ইনসাইড বাংলাদেশ

সাইবার নিরাপত্তা আইন পাশ হলে, তা হবে ‘কালো আইন’ : টিআইবি

প্রকাশ: ০৬:৩০ পিএম, ৩০ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া নিয়ে টিআইবি’র সংবাদ সম্মেলন।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলেছে, বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খোলস পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়াটি করা হয়েছে। কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মৌলিক দুর্বলতা ও উদ্বেগের কারণগুলো রয়েই গেছে। সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়াটি বর্তমানে যে অবস্থায় আছে, সেটি যদি আইনে প্রণীত হয়, তাহলে এটিও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো ‘কালো আইন’ হিসেবে প্রণীত হবে। তখন এটিও মানুষের মৌলিক স্বাধীনতা খর্ব করার ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। তাই অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে খসড়াটিতে ঢেলে সাজাতে হবে।

বুধবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। ‘খসড়া সাইবার নিরাপত্তা আইন–২০২৩: পর্যালোচনা ও সুপারিশ’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের তুলনামূলক তথ্য উপস্থাপন করেন টিআইবির পরিচালক (আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) শেখ মনজুর-ই-আলম।

নতুন করে দুটি ধারাকে জামিনযোগ্য করে গত সোমবার ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন–২০২৩’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এতে এখন প্রস্তাবিত আইনে জামিনযোগ্য ধারাগুলো হলো ১৮ (১) (খ), ২০, ২১,২২, ২৩,২৪, ২৫,২৬, ২৮,২৯, ৩০,৩১, ৩২ ও ৪৬। এর আগে মন্ত্রিসভা নীতিগত অনুমোদন দেওয়ার সময়ে (৭ আগস্ট) আইনের খসড়ায় অজামিনযোগ্য ধারা ছিল ছয়টি। এখন দুটি ধারা (২১ ও ৩০) নতুন করে জামিনযোগ্য করায় অজামিনযোগ্য ধারা রয়েছে চারটি। যদিও সাংবাদিক, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মীসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের অনেকের আশঙ্কা, প্রস্তাবিত আইনে সাজা কমানো ও জামিনযোগ্য ধারা বাড়ানো ইতিবাচক হলেও বিভিন্ন অপরাধের সংজ্ঞা সুনির্দিষ্ট না করা এবং  ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অনেক বিষয়বস্তু প্রায় একইভাবে রেখে দেওয়ার কারণে প্রস্তাবিত আইনেও মানুষকে হয়রানি করার সুযোগ থেকেই যাবে। অবশ্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে অংশীজনদের ডেকে আলোচনা করা হবে।

প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া নিয়ে আলোচনার মধ্যেই আজ সংবাদ সম্মেলনে আইনের খসড়াটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছে টিআইবি।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়াটি প্রক্রিয়া ও বিষয়বস্তু—উভয় বিবেচনায় বিতর্কিত। প্রক্রিয়াগত বিতর্কের কারণ হলো, এই সরকারের সময় একটি ইতিবাচক চর্চা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত করা। কিন্তু সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া প্রণয়নের ক্ষেত্রে সেটি হয়নি। শুধু মতামতের জন্য ১৪ দিন সময় দিয়ে খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁরা ধরে নিতে চান সংশ্লিষ্ট অংশীজনকে সম্পৃক্ত করার এখনো সুযোগ আছে এবং সরকার এটি নিশ্চিত করবে।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়াটি যেভাবে প্রণীত হয়েছে, তাতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে শাস্তির পরিমাণ কমানো হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাড়ানোও হয়েছে। তা সত্ত্বেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মৌলিক দুর্বলতাগুলো এখানেও রয়ে গেছে। যেসব কারণে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের উদ্বেগ ছিল, সেগুলোও রয়ে গেছে। মানুষের মৌলিক অধিকার, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, বাক্‌স্বাধীনতা, বিবেক ও চিন্তার স্বাধীনতা বিশেষ করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা—এ বিষয়গুলো খর্ব করার মতো অনেক উপাদান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ছিল, সেগুলোর চেতনা ও বিষয়বস্তু দুটিই সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়াতেও আছে। শাস্তি কমানোয় সাধুবাদ। কিন্তু মূল বিষয় হলো এটি (বর্তমান খসড়াটি) নিবর্তনমূলক।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যেভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ‘কালো আইন’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল, সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া বর্তমানে যে অবস্থায় আছে, সেটিই যদি আইনে প্রণীত হয়, তাহলে এটিও ‘কালো আইন’ হিসেবে প্রণীত হবে। তখন এটিও মানুষের মৌলিক স্বাধীনতা খর্ব করার মতো ঝুঁকি সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মত প্রকাশ করলে, তথ্য প্রকাশ করলে, চিন্তা ও বিবেক প্রকাশ করলে ঝুঁকির সম্মুখীন হওয়ার বার্তাটি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। এটি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই আইনের উদ্দেশ্য যদি হয়, সাইবার নিরাপত্তা তাহলে তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। খসড়াটি এখন যে অবস্থায় আছে, সেটি যদি অনুমোদিত হয় তাহলে সেটিকেও ‘নিবর্তনমূলক আইন’ বলা ছাড়া উপায় থাকবে না। এটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কিছুটা পরিবর্তন করে, কিছু শাস্তি বাড়ানো-কমানোর নামে শুধু খোলস পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু মূল বিষয়বস্তু অপরিবর্তিত রয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা আইনের যেটি উদ্দেশ্য হওয়ার কথা ছিল, সেই সাইবার সিস্টেমকে নিরাপত্তা না করে সাইবার সিস্টেম ব্যবহার করে মতপ্রকাশ, তথ্যপ্রকাশ, চিন্তার প্রকাশের জায়গায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট অংশীজন, বিশেষ করে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাইবার নিরাপত্তার যে চর্চা, সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়াটি ঢেলে সাজাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের যে মূল উদ্দেশ্য, সেখানে মতপ্রকাশ ও বাক্‌স্বাধীনতা খর্ব করতে পারে—এ রকম বিষয়বস্তু থাকার কথা নয়। যদি মতপ্রকাশের নামে বা তথ্যপ্রকাশের নামে অন্য কারও অধিকার হরণ বা মানহানি হয়, সে জন্য প্রচলিত আইন আছে। প্রচলিত আইনেই তার বিচার হবে। এখানে সাইবার নিরাপত্তা আইনে তার বিচার নির্ধারণ করে দেওয়ার কোনো যুক্তি আছে বলে তিনি মনে করেন না।

সংবাদ সম্মেলনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের তুলনামূলক তথ্য উপস্থাপন করতে গিয়ে টিআইবির পরিচালক (আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) শেখ মনজুর-ই-আলম বলেন, সাইবার অপরাধ একটি ভিন্নধর্মী অপরাধ, সাইবার নিরাপত্তা ভিন্ন ধরনের কাঠামো; যেখানে কম্পিউটার ডিভাইস, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো ইত্যাদির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা। এর বাইরে যত অপরাধ আছে, সেগুলো প্রচলিত আইনে বিচার করা সম্ভব। এগুলো সাইবার নিরাপত্তার অংশ হতে পারে না।

শেখ মনজুর-ই-আলম বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন নামে যে খসড়াটি হয়েছে, সেটি মূলত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে। এ ছাড়া যে পরিবর্তন, সেটি হলো কোনো কোনো ক্ষেত্রে কারাদণ্ড বাদ দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কমানো হয়েছে। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে জরিমানা বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কিছু ধারা জামিনযোগ্য করা হয়েছে।

শেখ মনজুর-ই-আলম আরও বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়াতেও পুলিশকে ‘ঢালাও ক্ষমতা’ দেওয়া হয়েছে। এখানে পুলিশ কর্মকর্তার ‘মনে করার ওপর’ নির্ভর করতে হচ্ছে। কারণ, পুলিশ কর্মকর্তা যদি মনে করেন, প্রস্তাবিত আইনের অধীনে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে তাহলে তিনি বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি করতে পারবেন এবং প্রয়োজনে গ্রেপ্তারও করতে পারবেন। এটি ভয়ংকর আশঙ্কা তৈরি করছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) সুমাইয়া খায়ের ও কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম। 


সাইবার নিরাপত্তা আইন   খসড়া   টিআইবি   সংবাদ সম্মেলন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৯ মে থেকে শুরু চলতি মৌসুমের হজ ফ্লাইট

প্রকাশ: ০৭:১১ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৯ মে শুরু হচ্ছে চলতি মৌসুমের হজ ফ্লাইট। হজযাত্রীদের নিয়ে ঢাকা থেকে ওইদিনই প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে। এরপর শিডিউল অনুযায়ী পরবর্তী ফ্লাইটগুলো ছাড়া হবে। তবে সব ফ্লাইটের সূচি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। এদিন হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান।

তিনি বলেন, এখনো শিডিউল ঘোষণা করা হয়নি। দ্রুত শিডিউল ঘোষণা করে যাত্রীদের জানানো হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় বলছে, গত বছর এক লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রী বহন করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সৌদিয়া) ও সৌদির বেসরকারি এয়ারলাইন্স ফ্লাইনাস মোট ৩৩৫টি হজ ফ্লাইট ঘোষণা করেছিল। চুক্তি অনুযায়ী, মোট হজযাত্রীর অর্ধেক বহন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি অর্ধেক বহন করে সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ার। এবারও এই তিন এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের বহন করবে।

জানা গেছে, চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে যাবেন ৮৩ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৪ হাজার ৩০৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পালিত হতে পারে পবিত্র হজ। প্রতিবছর একমাস আগে থেকে শুরু হয় হজ ফ্লাইট। তার আগে হজযাত্রীদের ভিসা, ফ্লাইট শিডিউল সংক্রান্ত কাজ সম্পন্ন করে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও এয়ারলাইন্সগুলো। এবার এখনো শুরু হয়নি ভিসা কার্যক্রম। চূড়ান্ত হজযাত্রীদের তালিকা না পাওয়ায় ঘোষণা করা হয়নি ফ্লাইট শিডিউলও।


হজ ফ্লাইট   ঢাকা হজ অফিস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীর বনানীতে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

প্রকাশ: ০৬:৫৭ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর বনানীতে যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল ৪টার দিকে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন বলেন, আজ বিকাল ৪টা ২ মিনিটে যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।


আগুন   বাস   সড়ক দুর্ঘটনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গবেষণার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৫:৫৪ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণসহ নিরাপদ প্রাণিজ প্রোটিন উৎপাদনের আহবান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকার খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে ‘বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এ আহবান জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আহুত সবুজ বিপ্লবের কৃষি দর্শনের ফলে আজ আমরা খাদ্য উৎপাদনের প্রায় সবগুলো খাতে স্বয়ংসম্পূর্নতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবার সাথে সাথে পুষ্টি নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, প্রাণিজ আমিষের উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে দেশের মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হয়েছে, বেড়েছে গড় আয়ু এবং গড় উচ্চতা। আর এক্ষেত্রে ভেটেরিনারিয়ানদের অবদান অনস্বীকার্য।

ভেটেরিনারিয়ানদের প্রাণিসম্পদের প্রাণ হিসেবে অভিহিত করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের পুষ্টি ও আমিষ জাতীয় খাদ্য উৎপাদনে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন নয় বরং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের রাস্তাও  তৈরি করতে হবে। আর এটা করার জন্য ভেটেরিনারিয়ানদের যোগ্যতম জায়গায় কাজ করার সু্যোগ করে দিতে হবে’।

নিরাপদভাবে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন করার উপর গুরুত্বারোপ করে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, আমাদের উৎপাদিত পশু যদি নিরাপদ না হয় তাহলে তা খেলে আমাদের দেহেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। মানব শরীরে নানা ধরণের রোগের সৃষ্টি হবে। সুতরাং শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।যত্রতত্র এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার না করে বরং প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে পশুকে রোগমুক্ত রাখা যায় সে বিষয়ে গবেষণা করার জন্য তিনি আহবান জানান।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্র হিসেবে তৈরি করতে হলে প্রতিটি ইউনিয়নে ভেটেরিনারিয়ানদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। ভেটেরিনারি সার্ভিসকে ইমার্জেন্সি সার্ভিস হিসেবে স্বীকৃতি থাকা দরকার বলে মন্তব্য করে বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনবেন বলে এসময় তিনি ভেটেরিনারিয়ানদের আশ্বস্ত করেন।

তিনি বলেন, সকলের সহযোগিতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হবে। সকলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন হলে কোন চ্যালেঞ্জই মোকাবেলা করা অসম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার নীতি আদর্শ তথা কৃষি দর্শন এবং তাঁরই সুযোগ্য উত্তরসূরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মকৌশলের ফলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথ ধরে অনুন্নত দেশ থেকে ইতোমধ্যেই উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যেই উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার।

জাতির পিতা উদ্ভাবনী শক্তিসম্পন্ন মেধাবী ছাত্রদের কৃষি শিক্ষায় আকৃষ্ট করতে কৃষিবিদগণকে প্রথম শ্রেনীর মর্যাদা প্রদান করেন উল্লেখ করে বংগবন্ধু যে স্বপ্ন নিয়ে কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দিয়েছিলেন সেটা মাথায় রেখে কাজ করার জন্য ভেটেরিনারিয়ানদের প্রতি আহবান জানান মন্ত্রী।

অধিকতর গুনগত উৎপাদনের প্রতি ভোক্তার চাহিদা বৃদ্ধি, হাইব্রীড জাত নির্বাচন এবং সংরক্ষণ, আধুনিক জলবায়ূ কৌশলের আবির্ভাব এবং গ্রীন-হাউজ গ্যাস নিয়ন্ত্রণ, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ভোক্তার পরিবর্তিত চাহিদা, জৈব-নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও ঝুঁকি মোকাবেলা এবং প্রাণিসম্পদ চাষাবাদের জন্যে নির্ধারিত জমির পরিমান কমে যাওয়াকে প্রাণিসম্পদ খাতের চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি ভেটেরিনারিয়ানদের সুযোগ্য নেতৃত্বে  সংকট মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। ভেটেরিনারিয়ানগণের নিবিড় পরিশ্রমে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মিত হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যদি ক্ষমতায় থাকেন তাহলে তৃনমূল থেকে দেশকে গড়ে তুলে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের যে অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা তিনি দিয়েছেন তা বাস্তবায়নের কারিগর হিসেবে তিনি ভেটেরিনারিয়ানদের স্বীকৃতি দিবেন।

প্রাণিসম্পদ শিল্পে ভেটেরিনারিয়ানগণের অবদান জনসম্মুখে তুলে ধরতে প্রতিবছরের ন্যয় এবারও বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস পালিত হচ্ছে। এবারের বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ভেটেরিনারিয়ানগণ অপরিহার্য স্বাস্থ্য কর্মী’।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ জনাব সমীর চন্দ ও কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনের মহাসচিব কৃষিবিদ জনাব খায়রুল আলম প্রিন্স।


প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর   মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   মোঃ আব্দুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আবারও কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের মানুষের জন্য সুখবর দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। ২ দিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬২৯ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

শ‌নিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৭ হাজার ৭৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯২ হাজার ৪০২ টাকা। ত‌বে সব ধর‌নের সোনার দাম কমলেও সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম বা‌ড়ি‌য়ে ৭৬ হাজার ৮৪২ টাকা করা হয়েছে।

এর আগে গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল স্বর্ণের দা‌ম বা‌ড়ি‌য়ে‌ছিল বাজুস। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস। 


বাজুস   স্বর্ণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ময়মনসিংহে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

প্রকাশ: ০৪:৪৯ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail ময়মনসিংহে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া সিএনজি

ময়মনসিংহ সদরের আলালপুরে বাস ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই সিএনজির যাত্রী ১ নারীসহ ২ জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

 

কোতোয়ালী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন জানান, ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের সদর উপজেলার আলালপুর নামক স্থানে নালিতাবাড়িগামী একটি বাসের সাথে ময়মনসিংহগামী অপর একটি সিএনজি চালিত অটো রিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনা স্থলেই ১ নারী ও ১ পুরুষ মারা যায়।

 

তবে, হতাহতদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত ৪ জনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

 

এঘটনার সাথে জড়িত চালক পালিয়ে গেছে এবং বাসটিকে আটক করা হয়েচে বলেও এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।


সড়ক দুর্ঘটনা   বাস-সিএনজি সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন