ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশব্যাপী ভয়াল সিরিজ বোমা হামলার ১৮ বছর

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৭ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ’(জেএমবি) কর্তৃক দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার ১৮ বছর পার হলো। ২০০৫ সালের আজকের এই দিনে সারাদেশে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল (জেএমবি)। ৬৩ জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ঢাকার ৩৪টি স্থানসহ সাড়ে ৪০০ স্পটে প্রায় ৫০০ বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। এই হামলায় নিহত হন দুজন। আর আহত হন দুই শতাধিক মানুষ। 

অবশ্য ২০০১ সালের আগেই বিএনপি-জামায়াতের প্রত্যক্ষ মদদে বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রবাদিতার উত্থান হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের পরিকল্পিত গ্রেনেড হামলা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনাকে হত্যার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের ভয়ংকর নজির। ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলায় নিহত মানুষের স্বজনদের আর্তনাদ ও আহত মানুষের কান্নায় দেশে সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভ ও ঘৃণা আরো তীব্র হয়ে উঠেছিল।

১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত সারা দেশে বোমা ও গ্রেনেড হামলায় বহু মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামায়াত জোট এ ধরনের তত্পরতা বন্ধে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। হামলা প্রতিরোধ ও জঙ্গি দমনে তৎকালীন সরকারের নিষ্ক্রিয়তা জঙ্গিবাদকে আরও শক্তিশালী এবং সক্রিয় হতে সাহায্য করেছিল। 

২০০৪ সালে মতিউর রহমান নিজামী বলেছিলেন, বাংলাদেশে কোন জঙ্গি নেই। বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি। পরবর্তিতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০০৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার জেএমবিকে নিষিদ্ধ করে। বিএনপি-জামায়াতের মদদে সংগঠিত হয়ে ওঠা জেএমবি সারা দেশে তাদের অস্তিত্ব জানান দিতেই এই সিরিজ বোমা হামলা চালায়। হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, জেলা আদালত, বিমানবন্দর, বাংলাদেশে থাকা মার্কিন দূতাবাস, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, প্রেস ক্লাব ও সরকারি-আধাসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে সেদিন হামলা চালান হয়েছিল। 

পুলিশ সদরদপ্তর ও র‌্যাবের তথ্যে দেখা যায়, সিরিজ বোমা হামলায় সারা দেশের বিভিন্ন থানায় ১৫৯টি মামলা হয়। সারা দেশে দায়ের হওয়া ১৫৯টি মামলার মধ্যে রয়েছে ডিএমপিতে ১৮টি, সিএমপিতে ৮টি, আরএমপিতে ৪টি, কেএমপিতে ৩টি, বিএমপিতে ১২টি, এসএমপিতে ১০টি, ঢাকা রেঞ্জে ২৩টি, চট্টগ্রাম রেঞ্জে ১১টি, রাজশাহী রেঞ্জে ৭টি, খুলনা রেঞ্জে ২৩টি, বরিশাল রেঞ্জে ৭টি, সিলেট রেঞ্জে ১৬টি, রংপুর রেঞ্জে ৮টি, ময়মনসিংহ রেঞ্জে ৬টি ও রেলওয়ে রেঞ্জে ৩টি। ওই ঘটনায় ঢাকা ও খুলনা রেঞ্জে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়- ২৩টি করে।

এখন পর্যন্ত ১৪২টি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। বাকি ১৭টি মামলায় ঘটনার সত্যতা থাকলেও আসামি শনাক্ত করতে না পারায় চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়া হয়। এসব মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ছিল ১৩০০ জন। গ্রেপ্তার করা হয় ৯৬১ জনকে। এক হাজার ৭২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট গ্রেপ্তার করে ৪৫৫ জনকে। আর র‌্যাব গ্রেপ্তার করে ৬৭ জনকে। আর পলাতক আছে ৫০ জন আসামি।

পুলিশ জানায়, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় সারাদেশে ১৫৯টি মামলার মধ্যে ১০২টি মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। এসব মামলায় ৩৩৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। ১৫ জনের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দেয়া হয়। এর মধ্যে ৬ জনের ফাঁসি ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে।

তারা হলেন- শায়খ আবদুর রহমান, তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই, সামরিক কমান্ডার আতাউর রহমান সানি, চিন্তাবিদ আব্দুল আউয়াল, খালেদ সাইফুল্লাহ ও সালাউদ্দিন। 

এছাড়া সিরিজ বোমা হামলা মামলাগুলো থেকে ৩৪৯ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে এসব মামলায় খালাস পেয়েছে ৩৫৮ জন, জামিনে রয়েছে ১৩৩ জন আসামি। এছাড়া ঢাকায় ৫টিসহ মোট ৪১টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এসব মামলায় আসামি ৩৮৬ জন।

বিএনপি-জামায়াতের শাসনামল ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে সরকারি এমপি-মন্ত্রীদের মদদে সারাদেশে জঙ্গিরা শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে বলে অভিযোগ আছে। তারা ২০০৫ সালের পরবর্তী সময়ে দেশে ধারাবাহিক বোমা হামলা চালিয়ে বিচারক ও আইনজীবীসহ ৩০ জনকে হত্যা করে। ওই ঘটনায় আহত হন ৪ শতাধিক। ওই বছরের ৩ অক্টোবরে চট্টগ্রাম, চাঁদপুর ও লক্ষীপুরের আদালতে জঙ্গিরা বোমা হামলা চালায়। এতে তিনজন নিহত ও বিচারকসহ ৫০ জন আহত হন।

সিরিজ বোমা হামলার আসামিরা ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুললেও তাদের অনুসারী ও মদদদাতারা এখনো সক্রিয়। ২০১৬ সালের হলি আর্টিজানের হত্যাযজ্ঞ তার অন্যতম দৃষ্টান্ত। যদিও এই হামলার পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে জঙ্গী দমনে তৎপরতা চালাচ্ছে এবং যেকোন স্থানে জঙ্গী নেটওয়ার্কের সন্ধান পেলেই তারা সেখানে অভিযান চালাচ্ছে এবং কঠোরভাবে সেটি দমন করছে। তবে দেশের জঙ্গিবাদের শীর্ষ নেতা ও ধর্মীয় উগ্রবাদিতার পৃষ্ঠপোষকরা পাকিস্তান বা মধ্যপ্রাচ্যে পালিয়ে আছে। এদের সবাইকে অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার সম্পন্ন ও রায় কার্যকর করা হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জঙ্গিবাদের করালগ্রাস থেকে মুক্ত থাকতে সক্ষম হবে।


সিরিজ বোমা হামলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ

প্রকাশ: ০৪:৪৪ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাচনে ৮ জন চেয়ারম্যানসহ মোট ১৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন।

 

আজ সোমবার (১৩ মে) সকাল ১১ টায় সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেন এডিসি (রেভিনিউ) মোঃ ইমরান হোসেন।

 

প্রতিদ্বন্দ্বী ৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন, মোঃ হালিমুল হক মিরু (আনারস), এডভোকেট শেখ আব্দুল হামিদ লাবলু (কাপ পিরিচ), মুস্তাক আহমেদ (কৈ মাছ), মোঃ সাইফুল ইসলাম (টেলিফোন), গোলাম সাকলাইন (হেলিকপ্টার), ইসমাইল সুমন (দোয়াত কলম), ইউনুস আলী (ঘোড়া), এ্যাড. হুমায়ুন (মোটরসাইকেল)।

 

এছাড়া, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে মাহবুবে সোবাহান শেখ সজল মিন্টু (টিউবওয়েল), মারুফ হোসেন সুনাম (চশমা), সাইফুল ইসলাম প্রিন্স (তালা), ফারুক সরকার (মাইক) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।

 

অপরদিকে, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে মৌসুমী সরকার বাবলা পেয়েছেন হাঁস প্রতীক, লাবনী পেয়েছেন কলস প্রতীক ফুটবল প্রতীক পেয়েছেন প্রিয়া।


উপজেলা নির্বাচন   প্রতীক বরাদ্দ   চেয়ারম্যান   ভাইস চেয়ারম্যান   মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় গৃহবধূর মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশ: ০৪:২৪ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় যৌতুকের দাবীতে রিক্তা বানু নামে এক গৃহবধূর মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ অভিযোগ করা হয়েছে।

 

সোমবার (১৩ মে) সকালে গৃহবধুর মা এ অভিযোগ করেন। গৃহবধূর মা’র জবানবন্দি গ্রহন করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার।

 

এরপর তিনি মামলাটি সংশ্লিষ্ট বদলগাছী থানায় এজাহার হিসেবে লিপিবদ্ধ করার আদেশ দেন। একই সাথে ঘটনাটি অনুসন্ধান পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গোয়েন্দা শাখা (ডি.বি) নওগাঁকে নির্দেশ দেন।

 

আদালত সূত্রে জানা যায়, বদলগাছী উপজেলার বারফলা গ্রামের পিন্টু রহমানের সাথে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারী বিয়ে হয় রিক্তা বানুর। বিয়ের পর থেকেই পিন্টু রহমান দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে আসছিল। চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল ছামদুলের ছেলে পিন্টু রহমান, কুরানার ছেলে ছামদুল, ছামদুলের স্ত্রী রওশন আরা, গোলা সোনারের ছেলে বাবুল সোনার যৌতুকের জন্য বাদীর মেয়ের মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে হত্যা করে।

 

এঘটনায় গৃহবধূর মাতা বদলগাছী থানায় মামলা করতে গেলে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও.সি) মামলা গ্রহন করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। মৃত গৃহবধূর মাতা আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে হাজির হয়ে নালিশী মামলা দায়ের করেন।


গৃহবধূ হত্যা   বিষ প্রয়োগ   যৌতুক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ


Thumbnail লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ

আগামী ২৯ মে ৩য় ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনের এই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনও। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫ জন চেয়ারম্যান, ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৩ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।

 

সোমবার (১৩ মে) বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৩ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও রির্টানিং কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ। 

 

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী (আনারস), জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু (কাপ পিরিচ), বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক যুবলীগ নেতা রহমত উল্যা বিপ্লব (ঘোড়া), মোঃ আবুল কাশেম (দোয়াত কলম) ও মোঃ নিজাম উদ্দিন (মোটরসাইকেল) প্রতীক পেয়েছেন। 

 

ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো হাফিজ উল্যা (মাইক), সাবেক শ্রমিক লীগ নেতা মামুনুর রশিদ (উড়োজাহাজ), জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ইউসুফ পাটওয়ারী (বই), মোঃ ইয়াছিন আরাফাত (তালা) ও মোঃ মাসুদুর রহমান (চশমা) প্রতীক পেয়েছেন। 

 

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন লিকা (ফুটবল), বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদা আক্তার (হাঁস প্রতীক) ও সেলিনা খানম (পদ্মফুল) প্রতীক পেয়েছেন। 

 

সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং অফিসার আতিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সদর উপজেলার ২১ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৬ লাখ ১৯ হাজার ৬৪৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৯৮ হাজার ২৩৭ জন, পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ২১ হাজার ৪০৩ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ৫ জন ভোটার। মোট ভোট কেন্দ্র ১৯২ টি। 

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৩য় ধাপের নির্বাচন আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে।


উপজেলা নির্বাচন   ৩য় ধাপ   প্রতীক বরাদ্দ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে ইসির প্রজ্ঞাপন

প্রকাশ: ০২:৫২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনের সময়সূচি পুনর্নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সই করা সম্প্রতি এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় ছিল গত ১০ মে। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের গত ১১ মে দিন ধার্য ছিল। ১৬ মে পর্যন্ত বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। আপিল নিষ্পত্তি ১৭ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৮ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৯ মে। সবশেষ আগামী ৫ জুন ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে, গত ৬ মে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করেন হাইকোর্ট। তার একদিন পর ৮ মে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। এরপরেই নির্বাচনের সময়সূচি পুনর্নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি।

গত ১৬ মার্চ ওই আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই মারা যান। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। পরে গত ২৩ এপ্রিল আসনটিতে উপনির্বাচনের জন্য তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। 


উপজেলা নির্বাচন   ঝিনাইদহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ০১:৫৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝি মোঃ ইলিয়াসকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। সোমবার (১৩ মে) ভোরে উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক্সটেনশনের হ্যান্ডিক্যাপ অফিসের পেছনে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।

উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘উখিয়ার আশ্রয় শিবিরের ক্যাম্প- এক্সটেনশনের সি-এর নম্বর ব্লকে থাকতেন রোহিঙ্গাদের হেড মাঝি মোঃ ইলিয়াস। ভোরের দিকে তার ঘরের দরজা ভেঙে অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী প্রবেশ করে তাকে ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে হ্যান্ডিক্যাপ অফিসের পেছনে নিয়ে এবং সেখানে তাকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।’

তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মোঃ ইলিয়াসের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়। বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বর্তমানে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও তিনি জানান। 


হেড মাঝি   রোহিঙ্গা ক্যাম্প   হত্যা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন