স্বাধীন
দেশে কোনো বাঙালি তাঁর
নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে
পারে না—এমন দৃঢ়বিশ্বাস
ছিল বঙ্গবন্ধুর। সে জন্যই বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবনের পরিবর্তে থাকতেন তাঁর প্রিয় ধানমন্ডির
৩২ নম্বরের নিজ বাসভবনে। যে
মানুষটি ভাবতেন স্বাধীন দেশে কোনো মানুষ
তার জন্য নিরাপত্তা হুমকি
হতে পারে না, সেই
মানুষটির জীবনই হুমকিতে?
আমার
জানামতে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড
পৃথিবীতে কখনো ঘটেনি। আমরা
কেবল বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানকেই হারাইনি, হারিয়েছিলাম তাঁর আদর্শ, স্বপ্ন
আর স্বাধীনতার মূলমন্ত্র। হারিয়েছিলাম, একটি জাতির উন্নত
ভবিষ্যৎ, একটি উন্নত রাষ্ট্র।
১৯৭১
সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ভাঙ্গাচূরা দেশটাকে
ঢেলে সাজাতে বঙ্গবন্ধু আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এর মধ্যে আবার
চোর, দূর্নীতিবাজ আমলা, রাজনীতিবিদরাও ছিলেন। যারা বঙ্গবন্ধুর নৈতিকতার
কারণে তাদের নিজস্ব স্বার্থ চরিতার্থ করতে পারছিলেন না,
তারাই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা এবং সূত্রপাত করেন।
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের নিঃশেষ করেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরবর্তী সময়ে
সরকার গঠন করে এসব
চোর, দূর্নীতিবাজ নেতা, আমলারা পুরো দেশজুড়ে লুটপাটের
রাজত্ব কায়েম করে।
যুদ্ধে
অগণিত মানুষের মৃত্যু হয়। এক পক্ষ
অন্যপক্ষের মানুষদের হত্যা করে। প্রথম বা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে, বাংলাদেশের বা ভিয়েতনামের স্বাধীনতা
যুদ্ধে, রাশিয়া, চীন, আলজেরিয়ার কমিউনিস্ট
যুদ্ধসহ বিভিন্ন দেশে স্বাধীনতা কিংবা
গোত্রীয় যুদ্ধে অগণিত মৃত্যু হয়েছে। সরকার বদলের কারণেও ঘটেছে অনেক হত্যাকাণ্ড। কিন্তু
এ কেমন হত্যাকাণ্ড? একটি
ঘুমন্ত পরিবার, একটি জাতির স্বাধীনতা
অর্জনের জনক, একটি জাতি
গঠনের নির্ভীক সাহসী যোদ্ধাকে হত্যা?
কবি
রফিক আজাদ তার ‘এই
সিঁড়ি’- কবিতায় একটি রক্তাক্ত করুণ
মৃত্যুর বর্ণনা ছাপিয়ে দিয়েছেন আবহমান বাংলার সবুজ শস্যের মাঠে, বঙ্গোপসাগরে।
রফিক আজাদ লিখেছেন, ‘এই
সিঁড়ি নেমে গেছে বঙ্গোপসাগরে,/
সিঁড়ি ভেঙে রক্ত নেমে
গেছে-/ বত্রিশ নম্বর থেকে/ সবুজ শস্যের মাঠ
বেয়ে / অমল রক্তের ধারা
ব’য়ে গেছে / বঙ্গোপসাগরে।’
আজ
১৫ আগষ্ট, সেই নৃশংসতম হত্যার
দিন। পৃথিবীর ইতিহাসে যে ক’টি
নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা আমি জানি,
পড়েছি, জেনেছি বা শুনেছি, পৈশাচিকতা
এবং নিষ্ঠুরতার দিক থেকে পৃথিবীর
কোনটিই এই হত্যাকাণ্ডের কাছাকাছিও
নয়। ১৫ আগস্ট কোন
যুদ্ধ ছিল ন। ছিলোনা
কোন রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের লক্ষ্যে
রাষ্ট্রপ্রধানকে হত্যার বিষয়। এটা ছিলো এক
পৈশাচিক উন্মাদনা। দেশের বাইরের মদদে কিছু হিংস্র
পশুর হত্যাতাণ্ডব। কেবল রাষ্ট্র প্রধান,
বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমান নয়, বঙ্গমাতা বেগম
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ পরিবারের সকল সদস্য, কাছাকাছি
থাকা আত্মীয়, এমনকি অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু এবং গর্ভবতী
নারীকেও হত্যা করেচিল ওই নরপশুর দল।
তখনও
ভোরের আলো ফোটেনি। দূরের
মসজিদ থেকে আজানের ধ্বনি
ভেসে আসছে। এমন সময় প্রচণ্ড
গোলাগুলির আওয়াজ। বঙ্গবন্ধু কখনও এটা ভাবতেও
পারেননি, কোনো বাঙালি তার
ওপর গুলি চালাতে পারে
বা তাকে হত্যা করতে
পারে। তাকে বাঙালি কখনও
মারবে না, ক্ষতি করবে
না— এই বিশ্বাস নিয়েই
তিনি চলতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, সেই
বিশ্বাসের কি মূল্য তিনি
পেয়েছিলেন?
বঙ্গবন্ধুকে
সপরিবারে হত্যার পর দীর্ঘদিন বাংলাদেশের
রাজনৈতিক আকাশ ছিল তিমিরাচ্ছন্ন।
সামরিক স্বৈরশাসন, ক্যু–পাল্টা ক্যু—এভাবে কাটে ১৫ বছর।
এ সময় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের
মাধ্যমে হত্যাকারীদের বিচারের পথ রুদ্ধ করা
হয়। এমনকি খুনিদের দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা
হয়। এভাবেই স্বাধীনতা বিরোধী চক্র বাংলা এবং
বাঙালির স্বাধীনতার সূর্য পুণরায় গ্রাস করে দেশটাকে অন্ধকারাচ্ছন্ন
করে দেয়। বঙ্গবন্ধুর সাহস
এবং অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত, স্বাধীনতা অর্জনকারী সাহসী বাঙালি জাতিকে একটি ভয়ার্ত জাতিতে
পরিণত করে তারা।
২০১০
সালের ২৭ জানুয়ারি পাঁচ
আসামির ফাঁসির রায় কার্যকর করে
জাতিকে আংশিক দায়মুক্ত করা হয়, এখনও
পাঁচ আসামি পলাতক রয়েছে। নৃশংস এ হত্যার ৩৪
বছর পর ২০১০ সালের
২৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে দণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে
পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। ভারতে পালিয়ে
থাকা আসামি আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয় ২০২০
সালের ১২ এপ্রিল রাতে।
বাকি ছয় আসামির মধ্যে
দণ্ডিত আবদুল আজিজ পাশা পলাতক
অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা গেছে। অন্য
পাঁচজন এখনো পলাতক রয়েছে।
মন্তব্য করুন
জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব
মাওলানা মামুনুল হক। শুক্রবার (০৩ মে) সকাল ১০টার দিকে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই
সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
পরে রিজার্ভ গার্ডে তাকে বসিয়ে রাখা হয় এবং বেলা ১১টার দিকে কারাগারের
মূল ফটক থেকে তিনি বের হয়ে যান। গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের
সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার মামুনুল হকের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে
এসে পৌঁছায়। পরে তা যাচাই-বাছাই শেষে আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মাওলানা মামুনুল
হককে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
জানা গেছে, মামুনুল হকের জিম্মাদার অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী
আসতে দেরি হওয়ায় তাকে প্রায় এক ঘণ্টা রিজার্ভ গার্ডে বসিয়ে রাখা হয়। পরে বেলা
১১ টার দিকে সাদা রঙের একটি গাড়িতে করে তিনি কারাগারের মূল ফটো থেকে বের হয়ে যান।
এ সময় মামুনুল হকের সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে জিসান ও ভাগিনাসহ আরো কয়েকজন। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্ত পাবেন, এমন খবরে আলেম-ওলামারা কারা ফটকে ভিড় করেন। সন্ধ্যার পর থেকেই কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ভিড় করতে শুরু করেন মামুনুল হকের সমর্থকরা।
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারের টেকনাফের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আসন্ন উপজেলা
পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আলমের উঠান বৈঠকে তার সমর্থকদের ভয়ভীতি
প্রদর্শন করার জন্য সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ
উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ১০টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া
পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, আমি বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র
জমা দিয়েছি। আমার
নির্বাচনী এলাকার হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ায় আমার একটি উঠান বৈঠক ও আলোচনা
সভা ছিল। সেখানে হঠাৎ সাবেক এমপি বদি (আব্দুর রহমান বদি) চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর
আলমকে সঙ্গে নিয়ে আমার অনুষ্ঠানস্থলে এসে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন।
তখন ভয়ে আমার সমর্থকরা পালিয়ে যায়। আমি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়েছি।
পরে সেখান থেকে বের হয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। সাবেক এমপি বদি আমার সমর্থকদের ভয়ভীতি
প্রদর্শন করছেন। যাতে কেউ আমার বিরুদ্ধে কাজ না করে। আমার জনপ্রিয়তা বদি সাহেব মেনে
নিতে পারছেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলম বলেন, গুলি ছোড়ার
ঘটনা পুরাপুরি মিথ্যা। উল্টো নুরুল আলম আমার এক সমর্থককে ধরে নেওয়ার খবর শুনে আমি আর
বদি ভাই (সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি) সেখানে যাই।
টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনী
ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলমের একটি অনুষ্ঠানে ফাঁকা গুলি
ছোড়ার ঘটনা শুনেছি। খবর পেয়ে আমাদের পুলিশের টিম সেখানে গিয়েছে। এ ঘটনায় নুরুল আলম
একটি অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির মুঠোফোনে একাধিকবার
কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উপজেলা নির্বাচন উঠান বৈঠক অভিযোগ সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের জয়দেবপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৩ মে) সকালে জয়দেবপুর স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিলেন না বলে জানা গেছে। জয়দেবপুর স্টেশনমাস্টার হানিফ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে এসে গাজীপুর হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিল না।
মন্তব্য করুন
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কাইনাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানান, পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীতে পানি বাড়ছে।
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বরিশালের গৌরনদীতে উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার নিয়ে আওয়ামী
লীগের দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ
তিনজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাটাজোর বাসস্ট্যান্ড
এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন, গৌরনদী উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক
পৌর মেয়র চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমানের সমর্থক দেলোয়ার হোসেন দিলু, উপজেলা পরিষদের
বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরীর সমর্থক ও মাহিলারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান
উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলু ও তার মোটরসাইকেলের চালক পলাশ
হাওলাদার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বাটাজোর ইউনিয়নের আ.লীগ নেতা আলতাফ হোসেন
মারা গেছেন। রাতে তার জানাজায় অংশ নিতে বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে আসেন চেয়ারম্যান প্রার্থী
ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া ও ইউপি চেয়ারম্যান পিকলু। পরে সেখানে প্রতিপক্ষ
হারিছুর রহমানের সমর্থকরাও আসেন। তখন দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষ
সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
আহত ইউপি চেয়ারম্যান পিকলুর স্ত্রী বিপাশা গুহ বলেন, আহতদের স্থানীয়রা
উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে নেওয়ার পর হারিছুর রহমানের
ক্যাডাররা পিকুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাসপাতাল ঘেরাও করে। তখন প্রধান গেট আটকে তাকে
রক্ষা করা হয়।
তিনি বলেন, হামলাকারীরা গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। তারা
হাসপাতাল কম্পাউন্ডে থাকা অ্যাম্বুলেন্সসহ সব যানবাহন সরিয়ে দেয়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান
সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী ও পুলিশ সদস্যরা এসে আহতদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে পাঠায়।
উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী বলেন, কুপিয়ে জখম হওয়া
পিকলুকে বরিশাল হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স খবর দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষের
লোকজন হাসপাতাল ঘেরাও করে। তারা অ্যাম্বুলেন্সসহ সব যানবাহন আটকে দেয়। পরে পিকলুকে
বরিশাল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আহত দেলোয়ার হোসেন দিলুর ভাই বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান
আব্দুর রব হাওলাদার বলেন, আমি অসুস্থ। কী ঘটেছে আমি জানি না। শুনেছি নির্বাচনি প্রচারে
হামলা হয়েছে। এতে দিলু গুলিবিদ্ধ হয়েছে ও পিকলুকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে শুনেছি।
আহত দেলোয়ার হোসেন দিলুর দাবি, ইউপি চেয়ারম্যান পিকুল তাকে গুলি
করে। পরে স্থানীয়রা এসে প্রতিরোধ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক
শাহাদাত হোসেন বলেন, তিনজন জখম অবস্থায় এসেছেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
তিনজনকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের জয়দেবপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩ মে) সকালে জয়দেবপুর স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিলেন না বলে জানা গেছে। জয়দেবপুর স্টেশনমাস্টার হানিফ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।