ইনসাইড বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকা

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২৫ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকা।

২২ আগস্ট ১৯৭৫ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তৈরি বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতির সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণে বাংলাদেশেরও উল্লেখ রয়েছে। রবিনসনের স্বাক্ষরিত এই বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, মিসেস গান্ধী ব্লিৎজ-এ প্রকাশিত নিবন্ধকে সংবেদনশীল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি সফররত মার্কিন সিনেটর টমাস এফ ইগলটনের কাছে মন্তব্য করেছেন যে, বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে সিআইএর জড়িত থাকার বিষয়ে ব্লিৎজ পত্রিকায় যে নিবন্ধ বেরিয়েছে, তা চাঞ্চল্যকর। মিসেস গান্ধীকে যখন এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, তখন তাঁকে কিছুটা বিব্রত বলে মনে হয়েছে। ইন্দিরা গান্ধী এই নিবন্ধ প্রকাশে বিস্ময় প্রকাশ করেন এবং বলেন, 'আমরা সংবাদক্ষেত্রটি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।' বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে সিআইএর জড়িত থাকার বিষয়ে মিসেস গান্ধীর বিশ্বাস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে মিসেস গান্ধী দুবার উচ্চারণ করেন, 'আমাদের কাছে এমন কোনো খবর নেই।'


মার্কিন অধ্যাপক মার্কাস ফ্রান্ডা দীর্ঘদিন বাংলাদেশে ছিলেন। ১৯৭৫ সালে আমেরিকান ইউনিভার্সিটির ফিল্ড স্টাফ প্রতিবেদনে তিনি লিখেছেন, 'কিছু সময়ের জন্য হলেও মিসেস গান্ধী সুচিন্তিতভাবে নীরবতার নীতি অনুসরণ করেন। মোশতাককে ‘মার্কিন চামচা’ হিসেবে চিহ্নিত করার ব্যাপারে তিনি কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়াকে (সিপিআই) অনুমোদন দিলেও নিজে কিন্তু মুজিব হত্যায় সিআইএর সম্পৃক্ততার বিষয়ে কোনো অভিযোগ তোলেননি ।


নয়াদিল্লির মার্কিন দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, সেন্সরশিপ সত্ত্বেও এই বিষয়ে ভারতীয় সংবাদপত্রে যা কিছু ছাপা হচ্ছে, তা সরকারের ‘রশি আলগা করে দেওয়ার নীতির ফসল।


'চিলির নাটের গুরু এখন ঢাকায়' বলে মুজিব হত্যায় বোস্টারকে দায়ী করেছিল পশ্চিমবঙ্গের মিডিয়া। আসলে জরুরি অবস্থার মধ্যেও, বিশেষ করে দিল্লি, বোম্বে ও কলকাতার পত্রপত্রিকায় মুজিব হত্যায় সিআইএর জড়িত থাকার বিষয়ে বেশ কিছু রিপোর্ট ছাপা হয়। এ নিয়ে দেখা দিয়েছিল দিল্লি- ওয়াশিংটন সম্পর্কে টানাপোড়েন।


ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রভাবশালী সিনেটর ইগলটন (১৯৬৮-৮৭ মেয়াদে মিসৌরি থেকে নির্বাচিত, ২০০৭ সালে মারা যান) পঁচাত্তরের ২১ আগস্ট দিল্লি সফরে গিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে প্রশ্ন করেছিলেন, 'আপনি কি বিশ্বাস করেন যে মুজিব হত্যাকাণ্ডে সিআইএর হাত আছে?' ইন্দিরা একটি বাকা দুবার উচ্চারণ করেন, 'আমাদের কাছে তেমন খবর নেই।'


ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি স্যাক্সবির পাঠানো প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ব্লিৎজ নামে একটি পত্রিকা সিআইএকে দায়ী করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। ব্লিৎজ-এ প্রকাশিত উক্ত নিবন্ধে বলা হয়, ঢাকায় সাহায্যকর্মীর নামে আসলে বিপুলসংখ্যক সিআইএর কর্মী ভিড় করেছে। পিটার বার্লে ছিলেন কলকাতার মার্কিন দূতাবাসের কাউন্সিলর। সিআইএর ছদ্মবেশী এজেন্ট। তাঁকে সম্প্রতি ঢাকায় পাঠানো হয়। এ-সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে ইন্দিরা গান্ধী বলেন, 'এই পত্রিকা চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী খবর ছাপে। আমার বিরুদ্ধেও লিখেছিল। কিন্তু আগস্টেই ব্লিৎজ ইন্দিরার বিশেষ সাক্ষাৎকার ছাপে। ভারতে ওই সময়ে জরুরি অবস্থা ছিল। সে কারণে মার্কিনরা সন্দেহ করত যে এসব খবর সেন্সরমুক্ত হয় কী করে। ওই সময়ে ভারতের মস্কোপন্থী কমিউনিস্টরা কংগ্রেস সরকারকে সমর্থন দিচ্ছিল। তারা মুজিব হত্যায় সিআইএকে জড়িয়ে জোরালো বক্তব্য দেয়। বামপন্থী সাংসদেরা মার্চ মাসে উত্তর-পূর্ব ভারত ও বাংলাদেশে সিআইএর 'ব্যাপক অশুভ তৎপরতা ‘ বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন। এমনকি তাঁরা এ বিষয়ে বক্তব্য দেন।


ভারতের কমিউনিস্ট নেতা ও বিশ্ব শান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র বাংলাদেশেও একটি পরিচিত মুখ। তিনি ছিলেন ভালো বক্তা। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নথিপত্র থেকে দেখা যায়, ২২ নভেম্বর ৭৫ লেনিনগ্রাদে তিনি মুজিব হত্যার তদন্তে একটি আন্তর্জাতিক কমিশন গঠনের আহ্বান জানান। তিনি তথ্য দেন যে সিআইএর ষড়যন্ত্রের বিষয়ে মুজিবকে তিনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন। মুজিব তাঁকে বলেছিলেন, তিনি এ বিষয়ে সজাগ রয়েছেন।


সেপ্টেম্বরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াই বি চ্যবন গিয়েছিলেন ওয়াশিংটন। ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্যাক্সবি ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ লিখেছেন, 'মস্কোপন্থী কমিউনিস্টরা ইন্দিরাকে সহায়তা করেন। কিন্তু মুজিব হত্যা নিয়ে ইন্দিরা প্রশাসনের ভূমিকায় আমরা হতাশ। কমিউনিস্টরা কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই মুজিব হত্যায় সিআইএকে জড়িত করে প্রচার চালাচ্ছে।' ২২ আগস্ট স্যাক্সবি এক বার্তায় ওয়াশিংটনকে জানান, 'ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চ্যবন রাষ্ট্রদূত ও সিনেটর ইগলটনকে বলেছেন, 'কমিউনিস্টরা যে এ রকম আক্রমণাত্মক অভিযোগ করছে, আপনারা এটা সোভিয়েতের কাছে তুলতে পারেন।' যদিও সিপিআইয়ের পত্রিকা কালান্তর-এ পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সৌগত রায়ের এরকম একটি মন্তব্য ছাপা হয় যে মুজিব হত্যা সিআইএর ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়। ২১ আগস্ট কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাগরিক কমিটির সভায়ও সিআইএকে দায়ী করা হয়। ২২ আগস্ট প্যাট্রিয়ট পত্রিকা রিপোর্ট করে যে ওই সভায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিও তাঁর বক্তব্যে সিআইএকে অভিযুক্ত করেছেন ।


উল্লেখ্য, ২২ আগস্ট ১৯৭৫ সিনেটর ইগলটনের সঙ্গে মিসেস গান্ধীর কথোপকথন বিষয়ে দিল্লিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্যাক্সবি পৃথক একটি তারবার্তা পাঠান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে। স্যাক্সবি লিখেছেন, ব্লিৎজ –এ প্রকাশিত নিবন্ধ সম্পর্কে সিনেটর ইগলটনের প্রশ্নের জবাবে মিসেস গান্ধী বলেছেন ব্লিৎজ একটি চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী সাময়িকী। পত্রিকাটি অতীতে তাঁকেও আক্রমণ করেছে। তিনি বুঝতে পারছেন না, এই প্রশ্নসাপেক্ষ নিবন্ধটি কী করে ছাপা হতে পারল। মিসেস গান্ধী আসলে প্রসঙ্গটি তোলায় বিব্রত হয়েছেন।


 পঁচাত্তরের মধ্য আগস্টে সিনেটর ইগলটন দক্ষিণ এশিয়া সফরে ছিলেন। ১৬ আগস্ট তেল আবিব থেকে এথেন্স দিল্লিতে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সিনেটর ইগলটন ২১ আগস্ট ভারতে পৌঁছে ওই দিনই প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকে তিনি বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান। ভারতের ওপর অভ্যুত্থানের প্রভাবও জানতে চান তিনি ।


(সূত্র: মার্কিন দলিলে মুজিব হত্যাকাণ্ড।। পৃষ্টা : ১৪৭-১৪৯)


বঙ্গবন্ধু   হত্যাকাণ্ড   ইন্দিরা গান্ধী   ভূমিকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ০৯:১৫ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। রোববার (১২ মে) চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এই আদেশ দেন।

নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্তরা হলেন– মুজিবুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম ও ওয়াহিদুল ইসলাম।

মুজিবুর রহমান সাবেক মন্ত্রীর মালিকানাধীন সানোয়ারা ডেইরি ফুডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। অন্য তিনজন একই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক।

বিষয়টি আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, ৩০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের মামলায় উত্তরা ব্যাংকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সাবেক মন্ত্রীর চার ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। তারা যাতে দেশ ছেড়ে যেতে না পারেন, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঢাকার বিশেষ পুলিশ সুপার (অভিবাসন) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

উত্তরা ব্যাংক থেকে যে ৩০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে, তার বিপরীতে ব্যাংকে কোনো সম্পত্তি বন্ধক নেই। বিবাদীদের ব্যক্তিগত নিশ্চয়তা ও ট্রাস্ট রিসিটের ভিত্তিতে এই ঋণ মঞ্জুর করেছিল ব্যাংক, বলে জানান বেঞ্চ সহকারী।

সাবেক মন্ত্রী   নুরুল ইসলাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিএনপি এখন অদৃশ্য শক্তির ওপর নির্ভর হয়ে পড়ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:০৩ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচন মিস করে বিএনপি এখন অদৃশ্য শক্তির ওপর নির্ভর করা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (১২ মে) বিকেলে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অত্যন্ত পরিচ্ছন্নভাবে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। দেশরত্ন শেখ হাসিনার জয়কে সাধুবাদ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বন্ধুপ্রতীম সকল রাষ্ট্র। তারা সরকারের সঙ্গে চলমান সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে চায়।

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পরাজয় বলে দেয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার দেশে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিশ্বাসী। যার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। 

গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৩৮ সদস্যকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে মিয়ানমারেরও তাঁদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ রয়েছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে আমাদের সবদিকেই সমস্যা হচ্ছে। তবে, উখিয়া-টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয় ক্যাম্প সীমান্ত থেকে দূরে হওয়ায় রাখাইনের সংঘাতের প্রভাব এখানে পড়ছে না। সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কঠোর হাতে দমন করা হচ্ছে। এরপরও অন্য দেশের বোঝা আমরা দীর্ঘদিন মাথায় নিয়ে থাকতে পারি না। এদের নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় প্রত্যাবাসনে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় সভা উপলক্ষে কক্সবাজারে অবস্থান করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সকল সদস্য। সভায় বসার আগে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেন, নাহিম রাজ্জাক, নুরুল ইসলাম নাহিদ, হাবিবুর রহমান ও জাতীয় সংসদের হুইপ সাইমুম সারওয়ার কমল এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বিএনপি   পররাষ্ট্রমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সোমবার রাতেই দেশে ফিরছে এমভি আব্দুল্লাহ

প্রকাশ: ০৭:৪৭ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

সোমালি জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় পৌঁছেছে। সোমবার এটি বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করবে।

রোববার (১২ মে) জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, রোববার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে জাহাজটি কুতুবদিয়া থেকে প্রায় ৩৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। জাহাজটি যে গতিতে চলছে তাতে আগামীকাল সন্ধ্যা বা রাতের মধ্যে কুতুবদিয়ায় পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাহাজের চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানান, জাহাজটি এখন দেশের উপকূলের কাছাকাছি রয়েছে। সবাই বাড়িতে পৌঁছে আত্মীয়স্বজনদের সাথে দেখা করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

কুতুবদিয়ায় আসার পর নাবিক ও ক্রু সদস্যদের একটি নতুন ব্যাচ জাহাজটিতে পাঠানো হবে। বর্তমানে জাহাজে যে ২৩ জন ক্রু আছেন তাদের মঙ্গলবার একটি লাইটার জাহাজে করে কেএসআরএম লাইটার জেটি সদরঘাটে আনা হবে এবং সেখান থেকে তারা নিজ নিজ বাড়িতে যাবেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এমভি আব্দুল্লাহ আমদানি করা ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে এসেছে। কার্গোর কিছু অংশ কুতুবদিয়ায় খালাস করা হবে এবং বাকি পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসবে।

উল্লেখ্য, সোমালি জলদস্যুদের হাতে অপহরণের দীর্ঘ ১ মাস পর গত ১৩ এপ্রিল সোমালিয়ার সময় রাত ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক। এর আগে জলদস্যুদের মুক্তিপণের টাকা পৌঁছানো হয় একটি বিশেষ এয়ারক্রাফটের মাধ্যমে। এই এয়ারক্রাফট থেকে দস্যুদের নির্ধারিত স্থানে তিনটি ব্যাগভর্তি ডলার পৌঁছানো হয়।

মুক্তির পর জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ২১ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে জাহাজটি।

এমভি আব্দুল্লাহ   বঙ্গোপসাগর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৫শ’ টাকার লোভে শিশুকে ব্রহ্মপুত্রে ফেলে দিলো কিশোর


Thumbnail

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।

আজ রোববার (১২ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।

এর আগে, শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকার পাটাধোয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শামিম হোসেনকে (১৫) আটক করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ওই কিশোর।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মুজাহিদ তার বাবা-মায়ের অগোচরে ঘর থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট নিয়ে পাশের এক দোকানে যায়। এসময় শামীম টাকার লোভে শিশু মুজাহিদের পিছু নেয় এবং টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাড়ির নিকটবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মুজাহিদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা নিতে না পেরে শামীম জোরপূর্বক ৫শ’ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে সানন্দবাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে শামিম গা ঢাকা দেয়। পরে নিখোঁজ মুজাহিদের স্বজনরা শামিমকে সন্দেহ করে পুলিশকে জানালে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।

দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, শামিমকে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে আটক করা হয়েছে। শনিবার ঘটনাস্থলে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মুজাহিদকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। ছোট ছেলে মুজাহিদ, সাঁতার জানে না। ধারণা করা হচ্ছে, মুজাহিদের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হলে আদালতে প্রেরণ করা হয় শামিমকে।


ব্রহ্মপুত্র নদ   ৫শ’টাকার লোভ   শিশু   কিশোর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতের হাইকমিশনারের সাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৬:১০ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান এর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রোববার (১২ মে)  দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তর কক্ষে এ সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়।

সৌজন্য সাক্ষাতকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেক্টরে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অভিন্ন ইস্যু রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের এসকল ইস্যু খুঁজে বের করে একসাথে কাজ করতে হবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে প্রযুক্তি হস্তান্তর, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, প্রশিক্ষণ, গবেষণাসহ এ সংক্রান্ত অভিন্ন ইস্যুতে একসাথে কাজ করলে দু’দেশই লাভবান হবে বলে এসময় আলোচনা করা হয়। 

ভারতের হাইকমিশনার   মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন