ইনসাইড বাংলাদেশ

রোহিঙ্গাদের কারণে ১২ হাজার একর বনভূমি ধ্বংস : ক্ষতি আড়াই হাজার কোটি টাকা


Thumbnail রোহিঙ্গাদের কারণে ১২ হাজার একর বনভূমি ধ্বংস : ক্ষতি আড়াই হাজার কোটি টাকা ।

রোহিঙ্গাদের কারণে  কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফের প্রায় ১২ হাজার একর সংরক্ষিত বনাঞ্চল ধ্বংস হয়েছে গত  ৬ বছরে। পরিবেশ ও জীববৈচিত্রের ক্ষতি হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার।  বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী এশিয়ান প্রজাতির হাতির অন্যতম আবাসস্থল ছিল উখিয়া টেকনাফের এই বনভূমি। আর এতে হুমকির মুখে পড়েছে বুনো হাতিসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী ।

তাই প্রতি বছর লোকালয়ে হানা দিচ্ছে বুনোহাতি।এতে করে হাতি যেমন মারা পড়ছে তেমনি মানুষ সহ গবাদি পশুর মৃত্যু ঘটছে আশংকাজনক হারে। উখিয়া কুতুপালং মহাসড়কের পাশে টাঙানো রয়েছে সতর্কতামূলক সাইনবার্ড- ‘বন্যহাতি চলাচলের পথ’। এর ঠিক পেছনেই ছোট বড় গাছপালা কেটে নির্মাণ করা হয়েছে শরণার্থী ক্যাম্প। উচু পাহাড়ের কোল কিংবা পাদদেশ, কোথাও পাহাড় কেটে, থরে থরে নির্মাণ করা হয়েছে দুই লাখের বেশি অস্থায়ী ঘর।

স্থাপন করা হয়েছে নলকূপ-পায়খানা, বিদ্যুৎলাইন, সড়ক, নিষ্কাশন খাল, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কার্যালয়সহ গুদামঘর। জ্বালানির জন্য উজাড় হচ্ছে বন। রুখে দেওয়া হয়েছে সেখানকার ‘আদিবাসী’ বন্যহাতির চলাচল ও বিচরণক্ষেত্র। এখন আর দেখে বোঝার উপায় নেই- এসব পাহাড়ে ছয় বছর   আগেও ছিল সবুজ অরণ্য এবং হাতির রাজত্ব। বন বিভাগের তথ্যানুযায়ী, রোহিঙ্গাদের আবাসস্থল ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের জন্য এ অঞ্চলের প্রায় ১২ হাজার ২০০ একর বনভূমি সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও তিন থেকে চার হাজার একর বনভূমির গাছপালা উজাড় করা হয়েছে।

রোহিঙ্গা আসার আগে উখিয়া  ও টেকনাফের   বিশাল পাহাড়ি বনভূমিতে ৫২৫ প্রজাতির উদ্ভিদ পাওয়া যেত, যা স্তন্যপায়ী বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। কিন্তু পাহাড়ে রোহিঙ্গা বসতির এ ছয় বছরে সবকটিই এখন ধ্বংসের পথে। 

কক্সবাজার বন বিভাগের (দক্ষিণ) তথ্যমতে, ২০১৭ সালের ২৫  আগস্টে  থেকে রোহিঙ্গারা উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালী, তেলখোলা মোছার খোলা, মক্করারবিল বা হাকিমপাড়া, জামতলী বাঘঘোনা, শফিউল্লা কাটা এবং টেকনাফের পুটিবুনিয়া  উনচিপ্রাং ঝিমং খালী, রঙ্গিখালী ও কেরনতলী বন বিভাগের পাহাড়ে আশ্রয় নেয়। এতে ধ্বংস হয়েছে ১২ হাজার ২০০ একর সামাজিক ও প্রাকৃতিক বন। টাকার অঙ্কে ক্ষতির পরিমাণ ৯ হাজার ৮৫০  কোটি টাকারও বেশি।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির এক  সভায় উপস্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ব্যাপকহারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আসতে থাকে। নিবন্ধিত মোট ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৭৬ রোহিঙ্গা উখিয়া-টেকনাফ অঞ্চলের বনভূমিতে বসতি স্থাপন করেছে। এ সংখ্যা গত ছয় বছরে ১৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। পুরনো দুটি নিবন্ধিত এবং নতুন অনিবন্ধিত ৩১টিসহ রোহিঙ্গাদের মোট ক্যাম্প ৩৩টি।

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা সরওয়ার কামাল বলেন, ১২ হাজার ১৬৪ দশমিক ২ একর বনভূমি দখল করে এসব ক্যাম্প গড়ে উঠেছে। এতে নির্বিচারে বৃক্ষনিধন, ভূমিরূপ পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্যের অবক্ষয় এবং মানুষ-বন্যপ্রাণী সংঘাত বেড়েছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ধ্বংসপ্রাপ্ত বনজসম্পদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ টাকার অঙ্কে প্রায়  ৯ হাজার ৪৫৭ কোটি এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি প্রায় ২ হাজার২৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

মোট ক্ষতির আনুমানিক পরিমাণ প্রায় ১১ হাজার ৮৬৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এতে আরও বলা হয়, ৫৮০ একর সৃজিত বন এবং ১ হাজার ২৫৭ একর প্রাকৃতিক বনসহ ক্যাম্প এলাকার বাইরে জ্বালানি সংগ্রহে রোহিঙ্গারা বনাঞ্চল উজাড় করেছে ১ হাজার ৮৩৫ একর। সামগ্রিক  ধ্বংসপ্রাপ্ত বনের পরিমাণ ১২ হাজার একর এবং সর্বমোট বনজদ্রব্য ও জীববৈচিত্র্যসহ ক্ষতির পরিমাণ ২ হাজার ৪২০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।

বনাঞ্চল , জীববৈচিত্র্য আশংকাজনক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়, নানা ভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ওপর হামলাও করছে হাতির পাল। গত   ছয়  বছরে প্রাণ হারিয়েছেন ২৫ জন।বিদেশি গবেষণা  প্রতিষ্ঠানের  তথ্যমতে, কক্সবাজারের বনাঞ্চলগুলো মূলত এশিয়ান হাতির বিচরণের ঐতিহ্যগত পথ। কিন্তু এ অঞ্চলে রোহিঙ্গা অভিবাসনের কারণে হাতির পাল এক বন থেকে অন্য বনে চলাচলে বাধা পাচ্ছে। মাঝে মধ্যে বাধা ভাঙারও চেষ্টা করছে প্রাণীগুলো। তখনই বাধে মানুষ-হাতির সংঘর্ষ। এতে প্রাণও হারাচ্ছেন রোহিঙ্গাসহ স্থানীয় জনতা। অন্যদিকে হাতিরাও বনে পর্যাপ্ত খাবার না পেয়ে লোকালয়ে হামলে পড়ছে।

প্রকৃতি ও পরিবেশবিদরা বলছেন, হাতি বৃহৎ বন্যপ্রাণী ও শক্তিধর হওয়ায় মানুষের কাছে প্রকৃতি বিনষ্টের প্রতিশোধ নিচ্ছে। হাতি ছাড়াও চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অন্যান্য বন্যপ্রাণী, জীবজন্তু-পাখিসহ জীববৈচিত্র্য। বিনষ্ট হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ, লতা, গুল্ম, বাঁশ, বেত, উলুফুল, ঔষধি গাছ। এসব ক্ষুদ্র বন্যপ্রাণী, জীবজন্তু ও গাছপালা হাতির মতো এ মুহূর্তে প্রতিশোধ না নিতে পারলেও  এর অর্থাৎ পরিবেশের দেশের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় জেলা কক্সবাজারে।পরিবেশ বিজ্ঞানী ড,আনছারুল করিম বলেন,গবেষণায় দেখা গেছে কক্সবাজারসহ উখিয়া টেকনাফের বনাঞ্চল ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিক ভাবে নীচে নেমে গেছে।জলবায়ু পরিবর্তনের সাংঘাতিক প্রভাব পড়েছে। দেখা দিয়েছে অসময়ে বন্যা,খরা ভূমিধসসহ নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়। 

অদূর ভবিষ্যতে এ বিপর্যয় আরো মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন এ বিজ্ঞানী। 

পরিবেশের ওপর প্রভাববিষয়ক ইউএনডিপির এক গবেষণায় উঠে আসে, রোহিঙ্গা বসতির কারণে উখিয়া ও টেকনাফ এলাকায় মোট ১১ ধরনের ক্ষতি হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে-অতিরিক্ত সংখ্যক টিউবওয়েল স্থাপনের কারণে ভূগর্ভস্থ পানির আধার কমে যাওয়া, পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া ও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভূগর্ভস্থ পানির আধার দূষিত হওয়া। সুপেয় পানির অন্যান্য উৎস, যেমন- সীমিত সংখ্যক নদী ও খাল ইতোমধ্যে দূষিত হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া অতিরিক্ত গাছ কাটা ও পাহাড় ধ্বংসের কারণে বেশিরভাগ পাহাড়ি ছড়া এখন সারাবছরই পানিশূন্য থাকছে। এতে করে ওই এলাকায় বসবাসকারী স্থানীয় জনগণ দীর্ঘমেয়াদে প্রাকৃতিক সুপেয় খাবার পানির অভাবে পড়তে যাচ্ছে। তা ছাড়া অপর্যাপ্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণে ১৪ লাখের ও বেশি রোহিঙ্গাসহ ১৮ লাখ অধিবাসীর এ অঞ্চল পরিণত হচ্ছে এক কঠিন ও প্লাস্টিক বর্জ্যের ভাগাড়ে।

এসব ক্ষতিকর প্রভাবে অচিরেই এ জনপদ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। জমে থাকা এসব বর্জ্যরে বেশিরভাগই বর্ষাকালে পাহাড়ি ছড়া বন্যার পানির স্রোতের সঙ্গে মিশে গিয়ে পড়ছে পার্শ্ববর্তী নাফ নদীসহ অন্যান্য প্রধান সংযোগ খালে। এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে মৎস্য সম্পদসহ অন্যান্য জলজ প্রাণীর ওপর। অন্যদিকে পাহাড় কেটে ঘর বানানো ও উপরিভাগের মাটি সরিয়ে সমতল করার কারণে বিশাল এলাকার ভূ-প্রকৃতিগত পরিবর্তন হচ্ছে। এতে পানির ধারণক্ষমতা কমে যাওয়া ও মাটি আলগা হয়ে বর্ষাকালে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে, যা প্রতি বছর বেড়ে চলেছে। পাহাড়ধসে সম্প্রতি ৩ সহস্রাধিক রোহিঙ্গার ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে এবং ১৭ রোহিঙ্গাসহ ২৯ জনের মৃত্যুও হয়েছে গত ছয় বছরে।

বহুমাত্রিক প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এলাকার মধ্যে অবস্থিত হওয়ার পরও এ পাহাড়ি বন্য প্রতিবেশ ঘূর্ণিঝড়, অতিবৃষ্টি, পাহাড়ধস ও বন্যার মতো দুর্যোগ মোকাবিলা করে দীর্ঘকাল টিকে আছে। রোহিঙ্গাদের কারণে সৃষ্ট পরিবেশগত ক্ষতি মোকাবিলায় অবশ্য বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ কিছু দেশি-বিদেশি সংস্থা খালি ও পরিত্যক্ত জায়গায় গাছের চারা রোপণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ক্ষতিগ্রস্ত বনভূমির তুলনায় সেই পদক্ষেপ খুবই নগণ্য।

বাংলাদেশ  পরিবেশ আন্দোলন ( বাপা) কক্সবাজার শাখার সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী  বলেন, মানবিক কারণে আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু পাহাড়গুলো কেটে তারা যে আবাসস্থল বানাচ্ছে, তাতে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। এক সময় হয়তো রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হবে, নতুন করে হয়তো গাছও লাগানো যাবে, কিন্তু পাহাড়গুলোর ক্ষতি আর পূরণ করা যাবে না। ক্ষতি যা হওয়ার তা তো হয়েছেই। আর যাতে ক্ষতি না হয় সে দিকে নজর দিতে হবে। আর এখনই ব্যবস্থা না নিলে আমাদের এ ক্ষতি আর পূরণ করা সম্ভব হবে না।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সভাপতি উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, এমনিতেই বাণিজ্যিক কারণে বিশাল জমি বরাদ্দ দেওয়ায় কক্সবাজারে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মধ্যে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে নির্বিচারে গাছ কাটা হয়েছে। ফলে সাগর, পাহাড় আর  সবুজ বনাঞ্চলের মধুর মিতালীতে নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। 

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান  বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের কারণে উখিয়া ও টেকনাফের পরিবেশগত যে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা এর ক্ষতিপূরণে ক্যাম্পগুলোতে বৃক্ষরোপণ করেছি। 

তবে আমরা পরিবেশের ভারসম্য ফিরিয়ে আনার  জন্য বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকা এনজিওগুলোও আমাদের তত্ত্ববধানে বৃক্ষরোপণ করছেন। আর বন বিভাগের পক্ষ থেকে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে বনায়ন করা হবে। ইতোমধ্যে ২০লাখ বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে। 

এর বাইরে স্থানীয়রা বনভূমি উজাড় করে শুধুমাত্র উখিয়ার কুতুপালং,লম্বাশিয়া,বালুখালী,তেলখোলা, মোছারখোলা,থাইংখালী মরাগাছতলা, জামতলী ও শফিউল্লাহ কাটা সহ বিভিন্ন স্থানে বনভূমি দখল করে রোহিঙ্গা মার্কেট বসিয়েছেন। এ ছাড়া উখিয়ার কুতুপালং  ফলিয়াপাড়া, পালংখালীতে অফিস, গুদামঘর,ভাড়াবাসা সহ বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করে করেছেন স্থানীয় লোকজন।

এগুলো ভাড়া দেয়া হয়েছে এনজিওর অফিস, গুদামঘর, ও বাসাভাড়া দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী। স্থানীয় বন কর্মকর্তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।তাছাড়া এক্ষেত্রে তাদের অক্ষমতার কথাও অপকটে জানান। বনবিভাগ জানিয়েছেন রোহিঙ্গা ছাড়াও স্থানীয়রা ও উখিয়াতে পাল্লাদিয়ে   বনভূমি দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে  বনভুমি দখলকারী প্রায় সাড়ে তিন হাজার লোকের বিরুদ্ধে ২৭৮ টি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম।


রোহিঙ্গা   বনভূমি   ধ্বংস   পরিবেশ   জীববৈচিত্র   ক্ষতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোটালীপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশ: ১২:৩৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুর রহমান হাওলাদার (৬৮) ও তার স্ত্রী তাছলিমা আক্তার (৫৪) এর নামে পৃথক দুইটি মামলা করেছে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন।

রোববার (২৯ এপ্রিল) দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় এবং দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা দুইটি দায়ের করেছেন গোপালগঞ্জ জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারি পরিচালক বিজন কুমার রায়।

জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, কোটালীপাড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৩,৪৬,১৬,০২৩/- (তিন কোটি ছেচল্লিশ লক্ষ ষোল হাজার তেইশ) টাকার সম্পদ অর্জনপূর্বক নিজ মালিকানা ও ভোগ দখলে রাখার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মামলা দায়ের করেছে। গোপালগঞ্জ এর মামলা নং-০২, তারিখ-২৮/০৪/২০২৪ খ্রি. ।

অন্যদিকে, মুজিবুর রহমান হাওলাদারের স্ত্রী তাছলিমা আক্তার দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে অবৈধ সম্পদ গোপনপূর্বক ২,১৮,০৮০/- টাকার মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান এবং নিজস্ব কোন আয় না থাকার পরও স্বামী মুজিবর রহমান হাওলাদারের অবৈধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ গ্রহন করতঃ জ্ঞাত আয় বর্হিভূত ১,৪৩,২৯,২৮৫/- (এক কোটি তেতাল্লিশ লক্ষ ঊনত্রিশ হাজার দুইশত পঁচাশি) টাকার সম্পদ অর্জন পূর্বক নিজ মালিকানা ও ভোগ দখলে রাখায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ এর মামলা নং-০৩, তারিখ-২৮/০৪/২০২৪ ।


দুদক   অবৈধ সম্পদ   মানিলন্ডারিং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভিয়েনায় বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচন

প্রকাশ: ১২:২৫ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

অস্ট্রিয়ার স্থানীয় সময় রোববার (২৮ এপ্রিল) স্থায়ী মিশনে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচন ক‌রে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন মন্ত্রী।

স্থায়ী মিশন জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় তাদের অবদানের কথা তুলে ধরে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে তাদের ধন্যবাদ জানান।

হাছান মাহমুদ বলেন, জাতীয় উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের স্বীকৃতির পাশাপাশি তাদের দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে আরও সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। জাতির পিতার স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে দেশে ও বিদেশে অবস্থিত সব বাংলাদেশিকে একযোগে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্ব বাংলাদেশের জন্যকল্যাণ ও উন্নয়ন নিয়ে এসেছে। তার হাত শক্তিশালী করে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে সবাইকে শামিল হতে হ‌বে।

হাছান মাহমুদ তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন উদ্যোগ তুলে ধরেন এবং এসব উদ্যোগে প্রবাসীদের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি প্রবাসীদের জন্য বর্তমান সরকারের নেওয়া এসব উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে আহ্বান জানান।

দূতাবাসে জাতির পিতার ভাস্কর্য উন্মোচনের জন্য দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানিয়ে হাছান মাহমুদ ব‌লেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির বঙ্গবন্ধু নন, বিশ্ব মানবতার প্রতীক। মুক্তিকামী-স্বাধীনতাকামী-নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক অবিনাশী আলোকবর্তিকা, বিশ্ববন্ধু শেখ মুজিব।

ভাস্কর্য উন্মোচন শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দূতাবাস প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারারোপণ করেন ও বঙ্গবন্ধু কর্নারসহ দূতাবাসের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি আসাদ আলম সিয়াম উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু   পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাত ১১টার পর চা-পানের দোকান বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশ: ১২:৩১ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীতে ছিনতাই ও অপরাধ ঠেকাতে রাস্তার পাশের চা-পান ও সিগারেটের দোকান রাত ১১টার মধ্যে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে মার্চ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের এ নির্দেশ দেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ছিনতাই ও অপরাধ প্রতিরোধে রাতে রাস্তার মোড়ের দোকানগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় এসব অস্থায়ী দোকানে অপরাধীরা সারা রাত আড্ডা দেয়, আর সুযোগ পেলেই ছিনতাই করে। তাই রাস্তার পাশের বিড়ি, পান ও চায়ের দোকান রাত ১১টার পর বন্ধ করে দিতে হবে।

তিনি বলেন, কোনো সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠী যেন কোনো প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এই ধরনের অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর থাকতে হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাস্তায় পুলিশের স্টিকার লেখা কোনো গাড়ি দেখলে ডিউটিরত পুলিশ অবশ্যই যাচাই করবেন যে, সেটা আসলেই কোনো পুলিশ অফিসারের গাড়ি কি না। কারণ গাড়িতে পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে বা ডিএমপির লোগো লাগিয়ে সন্ত্রাসীদের চলাফেরার তথ্য পাওয়া গেছে। যদি যাচাই করে দেখা যায় সেটা পুলিশের গাড়ি নয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ডিএমপির ক্রাইম ও ট্রাফিক বিভাগ এই বিষয়টি নজর রাখবেন।

কমিশনার বলেন, অন্যান্য রমজানের চেয়ে এবার রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সাথে ক্রাইম বিভাগও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ট্রাফিক বিভাগের একার কাজ, এমনটা ভাবা যাবে না। ক্রাইম বিভাগের যাদের সামনে রাস্তায় যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দেখা যাবে তিনি সেখানে কাজ করবেন।


ডিএমপি   ছিনতাই  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গুদামে খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত চাল মজুদ, ব্যবসায়ীর ১ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশ: ১২:০২ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail নওগাঁয় আড়ৎ এর গুদামে খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত চালের বস্তা মজুদ

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় পুলিশ সদস্যদের রেশনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত ৩০০ বস্তা চাল মজুত করার দায়ে এক ব্যবসায়ীকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

  

শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পপি খাতুন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলার মধইল বাজারের ভাই ভাই চাল আড়ৎ মালিক এনামুল হককে এ জরিমানা করেন।

 

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পপি খাতুন বলেন, ‘গোপন সূত্রে আমাদের কাছে খবর আসে উপজেলার মধইল বাজারের এক চাল ব্যবসায়ীর গুদামে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল মজুত করা হয়েছে। খবর পেয়ে শনিবার রাতে মধইল বাজারের ভাই ভাই চাল আড়ৎ এর গুদামে অভিযান চালানো হয়। গুদামে খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত ৩০ কেজি ওজনের ৩০০টি বস্তা পাওয়া যায়। ৩০০ বস্তায় মোট ৯০০০ হাজার কেজি (৯ মেট্রিক টন) চাল ছিল।

 

জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যবসায়ী বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত বস্তার ৯টন চাল তিনি জয়পুরহাট থেকে কিনেছেন। এসব চাল জয়পুরহাট জেলায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া রেশনের চাল।

রেশন কিংবা যে কোনো খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল এবং খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত বস্তায় চাল বিক্রয় ও বিপণন করা নিষিদ্ধ। এই অভিযোগে ওই ব্যবসায়ীকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম) প্রতিরোধ আইন-২০২৩-এর ৬ ধারায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।


খাদ্য অধিদপ্তর   রেশনের চাল   মজুদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্কুল খোলার সিদ্ধান্তটা কি জরুরী ছিল?

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পুরো দেশজুড়ে চলছে তীব্র দাবদাহ। টানা ২৮ দিন ধরে চলা তীব্র তাপপ্রবাহে ইতিহাসের ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখেছে দেশবাসী। দফায় দফায় হিট এলার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তীব্র এই দাবদাহে হিট স্ট্রোকে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ছে। ঈদুল ফিতরের ছুটির পর গতকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শুরু হয়েছে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে সরাসরি পাঠদান কার্যক্রম।

তবে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কমেছে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতির হার। তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে দেশেরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের প্রথম দিনেই সারা দেশে অনেকেরই ‘হিট স্ট্রোকে’ মৃত্যু হয়েছে প্রাইমারি স্কুলের শিশুসহ শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের। আর এভাবে চলমান দাবদাহের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার কারণে সরকারের প্রতি অভিবাবকদের একটি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হতে পারে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) প্রথম দিনের শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যেই তাপদাহে মৃত্যুর আসঙ্খা বেগতিক দেখে রাতেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ থেকে গতকাল রাতেই বার্তা দেয়, তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার (২৯ এপ্রিল) বন্ধ থাকবে।

গতকাল শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলছেন, ‘বেশি গরম পড়ছে বলেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হবে এটার কোনো মানে নেই। কোন জেলার তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে গেলে ঐদিন সংশ্লিষ্ট এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে’। বিশ্ববিদ্যালয়ের-কলেজ শিক্ষার্থীদের বেলায় বিষয়টা কিছুটা যৌক্তিক মনে হলেও দেশে রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রার মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিশুদের ক্লাস পাঠানোর বিরোধিতা করছেন অভিভাবক থেকে সচেতন মহলের অনেকেই।

তাদের মতে, আরও এক সপ্তাহ সরাসরি ক্লাস বন্ধ রেখে অনলাইনে ক্লাস করাতে পারত সরকার। স্কুলে গিয়ে কোনো শিক্ষার্থী হিট স্ট্রোকে মারা গেলে এর দায় কে নেবে? এছাড়াও শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হওয়ায় তীব্র তাপপ্রবাহ চলাকালীন স্কুল বন্ধ রাখা বা অনলাইনে ক্লাস নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

ইউনিসেফের ২০২১ সালের শিশুদের জন্য জলবায়ু ঝুঁকি সূচক (সিসিআরআই) অনুযায়ী, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে শিশুরা। অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে। হিট স্ট্রোক ও পানি শূন্যতাজনিত ডায়রিয়ার মতো, উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে সৃষ্ট অসুস্থতায় এই বয়সী শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।

যেখানে ২০২১ সালে করোনা মহামারির কারণে ৫৪৩ দিন বন্ধ থাকার পরে খুলেছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তখন জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর জানিয়েছিল, বাংলাদেশের প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থী মহামারির এ সময় শ্রেণীকক্ষের বাইরে ছিল। সেখানে বর্তমান তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে শিশুদের স্বাস্থ ও নিরাপদের কথা বিবেচনা করে সরকার তাপপ্রবাহ চলাকালিন শিক্ষাপ্রতিষ্টান বিশেষ করে শিশুদের স্বাস্থ্য বিবেচনয়া শিখাক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে পারে।

ডিজিটাল বাংলাদেশে মহামারি করোনার সময়ও করোনা মোকাবিলায় সরকার বিভিন্ন উদ্যেগ নিয়ে সফলতা দিয়ে তা মোকাবিলা করেছে। তখন যদি প্রায় দুই বছর স্কুলগুলো বন্ধ রেখে মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে পারে তাহলে এই তীব্র দাবদাহে স্কুলগুলো কি বন্ধ রাখে মৃত্যুর মিছিল কি বন্ধ রাখা যায় না।

এছাড়াও, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি থাকে। বর্তমানে দাবদাহে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রেখে গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে চালু করলে হয়ত ‘হিট স্ট্রোক’ কিংবা গরমে শিশু শিক্ষার্থী থেকে শিক্ষক মারা যাওয়া বন্ধ হতে পারে। কেননা, গ্রীষ্মকালীন ছুটির সময়টাতে দেশের জলবায়ুর ফলে বৃষ্টি থাকে, আবহাওয়া অনেকটাই স্বাবাবিক থাকে। যার ফলে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেত সহজেই।


দাবদাহ   শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   হিট স্ট্রোক   সরকার   তীব্রতাপ প্রবাহ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন