রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছেন।’
‘আমাদের আলোচনা সেই লক্ষ্যেই হয়েছে। একক দেশ হিসেবে আমাদের রফতানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশও যুক্তরাষ্ট্র। আমি ডোনাল্ড লু’কে অনুরোধ জানিয়েছি, বাংলাদেশে ৪০টি আইটি ভিলেজ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেখানে যাতে যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ বাড়ায়। যদিও কিছু বিনিয়োগ তারা এরইমধ্যে করেছে।’
হাসান মাহমুদ ডোনাল্ড লু ফিলিস্তিন গাজা
মন্তব্য করুন
রাজধানী ঢাকায় যেন ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার (১৫ মে) বনানীতে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে আয়োজিত সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যাটারিচালিত কোনো গাড়ি (তিন চাকার) যেন ঢাকা সিটিতে না চলে। আমরা ২২টি মহাসড়কে নিষিদ্ধ করেছি। শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, চলতে যেন না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর আগে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঢাকার মধ্যে অটোরিকশা বন্ধে সম্মতি জানান।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ভয়াবহ ব্যাপার যখন রিকশাচালকরা দুই পা ওপরে উঠিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়। অনেক প্রতিবন্ধী আছেন যারা চোখে কিছুটা কম দেখেন তারাও এই রিকশা নিয়ে নেমে পড়েন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সিদ্ধান্তে আসা দরকার যে ঢাকায় ইজি বা অটোরিকশা চলবে না। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
সভায় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানী ওবায়দুল কাদের অটোরিকশা
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের চাকরির বাজারের প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হওয়ার জনপ্রিয়তা সবচাইতে বেশি। চাকরিপ্রত্যাশীদের মতে সরকারি চাকরির মত পেশাগত নিরাপত্তা আর কোথাও নেই। আর সেজন্যই অনেক দেশে বেশি বয়সে সরকারি চাকরির আবেদনের সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশে এর সীমাবদ্ধতা ৩০ বছরে রয়েছে। সরকারি চাকরির কোন কোন ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতার দরকার হয়। সেই দক্ষতা অর্জনের জন্য বাড়তি সময়ের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া চাকরির আবেদনের বয়স যতই থাকুক না কেন, পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ অনির্দিষ্ট হয় না। একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৫ বা ৭ বার সিভিল সার্ভিসের জন্য আবেদন করতে পারেন। আমাদের দেশেও যেকোন যুক্তিতে বয়স বাড়াতে গেলে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত।
জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করতে কমলা ভাসিন অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আজাদ ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইন্ডিয়া এবং আই পার্টনার-ইন্ডিয়া যৌথভাবে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করবে। জেন্ডার সমতা নিয়ে কর্মরত দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাসকারী যে কেউ এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারেন। আগামী ৭ জুনের মধ্যে এই আবেদন করতে হবে।
বাংলাদেশে সুশীল সমাজের কিছু প্রতিনিধি আছেন যাদেরকে মনে করা হয় তারা মার্কিনপন্থী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে তারা গর্ব অনুভব করেন। কথায় কথায় মার্কিন দূতাবাসে যান। সেখানে প্রাতঃরাশ, মধ্যাহ্নভোজ, নৈশভোজে মিলিত হন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যা বলে তারা তার চেয়ে তিন ধাপ গলা উঁচিয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশ নিয়ে তাদের কোন ভালবাসা নেই, প্রেম নেই, আগ্রহ নাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এবং নীতি বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করাই যেন তাদের প্রধান লক্ষ্য। এই সমস্ত সুশীলদেরকে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রোফোন।