ইনসাইড বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকা

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২৫ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকা।

২২ আগস্ট ১৯৭৫ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তৈরি বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতির সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণে বাংলাদেশেরও উল্লেখ রয়েছে। রবিনসনের স্বাক্ষরিত এই বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, মিসেস গান্ধী ব্লিৎজ-এ প্রকাশিত নিবন্ধকে সংবেদনশীল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি সফররত মার্কিন সিনেটর টমাস এফ ইগলটনের কাছে মন্তব্য করেছেন যে, বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে সিআইএর জড়িত থাকার বিষয়ে ব্লিৎজ পত্রিকায় যে নিবন্ধ বেরিয়েছে, তা চাঞ্চল্যকর। মিসেস গান্ধীকে যখন এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, তখন তাঁকে কিছুটা বিব্রত বলে মনে হয়েছে। ইন্দিরা গান্ধী এই নিবন্ধ প্রকাশে বিস্ময় প্রকাশ করেন এবং বলেন, 'আমরা সংবাদক্ষেত্রটি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।' বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে সিআইএর জড়িত থাকার বিষয়ে মিসেস গান্ধীর বিশ্বাস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে মিসেস গান্ধী দুবার উচ্চারণ করেন, 'আমাদের কাছে এমন কোনো খবর নেই।'


মার্কিন অধ্যাপক মার্কাস ফ্রান্ডা দীর্ঘদিন বাংলাদেশে ছিলেন। ১৯৭৫ সালে আমেরিকান ইউনিভার্সিটির ফিল্ড স্টাফ প্রতিবেদনে তিনি লিখেছেন, 'কিছু সময়ের জন্য হলেও মিসেস গান্ধী সুচিন্তিতভাবে নীরবতার নীতি অনুসরণ করেন। মোশতাককে ‘মার্কিন চামচা’ হিসেবে চিহ্নিত করার ব্যাপারে তিনি কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়াকে (সিপিআই) অনুমোদন দিলেও নিজে কিন্তু মুজিব হত্যায় সিআইএর সম্পৃক্ততার বিষয়ে কোনো অভিযোগ তোলেননি ।


নয়াদিল্লির মার্কিন দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, সেন্সরশিপ সত্ত্বেও এই বিষয়ে ভারতীয় সংবাদপত্রে যা কিছু ছাপা হচ্ছে, তা সরকারের ‘রশি আলগা করে দেওয়ার নীতির ফসল।


'চিলির নাটের গুরু এখন ঢাকায়' বলে মুজিব হত্যায় বোস্টারকে দায়ী করেছিল পশ্চিমবঙ্গের মিডিয়া। আসলে জরুরি অবস্থার মধ্যেও, বিশেষ করে দিল্লি, বোম্বে ও কলকাতার পত্রপত্রিকায় মুজিব হত্যায় সিআইএর জড়িত থাকার বিষয়ে বেশ কিছু রিপোর্ট ছাপা হয়। এ নিয়ে দেখা দিয়েছিল দিল্লি- ওয়াশিংটন সম্পর্কে টানাপোড়েন।


ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রভাবশালী সিনেটর ইগলটন (১৯৬৮-৮৭ মেয়াদে মিসৌরি থেকে নির্বাচিত, ২০০৭ সালে মারা যান) পঁচাত্তরের ২১ আগস্ট দিল্লি সফরে গিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে প্রশ্ন করেছিলেন, 'আপনি কি বিশ্বাস করেন যে মুজিব হত্যাকাণ্ডে সিআইএর হাত আছে?' ইন্দিরা একটি বাকা দুবার উচ্চারণ করেন, 'আমাদের কাছে তেমন খবর নেই।'


ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি স্যাক্সবির পাঠানো প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ব্লিৎজ নামে একটি পত্রিকা সিআইএকে দায়ী করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। ব্লিৎজ-এ প্রকাশিত উক্ত নিবন্ধে বলা হয়, ঢাকায় সাহায্যকর্মীর নামে আসলে বিপুলসংখ্যক সিআইএর কর্মী ভিড় করেছে। পিটার বার্লে ছিলেন কলকাতার মার্কিন দূতাবাসের কাউন্সিলর। সিআইএর ছদ্মবেশী এজেন্ট। তাঁকে সম্প্রতি ঢাকায় পাঠানো হয়। এ-সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে ইন্দিরা গান্ধী বলেন, 'এই পত্রিকা চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী খবর ছাপে। আমার বিরুদ্ধেও লিখেছিল। কিন্তু আগস্টেই ব্লিৎজ ইন্দিরার বিশেষ সাক্ষাৎকার ছাপে। ভারতে ওই সময়ে জরুরি অবস্থা ছিল। সে কারণে মার্কিনরা সন্দেহ করত যে এসব খবর সেন্সরমুক্ত হয় কী করে। ওই সময়ে ভারতের মস্কোপন্থী কমিউনিস্টরা কংগ্রেস সরকারকে সমর্থন দিচ্ছিল। তারা মুজিব হত্যায় সিআইএকে জড়িয়ে জোরালো বক্তব্য দেয়। বামপন্থী সাংসদেরা মার্চ মাসে উত্তর-পূর্ব ভারত ও বাংলাদেশে সিআইএর 'ব্যাপক অশুভ তৎপরতা ‘ বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন। এমনকি তাঁরা এ বিষয়ে বক্তব্য দেন।


ভারতের কমিউনিস্ট নেতা ও বিশ্ব শান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র বাংলাদেশেও একটি পরিচিত মুখ। তিনি ছিলেন ভালো বক্তা। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নথিপত্র থেকে দেখা যায়, ২২ নভেম্বর ৭৫ লেনিনগ্রাদে তিনি মুজিব হত্যার তদন্তে একটি আন্তর্জাতিক কমিশন গঠনের আহ্বান জানান। তিনি তথ্য দেন যে সিআইএর ষড়যন্ত্রের বিষয়ে মুজিবকে তিনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন। মুজিব তাঁকে বলেছিলেন, তিনি এ বিষয়ে সজাগ রয়েছেন।


সেপ্টেম্বরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াই বি চ্যবন গিয়েছিলেন ওয়াশিংটন। ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্যাক্সবি ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ লিখেছেন, 'মস্কোপন্থী কমিউনিস্টরা ইন্দিরাকে সহায়তা করেন। কিন্তু মুজিব হত্যা নিয়ে ইন্দিরা প্রশাসনের ভূমিকায় আমরা হতাশ। কমিউনিস্টরা কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই মুজিব হত্যায় সিআইএকে জড়িত করে প্রচার চালাচ্ছে।' ২২ আগস্ট স্যাক্সবি এক বার্তায় ওয়াশিংটনকে জানান, 'ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চ্যবন রাষ্ট্রদূত ও সিনেটর ইগলটনকে বলেছেন, 'কমিউনিস্টরা যে এ রকম আক্রমণাত্মক অভিযোগ করছে, আপনারা এটা সোভিয়েতের কাছে তুলতে পারেন।' যদিও সিপিআইয়ের পত্রিকা কালান্তর-এ পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সৌগত রায়ের এরকম একটি মন্তব্য ছাপা হয় যে মুজিব হত্যা সিআইএর ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়। ২১ আগস্ট কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাগরিক কমিটির সভায়ও সিআইএকে দায়ী করা হয়। ২২ আগস্ট প্যাট্রিয়ট পত্রিকা রিপোর্ট করে যে ওই সভায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিও তাঁর বক্তব্যে সিআইএকে অভিযুক্ত করেছেন ।


উল্লেখ্য, ২২ আগস্ট ১৯৭৫ সিনেটর ইগলটনের সঙ্গে মিসেস গান্ধীর কথোপকথন বিষয়ে দিল্লিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্যাক্সবি পৃথক একটি তারবার্তা পাঠান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে। স্যাক্সবি লিখেছেন, ব্লিৎজ –এ প্রকাশিত নিবন্ধ সম্পর্কে সিনেটর ইগলটনের প্রশ্নের জবাবে মিসেস গান্ধী বলেছেন ব্লিৎজ একটি চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী সাময়িকী। পত্রিকাটি অতীতে তাঁকেও আক্রমণ করেছে। তিনি বুঝতে পারছেন না, এই প্রশ্নসাপেক্ষ নিবন্ধটি কী করে ছাপা হতে পারল। মিসেস গান্ধী আসলে প্রসঙ্গটি তোলায় বিব্রত হয়েছেন।


 পঁচাত্তরের মধ্য আগস্টে সিনেটর ইগলটন দক্ষিণ এশিয়া সফরে ছিলেন। ১৬ আগস্ট তেল আবিব থেকে এথেন্স দিল্লিতে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সিনেটর ইগলটন ২১ আগস্ট ভারতে পৌঁছে ওই দিনই প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকে তিনি বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান। ভারতের ওপর অভ্যুত্থানের প্রভাবও জানতে চান তিনি ।


(সূত্র: মার্কিন দলিলে মুজিব হত্যাকাণ্ড।। পৃষ্টা : ১৪৭-১৪৯)


বঙ্গবন্ধু   হত্যাকাণ্ড   ইন্দিরা গান্ধী   ভূমিকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেরপুরে গরু চোরচক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১০:০৯ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় দুইটি গাভী ও একটি বাঁছুর গরু উদ্ধার করা হয়েছে।

 

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং-এ শেরপুরের পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

গ্রেপ্তাররা হলেন, কসবা কাঠগড়ের ট্রাক ড্রাইভার মোঃ আঃ জলিল ওরফে ফকির হোসেন (৩৪), টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুরের মো: মহির উদ্দিন (৫০), মোঃ আজিজুল ইসলাম (২৩), মোঃ সাহিজুল ইসলাম (৩০), মোঃ মিনহাজ (৩৫) ।

 

এবিষয়ে পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন জানান, ১২মে রাত আড়াইটার দিকে ঝিনাইগাতীর জড়াকুরার মোঃ শাহজাহান মিয়ার গোয়াল ঘর থেকে পাঁচটি গরু চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। গরু গুলোর আনুমানিক দাম ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। পরে শাহজাহান গত ১৪ মে এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর থেকে পুলিশ এ বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং সোর্সের মাধ্যমে চোর সনাক্তের চেষ্টা করে পুলিশ।

 

এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত আসামি ট্রাক ড্রাইভার মোঃ আঃ জলিল ওরফে ফকির হোসেনকে শুক্রবার (১৭ মে) শেরপুর শহরের কসবা কাঠগড় থেকে গ্রেপ্তার করে। আসামী আঃ জলিলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এ ঘটনার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত চোরদের নাম প্রকাশ করে।

তার দেয়া তথ্যমতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অভিযান পরিচালনা করে বাকি পাচঁ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে দুইটি গাভী ও একটি বাঁছুর গরু উদ্ধার করে। ঘটনার সাথে জড়িত আরও আসামি পলাতক আছে। তাদেরকে গ্রেপ্তাতারে জেলা পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।


গরু চোর চক্র   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী বাবর আলী

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। তিনি পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন।  

রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি। বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিযানের প্রধান সমন্বয়ক ফরহান জামান।

হিমালয়ের শীতিধার চূড়া জয়ের জন্য বাবর আলী রওনা দিয়েছিলেন ১ এপ্রিল। চূড়াটি পর্বতের ১৫ হাজার ৫০০ ফুট ওপরে। সকাল সাড়ে ৮টায় সেখানে তিনি বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান।

তবে অভিযান কিন্তু এখনো শেষ নয়, বাবরের আসল লক্ষ্য শুধু এভারেস্ট নয়, সঙ্গে লাগোয়া পৃথিবীর চতুর্থ শীর্ষ পর্বত লোৎসেও। রোববার ক্যাম্প-৪ এ নেমে মাঝরাতে আবারো শুরু করবেন দ্বিতীয় লক্ষ্যের পথে যাত্রা। সব অনুকূলে থাকলে ভোরে পৌঁছে যাবেন এর চূড়ায়। 

প্রসঙ্গত, এ লোৎসেতে ইতোপূর্বে কোনো বাংলাদেশি সামিট করেননি এবং কোনো বাংলাদেশি একই অভিযানে দুইটি আট হাজারী শৃঙ্গ চড়েননি। তাই লক্ষ্য পূরণে হলে বাবার আলী করবেন এ বিপজ্জনক খেলায় বাংলাদেশের ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।

চলতি বছরের ১ এপ্রিল নেপালের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন বাবর আলী। পর্বতারোহণের প্রয়োজনীয় অনুমতি ও নানা সরঞ্জাম কেনার কাজ শেষ করে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে লুকলার উদ্দেশ্যে রওনা তিনি। সপ্তাহ খানেকের ট্রেকিং শেষ পৌঁছান এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে। মূল অভিযান শুরু হয় এখান থেকেই। পর্বতের চূড়ায় উঠতে সময় লাগে দুই মাসের মতো।

যাত্রা শুরু আগে বাবর আলী জানান, বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে জয় করা অনেকের স্বপ্ন। প্রতিবছর হাজারো পর্বতারোহী এভারেস্টের পথে হাঁটেন। কিন্তু এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার পর একই সঙ্গে আরেক পর্বতশৃঙ্গ লোৎসে ওঠার চেষ্টা বাংলাদেশ থেকে আগে হয়নি। আমি সেই চ্যালেঞ্জটাই নিলাম। অর্থাৎ একই অভিযানে মাউন্ট এভারেস্ট ও চতুর্থ উচ্চতম পর্বত মাউন্ট লোৎসের চূড়ায় উঠব।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন ৩৩ বছর বয়সী বাবর আলী। এরপর শুরু করেছিলেন চিকিৎসা পেশা। তবে থিতু হননি। চাকরি ছেড়ে দেশ-বিদেশ ঘোরার কর্মযজ্ঞ শুরু করেন। সাইকেলিংয়ের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত সারগো রি (৪ হাজার ৯৮৪ মিটার), সুরিয়া পিক (৫ হাজার ১৪৫ মি.), মাউন্ট ইয়ানাম (৬ হাজার ১১৬ মি.), মাউন্ট ফাবরাং (৬ হাজার ১৭২ মি.), মাউন্ট চাউ চাউ কাং নিলডা (৬ হাজার ৩০৩ মি.), মাউন্ট শিবা (৬ হাজার ১৪২ মি.), মাউন্ট রামজাক (৬ হাজার ৩১৮ মি.), মাউন্ট আমা দাবলাম (৬ হাজার ৮১২ মি.) ও চুলু ইস্ট (৬ হাজার ০৫৯ মি.) পর্বতের চূড়ায় উঠেছেন এই তরুণ।


বাংলাদেশ   এভারেস্ট জয়ী   বাবর আলী   মাউন্ট এভারেস্ট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্কুল ছুটি দিয়ে দাওয়াতে গেলেন প্রধান শিক্ষক!

প্রকাশ: ০৯:৪৭ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail চাটমোহর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। শনিবার দুপুরে তোলা ছবি

সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে স্কুল ছুটি দিয়ে কর্মচারীর বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাবনার চাটমোহর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেএম আব্দুর রবের বিরুদ্ধে।

 

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই স্কুলে কর্মরত (নৈশ প্রহরী) উপজেলার গুনাইগাছা গ্রামের বাসিন্দা আতাউর রহমানের বাড়িতে স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে সকল কর্মচারীদের নিয়ে তিনি দাওয়াত খেতে যান প্রধান শিক্ষক।

 

এভাবে স্কুল ছুটি দিয়ে দাওয়াত খেতে যাওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন শিক্ষার্থী, অভিভাবক থেকে শুরু করে এলাকার সচেতন মানুষ।

 

দুপুর ২টার দিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের প্রধান গেট বন্ধ। ভেতরে নতুন ভবন নির্মাণ কাজের জন্য কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক অবস্থান করছেন। যে সময় শিক্ষার্থীদের ক্লাস হওয়ার কথা সেই সময় স্কুলে নেই কোনো শিক্ষার্থী। প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে শুরু করে প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ ছিল তালাবদ্ধ। চলতি পথে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সকালের কয়েকটা ক্লাস হওয়ার পরেই দুপুর ১টার আগে স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়।

 

জানা গেছে, চাটমোহর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী আতাউর রহমান এবার স্ব-স্ত্রীক হজে যাবেন। এ জন্য শনিবার নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য সকালে কয়েকটা ক্লাস নেওয়ার পরেই তড়িঘড়ি করে দাওয়াতের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক কে এম আব্দুর রবের নির্দেশে স্কুল ছুটি দেওয়া হয়। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক নিজেই সকল শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়ে দাওয়াত খেতে যান। ক্লাস বাদ দিয়ে প্রধান শিক্ষকের এমন স্বেচ্ছাচারিতা এবং ছুটি দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা।

 

কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, এমনিতেই নানা কারণে বছরের বেশিরভাগ সময় স্কুল ছুটি থাকে। বাচ্চাদের পড়াশোনা ঠিক মতো হয় না। তারপর এভাবে ছুটি দিয়ে দাওয়াত খেতে যাওয়ায় বেশ কয়েকটা ক্লাস করতে পারলো না শিক্ষার্থীরা। আর হুট করে ছুটি দেওয়ায় অনেক অভিভাবকই তাদের সন্তানদের নিতে আসতে পারেননি। এতে বিপাকে পড়ে বেশ কিছু শিক্ষার্থী। এটা কোনো প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাজ হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তারা।

 

জানতে চাইলে চাটমোহর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে এম আব্দুর রব বলেন, 'আমার এক স্টাফ হজে যাবে, সে জন্য দাওয়াত খেতে এসেছি। আসলে প্রতিষ্ঠানের কোনো স্টাফের দাওয়াত খেতে এভাবেই যাওয়া হয়। বরাবরই তাই হয়ে আসছে।'

 

স্কুল বন্ধ করে এভাবে যাওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আসলে মেয়েরা তো দুষ্টু। স্কুল চালু রাখা ঠিক হবে না। তাই ছুটি দিয়ে দাওয়াত খেতে আসা হয়েছে।'

 

এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মগরেব আলী বলেন, 'স্কুল ছুটি দিয়ে দাওয়াত খেতে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমি প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেদুয়ানুল হালীম বলেন, 'বিষয়টি আমি জানি না। এখানে আমার কিছু বলার নেই। প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে আপনি কথা বলেন।'


স্কুল বন্ধ   দাওয়াত   প্রধান শিক্ষক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাবনায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৯:২৬ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ৮ম শ্রেনীর এক ছাত্রী (১৩) কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) রাতে পাবনার সুজানগর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামে ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। সে রাইপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে, শুক্রবার (১৭ মে) রাত পৌনে নয়টার দিকে পড়াশোনা শেষ করে বাথরুমে যাচ্ছিল ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী সময় পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একই এলাকার উমেদ আলী মৃধার ছেলে বখাটে বারেক মৃধা, তার বন্ধু ইমন সাজিদ তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পাশের নির্মাণাধীন একটি ভবনে

সেখানে আগে থেকে অবস্থান করছিল সাব্বির তুহিন নামের আরো দুইজন বখাটে। তাদের মধ্যে প্রথমে বারেক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে অন্য একজন ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় বখাটেরা। পরে তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালেরে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করেন স্বজনরা।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় রাতেই ভুক্তভোগীর নানী থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার সাথে যারা জড়িত আছে, তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।'


ধর্ষণ   স্কুল ছাত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যমজ বোনকে হাতুড়িপেটা করল চাটমোহর পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি

প্রকাশ: ০৮:৪৪ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাছের ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে যমজ দুই বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা চাটমোহর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আলিফ ইয়ামিন পায়েল।

শনিবার (১৮ মে) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার উথুলি খামারপাড়া গ্রামে ঘটনা ঘটে। আহত যমজ দুই বোন হলেন মিম (২০) লাম (২০) ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহত দুই মেয়ের বাবা রেজাউল করিম রিজু।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ঘটনার সময় বাড়ির পাশে কদম গাছের ডাল কাটছিলেন ছাত্রলীগ নেতা পায়েল। সময় প্রতিবেশী রেজাউল করিমের মেয়ে লাম তাকে অনুরোধ করেন গাছ কাটার সময় তাদের কলা গাছ যেন নষ্ট না হয়। নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা পায়েল হাতুড়ি দিয়ে লামকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। সময় তার যমজ বোন মিম এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে পায়েল তার বাবা-মা মিলে লাঠি দিয়ে যমজ দুই বোনকে বেধরক মারধর করে। সময় তাদের চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন এলাকাবাসী এসে তাদের উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

অভিযুক্ত চাটমোহর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আলিফ ইয়ামিন পায়েল বলেন, আমার মায়ের সঙ্গে ওরা দুই বোন মারামারি করেছে। আমি সেখানে ঠেকাতে গিয়েছিলাম।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


যমজ   বোন   হাতুড়িপেটা   চাটমোহর   ছাত্রলীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন