ইনসাইড বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড এবং সংকটে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর ভূমিকা

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২২ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail

হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ১৫ আগস্ট খুব ভোরে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে সাতটায় আর জার্মান সময় ভোর সাড়ে তিনটার দিকে অভ্যুত্থান ও বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার সংবাদ পান জার্মান লেখিকা ও সাংবাদিক গিজেলা বনের (Gisela Bonn) একটি ফোনের মাধ্যমে। ৬৬ বছর বয়সী গিজেলা বনকে রাষ্ট্রদূত চৌধুরী বেশ আগে থেকেই চিনতেন তাঁর ভারত উপমহাদেশ নিয়ে আগ্রহ, লেখালেখি ও কাজকর্মের কারণে। সাংবাদিকতা করায় নানা বিষয়েই খবরাখবর রাখতেন গিজেল বন। ওই দিন গভীর রাতে তিনি বাংলাদেশে সামরিক অভ্যুত্থানের খবর পান। এর পরপরই তিনি হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীকে ফোন করে বাংলাদেশে সামরিক অভ্যুত্থান এবং শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সবাই যে নিহত হয়েছেন, সে সম্পর্কে জানান। ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকেও হুমায়ুন। রশীদ চৌধুরীর কাছে একই ধরনের সংবাদ জানিয়ে ফোন আসে।

এই সংবাদ শোনার পর রাষ্ট্রদূত চৌধুরী হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। একদিকে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবের কন্যারা তাঁর অতিথি, অন্যদিকে ওই একই দিন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামালের সঙ্গে দেখা করার জন্য তাঁর ফ্রাঙ্কফুর্ট রাইন—মাইন বিমানবন্দরে যাওয়ার কথা। এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত চৌধুরী তাঁর দুই সহকর্মী তারিক এ করিম ও আমজাদুল হককে ফোন করে দ্রুত তাঁর বাসায় আসতে বলেন। রাষ্ট্রদূত চৌধুরী তারিক এ করিমকে বলেন তাঁর স্ত্রী নাগমাকেও সঙ্গে নিয়ে আসতে। জানান যে তাঁর গাড়িটি তিনি তাঁদের জন্য পাঠাচ্ছেন। তিনি তাঁদের দ্রুত তৈরি হতে বলেন।

অত ভোরে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর আতঙ্কজড়িত কণ্ঠ শুনে তারিক এ করিম বিচলিত হন। তিনি মনে করেছিলেন, রাষ্ট্রদূতের বাসায় সম্ভবত কোনো দুর্ঘটনা ঘটেছে। নইলে কেন স্ত্রী নাগমাকে সঙ্গে নিয়ে যেতে বলছেন! তিনি থাকতেন বন শহরের রেমাগেন এলাকায়। একটু পরেই রাষ্ট্রদূতের গাড়ি তাঁর বাসায় এসে পৌঁছায়। কিন্তু তারিক এ করিম কাজে লাগতে পারে ভেবে নিজের গাড়ি নিয়েই রাষ্ট্রদূতের বাসায় যান। রেমাগেন থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে ছিল রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন রশীদ চৌধুরীর বাসা। সকাল পৌনে ছয়টার মধ্যে তাঁরা সেখানে পৌঁছে যান।

ওদিকে ভোর পাঁচটার দিকে রাষ্ট্রদূত চৌধুরীর কাছ থেকে ফোন পেরেছিলেন আমজাদুল হক। বিছানার পাশেই রাখা ফোনটা ধরতেই রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আপনাকে এখনই আমার বাসায় আসতে হবে।’ আমজাদুল হক এই লেখককে জানান, ওই দিন ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য তাঁর সকাল সাড়ে সাতটায় রাষ্ট্রদূত চৌধুরীর বাসায় মিলিত হওয়ার কথা ছিল। তাই তিনি রাষ্ট্রদূতকে বলেন, ‘এখন বাজে ভোর পাঁচটা, আমাদের তো আরও পরে মিলিত হওয়ার কথা।’ রাষ্ট্রদূত তখন বলেন, ‘বাংলাদেশে ক্যু হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধু আহত বা গ্রেপ্তার হয়েছেন, আপনি এখনই চলে আসুন।’ এই কথা শুনে আমজাদুল হক। কাঁদতে থাকেন।

তারিক এ করিম সস্ত্রীক রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে পৌঁছে দেখেন, আমজাদুল হক তাঁর আগেই পৌঁছে গেছেন। আমজাদুল হক তখন অবিবাহিত ছিলেন। রাষ্ট্রদূতের বাড়ির কাছেই থাকতেন। তারিক এ করিম তাঁর কাছ থেকে জানতে পারলেন রাষ্ট্রদূত চৌধুরী তাঁর শোবার ঘরের ফোন থেকে কারও সঙ্গে কথা বলছেন। এ সময় রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী মাহজাবিন চৌধুরী তারিক এ করিমকে এক পাশে ডেকে নিয়ে জানান, ভোর সাড়ে তিনটা থেকে এভাবে একটার পর একটা ফোন আসছে। বাংলাদেশে নাকি সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে। তিনি একটার পর একটা ফোন রিসিভ করেই চলেছেন।

তাঁদের আসার খবর পেয়ে একটু পর রাষ্ট্রদূত চৌধুরী উদ্ভ্রান্তের মতো ওপর থেকে নিচে নেমে আসেন। তাঁর বসার ঘরে ঢুকে তিনি বঙ্গবন্ধুর ছবির দিকে কিছুক্ষণ বিহ্বল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। এরপর রাষ্ট্রদূত চৌধুরী তখন পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের পরিস্থিতি এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নিহত হওয়ার ঘটনা সম্বন্ধে যা শুনেছেন, তা তাঁদের দুজনকে জানান। তিনি আরও জানান, আজ ব্রাসেলস থেকে শেখ হাসিনাদের প্যারিস যাওয়ার কথা। আমার মনে হয় তাঁদের নিরাপত্তার জন্য আর কোথাও যাওয়া সমীচীন নয়।‘তাহলে কী করা যায়’, এই স্বগতোক্তি করে তিনি বলেন, আমি ঝুঁকি নিয়ে হলেও তাঁদের এখানে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করব।’

এরপর কীভাবে এই খবর শেখ হাসিনাকে দেওয়া যায়, তা নিয়ে তাঁরা আলোচনা করেন। আমজাদুল হক বলেন, এই মুহূর্তে এই ঘটনার কথা কোনোভাবেই টেলিফোনে শেখ হাসিনাকে জানানো ঠিক হবে না। তিনি তা সহ্য করতে পারবেন না। আলোচনা করে তাঁরা সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর বিষয়টি শেখ হাসিনা বা শেখ রেহানাকে না জানিয়ে ওয়াজেদ মিয়াকে জানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন।

আলোচনার পর রাষ্ট্রদূত চৌধুরী বাংলাদেশের ঘটনা জানাতে রাষ্ট্রদূত সানাউল হককে ফোন করেন। সানাউল হক ফোনে ঘটনা শোনার পর কিছুটা উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘আপনারা বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের এখানে পাঠিয়ে আমাকে তো বিপদে ফেললেন।’ প্রতি—উত্তরে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা যে ঘটবে, তা আমরা আগে থেকে জানতাম না। আপনার অসুবিধা হলে এখনই তাদের বন অভিমুখে রওনা হতে বলেন।’ এরপর তিনি সানাউল হককে জানান, তিনি ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে কথা বলবেন। কিন্তু ওয়াজেদ মিয়ার পরিবর্তে ফোন ধরেন শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রদূত চৌধুরী শেখ হাসিনাকে জানান, তিনি ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে একটু কথা বলতে চান। ওয়াজেদ মিয়া ফোন ধরলে তিনি তাঁকে জানান বাংলাদেশে ক্যু হয়েছে। তিনি তাঁকে বলেন ফ্রান্সে না গিয়ে বনে ফিরে আসতে। সব ঘটনা শুনে ওয়াজেদ মিয়া জিজেস করেন, ‘তাঁর শাশুড়ির কী হয়েছে?’ শাশুড়ির কথা শুনে তিনি ফোনের পাশে থাকা চেয়ারে বসে পড়েন। এ কথা পরে আমজাদুল হককে জানিয়েছিলেন। ওয়াজেদ মিয়া।

রাষ্ট্রদূত চৌধুরী ওয়াজেদ মিয়াকে ফোনে বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিহত হওয়ার ঘটনা শেখ হাসিনাকে না জানাতে। ক্যু হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধু হয়তো আহত হয়েছেন—এ কথা বলতে। আর শেখ রেহানা ছোট, তাকে এসব কিছুই না জানাতে।

রাষ্ট্রদূত চৌধুরী টেলিফোনে যখন ওয়াজেদ মিয়া ও সানাউল হকের সঙ্গে কথা বলেন, তখন সেখানে রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী মাহজাবিন চৌধুরীসহ তারিক এ করিম, নাগমা করিম ও আমজাদুল হকও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাও এই কথোপকথন শোনেন।

ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে ফোনে আলাপের পর রাষ্ট্রদূত চৌধুরী সানাউল হকের সঙ্গে আবার কথা বলেন। তিনি সানাউল হককে শেখ হাসিনাদের বনে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি গাড়ির ব্যবস্থা করতে বলেন। এতে সানাউল হক তার অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, দূতাবাসের পতাকাবাহী গাড়ি দিয়ে আমি যদি তাঁদের বনে পাঠানোর ব্যবস্থা করি, তাহলে আমার তো চাকরি থাকবে না। রাষ্ট্রদূত চৌধুরী তখন তাঁকে জানান, তাদের দূতাবাসের আছে মাত্র দুটি গাড়ি। সেই দুটি গাড়িই ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে যাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল হোসেনকে নিয়ে আসতে। আগে থেকেই এই পরিকল্পনা করা রয়েছে। ফলে গাড়ির সংকট আছে।

রাষ্ট্রদূত চৌধুরী সানাউল হকের সঙ্গে কথা বলার পর খুব হতাশ হয়ে সোফায় বসে পড়েন। একটু পরে উঠে দাঁড়িয়ে খানিকটা উঁচুগ্রামে স্বগতোক্তির মতো করে বলেন, `I am the captain of the ship. let me take decision. (আমিই জাহাজের ক্যাপ্টেন, এখন আমাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।) বঙ্গবন্ধুর কন্যাদের আমি ইউরোপের রাস্তাঘাটে ফেলে দিতে পারি না। আমি তাঁদের এখানেই ফিরিয়ে আনব।

কী অবাক ঘটনা, একজন রাষ্ট্রদূত তাঁর চাকরি হারানোর ভয়ে সদ্য মা— বাবা হারানো দুই মেয়েকে অনতিবিলম্বে তাঁর বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে তাগাদা দিচ্ছেন, আর অন্য একজন রাষ্ট্রদূত অতি আপনজনের মতো পরম মমতায় তাঁর নিজ গৃহে তাঁদের আশ্রয় দিচ্ছেন।

কিছুক্ষণ পর সানাউল হক রাষ্ট্রদূত চৌধুরীকে ফোন করে জানান, ব্রাসেলসের বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব জাহাঙ্গীর সাদাতের ব্যক্তিগত গাড়িতে শেখ হাসিনাদের বেলজিয়াম—পশ্চিম জার্মানি সীমান্তের আখেন পর্যন্ত পৌঁছানোর ব্যবস্থা তিনি করেছেন। বেলজিয়াম সীমান্ত থেকে তাঁদের বনে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য তিনি তাঁকে অনুরোধ করেন।

এ সময় তারিক এ করিম ও আমজাদুল হক রাষ্ট্রদূতকে তাঁদের নিজেদের ব্যক্তিগত গাড়িতে করে শেখ হাসিনাদের আখেন থেকে বনে নিয়ে আসার প্রস্তাব দেন। তখন মাহজাবিন চৌধুরী বলেন, আমজাদুল হক সাহেবের লাল গাড়িটি ছোট। তাঁরা দুই বাচ্চাসহ মোট পাঁচজন। এ ছাড়া সঙ্গে তাঁদের মালপত্রও আছে। বরং তারিক এ করিমের হলুদ ভক্সওয়াগন প্যাসাট গাড়িটি কিছুটা বড়। সেটি পাঠালে তাঁদের অসুবিধা হবে না।

এরপর তাঁরা সিন্ধান্ত নিলেন শেখ হাসিনাদের আনতে দূতাবাসের গাড়িচালক শাহাজাহান তালুকদার তারিক এ করিমের গাড়ি নিয়ে আখেন যাবেন । তাঁকে ওই দিন ছুটি দেওয়া হবে। আর দূতাবাসের যে দুই গাড়ির ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে যাওয়ার কথা, তার একটি চালিয়ে বিমানবন্দরে যাবেন তারিক এ করিম। অপরটি চালাবেন দূতাবাসের অপর গাড়িচালক মুহাম্মদ আনোয়ার আলী।

২০১৪ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের এক অনুষ্ঠানে ওই ঘটনার কথা স্মরণ করে বলেছিলেন, জার্মানিতে নিযুক্ত তৎকালীন রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী সরকারি কর্মকর্তা হয়েও সাহায্য করেছিলেন। কিন্তু আব্বার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশে ছিলেন। তাঁর কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি। একটা বিবৃতি দিতে অনুরোধ করলেও রাজি হননি।


বঙ্গবন্ধু   হত্যাকাণ্ড   হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাফসানের বাবা-মায়ের নামে আড়াই কোটি টাকা ঋণের মামলা

প্রকাশ: ১০:০২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি বিলাসবহুল এক গাড়ি উপহার দিয়ে বাবা-মাকে চমকে দিয়েছেন রাফসান দ্য ছোটভাই খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ইফতেখার রাফসান। এবার রাফসানের বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে বিপুল অংকের টাকা ঋণ পরিশোধ না করার অভিযোগ উঠেছে।

রাফসানের (রাফসান দ্য ছোট ভাই) বাবা মো. জাকারিয়া এবং তার মা কাজী নুরুন্নেছা সেহেলি ব্যাংক ঋণ পরিশোধ না করায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়। পরে তারা জামিন নিলেও সম্পত্তি নিলামের আদেশ হয়। কিন্তু সেই আদেশ হাইকোর্টে রিট করে আটকে দিয়েছেন বলে জানা যায়।

বিপুল অর্থের ঋণ পরিশোধ না করার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন সাইয়েদ আব্দুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি।

পোস্টের কমেন্টে তিনি রাফসানের বাবা ও মায়ের ঋণ নেয়ার, সম্পত্তি নিলাম হওয়ার এবং রিট পিটিশনের ডকুমেন্টও সংযুক্ত করেছেন তিনি।

কন্টেন্ট ক্রিয়েটর   ইফতেখার রাফসান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অসুস্থ হয়ে আদালতের বেঞ্চে শুয়ে পড়লেন বাবুল

প্রকাশ: ০৯:৪৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামে মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে আদালতে হাজির করার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় তিনি আদালতের বেঞ্চে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন। এদিকে সাক্ষী না আসায় সোমবার কোনো সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। পরে তাকে প্রিজন ভ্যানে করে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়। 

চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে মামলাটির বিচার কার্যক্রম চলছে। 

আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহমেদ জানান, মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য বাবুল আক্তারকে সকাল ১০টার দিকে ফেনী কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। দুপুর ১২টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে বেঞ্চে শুয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট করেন। সুস্থবোধ করলে তাকে কারাগারে ফেরত নেওয়া পাঠানো হয়। সাক্ষী না আসায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। আগামী ১৫ মে সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন করা হন মাহমুদা খানম মিতু। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পিবিআই সাতজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এখনও পর্যন্ত এ মামলায় ৪৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার   মিতু হত্যা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রকাশ্যে ভোট দেয়ায় এমপি মল্লিককে তলব করেছে ইসি

প্রকাশ: ০৯:১৪ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ায় বরিশাল-৬ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল হাফিজ মল্লিককে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (১৩ মে) তাকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান।

গত ৮ মে অনুষ্ঠিত বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট দিয়ে নির্বাচনি অপরাধ করেছেন তিনি। এ জন্য আগামী বুধবার (১৫ মে) দুপুর ১২টায় তাকে নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হতে বলেছে ইসি।

চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন গত ৮ মে আপনি ৪৭নং মঙ্গলসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোট দিয়েছেন। যার ভিডিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায়) ছবিসহ প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশ্যে ভোট দিয়ে ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা না করা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা অনুসারে শাস্তিযোগ্য নির্বাচনি অপরাধ। ওই অপরাধ সংঘটনের কারণে আপনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও পদ্ধতিগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্পিকারের কাছে কেন পত্র দেয়া হবে না, সে বিষয়ে আগামী বুধবার (১৫ মে) দুপুর ১২টায় নির্বাচন কমিশনে আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে আপনাকে উল্লিখিত তারিখ ও সময়ে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

প্রকাশ্যে ভোট   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান

প্রকাশ: ০৮:৩৯ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ইন্দো-প্যাসিফিক স্থলবাহিনীবিষয়ক সম্মেলন ও প্রদর্শনীতে অংশ নিতে সোমবার (১৩ মে) যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন।

সফরকালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যে আগামী ১৪-১৬ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় দ্যা ল্যান্ড ফোরসেস প্যাসিফিক (এলএএনপিএসি) সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ করবেন।

সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া'র বাহিনী প্রধানসহ বিভিন্ন দেশ হতে আগত সেনাবাহিনী প্রধানগণ ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, এ সিম্পোজিয়ামের লক্ষ্য হলো ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্থল বাহিনীগুলোর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করা, পেশাদার সম্পর্ক উন্নয়ন ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা।

সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া'র বাহিনী প্রধানসহ বিভিন্ন দেশ হতে আগত সেনাবাহিনী প্রধানগণ ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন।

সিম্পোজিয়াম শেষে সেনাবাহিনী প্রধান আগামী ১৯ মে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করবেন।

সরকারি সফর   যুক্তরাষ্ট্র   সেনাপ্রধান   এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কুতুবদিয়ায় পৌঁছেছে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশ: ০৭:০৭ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিক এক মাস পর কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় এসে পৌঁছেছে। 

সোমবার (১৩ মে) বিকেলে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে এসে পৌঁছায় জাহাজটি। আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে সদরঘাট জেটিতে তাদের বরণ করবেন স্বজনরা। 

এমভি আবদুল্লাহর ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ তানভীর গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা উপকূল থেকে ৫-৬ নটিক্যাল মাইল দূরে আছি। সাড়ে চারটার দিকে আমরা কুতুবদিয়া পৌঁছেছি। কিছুক্ষণ পর জাহাজ নোঙর করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ৩২ দিন জিম্মি থাকার পর মুক্তিপণ নিয়ে ১৪ এপ্রিল জাহাজটি মুক্ত করে দেয় তারা। এরপর আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পণ্য খালাস করে জাহাজটি আরেকটি বন্দরে নতুন পণ্য বোঝাই করে। সেখান থেকে রওনা দেয়ার পর গত শনিবার জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় আসে। এর আগে একই মালিক গ্রুপের এমভি জাহান মনিকে নাবিকসহ ২০১০ সালে জিম্মি করেছিল জলদস্যুরা। সেবারও মুক্তিপণ দিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।

কুতুবদিয়া   এমভি আবদুল্লাহ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন