নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১১ মার্চ, ২০১৮
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হবার মাত্র এক মাসের মধ্যে দলেই বিতর্কিত হয়ে পড়েছেন তারেক জিয়া। দলের তৃণমূলের মধ্যে তাঁকে নিয়ে ক্ষোভ-অসন্তোষ বাড়ছে। সিনিয়র নেতারা তাঁকে নিয়ে বিরক্ত। বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ীরা তাঁকে এড়িয়ে যেতে শুরু করেছেন। এমনকি বেগম জিয়ার ভাই-বোনরা বলছে, ‘তারেক নিষ্ঠুর স্বার্থপর।’
১০ মার্চ শনিবার খুলনায় জনসভার আয়োজন করে বিএনপি। জনসভার আগের দিন টেলিফোনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে কথা বলেন তারেক জিয়া। তারেক টেলিফোনে ওই জনসভায় ভাষণ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু মির্জা ফখরুল তাঁর প্রস্তাবে সম্মত হননি। মির্জা ফখরুল তারেক জিয়াকে জানান যে, হাইকোর্ট তাঁর বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। জনসভায় তাঁর ভাষণ প্রচার হলে, পুলিশ জনসভাই করতে দেবে না। বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, তারেক এনিয়ে দলের মহাসচিবের সঙ্গে অশোভন আচরণ করলেও মির্জা ফখরুল তাঁর অবস্থানে অনড় থাকেন। ৮ ফেব্রুয়ারি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন তারেক। বিএনপির সিনিয়র একজন নেতা বলেন, ‘মহাসচিব প্রথমে তাঁকে সামনে রেখেই দল পরিচালনা করছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় তারেক রূঢ়,অশোভন এবং কর্তৃত্ব পরায়ণ।’ ওই নেতা বলেন, রাজনৈতিক দল চলে নেতা-কর্মীদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা আর সমঝোতার ভিত্তিতে। অন্য একজন নেতা বলেন, তারেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হবার পর আমরা দলের বাইরে এবং আন্তর্জাতিক মহল থেকে সমালোচিত হয়েছি। এ কারণেই তারেক জিয়াকে আমরা সামনে আনতে চাইছি না।’
বেগম জিয়া গ্রেপ্তার হবার আগ পর্যন্ত তৃণমূলের নেতা কর্মীদের কাছে তারেক জিয়া ছিলেন বিপুল জনপ্রিয়। কিন্তু বেগম জিয়া গ্রেপ্তারের পর তারেক জিয়ার প্রতিক্রিয়া এবং আচার আচরণে তৃণমূল ক্ষুব্ধ। তৃণমূলের একজন নেতা বলেছিলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম ম্যাডাম গ্রেপ্তার হবার পর ভাইয়া নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও দেশে ফিরবেন। মায়ের পাশে দাঁড়াবেন। কিন্তু তিনি প্রতিক্রিয়াহীন।’ অন্য একজন নেতা বলেছেন, ‘তাঁর সঙ্গে আমার দুইদিন কথা হয়েছে। আমি তাঁর মধ্যে কোনো আবেগ, উৎকণ্ঠা দেখিনি।’ এই সব কারণে তারেক দ্রুত তৃণমূলের আস্থা হারিয়েছেন। গত এক মাসে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দ্রুত তৃণমূলের আস্থা অর্জন করেছেন। তৃণমূলের একজন নেতা বলেছেন, ‘ফখরুল ভাই ২৪ ঘণ্টা ফোন ধরেন। বিরক্ত হননা। ভালো ভাবে কথা বলেন। সত্যিকারের নেতা তিনি।’
ঢাকায় কয়েকজন বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী তারেক জিয়াকে নিয়মিত টাকা দেন। এরা বেগম জিয়ার গ্রেপ্তারের পর মামলার খরচ আর আন্দোলনের খরচ মেটাতেই ব্যস্ত ছিলেন। তারেক জিয়াকে এই মুহূর্তে টাকা দেওয়ার চেয়ে আন্দোলন আর আইনি লড়াইয়ের খরচটা জরুরি বলে তাঁরা মত দিয়েছিলেন। কিন্তু তারেক তাঁদের প্রত্যেককে ফোন করে চাঁদার অংক বাড়িয়েছিলেন। একজন ব্যবসায়ীকে তারেক বলেছিলেন, ‘আন্তর্জাতিক লবিং করতে টাকা লাগবে।’ ওই নেতা বলেন, ‘এরকম নানা অজুহাতে তিনি প্রায়ই টাকা নেন। এখন দল চালাতে হয়। এভাবে টাকা কত দিন দেওয়া সম্ভব?’
এভাবে আস্তে আস্তে বিএনপিতেই অপাংক্তেয় হয়ে উঠছেন তারেক জিয়া। দলেই অনাহুত তিনি। বিএনপির লড়াই এখন তারেক জিয়ার বিরুদ্ধেও।
Read in English- http://bit.ly/2p3urIQ
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বজ্রপাতে হতদরিদ্র কৃষি শ্রমিক পরিবারের শেষ সম্বল দুটি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের নতুন হাটি গ্রামে
এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার তরং নতুন হাটি গ্রামের মৃত নুর জামালের ছেলে হতদরিদ্র কৃষি শ্রমিক আসাদ খান সোমবার (৬ মে) সকালে বাড়ির সামনে থাকা পালই হাওরের কান্দায় ঘাঁস খাওয়ার জন্য দুটি গরু বেধে রেখে আসেন। এরপর কাল বৈশাখী ঝড়ের সাথে বজ্রপাত পড়লে গরু দুটি হাওরের কান্দায় মারা যায়।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষি শ্রমিক আসাদ খান বলেন, ‘আমি বোরো মৌসুমে কৃষি শ্রমিক হিসাবে কাজ করি, বর্ষায় ফেরী নৌকা চালিয়ে ৫ জনের সংসারের ভরণ পোষণ চালাই। শ্রমের টাকায় গত দুই বছর আগে ৮০ হাজার টাকায় গরু দুটি কিনে লালন পালন করি। ইচ্ছে ছিল আগামী কোবারবানীর হাটে কমপক্ষে দেড় লাখ টাকায় গরু দুটি বিক্রি করে সংসারের কিছুটা স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনব কিন্তু আমার শেষ সম্বল দুটি গরু বজ্রপাতে মারা গেল।’
উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দেলেয়ার হোসেন তালুকদার জানান, ‘সরকারি কিংবা কোন এনজিও সংস্থা থেকে আর্থিক সহায়তা অথবা দুটি গরু কিনে দিয়ে সহায়তা করলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষি শ্রমিক আসাদের পরিবার আবারো আশার আলো দেখবে।’
মঙ্গলবার (৭ মে) সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জানান, ‘বজ্রপাতে দুটি গরু মারা গেছে জেনেছি, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষি শ্রমিককে সরকারি ভাবে সহায়তার সুযোগ থাকলে অবশ্যই সহায়তা করা হবে।’
মন্তব্য করুন
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সরকারি চাকরি জনপ্রশাসন মন্ত্রী চাকরির বয়সসীমা
মন্তব্য করুন
দেশের ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে লোকসানে পড়া ব্যাংক হচ্ছে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড (এনবিএল)। আর এই ব্যাংক একটা লম্বা সময় ধরে আলোচনায় রয়েছে নানা ইস্যু নিয়ে। তবে এবার নতুন এক ঘটনায় ফের খবরের শিরোনাম হয়েছে এই ব্যাংক।
ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড (এনবিএল) গতকাল সোমবার একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে। সেখানে নতুন বোর্ড বলেছে যে, তারা শেয়ারহোল্ডারদের মাধ্যমে এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। এরপর সাংবাদিকদের হাতে নাস্তার প্যাকেট তুলে দেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। সেই প্যাকেটটি নেওয়ার পর দেখা যায়, এর ভেতরে 'পাঁচ হাজার টাকা' লেখা খাম।
জানা গেছে, এনবিএলের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানও। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংক আপনাদের ব্যাংক। পাশাপাশি সাংবাদিকরা যেন এই ব্যাংক নিয়ে ইতিবাচক লেখেন এমন আশার কথাও জানান। এরপরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে মিটিং আছে বলে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। এরপরই সংবাদ সম্মেলন শেষ করে দেওয়া হয়।
সেখান থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের হাতে নাস্তার প্যাকেট তুলে দেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। সেই প্যাকেট খুলতেই দেখা যায়, এর ভেতরে 'পাঁচ হাজার টাকা' লেখা খাম। তা দেখে কয়েকজন সাংবাদিক প্যাকেট না নিয়েই ব্যাংক থেকে বেরিয়ে যান।
এনবিএলের সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেওয়া এক সাংবাদিক গণমাধ্যমকে বলেন, সংবাদ প্রচারের জন্য সাংবাদিকদের টাকা দেওয়া একটি ব্যাংকের জন্য খুবই বিব্রতকর।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে তিন হাজার ২৮৫ কোটি টাকা লোকসানের পর ২০২৩ সালে এক হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়ে এনবিএল। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, এনবিএলের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। এটি ব্যাংকটির মোট বিতরণ করা ঋণের ২৮ দশমিক ৯২ শতাংশ।
ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড এনবিএল
মন্তব্য করুন
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে আল আমিন (২০) নামে এক কয়লা শ্রমিক আটক হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ মে) বেলা ১১টার দিকে ২৮-বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বিজিবি’র সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট সীমান্তের ওপার থেকে তাকে বিএসএফ আটক করে নিয়ে যায়।
আটক আল আমিন উপজেলার পুরানখালাস গ্রামের মৃত শহীদ মিয়ার ছেলে। গত কয়েক বছর ধরে উপজেলার সীমান্তগ্রাম লাকমায় সে বসবাস করে আসছে।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২৮-বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বিজিবি’র সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট সীমান্তের ১১৯৮ মেইন পিলারের ওয়ান-এস সাব পিলার অতিক্রম করে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে ভারতের অভ্যন্তরে পাহাড়ে থাকা কোয়ারি থেকে চোরাচালানের কয়লার বস্তা আনতে যায় আল আমিন। এরপর ভারতের বিএসএফ বড়ছড়া কোম্পানী হেডকোয়ার্টারের একটি টহল দল আল আমিনকে আটক করে বিএসএফ কোম্পানী হেডকোয়ার্টারে নিয়ে যায়।
মঙ্গলবার বিকেলে ২৮-বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বিজিবি’র সুনামগঞ্জের টেকেরঘাট কোম্পানী হেডকোয়ার্টারের বিজিবির কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার কামাল হোসেনের নিকট বিএসএফের হাতে কয়লা শ্রমিক আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিএসএফের হাতে কোন শ্রমিক আটক হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই।
মন্তব্য করুন
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবারের মন্ত্রিসভায় অন্যতম বড় চমক ছিলেন। ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের ভূমিধ্বস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হয় এবং এই নতুন মন্ত্রিসভায় উপ মন্ত্রী থেকে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পান মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তার শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্তিটা ছিল একটা বড় ধরনের চমক। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে নানা রকম প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। অনেকেই মনে করেছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রীর এটি একটি ইতিবাচক দিক। তরুণদেরকে সামনে নিয়ে আসার জন্য তিনি যে সচেষ্ট সেই বার্তাটি তিনি মহিবুল হাসান চৌধুরীকে পূর্ণমন্ত্রী এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে প্রমাণ করেছেন।