ইনসাইড বাংলাদেশ

অপরাধের তীর্থস্থান রোহিঙ্গা ক্যাম্প : ছয় বছরে ১৮৫ খুন


Thumbnail অপরাধের তীর্থস্থান রোহিঙ্গা ক্যাম্প : ছয় বছরে ১৮৫ খুন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প এখন অপরাধের তীর্থস্থানে পরিনত হয়েছে।  অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে গত এক বছরে ৮৩ টি হত্যা কাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। গত বছর ২৫ আগষ্ট পর্যন্ত পাঁচ বছরে হত্যা কাণ্ড সংগঠিত হয়েছিল ১০১ টি।

এসব হত্যা কাণ্ডের পেছনে রয়েছে, অস্ত্র, মাদক চোরাচালান, ঘুম,খুন, অপহরণ  ও ক্যাম্পে আদিপত্য বিস্তার। 

১২ লাখ রোহিঙ্গার বোঝা নিয়ে ২০১৭ সালে কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফের ৩৪ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প গড়ে উঠে। সেই সংখ্যা এখন দিনে দিনে প্রায় ১৫ লাখ। ইউএনএইচসিআরের দেয়া তথ্যে জানাযায় দৈনিক ১৩০/৩৫ জন শিশু জন্ম নিচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে।তাই বহুমূখী সমস্যা ও সংকটের কারণে  রোহিঙ্গা শিবিরে বেড়ে চলছে  অপরাধের মাত্রা।

মিয়ানমারের মদদেই সক্রিয় আরসা, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শুধুমাত্র  চলতি বছরেই ৫৩ জন খুন হয়েছে।  সর্বশেষ  গত মঙ্গলবার ২২ আগষ্ট সন্ধ্যায় আরসা সন্ত্রাসীর গুলিতে আরএসও সদস্য মোঃ ইউচুপ নামের এক যুবক  নিহত হয়েছে। সে উখিয়া বালু খালী ৮ নং ক্যাম্পের হামিদ হোসেনের ছেলে।১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ ইকবাল বিষয় নিশ্চিত করেছেন। 

ফলে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে দিন দিন বেড়েই চলেছে অস্থিরতা। বিশেষত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কিংবা মিয়ানমারবিরোধী কোনো ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা হলে বা কোনো প্রতিনিধিদল পরিদর্শনে এলেই ক্যাম্পে খুনোখুনি ও অরাজকতা বেড়ে যায়। পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরেই এসব ক্যাম্পে খুন হয়েছেন ৫৩ জন।

সাধারণ রোহিঙ্গাদের দাবি, মিয়ানমারই এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী। বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মিকে (আরসা) দিয়ে এসব ঘটাচ্ছে তারা।

আর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) বলছে, ক্যাম্পে সক্রিয় থাকা মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।

গত ৬ জুলাই কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্প পরিদর্শনে যান আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম আসাদ আহমাদ খানের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। দলটি কুতুপালং ১ নম্বর পশ্চিম ক্যাম্পের এ/১ ব্লক পরিদর্শনকালে একই ক্যাম্পের এ/৯ ব্লকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় এবাদুল্লাহ নামে এক রোহিঙ্গাকে। তিনি ওই ব্লকের উপ-প্রধানের (সাব মাঝি) দায়িত্ব পালন করতেন।

পরদিন ৭ জুলাই (শুক্রবার) ভোরে কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীর ক্যাম্প-৮ ইস্টের পাহাড়ি এলাকায় আরএসও এবং আরসার সন্ত্রাসীদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। ঘটনাস্থলে এপিবিএন পৌঁছালে পালিয়ে যায় দুই গ্রুপের সদস্যরা। তবে গোলাগুলিতে প্রাণ যায় ছয়জনের।

এপিবিএন জানায়, নিহত পাঁচজন আরসা সদস্য। একই ক্যাম্প থেকে বিকেলে আরও এক রোহিঙ্গার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সাধারণ রোহিঙ্গাদের দাবি, ক্যাম্পে কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে। তারা এসব হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। এ জন্য তারা সব সময় ভয়ে থাকেন। প্রশাসনকে জানালে গলা কেটে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। ক্যাম্পে অস্থিরতা তৈরি করেছে আরসা। মিয়ানমারই এসব গ্রুপকে দিয়ে ক্যাম্পে অস্থিরতা তৈরি করছে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য বলছে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে চলতি বছরের ২৩ আগষ্ট  পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৮৫ টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে চলতি বছরেই ৫৩ জন, যাদের মধ্যে ৩৫  জনই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্যবস্থাপনায় জড়িত নেতা ও স্বেচ্ছাসেবক। তারা নানাভাবে অপরাধ কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে আগ্রহী হতে কাজ করেছেন। 

 শুধু গত এক বছরে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে ১৭৬জনকে গ্রেফতার এবং চার শতাধিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

এর বাইরেও রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের আলোচনা ঠেকাতে অনেক ক্যাম্পে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২২২টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এর মধ্যে ৬৩টি নাশকতামূলক বা ইচ্ছে করে লাগানো হয়েছে।

এছাড়াও গত ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর হত্যা করা হয় রোহিঙ্গাদের শীর্ষস্থানীয় নেতা মুহিবুল্লাহকে। তিনি রোহিঙ্গা অধিকারের পক্ষে কথা বলে প্রত্যাবাসনের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। এ কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে। এর নেপথ্যের পরিকল্পনাকারী বলা হয়েছে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরসাপ্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার ওরফে জুনুনিকে।

 গত ২১ জুলাই শুক্রবার  আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের অন্যতম সামরিক কমান্ডার হাফেজ নুর মোহাম্মদসহ আরসার ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে এ ছয়জন খুন ও অপহরণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।

তারা জানিয়েছে, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের আশ্রয় শিবিরে সক্রিয় রয়েছে আরসার ৪৫০ সন্ত্রাসী। এরা গহীন পাহাড়ে আস্তানা তৈরি করে টর্চারসেল গড়ে তুলে অপহরণ ছাড়াও নির্যাতন করে মুক্তিপণ আদায় এমনকি হত্যার পর মরদেহ গুম করে আসছে।

নুর মোহাম্মদের নেতৃত্বে আরসার ৩০-৩৫ জন সদস্য কুতুপালং ক্যাম্প ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় খুন, অপহরণ, ডাকাতি, মাদক, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য তারা পার্শ্ববর্তী দেশ হতে দুর্গম সীমান্তবর্তী অঞ্চল দিয়ে অস্ত্র চোরাচালান করে।

নুর মোহাম্মদ তার দলের সদস্যদের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের কাছ থেকে খুন, অপহরণ ও গুমের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করতো। চাঁদার অর্থ না পেলে অপহরণ, শারীরিক ও পাশবিক নির্যাতনসহ মুক্তিপণ আদায় করতো। মুক্তিপণ না পেলে খুন করে গহীন পাহাড়ে অথবা জঙ্গলে লাশ গুম করতো।

এই নুর মোহাম্মদের নেতৃত্বেই ক্যাম্পে হেড মাঝি শফি উল্লাহ্ হত্যাকাণ্ড, সালাম হত্যাকাণ্ড, সলিম হত্যাকাণ্ড, মালেক হত্যাকাণ্ড, হাবুইয়া হত্যাকাণ্ড ইমান হত্যাকাণ্ড, আবুল মুনসুর হত্যাকাণ্ড, সালেহ্ হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক একজন মহিলার ঘরে প্রবেশের সময় মহিলা বাধা দিলে তাকে গুলি করে হত্যা এবং সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আলোচিত ছয় জন হত্যাসহ বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার তথ্য মিলেছে।

গ্রেফতার আরসার সদস্য মো. হোসেন জোহার হেডমাঝি আবু তালেবকে গুলি করে হত্যা, সাবমাঝি সৈয়দ হোছেনকে গুলি করে চোখ উপড়ে ফেলে হত্যা ও শফিকুর রহমানকে গুলি করে হত্যার প্রধান সহযোগী হিসেবে জড়িত ছিল।

 ফারুক হারেস আরসার প্রহরী দলের প্রধান সমন্বয়কারী এবং 'টর্চারসেল’-এর তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতো। তার ৭-৮ জনের একটি ‘নেট গ্রুপ’ রয়েছে, যারা নিয়মিত ক্যাম্পের প্রহরীর দায়িত্ব পালন করতো এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের কাছে রিপোর্ট করতো।

আর মনির আহাম্মদ, নূর ইসলাম এবং ইয়াছিন পাহাড়ে অবস্থিত গোপন আরসা ঘাঁটির নিরাপত্তা প্রহরীর দায়িত্ব পালন করতো। যেখানে অপহরণ করে নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায় করা হয়।

প্রশাসনের পাশাপাশি ক্যাম্পের এই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত স্থানীয় বাসিন্দারাও। ক্যাম্পের অপরাধ দমনে যৌথ অভিযান চালিয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি স্থানীয় জনপ্রতিনিধির।

উখিয়ার রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী ও কুতুপালংয়ের রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপগুলো যেভাবে ক্যাম্পে অস্থিরতা তৈরি করছে, তাতে স্থানীয়রাও আতঙ্কে রয়েছেন। আমরা চাই, ক্যাম্পে খুনোখুনিসহ সব ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ হোক। প্রয়োজনে সব বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান চালিয়ে ক্যাম্প থেকে অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে আইনের আওতায় আনা হোক।’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম পরিষদের  সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, ক্যাম্পে সংঘটিত অপরাধ কর্মকাণ্ডে মিয়ানমারের মদদ রয়েছে। মিয়ানমার থেকে ইয়াবা, আইস আনাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। প্রত্যাবাসন ঠেকানোই তাদের মূল উদ্দেশ্য।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আরসা অস্ত্র সংগ্রহ করে ক্যাম্পে হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। অপরাধ সংঘটিত করে ভারী অস্ত্রগুলো আবার তারা লুকিয়ে রাখছে। ক্যাম্পে আরসার ৪০০ থেকে ৪৫০ সদস্য রয়েছে। তাদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনসহ র‍্যাব,বিজিবি, এপিবিএন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধও সাধারণ মানুষ কেউ ভালো স্বস্তিতে নেই সেটা ঠিক।তবে বর্তমানে পরিস্থিতি অতীতের যেন সময়ের চেয়ে ভালো।অপরাধীদের  টার্গেট করে যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এখন  অস্থির সময় পার করছে অপরাধীরা।


অপরাধ   তীর্থস্থান   রোহিঙ্গা ক্যাম্প   খুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুন্দরবনে আগুন, ভয়াবহ রূপে ছড়িয়েছে ৩ কিলোমিটার জুড়ে

প্রকাশ: ১১:০৯ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

পূর্ব সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এরইমধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে।

শনিবার (৪ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন গহিন বনে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বন বিভাগ ও স্থানীয় এলাকাবাসী আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।

মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা ও মোংলা ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট সন্ধ্যায় পৌঁছালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেনি।

খবর পেয়ে বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহাম্মদ নুরুল কবির ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তারেক সুলতান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

তিনি জানান, বিকেলে বনরক্ষী ও স্থানীয় এলাকাবাসী আগুন দেখতে পায়। এ সময় বন বিভাগের কর্মী ও স্থানীয় এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তবে পানি অনেক দূরে হওয়ায় রাত ৯টা পর্যন্ত ফায়ার ইউনিটগুলো আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারেনি। তবে লাইন স্থাপনের কাজ করছে তারা। সকালে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারে বলে ঈঙ্গিত দেন এ বন কর্মকর্তা।

সুন্দরবন বিভাগের বিটিআরটির সদস্যরা আগুন নেভানোর কাজ করছে। বিটিআরটি সদস্যরা জানান, তারা পানির অভাবে আগুন নেভাতে পারছে না। তাই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত কাজ শুরু করতে না পারলে তীব্র দাবদাহের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. আবু তাহের জানান, আমুরবুনিয়া ফাঁড়ির কাছেই আগুন লেগেছে। বেশ বড় এলাকা। অন্তত দুই থেকে তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আগুন ছড়িয়েছে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. সাইদুল আলম চৌধুরী জানান, আগুনের খবর পেয়ে প্রথমে মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও পরে শরণখোলা ও মোংলা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটসহ মোট ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় পৌঁছাতে অনেক সময় লেগেছে। এখন লাইন স্থাপনের কাজ চলছে। লাইন স্থাপন শেষে দ্রুত আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা হবে।


সুন্দরবন   আগুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আমলাদের সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি কেন?

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে আমলাতন্ত্রের এখন বাড়বাড়ন্ত। আমলারাই যেন রাষ্ট্র ক্ষমতায় রয়েছেন। তারাই যেন সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন। এরকম একটি ধারণা প্রতিষ্ঠিত। রাজনীতিবিদদেরকে ব্যাকসিটে দিয়ে আমলারাই যেন এখন রাষ্ট্র পরিচালনার ড্রাইভিং সিটে। আর এরকম পরিস্থিতিতে আমলারা এখন সবকিছুর উর্ধ্বে উঠে গেছেন। তাদের বিচার করা যাবে না। দুর্নীতি দমন কমিশন তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে গেলে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। আমলারা যৌন নির্যাতন, নারী কেলেঙ্কারি এবং ফৌজদারি অপরাধ করলেও শুধুমাত্র ইনক্রিমেন্ট বন্ধের মত লঘু শাস্তি পাচ্ছেন এবং সেই লঘু শাস্তিগুলো পরবর্তীতে ক্ষমা করা হচ্ছে।

আমলাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা আয়-ব্যয়ের হিসাবও এখন পর্যন্ত দাখিল করছেন না। অর্থাৎ সরকারি কোনও আইন, নীতি, নিয়ম কোন কিছুরই তোয়াক্কা করছেন না বাংলাদেশের আমলারা। এর মধ্যে আমলারা নতুন বায়না ধরেছেন। তারা তাদের সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি করেছেন।

আরও পড়ুন: সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় চান আমলারা

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বাংলাদেশের সচিব পর্যায়ে যে সমস্ত শীর্ষ আমলারা রয়েছেন তাদের বেশির ভাগেরই সন্তানরা উচ্চশিক্ষা নেন বিদেশে। তারা শিক্ষাজীবনে একটি পর্যায়ের পর তাদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষা দেওয়ার জন্য বিদেশে পাঠান। দেখা যাচ্ছে- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্যের মত দেশগুলোতে সচিব এবং অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের শতাধিক আমলার সন্তানরা পড়াশোনা করে এবং এদের মধ্যে খুব অল্প কয়েকজনই বৃত্তি পান। বাকিদের ব্যয়ভার বহন করেন আমলারাই। এই বিপুল ব্যয় বহনের অর্থ আমলারা কোথায় থেকে পান সেটি যেমন একটি প্রশ্ন, তেমনই আমলাদের সন্তানদের বিদেশে পাঠানোর প্রবণতা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর তাদের অনাস্থারই প্রতিফলন।

সাম্প্রতিক সময়ে তাদের এই মনোভাবটি আবার নতুন করে দেখা দিল- যখন তারা তাদের সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় দাবি করলেন। প্রশ্ন উঠেছে, আমালাদের বেশিরভাগ সন্তানই যখন বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন তখন তাদের পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি কেন?

আরও পড়ুন: জনজীবনে অস্বস্তি বাড়ছে যেসব ইস্যুতে

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, যে সমস্ত আমালাদের সন্তানরা বিদেশে পড়াশোনা করছেন, সেই সমস্ত দেশগুলোতে এখন মানি লন্ডারিং এবং আয়ের উৎস একটি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। একাধিক আমলার সন্তানরা বিদেশে পড়াশোনা করতে গিয়ে এখন বেশ চাপের মধ্যে রয়েছেন। কারণ, কোথায় থেকে তার টাকা আসছে এবং কোথায় থেকে এই শিক্ষা ব্যয় বহন করা হচ্ছে এটি এখন দেশে দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তাছাড়া টিউশন ফি’র বাইরে আমলাদের সন্তানদের যে বিলাসবহুল জীবনযাপন সেই বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য টাকা পাঠানো এখন আগের মত আর সহজ নেই। আর এ কারণেই আমলারা মনে করছেন যে, ভবিষ্যতে এই মানি লন্ডারিং এবং অর্থ পাচারের ইস্যুতে তাদের বড় ধরনের সর্বনাশ ঘটতে পারে। আর তাই তাদের সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি করছেন। কিন্তু আমাদের এই দাবি কতটুকু যৌক্তিক সেই প্রশ্ন উঠেছে। আমলারা কি তাহলে তাদের জন্য সুবিধার সবকিছু নিংড়ে নিতে চান? এই প্রশ্নটি এখন সবচেয়ে বড় হয়ে উঠেছে।


সচিবালয়   আমলা   বিশ্ববিদ্যালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিঙ্গাপুরের জন্য চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ: হাইকমিশনার

প্রকাশ: ১০:৩৫ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো বলেছেন, ‌ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সিঙ্গাপুরের জন্য বাংলাদেশের বিশেষ করে চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রামের বে-টার্মিনালে সিঙ্গাপুরের শিপিং কোম্পানি পিএসএ বিনিয়োগ করছে, বে-টার্মিনাল ট্রান্সফরমেশনের মাধ্যমে এ আন্তর্জাতিক বৃহৎ বন্দরে উপনীত হবে। এ সূত্রে দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। 

শনিবার (০৪ মে) হাইকমিশনার চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র পরিচালকম-লীর সাথে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, চেম্বার প্রেসিডেন্ট ওমর হাজ্জাজ, সহ-সভাপতি রাইসা মাহবুব, পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মো. রকিবুর রহমান (টুটুল), মাহফুজুল হক শাহ, বেনাজির চৌধুরী নিশান, নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, আখতার উদ্দিন মাহমুদ, মোহাম্মদ সাজ্জাদ উন নেওয়াজ, ওমর মুক্তাদির, এন্টারপ্রাইজ সিঙ্গাপুর-এর দক্ষিণ এশিয়ার ডেভেলপমেন্ট পার্টনার ক্লারেন্স চং, সিঙ্গাপুরের শিপিং কোম্পানি পিএসএ’র লিম উই চিয়াং, বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জহির।

 


সিঙ্গাপুর   হাইকমিশনার   ডেরেক লো  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা

প্রকাশ: ১০:১৩ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

রানওয়ের রক্ষণাবেক্ষণসহ বেশ কয়েকটি কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। আর তাই আগামী ৫ থেকে ৭ মে বিমানবন্দরের এ রানওয়েটি রাত ১২টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এই ৩ দিন মধ্যরাতে ৩ ঘণ্টার জন্য ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকবে। এই সময়টাতে রানওয়ের মার্কিং করা, বৈদ্যুতিক ও রক্ষণাবেক্ষণের কিছু কাজ করা হবে।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, এই ৩ ঘণ্টায় বিমানবন্দরে নিয়মিতভাবে সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স, মালয়েশিয়ান এয়ারওয়েজ, থাই এয়ারওয়েজ, কুয়েত এয়ারওয়েজ, কাতার এয়ারওয়েজ ও ক্যাথে প্যাসিফিকের ফ্লাইট থাকে। তাদের এই ৩ দিন ফ্লাইটের সময় এগিয়ে বা পিছিয়ে নিতে বলা হয়েছে।

এর আগে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং যাত্রীসেবা মানোন্নয়নে রানওয়ের সেন্ট্রাল লাইনে আরও লাইট স্থাপনের জন্য ২ মাস ৫ ঘণ্টার জন্য শাহজালাল বিমানবন্দরের রানওয়ে বন্ধ করা হয়েছিল।


হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর   ফ্লাইট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চ্যালেঞ্জের মুখে তরুণ মন্ত্রীরা

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণদেরকে রাজনীতিতে পাদপ্রদীপে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বহু তরুণকে তিনি প্রত্যাশার বাইরে জায়গা দিয়েছেন। নেতৃত্বে, মন্ত্রিসভায় এবং জাতীয় সংসদে নিয়ে এসেছেন। এবারের যে মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে সেই মন্ত্রিসভা অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের মিশেলে একটি মন্ত্রিসভা বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।

আরও পড়ুন: উপজেলায় বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিরা

এই মন্ত্রিসভায় শেখ হাসিনা বেশকিছু তরুণকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু তরুণরা দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন। আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তারা শান্ত-ধীরস্থিরভাবে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন সেটার উপর নির্ভর করছে সরকারের সাফল্যের অনেক কিছুই।

যে সমস্ত মন্ত্রীরা চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন-

১. শিক্ষামন্ত্রী: শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ছিলেন এবারের মন্ত্রিসভায় অন্যতম বড় চমক। গত মন্ত্রিসভায় তিনি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী। এবার তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন।

বিশেষ করে এই তীব্র দাবদাহের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা-বন্ধ নিয়ে যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে, সেই টানাপোড়েনে সাধারণ অভিভাবকদের কাছে শিক্ষামন্ত্রী সমালোচিত হচ্ছেন। বিশেষ করে হাইকোর্ট যখন প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তখন তার বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি সমালোচিত হয়েছিলেন। যদিও সেই সিদ্ধান্ত থেকে তিনি পরে সরে এসেছেন। তবে তরুণ শিক্ষামন্ত্রীকে সামনের দিনগুলোতে আরও অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে বলেই মনে করছেন সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন: নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের সাধারণ ক্ষমা?

২. জনপ্রশাসনমন্ত্রী: গতবার ফরহাদ হোসেন ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। এবার তিনি পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নানা রকম আমলাতান্ত্রিক ইস্যু এখন ক্রমশ জটিল হয়ে পড়ছে এবং সাধারণ মানুষের অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশেষ করে প্রশাসন ক্যাডারের কর্তৃত্ব-বাড়াবাড়ি অন্যান্য ক্যাডারগুলোর মধ্যে ক্ষোভ এবং অসন্তোষ সৃষ্টি করছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসন ক্যাডারের একের পর এক পদোন্নতি এবং অন্যান্য ক্যাডারগুলোর অবহেলা সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে একধরনের বৈষম্য সৃষ্টি করেছে।

তাছাড়া চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে প্রশাসনের মধ্যে একধরনের নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। সেই নেতিবাচক মনোভাব কাটানোর জন্য জনপ্রশাসনমন্ত্রীকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। প্রশাসনের ন্যায়নীতি এবং যোগ্য ব্যক্তিদেরকে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়টিও এখন একটি বড় প্রশ্ন হিসেবে সামনে এসেছে। চাটুকার এবং মতলববাজদেরকে পদোন্নতি দেওয়ার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে একধরনের অবস্থান তৈরি হয়েছে।

আমলাদের বাড়বাড়ন্ত এখন সাধারণ মানুষের জন্য একটি বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমলাদের নানা রকম দাবিদাওয়ার ফিরিস্তি সাধারণ মানুষকে হতাশ করেছে। এই অবস্থায় আমলাতন্ত্রকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা এবং তাদের খবরদারি-বাড়াবাড়ির লাগাম টেনে ধরা যেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

৩. বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ছিলেন এবারের মন্ত্রিসভায় অন্যতম বড় চমক। এই তরুণ কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে সেটা দেখার অপেক্ষায় ছিল সাধারণ মানুষ। কিন্তু বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এখন পর্যন্ত বাজারের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি, শৃঙ্খলাও রক্ষা করতে পারেননি। তার এই দায়িত্বটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পাঁচ ইস্যুতে নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র

এই সমস্ত তরুণ মন্ত্রীরা তাদের উদ্ভাবনী নানা রকম দক্ষতা দিয়ে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন সেটার উপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারুণ্যের যোগ্যতা নির্ধারণ এবং ভবিষ্যত।


শিক্ষামন্ত্রী   জনপ্রশাসনমন্ত্রী   বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন