নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১০ মার্চ, ২০১৮
এ সপ্তাহের মধ্যে বেগম জিয়া মুক্তি না পেলে কঠোর আন্দোলন শুরু করবে বিএনপি। আন্দোলনের এক পর্যায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও দেশে ফিরতে পারেন। বিএনপির বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্র এ খবর জানিয়েছে। বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন, ‘তারেক জিয়ার দেশে প্রত্যাবর্তনের মধ্যে দিয়ে বিএনপি আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায়।’
বিএনপি আশা করছে, রোববার-সোমবারের মধ্যে বেগম জিয়া হাইকোর্ট থেকে জামিন পাবেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে বেগম জিয়া এখন কারাভোগ করছেন। এই মামলার রায়ের বিরুদ্ধে বেগম জিয়ার আইনজীবীরা ইতিমধ্যে আপিল দায়ের করেছেন। হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে। রোববার হাইকোর্ট জামিনের ব্যাপারে আদেশের জন্য রেখেছে। কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস সূত্রে বলা হয়েছে, রোববারও তারা আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে কিছু বক্তব্য রাখবে। বেগম জিয়ার আইনজীবীরা বলছেন, আজ কালের মধ্যে হাইকোর্ট আদেশ দেবে। তাদের ধারণা এই মামলায়, বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিন না হওয়ার কারণ নেই। বেগম জিয়া মুক্তি হওয়া না হওয়ার উপর বিএনপির রাজনীতির কৌশল অনেকখানি নির্ভর করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে, বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলেছেন ‘সমঝোতার যে কথা শোনা যাচ্ছে, তা সত্য হবে যদি আমরা দেখি চেয়ারপারসনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জামিন পাবার পর যদি তাকে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাহলে আর সমঝোতার সম্ভাবনা নেই।’ ওই নেতা বলেছেন, ‘সেক্ষেত্রে পর্যায় ক্রমে আন্দোলনকে আমরা বেগবান করব। আন্দোলনের একটি চূড়ান্ত পর্যায়ে তারেক জিয়া দেশে ফিরবেন।’
গত দুই দিন তারেক জিয়া দলীয় আইনজীবীদের সঙ্গে তার মামলা এবং দণ্ড নিয়ে আলোচনা করেছেন। মানি লন্ডারিং মামলায় তাঁকে দণ্ড দিয়েছে হাইকোর্ট। কাজেই এই মামলায় জামিন পেতে হলে তাঁকে প্রথমে আত্মসমর্পণ করতে হবে। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলাও চূড়ান্ত পর্যায়ে।
বিএনপির একজন নেতা বলছেন, সরকারের শেষ প্রান্তে এসে তারেক জিয়ার দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। বিএনপির ওই নেতা বলেছেন, রোজার পর থেকে বিএনপি আন্দোলন বেগবান করবে যদি সরকারের সাথে সমঝোতা চূড়ান্ত না হয়। এমনকি বেগম জিয়া মুক্ত হলেও, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে বড়সড় আন্দোলন করতে চায় বিএনপি। ওই আন্দোলনকে বিএনপি সেপ্টেম্বর অক্টোবরে একটা মোমেন্টাম দিতে চায়। এসময় মেয়াদের শেষ প্রান্তে এসে সরকারের নিয়ন্ত্রণও আলগা হয়ে যাবে। তারেক জিয়া এই সময়টিকেই তার দেশে ফেরার জন্য বেছে নিয়েছেন বলে বিএনপির একাধিক নেতা নিশ্চিত করেছে। তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠ এক তরুণ নেতা বলেন ‘নিশ্চিত থাকুন, নির্বাচনের আগে আগে তারেক জিয়া দেশে ফিরবেন। তার দেশে ফেরাটাই হবে, নির্বাচন এবং রাজনীতির ট্যানিং পয়েন্ট।’
তবে, বিএনপির মধ্যেই অনেক সিনিয়র নেতা এগুলোকে ‘তারেক জিয়ার পলিটিকাল ট্যান্ট’ বলে মনে করেন। তাদের মতে ‘যদি তার দেশে ফেরার ইচ্ছা থাকতো তাহলে তো মায়ের জেলের পরই তাঁর দেশে ফেরা উচিত ছিল।’ এরকম একজন নেতা বলেছেন ‘দেশে ফেরার মতো সৎ সাহস তারেক জিয়ার নেই। তারেকের সংগে একাধিক দিন টেলিফোনে কথা বলেছি। রাজনীতি নিয়ে তাঁর কোনো সিরিয়াসনেস নেই।’
Read In English: http://bit.ly/2FEvIj7
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিমানবন্দর বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।