ইনসাইড বাংলাদেশ

আগস্ট ট্র্যাজেডি: বঙ্গবন্ধু হত্যায় হাত ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৯ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail

৭৫’এর ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমর্থন এবং মদদ ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং চীনের।

বিভিন্ন দলিল এবং নথিপত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিস ইউজিন বোস্টার একাধিকবার বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন এবং খুনিরা তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় সহায়তা ও পরামর্শ নিয়েছিল। 

মার্কিন দলিলপত্রই এ বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, ১৯৭২ থেকে ফারুক নিয়মিতভাবে মার্কিন মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। এমনকি ১৯৭৪ সালে তিনি মার্কিনীদের কাছে তাঁর অভ্যুত্থান পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। চুয়াত্তরে ফারুকের অভ্যুত্থান ঘটানোর আগ্রহ প্রকাশের বিষয়টি ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন রাষ্ট্রদূত ডেভিস ইউজিন বোস্টার ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র দপ্তরকে ২১৫৮ নম্বর গোপন তারবার্তার মাধ্যমে ১৯৭৪ সালের ১৫ মে অবহিত করেছিলেন। 

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের সঙ্গে মার্কিন-সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে দীর্ঘ জল্পনাকল্পনার প্রেক্ষাপটে এই প্রথম অন্তত মার্কিন সরকারি দলিলের মাধ্যমেই প্রমাণিত হলো যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনি চক্র মুজিব সরকারকে উৎখাত করতে মার্কিন দূতাবাসের কাছে ধরনা দিয়েছিল। ১৯৭৪ সালের ১৩ মে থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট — অন্তত এই ১৫ মাস ধরে ফারুক রহমানই খুনিদের সংগঠিত করার কাজে নেতৃত্ব দেন বলে প্রতীয়মান হয়।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট নিয়ে এ পর্যন্ত প্রকাশিত বিভিন্ন নিবন্ধ ও সাক্ষ্য- প্রমাণ নিশ্চিত করে যে, সে সময় সেনাবাহিনীর উপপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়া প্রস্তাবিত অভ্যুত্থান-পরিকল্পনা সম্পর্কে আগেভাগে অবহিত হলেও তিনি তা প্রতিহত করতে কোনো উদ্যোগ নেননি। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার সঙ্গে আমেরিকা কীভাবে, কতখানি যুক্ত-তা প্রকাশ করেছেন মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফসুল্টজ তাঁর ‘বাংলাদেশঃ দ্যা আনফিনিশড রেভল্যুশন’ গ্রন্থে মিঃ লিফসুল্টজ নিউইয়র্কের ‘দি নেশন’ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক কাই বার্ডের সঙ্গে বিষয়টি দীর্ঘ আড়াই বছরে প্রায় ২০০ লোকের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। এই সব সাক্ষাৎকার গৃহীত হয় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও বাংলাদেশে। এ নিয়ে দীর্ঘ দিন সমীক্ষা চালিয়ে তাঁরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, মুজিব হত্যায় আমেরিকারও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

ঐ গ্রন্থে মিঃ লিফসুল্টজ নিম্নলিখিত তথ্যগুলো পেশ করেছেন-

মার্কিন বিদেশ দপ্তরের অফিসার’রা তাঁদের বলেছেন যে, চক্রটি মুজিবকে হত্যা করে, তাদের প্রতিনিধিগণ ১৯৭৪ সালের শরৎকালে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে এসে এ ব্যাপারে সাহায্য চায়। (পৃষ্ঠা -১৭৭)

ঐ বিদেশ দপ্তরের সূত্র থেকেই জানা যায়, ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের সিআইএ-এর ‘স্টেশন চিফ’ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট অর্থাৎ মুজিব হত্যার দিন পর্যন্ত চক্রান্তকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছিলো। 

এই হত্যার সঙ্গে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসেরও যে ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল, অন্যদিক থেকেও তার প্রমাণ মিলে। মুজিব হত্যার প্রথম ঘোষণা আসে ওয়াশিংটনে ‘ভয়েস অব আমেরিকা’ থেকে। সে ঘোষণা পৃথিবীময় ছড়িয়ে যায় এমন একটা সময়ে, যখন হত্যাকাণ্ড সম্পূর্ণ শেষ হয় নি। হত্যাকারীদের গাড়িগুলি তখনও ঢাকার রাজপথ কাঁপিয়ে এ-দিক সে-দিক ছুটোছুটি করছে।

ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের সিআইএ এর স্টেশন অফিসার ফিলিপ চেরি নিজেই স্বীকার করেছেন, চক্রান্তকারীদের সঙ্গে বরাবরই তাঁর যোগাযোগ ছিল। মুজিব-হত্যার সংবাদ তিনিই ওয়াশিংটনে পাঠিয়েছিলেন। ‘ভয়েস অব আমেরিকা’র সেই সংবাদ বুলেটিনই প্রমাণ করে মুজিব-হত্যায় আমেরিকার প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল।

পাকিস্তানী গোয়ন্দা সংস্থার নথিতে দেখা যায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন খুনি ফারুককে সবুজ সংকেত দেয় তখন আইএসআই বাংলাদেশে কাজ করা শুরু করে। একাধিক নথিতে এটি প্রমাণিত হয়েছে যে, জিয়াউর রহমান, খুনি ফারুক, রশিদ, বজলুল হুদা, মেজর ডালিম, এরা সবাই আইএসআই-এর প্যারোলে ছিল। আইএসআই মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রান্তে এসে যখন বাংলাদেশের বিজয় নিশ্চিত তখন বিজয়ের পর যেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা লক্ষ্যচ্যুত হয় সেজন্য আইএসআই এর এসকল এজেন্টদের বাংলাদেশে যুদ্ধের জন্য পাঠিয়েছিলেন। 

যুদ্ধের শুরু থেকেই জিয়াউর রহমান পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থার প্যারোলে ছিল। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানকে উদ্দেশ্য করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ওই সময়ের কর্নেল আসলাম বেগের লেখা একটি চিঠি তা প্রমাণ করে। চিঠিতে জিউয়ায়র রহমানকে আসলাম বেগ লিখেন, ‘তোমার কাজে আমরা সবাই খুশি। আমাদের অবশ্যই বলতে হবে, তুমি ভালো কাজ করছ। খুব তাড়াতাড়ি তুমি নতুন কাজ পাবে।’ এই বার্তা জিয়াউর রহমানের সাথে পাকিস্তানীদের ঘনিষ্ঠ এবং সুসম্পর্ক ছিল সেটি নিশ্চিত করে।


আগস্ট ট্র্যাজেডি   বঙ্গবন্ধু হত্যা   যুক্তরাষ্ট্র   পাকিস্তানের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ময়মনসিংহে নির্বাচন পরিস্থিতি পরিদর্শনে ডিসি ও এসপি


Thumbnail

আজ ২১ শে মে ষষ্ঠ তম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ময়মনসিংহের ৬ টি উপজেলায় সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে,যা বিরতহীনভাবে বিকাল ৪ পর্যন্ত চলবে।   উপজেলা নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শনে আসেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা,জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী এবং পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা। 

 

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল থেকে ময়মনসিংহ সদর উপজেলাসহ মুক্তাগাছার বিভিন্ন নির্বাচনী কেন্দ্র ঘুরেফিরে দেখেন ডিসি এবং এসপি। তারা ভোট কেন্দ্রে দ্বায়িত্বরত প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন এবং নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তাদেরকে দিকনির্দেশনামূলক নানা পরামর্শ দেন ডিসি ও এসপি। 

 

এ সময় অন্যান্যদের মাঝে জেলা আনসার কমান্ডার ড.মোস্তারী জাহান ফেরদৌস, সহকারী পুলিশ সুপার হালুয়াঘাট (সার্কেল)সাগর সরকার ও সদর সার্কেল শাহিনুল ইসলাম ফকির,সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও মাহামুদা হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক আহমেদসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

 

বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বিঘ্নে ভোটারগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। কোন ধরনের সহিংসতার খবর এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।’

নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, ‘একটি স্বচ্ছ,অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রতিটি কেন্দ্র এবং কেন্দ্রের বাহিরে প্রর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া পুলিশের একাধিক টহল টিম ভোটের মাঠে রয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে বিজিপি,আনসার র‌্যাব ও ডিবির সদস্যরা সহায়তা করছে।’


উপজেলা নির্বাচন   ভোটকেন্দ্র   কেন্দ্র পরিদর্শন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পটুয়াখালীতে ৩ উপজেলায় চলছে ভোটগ্রহণ, ভোটার উপস্থিতি কম


Thumbnail

পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা, দশমিনা ও বাউফল এই তিনটি উপজেলায় একযোগে চলছে ষষ্ঠ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।

 

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮.০০ টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪.০০ টা পর্যন্ত। তবে ভোটার উপস্থিতি অনেকটাই কম। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলাটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ২,৯৭৬০৭ জন। তবে উপজলাটির বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ঘুরে দেখা গিয়েছে, বেশির ভাগ কেন্দ্র গুলোতে ৫ থেকে ১০ জনের বেশি ভোটার উপস্থিতি নেই। কেন্দ্র গুলোর বেশির ভাগ বুথ রয়েছে ভোটার শূন্য অবস্থায়।

 

বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের বীরপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রেটির মোট ভোটার সংখ্যা ১৯৯২ জন। মোট পাঁচটি বুথে বেলা ১০টা পর্যন্ত মোট ৬৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। আয়লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৩৭৭ জন ভোটারের মধ্যে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ভোট প্রদান করেছেন ২০৯ জন ভোটার। এদিকে দশমিনা  উপজেলার পূর্ব দশমিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রটিতে মোট ভোটার ২৬৬৫ সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯ টার পর্যন্ত মোট ভোট প্রদান করেছেন মাত্র ১৮৯ জন ভোটার। অপরদিকে গলাচিপা উপজেলার গলাচিপা সরকারি ডিগ্রি কলেজ ভোট কেন্দ্রটিতে ১২৩৪ জন ভোটারের মধ্যে ভোট প্রদান শুরুর প্রথম দুই ঘন্টায় ৫৬ জন ভোটার ভোট প্রদান করেছেন। পটুয়াখালী জেলায় অনুষ্ঠিত তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেশির ভাগ ভোট কেন্দ্রগুলোতে একই চিত্র দেখা গিয়েছে ।

 

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পটুয়াখালীতে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাউফল উপজেলায় মোট ২৯৭৬৯৭ জন ভোটারের বিপরীতে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ২ জন ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এছাড়া দশমিনা উপজেলায় ১১৬০৪৪ জন ভোটারের বিপরীতে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী ও গলাচিপা উপজেলাটিতে ২৪১৮৭০ জন ভোটারের বিপরীতে চ্যেয়ারম্যান পদে ২ জন, ৪ জন পুরুষ ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ও ৩ জন মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

 

তিনটি উপজেলায় মোট ২৪৭ টি ভোট কেন্দ্রে ৩৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ১০ প্লাটুন বিজিবি, এছাড়া পুলিশ আনসার র‌্যাবের টিম এবং পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স সহ সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চলছে। যেকোনো ধরনের অপৃতিকর ঘটনা রোধে সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খান শাহানুর আবি খান।

ভোট গ্রহণ শুরু হওয়া থেকে এখন পর্যন্ত শান্ত ও সুষ্ঠু পরিবেশে তিনটি উপজেলাতেই ভোট গ্রহণ চলছে।


উপজেলা নির্বাচন   ভোট গ্রহণ   ভোটার উপস্থিতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: রাজশাহীতে দুটি ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষে আহত ৯


Thumbnail

রাজশাহীর দুর্গাপুরে হামলা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে চলছে ভোট গ্রহণ। উপজেলার পানানগর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দুই কেন্দ্রে নয়জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে এই ঘটনা ঘটে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।এছাড়াও ভোটারদের বাধা ও হুমকি-ধামকি দেয়ার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে র‌্যাব। আহতরা হলেন, গোপালপুর গ্রামের আজের, আজাদ, শহিদুল, শুকচান, মিঠু, আব্দুর রাজ্জাক ও সান্টু এবং পানানগর গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে শিহাব।

বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে নান্দিগ্রাম দারুস সালাম আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোটারদের ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দেয়ার অভিযোগে একজনকে আটক করে র‌্যাব। আটককৃত ব্যক্তি নান্দিগ্রামের নবীর উদ্দিনের ছেলে আতাহার আলী (৪২) ।

সকাল থেকে কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করে দেখা গেছে, চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নির্বাচনী এজেন্ট থাকলেও ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের এজেন্ট ছিলোনা। সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত কোনো কেন্দ্রে ৩, ৬ ও ১২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার স্বীকৃতি প্রামাণিক বলেন, সকাল থেকেই সবগুলো কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। দু'একটি কেন্দ্রে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, র‍্যাব, পুলিশ ও বিজিবিসহ যথেষ্ট পরিমাণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচনী মাঠে কাজ করছে। আশাকরি কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হবে।


উপজেলা নির্বাচন   ভোটকেন্দ্রে   সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘ভিসানীতিতে নয়, জেনারেল আজিজকে অন্য আইনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র’

প্রকাশ: ০২:১৫ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছিল তার অধীনে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। অন্য আইনের অধীনে তাকে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। এ সময় তিনি বলেন, এটা পাবলিকলি জানানোর আগে আমাদের সেখানকার মিশনকে জানানো হয়েছিল।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার এমনিতেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে। আর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমরাও দুর্নীতির ব্যাপারে খুব সোচ্চার।

✪ আরও পড়ুন: তিন অভিযোগে জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে স্যাংশন দিল যুক্তরাষ্ট্র

তিনি বলেন, জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ সেনাবাহিনীর লোক। তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা সেটা তারাই ভাববেন। যুক্তরাষ্ট্র যেমন সব পাশ কাটিয়ে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায়, আমরাও সেটা এগিয়ে নিতে চাই। আর যেই ভিসানীতি তারা নিয়েছিল, সেটা তো আমার জানামতে কাউকে দেয়নি। দিলে যারা পুলিশ পিটিয়ে মেরেছে, বিচারপতির বাসায় আগুন দিয়েছে তাদের ওপরই দেয়া উচিত।

এর আগে সোমবার (২০ মে) দিবাগত রাতে ইউনাইটেড স্টেট ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদে ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জেনারেল আজিজ আহমেদের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি প্রতিষ্ঠাণের প্রতি জনগণের বিশ্বাসকে ক্ষুণ্ন করেছে। আজিজ আহমেদ তার ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কার্যকলাপের জন্য জবাবদিহিতা এড়াতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন। সামরিক চুক্তির বিষয়ে আজিজ তার ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিলেন এবং তার ব্যক্তিগত স্বার্থে সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে ঘুষ গ্রহণ করেছিলেন।

✪ আরও পড়ুন: যদি কেউ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারে আমি মেনে নিতে প্রস্তুত: আজিজ

আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসন শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনরায় নিশ্চিত করা হলো। সরকারি সেবা আরও স্বচ্ছ ও নাগরিকদের সেবা লাভের সুযোগ তৈরি, ব্যবসা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মুদ্রা পাচার ও অন্যান্য অর্থনৈতিক অপরাধের অনুসন্ধান ও বিচার নিশ্চিতে সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টায় সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান, ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর। এই পদক্ষেপের ফলে আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ   গণতন্ত্র   জেনারেল আজিজ   জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত আজিজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যদি কেউ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারে আমি মেনে নিতে প্রস্তুত: আজিজ

প্রকাশ: ০১:৫৯ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদে তার পরিবারের সদস্যদের ওপর স্যাংশন দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই বলেছেন এ ঘটনায় তিনি অবাক হয়েছেন এবং যদি কেউ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেন তবে তিনি তার মেনে নিতে প্রস্তুত। 

সোমবার (২০ মে) রাতে ইউনাইটেড স্টেট ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তথ্য জানানো হয়।

এদিকে এঘটনার পর গণমাধ্যমে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘আমাকে যে কারণে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তার কী কোনো ভিত্তি আছে? তারা বলেছে, আমি আমার পদ-পদবী দিয়ে আমার ভাইকে নাকি সহযোগিতা করেছি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমি কোনো অপরাধ করিনি যে, শাস্তি পেতে হবে। এখন আমি ইউনিফর্মের বাইরে কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে আমি সেনা প্রধান হিসেব থাককালীন সময়ে আমি আমার কোন ভাইকে বা আত্ময়িকে কোন সুবিধা দিয়েছি, কেউ যদি এটা প্রমাণ করতে পারে তবে যেকোন শাস্তি আমি মেনে নিতে রাজি আছি।

উল্লেখ্য, এর বাংলাদেশ সময় সোমবার মধ্যরাতের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য বলে ঘোষণা করে দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, আজিজের কর্মকান্ড বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের বিশ্বাসকে ক্ষুণ্ন করতে ভূমিকা রেখেছে।


সাবেক সেনাপ্রধান   নিষেধাজ্ঞা   মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন