বঙ্গবন্ধু সততা ও নিষ্ঠার অনুকরণীয় আদর্শ। তাই শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ
অনুসরণ করে জীবন গড়ার আহবান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাইসাইকেল, শিক্ষা
উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আহবান
জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে বাস্তবায়নাধীন বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা
(পার্বত্য এলাকা ব্যাতিত) কর্মসূচির আওতায় এসব বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে ৩৫টি বাইসাইকেল ও ১১০ জন
শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।
এসময় খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, উন্নত
সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেম উদ্বুদ্ধ হয়ে সততা ও নিষ্ঠাবান
হতে হবে। সততা-নিষ্ঠার সাথে কাজ করলে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের
স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। বিশ্বে আজ বাঙালি জাতি হিসাবে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছি। ১৫
আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড আমাদের স্বাধীনতার ওপর বড় আঘাত। সেই ধারাবাহিকতায়
জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতা বিরোধীরা বাঙালির ভাগ্য নিয়ে
ছেলে খেলায় মেতে ওঠে। ইনডিমিনিটির মাধ্যমে হত্যকান্ডের বিচারের পথ রুদ্ধ করে তারা।স্বাধীনতা
বিরোধীদের পুরস্কৃত আর প্রতিবাদকারীদের শাস্তি দেয়।
মন্ত্রী বলেন, কোমলমতি শিশুরা এখন
বছরের প্রথম দিনে নতুন বই পায়।মাটির ঘরের বিদ্যালয়গুলো এখন পাঁকা বিল্ডিংয়ে।
শিক্ষার্থীদের হাতে ট্যাব তুলে দেওয়া হচ্ছে। মেধাবী শিক্ষার্থীরা স্মার্ট বাংলাদেশ
গড়বেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিএনপি দেশের কোন উন্নয়ন
করেনি। আগুন সন্ত্রাস করেছে তারা। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ঘরে ঘরে
বিদ্যুৎ দিয়েছেন। মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরি করেছেন তিনি । ধনী গরিব
সকলকে বিনামূল্যে করোনার ভ্যাক্সিন দিয়েছেন। বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল
করেছেন বাংলাদেশকে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা
আক্তারের সভাপতিত্বে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী, ভাইস
চেয়ারম্যান কাজিবুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. তৌফিক
রেজা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম ও নিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের
চেয়ারম্যান এনামুল হক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
পরে মন্ত্রী এসএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৬৬ জন শিক্ষার্থীর মাঝে সনদ ও ক্রেস্ট বিতরণ করেন।
নওগাঁ বঙ্গবন্ধু আদর্শ শিক্ষার্থী
মন্তব্য করুন
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল রাজনৈতিক দিক থেকে। রাজনৈতিকভাবে যারা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছিল, নির্বাচন প্রতিহত করতে বলেছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনের পর তারা সঙ্কুচিত, কোণঠাসা এবং হতাশাগ্রস্ত। আওয়ামী লীগের সামনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে। না সংসদে, না রাজপথে।
বিএনপি এখন হতাশাগ্রস্ত একটি রাজনৈতিক দল। তাদের ভিতর অবিশ্বাস-কোন্দল প্রচণ্ড আকার ধারণ করেছে। যার ফলে দলটি এখন নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মতো অবস্থায় নেই। অন্য রাজনৈতিক দলগুলো অস্তিত্বের সংকটে আছে। তাদের কর্মী সমর্থক নেই। কাজেই রাজনীতিতে তারা সরকারের বিরুদ্ধে তেমন কোন প্রভাব বিস্তারের সুযোগই পাচ্ছে না।
আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচনের আগে মনে করা হয়েছিল সরকার বড় ধরনের সংকটে পড়বে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচনের আগে যেভাবে সরকারকে সতর্ক করেছিল, হুঁশিয়ারি দিয়েছিল; অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে নিষেধাজ্ঞার মত ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দিয়েছিল- নির্বাচনের পর সেই অবস্থা পাল্টে গেছে।
বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলা সত্ত্বেও নতুন সরকারের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টিকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার জন্যই বেশি চেষ্টা করছে। অন্যান্য দেশগুলো যেমন- ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য; তারাও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে এখন গুরুত্ব দিচ্ছে। বর্তমানে নির্বাচনের বিষয় তারা তেমন সামনে আনতে রাজি নন। এরকম একটি পরিস্থিতিতে সরকারের জন্য একটি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় থাকার কথা।
কিন্তু বাস্তবতা হল সরকার স্বস্তিতে নেই। বরং আস্তে আস্তে সরকারের উপর চাপ বাড়ছে। আর সরকারের এই চাপের প্রধান কারণ হল অর্থনীতি। বিগত মেয়াদেই অর্থনীতিতে বিবর্ণ চেহারাটা সামনে উঠেছিল। এটি আস্তে আস্তে ক্রমশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে এবং সরকারের জন্য অর্থনৈতিক সংকটগুলো মোকাবেলা করা অত্যন্ত দুরূহ হয়ে পড়ছে বলেই অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য সরকার বেশ কিছু দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করছে। কিন্তু সেই উদ্যোগগুলো নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যেমন অর্থনৈতিক সংকটের একটি প্রধান বিষয় হল মুদ্রাস্ফীতি। মুদ্রাস্ফীতি বেড়েই চলেছে, মুদ্রাস্ফীতি কমানোর জন্য সরকার যত ব্যবস্থাই নেক, সেই ব্যবস্থাগুলো এখন পর্যন্ত ফলপ্রসূ বলে বিবেচিত হয়নি।
অর্থনৈতিক সঙ্কটের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল, ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম-বিশৃঙ্খলতা। আর এটি দূর করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূতকরণের একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কয়েকটি ব্যাংক একীভূত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কৌশল এখন ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে। এর ফলে ব্যাংকিং সেক্টরে বিশৃঙ্খল অবস্থারও একটা উন্নতি হয়নি।
ব্যাংকিং সেক্টরের বিশৃঙ্খলার হওয়ার প্রধান কারণ হল খেলাপি ঋণ এবং অর্থপাচার। ঋণ খেলাপিদের আইনের আওতায় আনতে কঠোর অবস্থান গ্রহণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে বটে। কিন্তু বাস্তবে এই পরিকল্পনাগুলো কতটুকু বাস্তবায়িত হবে সে নিয়েও বিভিন্ন মহলের সন্দেহ রয়েছে। কারণ অতীতেও দেখা যে, ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর হতে পারছে না।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সঙ্কট বাড়ছে, বিশেষ করে এখন বাংলাদেশকে ঋণের দায় মেটাতে হচ্ছে। ঋণের দায় মেটানোর চাপ সামলাতে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রায় টান পড়ছে। আর বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান যে উৎস প্রবাসী আয় এবং রপ্তানী আয়- সে দুটোতেও কোনওরকম ইতিবাচক ব্যবস্থা নেই। সামনে বাজেট, আর এই বাজেটে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের একটি মহাপরিকল্পনা সরকারকে করতেই হবে। অর্থনৈতিক সংকট যদি সরকার নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে, তাহলে সরকারের জন্য সামনের দিনগুলো আরও কঠিন, চ্যালেঞ্জিং এবং সংকটাপন্ন হবে বলেই মনে করে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অর্থনীতি হাসান মাহমুদ আলী আয়শা খান আওয়ামী লীগ সরকার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জেলা প্রশাসক সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল রাজনৈতিক দিক থেকে। রাজনৈতিকভাবে যারা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছিল, নির্বাচন প্রতিহত করতে বলেছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনের পর তারা সঙ্কুচিত, কোণঠাসা এবং হতাশাগ্রস্ত। আওয়ামী লীগের সামনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে। না সংসদে, না রাজপথে।