একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর তার প্রতি সমবেদনা জানাতে দেখা গেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মীকে। একইভাবে সমবেদনা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন জনপ্রতিনিধি, পুলিশ সদস্য ও প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাদের এসব কর্মকাণ্ডে হতবাক মানুষ। প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই- ছাত্রলীগ, পুলিশ-প্রশাসনে হঠাৎ এত সাঈদীভক্ত এলো কোথা থেকে।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে জানা গেছে, যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত সাঈদীর মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দেওয়ায় ছাত্রলীগ, তাঁতী লীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন শিক্ষক ও পুলিশ কর্মকর্তাও। মামলা হয়েছে জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মী শোক প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি আমাকে অবাক করেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ওপেন ডোর পলিসি বন্ধ করতে হবে। দলে লোক ঢুকানোর সময় অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে ঢোকাতে হবে। তিনি বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছেন, দলে হাইব্রিড নেওয়ার চেয়ে, দল কর্মীশূন্য থাকা ভালো। প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মানতে হবে। সাঈদীভক্ত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
বিচারপতি মানিক আরও বলেন, যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর মৃত্যুর পর পুলিশ ও প্রশাসনের কিছু লোকও শোক প্রকাশ করেছে। এটা তাদের চাকরিবিধির লঙ্ঘন। সরকারি চাকরি করে তারা কখনোই একজন স্বাধীনতাবিরোধীর পক্ষে অবস্থান নিতে পারে না। এদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।
চট্টগ্রামে শিক্ষকদের শাস্তি দাবি, আট ছাত্রলীগ নেতাকে অব্যাহতি: চট্টগ্রাম থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা সাজাপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুতে চট্টগ্রামের কয়েকজন শিক্ষক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন। তাদের এ স্ট্যাটাসে বিরূপ প্রক্রিয়া দেখা দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শিক্ষকদের মধ্যে। এরই মধ্যে এক মাদরাসা শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রশংসা করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকে অব্যাহতি ও দুজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অব্যাহতি দেওয়া ছয় নেতা হলেন- চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি গাজী আমজাদ, সহসভাপতি মো. তাউসিফ, উপদফতর সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুম ও সন্দ্বীপ উপজেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক মো. রুস্তম, কার্যনির্বাহী সদস্য মো. আফসার ও পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান। এ ছাড়া বহিষ্কার করা হয়েছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের উপ-কর্মসংস্থান সম্পাদক মো. সাজেদুল হক সাজ্জাদ ও সহসম্পাদক শাহাজাহান হাবিবকে।
সাতক্ষীরা ছাত্রলীগের তিন নেতা বহিষ্কার: সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানান, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রশংসা করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় সাতক্ষীরায় তিন ছাত্রলীগ নেতাকে অব্যাহতি দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। এ ছাড়া তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার জন্য কেন্দ্র কমিটি বরাবর সুপারিশ করা হয়েছে। বুধবার রাতে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম আশিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়েছে। অব্যহতিপ্রাপ্তরা হলেন- তালা উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. সাইফুদ্দিন আজাদ সবুজ ও মাঈনুল ইসলাম মাসুম এবং সীমান্ত আদর্শ কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আশিক কবির।
শাস্তির মুখে পুলিশ কর্মকর্তা: রাজশাহী থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, যুদ্ধাপরাধ মামলায় আজীবন দণ্ডিত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের পরিদর্শক খাইরুল ইসলাম। তিনি রাজশাহী মহানগর পুলিশের কোর্ট ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত। পোস্টটি নজরে আসার পর মহানগর পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার আরএমপির সাইবার ইউনিটকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। বুধবার দুপুরে আরএমপির সাইবার ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) উৎপল কুমার চৌধুরী পুলিশ কমিশনারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের ১৭ নেতা-কর্মী বহিষ্কার: ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদ প্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় ছাত্রলীগের ১৭ নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ। তাদের স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। বুধবার বিকাল ও রাতে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি তার নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন। বহিষ্কৃত ১৭ নেতা-কর্মীর মধ্যে জেলার কসবা উপজেলার ৭ জন, আখাউড়া উপজেলার চারজন, সরাইল উপজেলার চারজন এবং আশুগঞ্জ ও নবীনগর উপজেলার একজন করে রয়েছেন।
আদমদীঘিতে তাঁতী লীগের সম্পাদককে অব্যাহতি: বগুড়া থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, সাঈদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আহসান হাবীবকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাতে বগুড়া জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক রাশেকুজ্জামান রাজনের যৌথ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা: চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, ১৪ আগস্ট ফেসবুকে যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর পক্ষে ও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস নিয়ে বিতর্কিত স্ট্যাটাস দেওয়ার দায়ে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন- ভোলাহাট উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহনাজ শিমু, পোস্টদাতা উপজেলার দলদলী ইউনিয়নের নিমগাছি এলাকার জমসেদ আলীর ছেলে ও ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি সোহেল রানা, হোসেন ভিটা এলাকার আবদুস শুকুরের ছেলে বাইরুল ইসলাম, মুশরিভুজা-খড়কপুরের আলমাস আলীর ছেলে মিনহাজুল ও খড়কপুরের জাহির হোসেনের ছেলে সাগর আলী। বুধবার রাতে মামলাটি দায়ের করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব।
পুলিশ প্রশাসন ছাত্রলীগ সাঈদীভক্ত
মন্তব্য করুন
বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা মমিনুল ইসলাম রকি হত্যা মামলার আসামি আলী
হাসান (৩০) বন্ধুর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছে। নিহত আলী হাসান বগুড়া শহরের মালগ্রাম পশ্চিমপাড়া
এলাকার জিন্নাহর ছেলে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে সদর উপজেলার শহরদিঘি গ্রামের পশ্চিমপাড়ায়
এ ঘটনা ঘটে।
পেশায় তিনি ট্রাকচালকের সহকারী। এ ছাড়াও আলী হাসান বগুড়া সদরের
ফাঁপোড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুল ইসলাম রকি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ।
এ ঘটনায় জড়িত হাসানের বন্ধু সবুজ সওদাগর পলাতক রয়েছে। সবুজ সওদাগর
বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের বগুড়া জেলা সভাপতি। তার বিরুদ্ধেও হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, দুপুরের দিকে সবুজ সওদাগরের বাড়িতে হাসান নামে
এক যুবককে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে হাসানকে হাসপাতালে নিয়ে যায় সবুজ। বিকালে ওই যুবকের
মৃত্যু হয়। সবুজ হত্যা মামলার আসামি। সে এবং তার পরিবারের সবাই মাদকাসক্ত। আমরা এলাকাবাসী
অনেকবার তাদের সতর্ক করলেও কোনো কথা শোনেনি। হাসান সবুজের বাড়িতে নিয়মিত আসত। এখানে
এসে তারা মাদক গ্রহণ করত।
ফাঁপোড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন, আমাকে অপরিচিত
একটা নম্বর থেকে জানায় সবুজ সওদাগর এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে ঘরে ফেলে রেখেছে। পরে এলাকার
লোকজন সবুজের বাড়িতে যায় এবং তাকে আটকানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশকে জানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, সবুজ ও হাসান ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। এমনকি তারা একই
হত্যা মামলার আসামিও ছিল। তাদের নানা অপকর্মে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ ছিল।
বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ‘ছুরিকাঘাতে আলী হাসান
নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সে পলাতক রয়েছে। আমরা তাকে আইনের আওতায়
আনতে অভিযান শুরু করেছি’।
মন্তব্য করুন
মৌসুমের
শুরুতেই বাজার দখল করেছে আম
ও লিচু। বাজারে মিলছে হিমসাগর, গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বারিফল এবং কাঠিমনসহ কয়েক
প্রজাতির আম। পাশাপাশি উচ্চদামে
বিক্রি হচ্ছে থাইল্যান্ডের জাম্বু আম ও কয়েক
প্রজাতির লিচুও। তবে দেশীয় আমের
দামও কম নয়। প্রতিকেজি দেশীয় প্রজাতির আম বিক্রি হচ্ছে
১৮০ থেকে ৩৫০ টাকা
কেজিতে।
অপরদিকে
প্রতি একশ পিস লিচু
বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১৬শ
টাকায়। তবে বাজারে এমন
চড়া দামে ফল কিনতে
একদিকে ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই এসব ফল
বাজারে আসায় স্বাদ নিয়েও
রয়েছে অভিযোগ।
মঙ্গলবার
(১৪ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ,পুরাতন পল্টন,
মতিঝিল এবং এর আশেপাশের
ফলের বাজার ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের
সাথে কথা বলে এমন
চিত্র দেখা গেছে।
ক্রেতারা
বলছেন, দাম কমলে মানুষ
বেশি করে ফল কিনতে
পারবে। সবার খাওয়ার চাহিদাও
বাড়বে। অন্যসব বছরের তুলনায় লিচুর দাম অনেক বেশি।
আমের দামও অনেক বেড়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন- প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফলন কমেছে রসালো
ফল আম ও লিচুর।
ফলে সঙ্গত কারণে একদিকে যেমন বাজারে আম
এবং লিচুর সংকট তৈরি হবে
তেমনি বিক্রিও হবে চড়া দামে।
তবে মৌসুম পুরোপুরি শুরু হওয়ার পর
দাম অপেক্ষাকৃত কমবে বলেও দাবি
বিক্রেতাদের।
বাজার
ঘুরে দেখা গেছে মৌসুমের
শুরুতেই ৬ থেকে ৭
প্রজাতির আম পাওয়া যাচ্ছে।
এসব আমের মধ্যে হিমসাগর
প্রতিকেজি ২০০ টাকা, গোপালভোগ
প্রতিকেজি ২০০ টাকা, গোবিন্দভোগ
প্রতিকেজি ১৮০ টাকা, বারিফল
প্রতিকেজি ৩০০ টাকা, কাঠিমন
প্রতিকেজি ২০০ টাকা, সাতক্ষীরার
গোপালভোগ প্রতিকেজি ৩৫০ টাকা, থাইল্যান্ডের
জাম্বু আম (সবুজ প্রজাতি)
প্রতিকেজি ১ হাজার টাকা
এবং থাইল্যান্ডের জাম্বু আম (লাল প্রজাতি)
১২শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে
বাজারে প্রতি একশ পিস বোম্বাই
লিচু ৫০০ টাকা, প্রতি
একশ পিস কদমি লিচু
৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা,
চায়না লিচু প্রতি একশ
পিস ১৪শ টাকা, বেলোয়ারি
লিচু প্রতি একশ পিস ৮০০
টাকা এবং হাওয়াই মিঠাই
প্রজাতির একশ পিস লিচু
১৬শ টাকা দরে বিক্রি
হচ্ছে।
এক
লিচু ব্যবসায়ী বলেন, এবছর লিচুর দাম
বেশি। পাইকারি বাজারে অতিরিক্ত দামে লিচু কিনতে
হচ্ছে বলেই বেশি দামে
বিক্রি করা লাগছে। সাধারণ
৩০০ টাকায় একশ পিস লিচু
বিক্রি যৌক্তিক থাকলেও তা দাম বেড়ে
৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা
বিক্রি করতে বেশ বেগ
পেতে হচ্ছে বিক্রেতাদেরও।
ফল
কিনতে আসা গোলাম রাব্বী
বলেন, সবকিছুতেই দাম বেশি। তবে
ফলের বাজারে দামের আগুন আরেকটু বেশি।
এক কেজি আম যদি
৩০০ টাকায় কিনতে হয় তাহলে যার
দৈনিক আয় ৪০০ টাকা
সে কি করবে? কীভাবে
খাবে? দেশীয় ফলের দাম এত
বেশি হওয়া একদম উচিত
নয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চলতি মাসেই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ চারটি মন্ত্রণালয়ের সচিবরা অবসরে যাচ্ছেন। আর তাদের অবসরের পর শূন্য সচিব পদে বেশ কয়েকটি শূন্যপদ হচ্ছে। আর এই শূন্যপদ পূরণের জন্য প্রথমবারের মত ১৫তম ব্যাচের অভিষেক হচ্ছে।
অবশ্য ১৫তম ব্যাচের খাইরুল ইসলাম ইতোমধ্যে সচিব হয়েছেন। তবে তিনি অবসরে যাওয়ার শেষ মুহূর্তে তাকে সচিব পদমর্যাদা দেওয়া হয়। এখন তিনি বিডার নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। খায়রুল ইসলামের সচিব পদোন্নতিটা ছিল রাজনৈতিক বিবেচনায় বলেই অনেকে মনে করেন। এখন নিয়মিতভাবে ১৫তম ব্যাচ থেকে সচিব পদে পদায়ন শুরু হতে পারে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
সচিব পদে যারা অবসরে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে আগামী ১৮মে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে থাকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ অবসরে যাচ্ছেন। তপন কান্তি ঘোষের মেয়াদ গত বছর ১৮মে শেষ হয়েছিল। তাকে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। আগামী ১৬মে তিনি শেষ কর্মদিবস পালন করবেন। তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ আর হচ্ছে না বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এছাড়া, ৩১মে অবসরে যাচ্ছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মোহাম্মদ হাসিবুল ইসলাম। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। আবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে যে, না তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়ার তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই।
অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব জনাব মুস্তাফিজুর রহমানের চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে ২৫মে এবং তার চুক্তি নবায়ন করা হচ্ছে না বলেই একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলমের এই পদে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেষ পর্যন্ত জাহাঙ্গীর আলম হবে কি না তা বোঝা যাবে প্রজ্ঞাপন জারির পরপরই।
এছাড়াও, বহুল আলোচিত আর্থিক খাতের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ অবসরে যাচ্ছেন চলতি মাসের ২০মে এবং তারও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ আর হচ্ছে না বলেই জানা গেছে। আর্থিক খাতের নতুন সচিব কে হবেন তা নিয়ে বিভিন্নমুখী আলোচনা চলছে।
দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে যে, চলতি মাসে এই চারজন গুরুত্বপূর্ণ সচিবের অবসর ছাড়াও সামনের দিনগুলোতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সচিবের পদ খালি হচ্ছে। পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকারের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী ১২জুন। তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হতে পারে বলে প্রশাসনের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে।
এছাড়া, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল এর চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী ১৫জুন। হাসানুজ্জামান কল্লোল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে অনেকে মনে করছেন যে, তিনি শেষ পর্যন্ত চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ পাবেন না।
তবে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে ৫ জুলাই। তিনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাবেন কিনা তা নিয়ে নানামুখী আলোচনা আছে। তবে শেষপর্যন্ত যদি তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ না হয় সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব হিসেবে দুজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার নাম আছে। তার মধ্যে রয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল এবং শিল্পমন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা। তবে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কে হবেন এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্তভাবে নিবেন প্রধানমন্ত্রী।
সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস
মন্তব্য করুন
রাজধানীর গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাসায় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেছেন ঢাকা সফররত মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, শ্রমিক নেতা ও জলবায়ুকর্মী। মূলত নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সমসাময়িক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা।