বাংলাদেশের প্রথম নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ১৯৭৬ সালে তিনি গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন যার মাধ্যমে তিনি এবং গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির পর থেকেই মুহম্মদ ইউনূস বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। ২০০৬ সালে তিনি নিজে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। ওয়ান ইলেভেন আনার পেছনেও ওনার একটি ভূমিকা আছে বলে অনেকে মনে করেন। কিন্তু বর্তমানে তিনি একদম ফৌজদারী আইনী জটিলতার মধ্যে পড়ে গেছেন। তার বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন ও দুর্নীতির কয়েকটি মামলা চলমান। যার একটির বিচারিক কার্যক্রম ৩১ আগস্ট শুরু হবার কথা।
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে করা এই মামলাগুলো কোনো রাজনৈতিক প্ররোচনার ফলাফল নাকি যুক্তিযুক্ত, এটি নিয়ে বিভিন্ন মহলেই বিবাদ আছে। এই তর্ক বিতর্কের জেরেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার নামে তাকে নিছক হয়রানি করা হচ্ছে বলে মনে করছে।
এর আগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা একটি চিঠি লিখেন। চিঠিটি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা হয়। এছাড়া ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা ও হয়রানিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশের ৩৪ জন নাগরিক প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তবে সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে চলমান শ্রম আইন লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মামলার বিচারিক কার্যক্রম স্থগিতের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি খোলা চিঠি পাঠানো হয়েছে। যেখানে সাক্ষর করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বস্থানীয় প্রায় ১৬০ বিশ্বনেতা। এই চিঠিতে তার বিরুদ্ধে চলমান মামলার বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত চাওয়ার সাথে সাথে বর্তমানে আসন্ন নির্বাচনের বিষয়টিও উঠে এসেছে। যেটি তার মামলার সাথে অপ্রাসঙ্গিক। চিঠিটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও অনেকে মনে করছেন। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোভিত্তিক জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান সিজিয়ন পিআর নিউজওয়্যার তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই চিঠির মাধ্যমে ড. মুহাম্মদ ইউনূস কি চলমান একটি মামলা হতে অব্যাহতি পেতে পারেন? তার পক্ষে দায়মুক্তির এই তলবের কি কারণ? তিনি কি আইনের উর্ধ্বে? স্বাধীন বিচারবিভাগের একটি বিষয়ে কি করে প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করবেন?
উল্লেখ্য, যে প্রতিষ্ঠানটি (সিজিয়ন পিআর নিউজওয়্যার) চিঠিটি প্রকাশ করেছে তারা মূলত একটি পি আর ফার্মের মতই কাজ করে। অর্থের বিনিময়ে যেকোনো ব্র্যান্ড, কোম্পানি বা সংস্থার অগ্রগতির জন্য তারা কৌশলগত যোগাযোগ রক্ষা করে বিভিন্ন এজেন্ডা অনুসরণের মাধ্যমে সে কোম্পানি বা সংস্থার প্রচার প্রসারে ভূমিকা রাখে। বর্তমানে প্রায় ৭৫০০০ কোম্পানি বা সংস্থার সাথে তাদের অংশীদারিত্ব আছে। এছাড়া সিজিয়নের বিশ্বব্যাপী ১৭০ টি দেশে ৪০ টি ভাষার প্রায় ১০০০০০ গ্রাহক রয়েছে যাদের তারা সেবা প্রদান করছে। এদের গল্প, প্রভাব এবং প্রসার বাড়ানোই এই প্রতিষ্ঠানের কাজ। অর্থাৎ, টাকার বিনিময়েত সিজিয়ন যে কারও প্রচার প্রসারের জন্যেই কাজ করে থাকে।
পারতপক্ষে, এই চিঠির প্রভাব খাটিয়ে ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার
স্থগিতাদেশ চাওয়া হচ্ছে। বিশ্বনেতারা বাংলাদেশের আইন, বিচার বিভাগকে না জেনে, পর্যালোচনা না করে অযাচিতভাবে বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করছেন। এখানে আইন আছে
এবং আইনের শাসন আছে। একটি মামলা তার নিজস্ব কার্যপ্রণালী অনুসরণ করেই কাজ করবে।
এদিকে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান, প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বনেতাদের দেওয়া এ চিঠিকে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন। এ মামলায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবী করা সম্পূর্ণ অমূলক। যেখানে আমাদের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাহী বিভাগ বিচার বিভাগ হতে সম্পূর্ণ আলাদা এবং স্বাধীন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের ২২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই পৃথকীকরণ নিশ্চিত হয়েছে। অর্থাৎ, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করবে, নির্বাহী বিভাগ এখানে কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
এছাড়া হিলারি ক্লিনটন এবং তার সহযোগীরাও ড ইউনূসের পক্ষে পিটিশনে স্বাক্ষর করছেন। এর আগে ২০১৬ সালের দিকে ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে অনুদান দাতাদের মধ্যে মুহম্মদ ইউনূসের নাম পাওয়া যায় যেখানে তিনি ৬ মিলিয়ন ডলার অনুদান প্রদান করেন। অনেক বড় অর্থ কেলেঙ্কারীগুলির মধ্যে এটিও একটি যে বিষয়ে কেউ কথা বলছে না। যে অর্থ তিনি অনুদান হিসেবে দিয়েছিলেন এগুলো আমাদের গ্রামের গরিবদের অর্থ। মুহম্মদ ইউনুস এই অর্থের এক পয়সাও তার জনগণের জন্য ব্যবহার করেননি বরং নিষ্ঠুরভাবে তাদের থেকেই এসব অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। কর ফাঁকির ১৩ কোটি টাকা জমা থাকায় তিনি ইতিমধ্যেই দুর্নীতিবাজ বলে স্বীকৃতি পেয়ে গেছেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বনেতাদের দেওয়া চিঠির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করার অধিকার না থাকলেও কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী সাজা মওকুফ করার ক্ষমতা রাখেন এটি সত্যি, কিন্তু এক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্ন। ড. মুহম্মদ ইউনূস নোবেল বিজয়ী বলে তিনি আইনের উর্ধ্বে নন। এমন নজিরও নেই। বরং নোবেল বিজয়ী অনেকের মামলা মুখোমুখি হবার গল্প আছে, সাজা পাওয়ার নজিরও আছে।
অং সান সু চি শান্তিতে নোবেল
পুরস্কার বিজয়ী একজন। রোহিঙ্গা গণহত্যার সময় তার মানবতার বোধ কেমন আমরা তা
দেখেছি,
তার বিরুদ্ধেও মামলা চলমান। তিনি সেগুলোর মুখোমুখি হচ্ছেন
কিন্তু পালিয়ে বেড়াচ্ছেন না।
এছাড়া এই কয়েক বছর আগেও শান্তিতে
নোবেল জয়ী ফিলিপাইনের সাংবাদিক মারিয়া রেসারের
বিরুদ্ধে সে দেশে কর ফাঁকি দেয়ার মামলা হয়েছিল। তিনিও বিচারের মুখোমুখি
হয়েছেন এবং বছরের পর বছর তিনি আদালতের বারান্দায় বারান্দায় ঘুরেছেন।
আরেক শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ব্যক্তি আলেস বিলিয়াতস্কি, যিনি চোরাচালান এবং অর্থায়নের জন্য দোষী সাব্যস্ত। বেলারুশের একটি আদালত তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
এহেন সব উদাহরণ দেখে ড. মুহম্মদ
ইউনূসের বরং মামলার মুখোমুখি হবার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠার কথা যদি তিনি
সত্যিই নির্দোষ হন। তার উচিত মামলার মুখোমুখি হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজের বক্তব্য
পেশ করা। বিতর্কের অবসান করা। তার মত গুণী ব্যক্তির আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ
থেকে বিবৃতি সংগ্রহের প্রয়োজন কি? কেন এই তদবির?
সিজিয়ন পিআর ড. মুহম্মদ ইউনূস শ্রম আইন দুর্নীতি মামলা ১৬০ বিশ্বনেতা চিঠি তদবির
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কমলা ভাসিন অ্যাওয়ার্ড খুশী কবির
মন্তব্য করুন
সুশীল ডোনাল্ড লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বদিউল আলম মজুমদার আদিলুর রহমান খান
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও একমত বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার (১৫ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, “গাজায় শান্তি স্থাপন করার বিষয়টি আমরা আলোচনা করেছি। তিনি (ডোনাল্ড লু) বলেছেন, ইউএস অত্যন্ত টায়ারডলেসলি (অক্লান্তভাবে) কাজ করছে যাতে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তিনি আমাকে যেটুকু বলেছেন- ‘তারা আশাবাদী’।”
‘আমরা বলেছি, গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে, নিরীহ নারী ও শিশুকে হত্যা করা হচ্ছে। ৩৫ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, তার মধ্যে ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু’, যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এটি আসলে মেনে নেয়া যায় না। আমি বলেছি, টেলিভিশনে যখন এগুলো দেখি, তখন টেলিভিশন দেখা কন্টিনিউ করতে পারি না। সেখানে শান্তি স্থাপন করা দরকার। তিনিও একমত যে, সেখানে শান্তি স্থাপন করা দরকার। তিনি জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য টায়ারলেসলি কাজ করছেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক খুবই চমৎকার। আমাদের বহুমাত্রিক সহযোগিতার ক্ষেত্র রয়েছে। একইসাথে গত ৫৩ বছরের আমাদের অভিযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যে কারণে ডোনাল্ড লুকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তিনি সম্পর্ককে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছেন। সেই অভিপ্রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছেন।’
‘আমাদের আলোচনা সেই লক্ষ্যেই হয়েছে। একক দেশ হিসেবে আমাদের রফতানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশও যুক্তরাষ্ট্র। আমি ডোনাল্ড লু’কে অনুরোধ জানিয়েছি, বাংলাদেশে ৪০টি আইটি ভিলেজ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেখানে যাতে যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ বাড়ায়। যদিও কিছু বিনিয়োগ তারা এরইমধ্যে করেছে।’
হাসান মাহমুদ ডোনাল্ড লু ফিলিস্তিন গাজা
মন্তব্য করুন
রাজধানী ঢাকায় যেন ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার (১৫ মে) বনানীতে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে আয়োজিত সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যাটারিচালিত কোনো গাড়ি (তিন চাকার) যেন ঢাকা সিটিতে না চলে। আমরা ২২টি মহাসড়কে নিষিদ্ধ করেছি। শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, চলতে যেন না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর আগে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঢাকার মধ্যে অটোরিকশা বন্ধে সম্মতি জানান।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ভয়াবহ ব্যাপার যখন রিকশাচালকরা দুই পা ওপরে উঠিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়। অনেক প্রতিবন্ধী আছেন যারা চোখে কিছুটা কম দেখেন তারাও এই রিকশা নিয়ে নেমে পড়েন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সিদ্ধান্তে আসা দরকার যে ঢাকায় ইজি বা অটোরিকশা চলবে না। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
সভায় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানী ওবায়দুল কাদের অটোরিকশা
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের চাকরির বাজারের প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হওয়ার জনপ্রিয়তা সবচাইতে বেশি। চাকরিপ্রত্যাশীদের মতে সরকারি চাকরির মত পেশাগত নিরাপত্তা আর কোথাও নেই। আর সেজন্যই অনেক দেশে বেশি বয়সে সরকারি চাকরির আবেদনের সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশে এর সীমাবদ্ধতা ৩০ বছরে রয়েছে। সরকারি চাকরির কোন কোন ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতার দরকার হয়। সেই দক্ষতা অর্জনের জন্য বাড়তি সময়ের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া চাকরির আবেদনের বয়স যতই থাকুক না কেন, পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ অনির্দিষ্ট হয় না। একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৫ বা ৭ বার সিভিল সার্ভিসের জন্য আবেদন করতে পারেন। আমাদের দেশেও যেকোন যুক্তিতে বয়স বাড়াতে গেলে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত।
জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করতে কমলা ভাসিন অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আজাদ ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইন্ডিয়া এবং আই পার্টনার-ইন্ডিয়া যৌথভাবে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করবে। জেন্ডার সমতা নিয়ে কর্মরত দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাসকারী যে কেউ এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারেন। আগামী ৭ জুনের মধ্যে এই আবেদন করতে হবে।
বাংলাদেশে সুশীল সমাজের কিছু প্রতিনিধি আছেন যাদেরকে মনে করা হয় তারা মার্কিনপন্থী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে তারা গর্ব অনুভব করেন। কথায় কথায় মার্কিন দূতাবাসে যান। সেখানে প্রাতঃরাশ, মধ্যাহ্নভোজ, নৈশভোজে মিলিত হন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যা বলে তারা তার চেয়ে তিন ধাপ গলা উঁচিয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশ নিয়ে তাদের কোন ভালবাসা নেই, প্রেম নেই, আগ্রহ নাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এবং নীতি বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করাই যেন তাদের প্রধান লক্ষ্য। এই সমস্ত সুশীলদেরকে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রোফোন।