প্রধানমন্ত্রীর
আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ঘর পেলো আরও
২২ হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার।
এ নিয়ে আশ্রয়ণ-২
প্রকল্পের আওতায় নিজের ঠিকানা পেলো মোট ২
লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১টি
ভূমিহীন পরিবার।
বুধবার (৯ আগস্ট)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারগুলোর
মাঝে ঘর বিতরণ করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে ভূমিহীন-গৃহহীন
মানুষকে দুই শতক জমিসহ ঘর দেয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী আজ তিন উপজেলায়
ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ২২ হাজার পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রী
খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার বারাসত সোনার বাংলা পল্লী আশ্রয়ণ প্রকল্প, পাবনার বেড়া
উপজেলার চাকলা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আমানউল্লাহপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের
সুবিধাগ্রহীতাদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করছেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী
বলেন, বাবা-মা ভাইবোন সব হারিয়েছি। ৮১ সালে এসে এই দেশের মানুষকেই আপনজন হিসেবে পেয়েছি।
তাদের মাঝে হারানো বাবা-মা ভাইবোনকে খুঁজে পেয়েছি। আমার তো আর কিছু পাওয়ার নেই। এদেশের
মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছি। দরিদ্র্য অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ভূমি
ও নতুন ঘর করে দিচ্ছি।
বঙ্গবন্ধুকন্যা
বলেন, এ কাজটি শুরু করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি লক্ষ্মীপুরের
পোড়াগাছায় এটি করেছিলেন। তার কাজটিই আমরা এখন চালু রেখেছি। বাবা নেই, যাকে পোড়াগাছায়
আশ্রয়ণ করার দায়িত্ব দিয়েছেন, সেই কৃষক নেতা আব্দুর রব সেরনিয়াবাতও নেই। নিশ্চয়ই আমার
বাবা জান্নাত থেকে এই কাজটি দেখছেন, খুশি হচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন,
আমরা চাই, একটি মানুষও যেন অযত্নে অবহেলায় না থাকে, যে মানুষগুলোকে আমার বাবা সবচেয়ে
বেশি ভালোবেসেছেন।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।