বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের হলে এক ছাত্রী র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ছাত্রীকে গভীর রাতে দুই দফায় হলের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে দীর্ঘ সময় দাঁড় করিয়ে রেখে গালাগাল, হুমকি এবং মুঠোফোন তল্লাশি করা হয়েছে। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়লে তাঁকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গত বুধবার রাতে ছাত্রী হলের ৬০৬ নম্বর কক্ষে এই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। হলে অবস্থান করা ডেন্টাল ৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাহমিদা রওশন ওরফে প্রভা, ৫০তম ব্যাচের নীলিমা হোসেন ওরফে জুঁইয়ের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে। তাঁরা নিজেদের ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে সেখানে সংগঠনটির কোনো কমিটি নেই।
এ দিকে আজ শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে র্যাগিংয়ের বিষয়টি নিয়ে মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিল নির্যাতনের শিকার ছাত্রীদের বক্তব্য নেয়। এ সময় বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত হয়ে নির্যাতনের শিকার ছাত্রী ও ছাত্রীর মায়ের বক্তব্য নিতে যান। তখন কয়েকজন শিক্ষক সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করেন। এ সময় চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়।
ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ নাজিমুল হক। আজ দুপুরে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। এটা আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।’
ছাত্রীদের নির্যাতনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি খুব সামান্য ঘটনা, বড় কিছু নয়। তবে আমরা বিষয়টি দেখছি। এটা সমাধানের চেষ্টা করছি। আমি ব্যস্ত আছি, এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে পরে কথা বলব।’
র্যাগিংয়ের শিকার ওই ছাত্রী আজ অভিযোগ করেন, বেশ কয়েক দিন ধরেই ছাত্রলীগের নেত্রী পরিচয় দেওয়া ওই ছাত্রীরা তাঁকে এবং তাঁর রুমমেটকে নানাভাবে গালাগাল দিয়ে মানসিক নির্যাতন করে আসছেন। এতে ভীতসন্ত্রস্ত ছিলেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে যেন এ ধরনের আচরণ না করা হয়, সে জন্য নেতৃত্ব দেওয়া ওই ছাত্রীদের একজন সহপাঠীকে দিয়ে অনুরোধ করান তাঁরা। কিন্তু এতে অভিযুক্তরা ক্ষেপে যান। এর জেরে বুধবার রাত ১১টার দিকে নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী ও তাঁর রুমমেটকে হলের ৬০৬ নম্বর কক্ষে ডেকে নেওয়া হয়। এরপর তাঁদের দুজনকে দাঁড় করিয়ে অভিযুক্তদের সহপাঠীর কাছে কেন ‘নালিশ করা হয়েছে’, এ জন্য কৈফিয়ত চান এবং অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। একপর্যায়ে তাঁদের মুঠোফোন নিয়ে তা তল্লাশি করার জন্য কয়েকজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আধা ঘণ্টা নানাভাবে শাসিয়ে দুই ছাত্রীকে তাঁদের কক্ষে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কক্ষে ফিরে ভীতসন্ত্রস্ত এক ছাত্রী বিষয়টি অভিযুক্তদের ওই সহপাঠীকে জানালে তিনি ফোন করে ছাত্রলীগ পরিচয় দেওয়া নেত্রীদের কাছে উষ্মা প্রকাশ করেন। এরপর ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে আবার ডাকা হয়।
র্যাগিংয়ের শিকার ছাত্রী আরও বলেন, রাত ১২টার দিকে দ্বিতীয় দফায় ডেকে নিয়ে দুই ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রেখে আবারও গালাগাল করা হয় এবং ভয়ভীতি দেখানো হয় তাঁকে। এ সময় ওই ছাত্রী কান্নাকাটি করেন এবং তিনি অসুস্থতার কথা জানিয়ে তাঁকে বসতে দেওয়ার অনুরোধ করেন। তবে তাঁকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। তাঁর মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে পুনরায় তল্লাশি করা হয়। দুই ঘণ্টা ধরে এভাবে মানসিক নির্যাতনে ওই ছাত্রী অসুস্থ বোধ করলে তাঁকে কক্ষে পাঠানো হয়। এর পরপরই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে গভীর রাতে তাঁকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়া ছাত্রীর মা আজ দুপুরে গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় আজ দুপুর ১২টার দিকে কলেজ প্রশাসন তাঁর মেয়ে ও অন্য এক ছাত্রীকে ডেকে ঘটনা সম্পর্কে তাঁদের বক্তব্য নেয়। প্রশাসন তাঁর মেয়েকে মানসিক রোগের চিকিৎসকের কাছে পাঠায়। ওই ছাত্রীর মা অভিযোগ করেন, নির্যাতনের শিকার দুই ছাত্রীকে কলেজ প্রশাসন থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, ‘তোমরা চিকিৎসা চাও, নাকি বিচার চাও? যেকোনো একটি বেছে নিতে হবে তোমাদের। বিচার চাইলে তোমাদের শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’ আমরা বলেছি, আমরা দুটোই চাই। নির্যাতনকারী ছাত্রীদের পক্ষে যায়, এমন প্রস্তাব কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আসায় আমরা বিস্মিত হয়েছি।’
নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর মা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এখন আমার মেয়েকে মানসিক ভারসাম্যহীন প্রমাণ করার চেষ্টা করছে তারা। কলেজ প্রশাসন যখন দুই ছাত্রীর বক্তব্য নিচ্ছিল, নির্যাতনকারীরা তখন বাইরে অবস্থান নিয়ে হাসাহাসি করছিল। কলেজ প্রশাসনের এমন আচরণে আমরা হতাশ হয়েছি। মেয়ের নিরাপত্তা নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন।’
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগের নেত্রী পরিচয় দেওয়া ফাহমিদা রওশন ও নীলিমা হোসেনের বক্তব্য জানতে তাঁদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তাঁরা সাড়া দেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে চেষ্টা করা হলে নীলিমা হোসেনের ফোনটি রিসিভ করেন তাঁর এক সহপাঠী।
তিনি বলেন, ‘নীলিমা ব্যস্ত আছে, পরে আপনার সঙ্গে কথা বলিয়ে দেব।’
বরিশাল মেডিকেল হল ছাত্রী র্যাগিং সাংবাদিক হামলা
মন্তব্য করুন
ডেঙ্গুত আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে প্রতি বছর ১০ হাজার কোটি মানুষ মারা যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এই ডেঙ্গুর প্রকপ দিনদিন বাড়ছে। ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। দেখা যায় ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ১ হাজার ৭০৫ জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ঠিক ওই বছরি বিশ্বে এই সংখ্যা দাড়ায় ৫ হাজার ৫০০ জনের বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুয়ায়ী, ২০০০ সালে প্রায় বিশ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে মারা যায়। তবে এই অবস্থার আরও অবনতি ঘটছে। চলতি বছর বিশ্বে ৪০ হাজার মানুষ এ রোগে মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেটস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন।
সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত অঞ্চল লাতিন আমেরিকা। ২০০০ থেকে ২০০৫ সালে সেখানে বছরে গড়ে পাঁচ লাখ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। কিন্তু ২০২৩ সালে অঞ্চলটিতে ৪৬ লাখ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। এদিকে ২০২৪ সালে এরই মধ্যে সেখানে প্রায় ৬০ লাখ ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ব্রাজিলের মানুষ।
একদিকে যেমন ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তেমনি অঞ্চল ছাপিয়ে তা ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের সর্বত্র। এডিস মশা তাপমাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গে সংবেদনশীল এবং বিশ্ব উষ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পরিসরও বাড়ছে।
বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ডেঙ্গুর সংক্রমণ হয় ১৯৬০ সালের দিকে। ২০০০ সালের জুন মাসে ডেঙ্গু সর্বপ্রথম মহামারি আকারে দেখা দেয় বাংলাদেশে। সে বছর মোট ৫ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়, যার মাঝে মারা যায় ৯৩ জন। এরপর কম-বেশি প্রতিবছরই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, মারা গেছে। কিন্তু সেই সংখ্যা কখনোই ২০২৩ সালের মতো এত প্রকট আকার ধারণ করেনি।
২০২৩ সালে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়। এই বছরে আক্রান্তের হার যেমন বেড়েছে, তেমনি মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ ছুঁয়েছে।
আগের ২৩ বছরে দেশে ডেঙ্গুতে মোট মারা গেছেন ৮৬৮ জন। কিন্তু শুধু ২০২৩ সালে ১ হাজার ৭০৫ জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যান। অর্থাৎ বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি বছরে বছরে আরও ভয়াবহ হচ্ছে।
অ্যানেফিলিস মশা ম্যালেরিয়া ছড়ায়, যা এখন সারা বিশ্বেই পাওয়া যায়। কিন্তু এডিস মশা এখনো সব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েনি। কিন্তু জলবায়ুর বর্তমান প্রবণতা অনুযায়ী, এডিস মশা দক্ষিণ ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে আরও দুইশ কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
নগরায়ন এই মশার বংশবিস্তার বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে। একটি ডেঙ্গু মশা তার দুই সপ্তাহের জীবনে একাধিক ব্যক্তিকে কামড়াতে পারে। কিছু স্থানে এই রোগ আগে ছিল না কিন্তু এখন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই প্রবণতা এখন বাংলাদেশ ও ভারতে দেখা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্যালিফোর্নিয়া, দক্ষিণ ইউরোপ, আফ্রিকায় ডেঙ্গু আক্রান্তে সংখ্যা বেড়েছে।
ডেঙ্গু জ্বরের জন্য বিশ্বকে অবশ্যই প্রস্তুতি নিতে হবে। যদিও ধনী উত্তর গোলার্ধ ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, তবে এতে বিশ্বের দরিদ্র অংশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এনজিওর টাকা তুলতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। এঘটনায় নিহত গৃহবধূ আকলিমা সলঙ্গা কুমাজপুর গ্রামের শরীফুল ইসলামের স্ত্রী৷
রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকাল ৪ টার সময় উপজেলার হাটিকুমরুল পাবনা মহাসড়কে চড়িয়া শিকার উত্তর পাড়া খেজুর তলা নামক স্থানে অজ্ঞাত ট্রাকের ধাক্কায় ২ সন্তানের জননী আকলিমা (৩২) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন।
জানা যায় শরিফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আকলিমা গাক এনজিও থেকে টাকা নিয়ে সাইকেলে করে ফেরার সময় ট্রাকের ধাক্কায় আকলিমা খাতুন পড়ে গেলে চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনা স্থলেই মারা যান৷
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) এম এ ওয়াদুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘাতক ট্রাকটি চাপা দিয়েই ঘটনাস্থলে থেকে পালিয়ে যায়৷
মন্তব্য করুন
রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন একমাত্র নারী প্রার্থী মোসা. রাবেয়া সুলতানা মিতু। হেঙ্গার প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৩০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র আবু শামা নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৮৭ ভোট। আর মিজানুর রহমান চামচ প্রতীকে ২ হাজার ৯১৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৯টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)-এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণ শেষে কেন্দ্র থেকেই ফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ৯টি কেন্দ্র থেকে পাওয়া তথ্যমতে ভোটের এই ফল জানা গেছে।
এই নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হওয়া মোসা. রাবেয়া সুলতানা মিতু কাটাখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্বাস আলীর স্ত্রী।
নির্বাচনে মেয়র পদে মোট সাতজন প্রার্থী অংশ নেন। অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী জহুরুল ইসলাম রিপন মোবাইল ফোন প্রতীকে ১ হাজার ৩৩৯ ভোট, মোতাহার হোসেন রেল ইঞ্জিন প্রতীকে ১ হাজার ৮৮ ভোট, সিরাজুল ইসলাম জগ প্রতীকে ৩৮৪ ভোট এবং জিয়ারুল ইসলাম ক্যারাম বোর্ড প্রতীকে ১২৭ ভোট পেয়েছেন।
উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন ভোটাররা। তাছাড়া নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে কোথাও কোন গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি। এই নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে ১৫ হাজার ৬৫০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এই পৌর সভায় ভোটার ছিলেন ২৩ হাজার ৫৪১ জন। যার মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৭৭৬ এবং পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ৮৮৬ জন।
মন্তব্য করুন
তীব্র গরমে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
প্রার্থী মরিয়ম আক্তার মুক্তা মারা গেছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন গোপালপুর উপজেলা পরিষদের সকল
পদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যুতে।
মরিয়ম আক্তার মুক্তার স্বামী মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, মরিয়ম
তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়লে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা-২ এর উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান
স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে নির্বাচন স্থগিতের তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে ৮ মে টাঙ্গাইলের
গোপালপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু ভোটগ্রহণের পূর্বে মহিলা ভাইস
চেয়ারম্যান পদে একজন বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সকল পদের নির্বাচন স্থগিত করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, পুনঃতফসিল ঘোষণার মাধ্যমে চতুর্থ ধাপে
৫ জুন এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান
করেছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইতোপূর্বে যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন তাদেরকে
নতুন করে মনোনয়ন দাখিলের প্রয়োজন হবে না।
তবে পূর্বে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের প্রত্যাহারের সুযোগ দেওয়া যাবে।
চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে পূর্বের মনোনয়ন বহাল থাকবে এবং উক্ত পদের বিদ্যমান
প্রার্থীদের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শুধু মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নতুনভাবে
মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে।
মরিয়ম আক্তার টানা দুবারের নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এবং সাবেক সংসদ সদস্য হাতেম আলী তালুকদারের নাতনি মরিয়ম আক্তার মুক্তা এবারও একই পদে প্রার্থী ছিলেন।
তীব্র দবদাহ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মৃত্যু
মন্তব্য করুন
উখিয়ার রাজাপালং বালুর মাঠ সংলগ্ন রোহিঙ্গার বসতঘরে অভিযান চালিয়ে ০৫ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে ০৫টি পিস্তল, ০২টি ওয়ান শুটারগান, ১৬ রাউন্ড বিভিন্ন ধরণের গুলি, ০২টি শর্ট গানের কার্তুজ ও নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ গ্রেফতার করেছে ১৪ এপিবিএন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ ইকবাল।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাত ১ টা ৩০ মিনিটের সময় গোপন সংবাদের ভিক্তিতে ১৪ এপিবিএনের সহ অধিনায়ক পুলিশ সুপার অহিদুর রহমানের তত্বাবধানে ইরানী পাহাড় পুলিশ ক্যাম্প কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার অংশু কুমার দেব এর নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয় রোহিঙ্গা ক্যাম্প ২/ওয়েস্ট, ব্লক ডি/৯ এর জোবায়ের বসতঘরে। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৫ টি বিদেশি পিস্তল, ২ টি ওয়ান শুটারগান, ৩ রাউন্ড বড় ফাইভস্টারের গুলি, ৯ রাউন্ড মাঝারি ফাইভস্টারের গুলি,৪ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ২ রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজ ও নগদ ৫০ হাজার টাকা।
এ সময় গ্রেফতার করা হয় বাড়ির মালিক মৃত কবির আহমদের ছেলে রোহিঙ্গা যুবক মোঃ জোবায়ের (২২), ব্লক ডি / ৯ এর আবদুল জলিলের ছেলে দিল মোহাম্মদ (২৩), একই ক্যাম্পের ব্লক সি/২ এর আব্দুস ছালামের ছেলে মোঃ খলিল (৩৪), ব্লক সি/ ২ এর মতিউর রহমানের ছেলে মোঃ ইদ্রিস (৩২) এরা ক্যাম্প ২ এর বাসিন্দা। অপর ব্যক্তি হচ্ছে ক্যাম্প ১৩ ব্লক ব্লক- এ/৬ এর বাসিন্দা মৃত সব্বির আহমদের ছেলে মোহাম্মদুল্লাহ (২৫) ।
তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প অস্ত্র উদ্ধার গোলাবারুদ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী
মন্তব্য করুন
রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন একমাত্র নারী প্রার্থী মোসা. রাবেয়া সুলতানা মিতু। হেঙ্গার প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৩০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র আবু শামা নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৮৭ ভোট। আর মিজানুর রহমান চামচ প্রতীকে ২ হাজার ৯১৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।