ইনসাইড বাংলাদেশ

সাবেক স্বামীর পরিকল্পনায় নারী কর কর্মকর্তাকে অপহরণ

প্রকাশ: ০৩:১৩ পিএম, ২৬ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) যুগ্ম কমিশনার মাসুমা খাতুনকে অপহরণের পেছনে তার সাবেক স্বামীর হাত রয়েছে। আর অপহরণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করেন ওই কমিশনারের সাবেক গাড়িচালক মাসুদ। 

আজ (শনিবার) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। 

তিনি জানান, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা হারুন-অর রশিদের রাগ-ক্ষোভ ছিল স্ত্রী মাসুমা খাতুনের ওপর। তারই জের থেকেই মাসুমা খাতুনকে অপহরণের পরিকল্পনা করেন তিনি। পরিকল্পনায় ব্যবহার করা হয় ভুক্তভোগী মাসুমার সাবেক ড্রাইভার মাসুদকে। মাসুদের নেতৃত্বে অপহরণ মিশনে অংশ নেয় মোট সাতজন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী হারুন কর্তৃক হাতিরঝিলে ৫০ হাজার টাকায় একটি বাসা ঠিক করা হয়। তবে অহপরণ করে মাসুমাকে ওই বাসায় নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকার একটি গ্যারেজে নেওয়া হয়। সেখানে গাড়ীতেই তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়।

পরদিন মাসুমাকে নিয়ে অপহরণকারীরা রাজধানীর মাদারটেক এলাকায় যাওযার পর সেখানে ওই নারী কর্মকর্তার চিৎকারে এলাকাবাসীর হাতে আটক হয় তিনজন। পালিয়ে যায় সাবেক ড্রাইভার মাসুদসহ চারজন।

এনবিআর কর্মকর্তা মাসুমাবে অপহরণ ও নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় রমনা থানায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মাসুম ওরফে মাসুদসহ জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাব কর্তৃক গ্রেপ্তাররা হলেন, মামলার প্রধান আসামি মো. মাসুম ওরফে মাসুদ, সহযোগী আব্দুল জলিল ওরফে পনুও মো. হাফিজ ওরফে শাহিন। র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র‌্যাব-১ ও র‌্যাব-৩ এর যৌথ অভিযানে শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, গত ১৭ আগস্ট রাত আনুমানিক সোয়া ৮টার দিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর একজন নারী যুগ্ন কর কমিশনার রাজধানীর মগবাজার এলাকায় কতিপয় দুর্বৃত্তদের মাধ্যমে অপহৃত হন। পরবর্তীতে অপহরণের ১৮ ঘন্টা পর ১৮ আগস্ট রাজধানীর মাদারটেক এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী নিজেই তার সাবেক গাড়ি চালক মাসুদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এলাকাবাসী কর্তৃক আটক তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখায় রমনা থানা ‍পুলিশ।

তারা হলেন, সাইফুল ইসলাম, আবু বকর সিদ্দীক ও ইয়াছিন আরাফাত ওরফে রাজু। একই ঘটনায় জড়িত শান্ত পলাতক রয়েছে। ওই ঘটনায় র‌্যাব অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। গত রাতে মামলার প্রধান আসামি মাসুম ওরফে মাসুদ সহযোগী আব্দুল জলিল ও হাফিজকে গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার তিনজনের কাছ থেকে প্রাপ্ততথ্যের ভিত্তিতে কমান্ডার মঈন বলেন, গ্রেপ্তার মাসুদ পূর্বে ভুক্তভোগীর ব্যক্তিগত গাড়ির ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ১ আগস্ট ব্যক্তিগত শৃঙ্খলাজনিত কারণে ভুক্তভোগী তাকে চাকুরি হতে অব্যাহতি দেন। ফলে গ্রেপ্তার মাসুদের মধ্যে ভুক্তভোগীর প্রতি ব্যক্তিগত ক্ষোভ ও আক্রোশের সৃষ্টি হয়।

নগদ ৭০ হাজারে অপহরণ চুক্তি
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার মাসুদ জানায়, তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলে তিনি মাসুমা খাতুনের সাবেক স্বামী হারুন অর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর মাসুমাকে উচিত শিক্ষা দিতে মাসুদের সঙ্গে পরিকল্পনা করেন হারুন। এরজন্য মাসুদকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখান তিনি। মাসুদকে অগ্রিম ৭০ হাজার টাকাও দেন হারুন।  

১৫ আগস্ট সবুজবাগে মাসুদ তার পরিচিতি হাফিজ, পনু, রাজু, সাব্বির, সাইফুল ও শান্তকে পরিকল্পনার কথা জানান এবং সবাইকে টাকার ভাগ দেন। তারা রাজধানীর বেইলি রোড এলাকা থেকে মাসুমা খাতুনকে অপহরণের সিদ্ধান্ত নেন। মাসুমার বর্তমান গাড়ি চালকের সাথে গ্রেপ্তার হওয়া হাফিজের সুসম্পর্ক ছিল। এ সুবাদে তার থেকে তথ্য নিয়ে মাসুদকে জানান হাফিজ।

পরিকল্পনা অনুযায়ী মাসুদ ও তার সহযোগীরা ১৭ আগস্ট রাত ৮টার দিকে বেইলি রোড এলাকায় অবস্থান নেন। মাসুমা খাতুন রাত সোয়া ৮টার দিকে বেইলি রোড এলাকায় পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেল ও একটি রিকশা দিয়ে গাড়ির সঙ্গে লাগিয়ে দিয়ে দুর্ঘটনার নাটক সাজিয়ে গাড়ির গতিরোধ করা হয়। এ সময় মাসুমার গাড়িচালক মোটরসাইকেল ও রিকশা সরানোর জন্য গাড়ি থেকে নামলে তাকে মারধর করা হয় এবং মাসুদ গাড়িতে উঠে পড়ে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেন ও সহযোগীদের নিয়ে মাসুমা খাতুনকে অপহরণ করে হাতিরঝিলের দিকে চলে যান।

গ্রেপ্তার মাসুদ র‌্যাবকে আরও জানিয়েছে, অপহরণের পরই বিষয়টি হারুনকে জানানো হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী মাসুমাকে হাতিরঝিলের একটি বাসায় নেওয়ার কথা থাকলেও ওই বাসার মেইন গেট বন্ধ পাওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গাড়িতে করে ঘুরতে থাকেন তারা। এরপর রাত ১২টার দিকে কাঁচপুর এলাকায় পরিচিত একটি গ্যারেজে গাড়িটি ঢোকানো হয়।

সেখানে নেওয়ার পথে অপহৃত নারীকে নির্যাতন করা হয়, প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ভুক্তভোগীর কাছে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তার কাছে থাকা নগদ দেড় লাখ টাকা ও মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

পরদিন ১৮ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাড়িটি নিয়ে রাজধানীর মাদারটেক এলাকায় যান মাসুদ। সেখানে জুমার নামাজ পর্যন্ত অবস্থান করেন। দুপুরে খাবার সময় হলে মাসুদ, রাজু ও সাব্বির খাবার আনতে যান এবং পনু, সাইফুল ও শান্ত গাড়ি পাহাড়া দিচ্ছিলেন। এ সময় সুযোগ বুঝে ওই নারী চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সাইফুল, সাব্বির ও রাজুকে আটক করেন। মাসুদ, পনু ও শান্ত পালিয়ে যান। 

গ্রেপ্তার মাসুদ সম্পর্কে কমান্ডার মঈন বলেন, ২৫ বছর ধরে পেশায় গাড়িচালক মাসুদ আগে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের ভারী যানবাহন চালিয়েছেন। একটি দুর্ঘটনায় কয়েকজনের নিহতের ঘটনায় তার নামে মামলা হলে তার ভারী যান চালানোর লাইসেন্স বাতিল হয়। এ ছাড়াও তিনি গাড়ি চুরিসহ এলাকায় বিভিন্ন ধরণের অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলেন।  

গ্রেপ্তার পনু পেশায় সিএনজি চালক। একই এলাকায় বসবাস করার কারণে মাসুদের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল। অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মাসুদ তাকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা অগ্রিম প্রদান করেন।

গ্রেপ্তার হাফিজ দূরপাল্লার বাস চালক। ২০২২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সিলেট যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনার ফলে তার চাকরি চলে যায়। একই পেশা এবং একই এলাকায় বসবাসের কারণে গ্রেপ্তার মাসুদের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল। অপহরণের ঘটনায় তিনি পেয়েছেন মাত্র ৫ হাজার টাকা।

নারী কর কর্মকর্তাকে অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী সাবেক স্বামী হারুন কোথায়? জানতে চাইলে কমান্ডার মঈন বলেন, তিনি মগবাজারের বাসাতেই অবস্থান করছেন বলে জেনেছি।

অপহরণে তার সংশ্লিষ্টতার তথ্য পেয়েও কেন এখনও তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি? জানতে চাইলে কমান্ডার মঈন বলেন, এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানলে জানতে পারে। হারুনের নাম মামলার এজহারে নেই। যে কারণে প্রাপ্ত তথ্য তদন্ত সংস্থাকে জানানো হবে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:২৫ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই। এ সকল সংঘাতের অবসান হোক এই কামনা করি। বুধবার (১৫ মে) সকালে 'আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলের নারী ও শিশু প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত। প্রতিনিয়ত তারা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। আমরা আশা করি জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা সেখানে সবার জন্য, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করণে আরও কার্যকরী ব্যবস্থা নিবে।

তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে আইসিপিডির ১৫টি মূলনীতি বাস্তবায়নে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি-২০১২ প্রণয়ন করি। মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের মৃত্যুহার কমানো, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও কিশোর-কিশোরীর প্রজনন স্বাস্থ্যসহ পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনার ব্যাপক কর্মসূচি শুরু করি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশকে আমি ২০৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। সে লক্ষ্যে কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারি নানা উদ্যোগে বাল্যবিয়ের হার কমে আসছে। নানাভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।


শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জলবায়ু নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা করেছি: ডোনাল্ড লু

প্রকাশ: ০১:২২ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কীভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

লু আরও বলেন, আমাদের চমৎকার আলোচনা হয়েছে। পরিবেশ সুরক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কীভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা করেছি। 

এছাড়া ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করার কথাও জানান তিনি।



ডোনাল্ড লু   জলবায়ু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সম্পর্ক কীভাবে সুদৃঢ় করব সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে: সাবের হোসেন চৌধুরী

প্রকাশ: ০১:০৩ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সামনের দিকে সম্পর্ককে কীভাবে আরও সুদৃঢ় করব সেটা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লুর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেছি। অতীতের কোনো বিষয় নিয়ে কথা হয়নি।


সাবের হোসেন চৌধুরী   ডোনাল্ড লু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ময়মনসিংহে নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ


Thumbnail মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নুসরাত জাহান তনু

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মুক্তাগাছায় সবাইকে চমকে দিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন ইসরাত জাহান তনু।   উপজেলা নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী (স্বতন্ত্র) হিসেবে ফুটবল প্রতীক নিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়ালেও তিনি তার নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

জানা যায়, উপজেলার খামারের বাজার এলাকার কলাকান্দা গ্রামের মৃত-ডাঃ এএল এম গোলাম আরহামের বড় মেয়ে মোছা: জান্নাতুল আমান (তনু) অরফে ইসরাত জাহান। তনু বিয়ে করেছেন দুইটি। তবে দুইজনের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে এখন তিনি তার বাবার বাড়িতেই এক মেয়ে সন্তান ও মাকে নিয়ে বসবাস করছেন।

 

ইসরাত জাহান তনু তার নির্বাচনী হলফনামায় সম্পদ ও মামলার তথ্য গোপন করেছেন অভিযোগ তুলে,ইসরাত জাহানের প্রার্থীতা বাতিল চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেছেন তনুর সাবেক স্বামী মোঃ খাইরুল ইসলাম মনির।

 

ইসরাত জাহান পেশায় একজন গৃহিনী হলেও নির্বাচনী হলফনামায় তিনি নিজেকে একজন ব্যবসায়ী দাবি করেছেন কিন্তু উপজেলায় তার নামে কোন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়নি।

 

নির্বাচনে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর ইসরাত জাহান তনুর জমা দেওয়া মনোনয়নের হলফনামা সূত্রে জানা যায়, ইসরাত জাহান তনুর শিক্ষাগত যোগ্যতা এম.এস.এস পাশ। ব্যবসার সুবাদে তিনি বছরে দুই লাখ টাকা আয় করেন। বর্তমানে তার নগদ এগারো লাখ টাকা জমা রয়েছে। তবে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া কোন ধরনের জমি কিংবা কোনো ধরনের আবাদি কৃষি জমি নেই।

 

তবে হলফনামার সঙ্গে বাস্তবে তার কোনো মিল নেই। কারণ তথ্য গোপন করেছেন তিনি।  তনুর সম্পদ বিবরণী বিশ্লেষণ করে দেখা যায়,তনুর বর্তমানে নগদ ও অন্যান্য সব কিছু মিলিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার মালিক তিনি।

 

হলফনামায় কোনো কৃষি বা আবাদি জমি নাই উল্লেখ করলেও মুক্তাগাছা উপজেলা ভূমি অফিসে তনুর নিজের করা নাম খারিজ রিভিউ আবেদন বিশ্লেষণ করে জানা গেছে,উপজেলার শশা মৌজায় খারিজ নং-বি.এস-১৭৪১ এবং ৬০৪৩ নং দাগে দলিল মূল্যে প্রাপ্ত হয়ে ০.১৯৫০ একর জমি রয়েছে।

 

এছাড়া সূত্র বলছে, ঘাটাইল উপজেলায় শাহপুর মৌজায় জমি ১২ শতাংশ জমির উপর তনুর ৩ তলা ভবনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে এবং কলাকান্দায় পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ২০ শতাংশ জমি রয়েছে তনুর। 

 

এছাড়াও তার নামে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে (সি.আর মামলা নং- ৪১ /২০২৪) মমলা রয়েছে, যা তিনি হলফনামায় উল্লেখ না করে তথ্য গোপন করেছেন। তনুর হলফনামায় দেয়া অন্যান্য তথ্যের মধ্যেও গড়মিল পাওয়া গেছে। 

 

উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসরাত জাহান (তনু) এবং জান্নাতুল আমান (তনু) একই ব্যক্তি দাবি করে, তনুর সাবেক স্বামী খাইরুল ইসলাম মনির বলেন, তনুর বাবা মৃত- ডাঃ এএল এম গোলাম আরহান তনুর জন্মের পর তার নাম রেখেছিলেন জান্নাতুল আমান (তনু), পরে জাতীয় পরিচয়পত্রে সে তার নাম পরিবর্তন করে হয়ে যান ইসরাত জাহান। আর জান্নাতুল আমান (তনু) নামটি সে জন্মনিবন্ধনে ব্যবহার করে থাকেন জমিজমা ক্রয়-বিক্রয় করার ক্ষেত্রে। আসলে দুইটি নাম একইজনের। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেই তনু এই পথ বেছে নিয়েছেন। তার প্রতারণার শিকার আমিও হয়েছি। তার মত মানুষ জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে,তার দ্বারা মানুষ প্রতারিত হবেন। যেকারণে আমি তার প্রার্থীতা বাতিল চাইছি। প্রয়োজনে আমি উচ্চ আদালতের আশ্রয় নিব।

 

ইসরাত জাহান (তনু) এবং জান্নাতুল আমান (তনু) একই ব্যাক্তি কি না? জানতে চাইলে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসরাত জাহান বিষয়টি এড়িয়ে যান।

 

হলফনামায় তথ্য গোপনের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার এই সব বিষয়ে কোনো মন্তব্য নাই।। আমি নির্বাচন নিয়েই আপাতত ব্যস্ত। আর এগুলা সব আমি নির্বাচনের পর বিস্তারিত বলবো। এগুলা নিয়ে নিউজ করার মত আসলেই কিছু নাই তারপরও আপনার যেটা ভালো মনে হয় করেন।’

 

হলফনামায় তথ্য গোপন করার পরেও কিভাবে তার মনোনয়নপত্র বৈধতা পেলো এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা  সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহামুদা হাসান বলেন, তার হলফনামায় দেওয়া তথ্য যাচাইবাছাই করে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি যদি তার হলফনামায় তথ্য গোপন করে থাকেন এবং তা প্রমাণিত হয়,তবে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। 


উপজেলা নির্বাচন   হলফনামা   তথ্য গোপন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সারাদেশে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যকরের নির্দেশ ওবায়দুল কাদেরের

প্রকাশ: ১২:২৯ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশব্যাপী নো হেলমেট, নো ফুয়েল কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (১৫ মে) বনানীতে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৭-এর অধীনে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি।

এ সময় ওবায়দুল কাদের বিআরটিএর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এত উন্নয়নের পরও সড়ক, মহাসড়কে যানজট ও দুর্ঘটনা কেন?

শুধু ঢাকায় নয়, সারা দেশেই আজ থেকে মোটরসাইকেলে হেলমেট বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের কথাও বলেন ওবায়দুল কাদের।

সভায় ঢাকার দুই সিটি মেয়র, বিআরটিএ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।


‘নো হেলমেট   নো ফুয়েল’   নির্দেশ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন