ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে নিয়ে ডি ভেন্ট-এর মর্মস্পর্শী প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ৩১ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে নিয়ে ডি ভেন্ট-এর মর্মস্পর্শী প্রতিবেদন।

ডি ভেন্ট পত্রিকার তিন সাংবাদিক রাষ্ট্রদূতের বাড়িতে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে দেখে এ ব্যাপারে আশ্বস্ত হয়েছিলেন যে তাঁরা কোনোরকম বন্দী জীবন যাপন করছেন না। এরপর ১৮ আগস্ট ডি ভেন্ট পত্রিকায় ক্লাউস কর্ন ও উলরিশ লর্ডের যৌথ নামে তিনটি ছবিসহ চার কলামের একটি সংবাদ ছাপা হয়। যার শিরোনাম ছিল  ‘বনে শোকগ্রস্ত শেখ মুজিবের কন্যারা’। 

প্রতিবেদনে লেখা হয়:

বাংলাদেশের সরকারপ্রধান শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর নিজের সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। তাঁর সঙ্গে আরও নিহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তান। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো শেখ মুজিবের দুই কন্যা কোথায়, তা নিয়ে অনুসন্ধান করছে। আমরা ডি ভেল্ট পত্রিকার পক্ষ থেকে তাঁর দুই কন্যার সঙ্গে কথা বলেছি [কথা নয় দেখা হয়েছিল-স. আ.]। গত শুক্রবার তাঁদের বাবা নিহত হবার পর থেকেই তাঁরা উভয়ই বনে অ্যাম লেসিং সড়কের ৬ নম্বরে অবস্থিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের কোয়েনিগসভিন্টারের বাসায় অবস্থান করছেন। সাদা রঙের ভিলাসদৃশ বাড়িটিতে রাষ্ট্রদূত চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী মাহজাবিন চৌধুরীও বাস করেন। বাড়িটির সামনে দিয়ে পিটার্সবার্গ কুর হোটেল (বর্তমানে স্টাইনবের্গ গ্র্যান্ড হোটেল) যাবার মূল রাস্তা । এই রাস্তা দিয়ে শত শত গাড়ি চলাচল করছে। কিন্তু এই গাড়ির আরোহীরা কেউ জানেন না যে সবুজ ঝাউঘেরা ভিলা বাড়িটিতে দুটি মেয়ে গত শুক্রবার তাঁদের বাবার মৃত্যুর খবর পাবার পর থেকে শোকে মুহ্যমান হয়ে রয়েছে। বড় মেয়েটির নাম হাসিনা, বয়স ২৬, আর তাঁর চেয়ে ১০ বছরের ছোট বোনটির নাম রেহানা। ১৫ আগস্ট শুক্রবার সকালে বিবিসি রেডিও থেকে রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী তাঁর দেশের অভ্যুত্থানের ঘটনা শোনেন। তারপরই তিনি তাঁর গাড়িচালক সহযোগে তাঁর অফিশিয়াল মার্সিডিজ গাড়ি নিয়ে ফ্রাঙ্কফুর্ট রওনা হয়ে যান। সেখানে তিনি বেলগ্রেড থেকে আগত পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল হোসেনও রাষ্ট্রদূত চৌধুরীর মতো বাংলাদেশের অভ্যুত্থানের বিষয়ে তেমন কিছু জানেন না। রেডিওতে সারা বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশের অভ্যুত্থান সম্বন্ধে যতটুকু শুনেছেন, তাঁরাও ঢাকার অবস্থা সম্বন্ধে ততটুকুই জানেন। ঢাকায় বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় না ফিরে বনের কোয়েনিগসভিন্টারে অবস্থিত রাষ্ট্রদূতের বাসায় আসেন। সেখানে কিছুক্ষণ পরেই শোকে কাতর রাষ্ট্রপ্রধানের কন্যারা এসে পৌছান। তাঁরা সপ্তাহ দুয়েকের জন্য ইউরোপ ভ্রমণে এসেছিলেন। শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর দুই ছেলে-মেয়ে এবং স্বামীও আছেন। এই ছোট ছেলে-মেয়ে দুটির নানা হলেন নিহত রাষ্ট্রপতি। ড. ওয়াজেদ মিয়া কয়েক মাস আগে থেকেই জার্মানি পরমাণু গবেষণাকেন্দ্রের স্কলারশিপ নিয়ে কার্লসরুয়ে শহরে গবেষণার কাজ করছেন। তাদের দুই সন্তান, বড়জনের বয়স ৪, নাম জয় আর ২ বছর বয়সী মেয়েটির নাম পুতুল। এরা এখন পর্যন্ত তাদের নানার মৃত্যু সম্পর্কে কিছু জানে না। অবাক হয়ে শুধু তারা সারাক্ষণ তাদের মাকে কাঁদতে দেখছে।

রাষ্ট্রদূত চৌধুরীর সুন্দর সাজানো ড্রয়িংরুমের দেয়ালে শিল্পীর আঁকা শেখ মুজিবের একটি বড় ছবি টাঙানো রয়েছে। দূতাবাসের প্রেস অ্যাটাশে আমজাদুল হক আমাদের আনারসের জুস দিয়ে আপ্যায়ন করার পর আলোচনা শুরু হলো। রাষ্ট্রদূত বললেন, "আমরা দেশের কোনো নতুন খবর পাইনি। আপনারা এই বিষয়ে যতটুকু জানেন আমিও তাই জানি। আমি ফ্রাঙ্কফুর্টে আন্তর্জাতিক টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেয়েছি, কিন্তু তারা বলছে, দ্য লাইন ইজ ব্রোকেন ।” রাষ্ট্রদূত চৌধুরী চৌকস ইংরেজিতে কথা বলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করেছেন। তিনি তাঁর দেশের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বিকল্প পথে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইন্টারন্যাশনাল টেলেক্সের মাধ্যমেও চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তারাও জানিয়েছে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগের কোনো পথ পাচ্ছে না। আমরা রাষ্ট্রদূতকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনাদের নিজস্ব কোনো ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই? উত্তরে তিনি জানালেন, “আমরা দরিদ্র দেশ এবং এই ধরনের নিজস্ব যোগাযোগ ব্যবস্থা করার মতো অর্থও আমাদের নেই।” মাননীয় রাষ্ট্রদূত বেশ শান্ত হয়ে বসেছিলেন, তারপর বললেন, তিনি কোনো সময় এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হননি। বললেন, "আমি এখন ঢাকা থেকে সংবাদ পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।”

ওপরতলা থেকে বাচ্চাদের কথাবার্তার আওয়াজ আসছে, এরা মুজিবের দৌহিত্র। এরপর রাষ্ট্রদূত চৌধুরী তাঁর প্রেস অ্যাটাশেকে মুজিব-কন্যাদের ওপর থেকে নিয়ে আসতে বললেন। আর আমাদের বললেন, আপনারা যদি তাঁদের ছবি তুলতে চান, তবে অবশ্যই তাঁদের অনুমতি নেবেন।

সবুজ রঙের হলুদ পাড়ের শাড়ি পরিহিতা হাসিনা তাঁর ডান হাত দিয়ে শাড়ির আঁচল ধরে আছেন আর বাম হাতে তাঁর সাদা রুমাল, তা দিয়ে তিনি চোখ মুছছেন। ঠিক তাঁর পেছন পেছন নেমে এল সদ্য কৈশোর উত্তীর্ণ রেহানা। সেও ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। তাঁরা উভয়েই ড্রয়িংরুমের খয়েরি রঙের সোফায় বসা। তাদের মুখ থেকে একটি শব্দও বের হলো না। তাঁরা সারাক্ষণ নিচের দিকে তাকিয়েছিলেন। কাঁদার সময় তাঁরা বারবার কেঁপে কেঁপে উঠছিলেন। এই পরিস্থিতিতে ছবি তোলার কথা চিন্তাই করা যায় না। এইভাবে কান্নারত অবস্থার তাঁরা তিন থেকে চার মিনিট সোফায় বসে রইলেন। এরপর রাষ্ট্রদূত চৌধুরী উঠে দাঁড়িয়ে তাঁদের সোফার কাছে গেলেন এবং হাসিনা রেহানার মাথার হাত রাখলেন। এরপর উভয়কে নিয়ে আস্তে আস্তে সিঁড়ি দিয়ে ওপরের দিকে উঠে গেলেন। গত দুদিন থেকেই রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী শোকগ্রস্ত মুজিব-কন্যাদের দুঃখ লাঘবের চেষ্টা করছেন। কোরআনের সুরা পড়ে তাঁদের সান্ত্বনা দিচ্ছেন।

পরে নিচে নেমে রাষ্ট্রদূত চৌধুরী বললেন, “আমরা ইসলাম ধর্ম বিশ্বাসী। এই মুহূর্তে আমাদের দায়িত্ব হলো, এই চরম বিপলে সময় যতক্ষণ তাঁদের প্রয়োজন ততক্ষণ মেয়ে দুটিকে রক্ষায় সহযোগিতা করা।”

এরপর আবার আলোচনা হয়, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল হোসেন শনিবার রাতে এখানেই অবস্থান করেছিলেন। পরে শনিবার দুপুরে তিনি ফ্রাঙ্কফুট থেকে লুফৎহানসা এলএইচ ০৩৮ ফ্লাইটযোগে লন্ডনে চলে গেছেন । সেখান থেকে তিনি ঢাকায় ফিরবেন কি না তা ভবিষ্যৎ পরিস্থিতির এ নির্ভর করছে। অবশ্য তিনি আশা করেছিলেন যে লন্ডন থেকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিষয়ে তিনি বেশি খবরাখবর পাবেন।

ইতিমধ্যে শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়া কার্লসরুয়েরে রওনা হবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি যাওয়ার পর তাঁর স্ত্রী হাসিনা, দুই ছেলেমেয়ে ও ছোট বোন রেহানার মানসিক অবস্থা একটু ভালো হলে তাঁরাও সেখানে যাবেন। বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রপ্রধান খোন্দকার মোশতাক আহমদের সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের সম্পর্ক কেমন জিজ্ঞাসা করলে রাষ্ট্রদূত চৌধুরী জানান, তিনি ওনাকে ভালো করে চেনেন। বলেন “আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি নয়াদিল্লিতে ছিলাম এবং সঙ্গে কাজও করেছি।” রাষ্ট্রদূত চৌধুরীকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি কি তাঁর ভালো বন্ধু! জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, “তিনি আমার বয়সে বড় এবং মোশতাক আহমদ আমাদের কাছে একজন সম্মানিত রাজনীতিক ছিলেন।” রাষ্ট্রদূত কয়েক সপ্তাহ আগেই তাঁর মায়ের মৃত্যু দিবস উপলক্ষে ঢাকায় গিয়েছিলেন। তিনি বললেন এখন যে পরিস্থিতির উদ্ভব বাংলাদেশে ঘটেছে, তার বিন্দুমাত্র আভাস তিনি সেখানে থাকতে পাননি। তিনি সুযোগ পেলেই শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশ-জার্মান উত্তরোত্তর সম্পর্ক উন্নয়নের কথা জানাতেন। তারপর রাষ্ট্রদূত জানান এই মুহূর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর জার্মানি দ্বিতীয় দেশ যারা বাংলাদেশের উন্নয়নে বড় রকম সহযোগিতা করছে।

রাষ্ট্রদূত চৌধুরী বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত হিসেবে বিগত তিন বছর ধরে বনে বাস করছেন। এই তিন বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানির সম্পর্কের বেশ উন্নতি হয়েছে। রাষ্ট্রদূতের ছেলে লন্ডনে একটি ব্যাংকে চাকরি করেন আর মেয়ে বিবাহিত, ঢাকায় বসবাস করেন। ঢাকাতে মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানালেন। আমরা মাঝেমধ্যেই ওপর থেকে থেমে থেমে দুই বোনের কান্নার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম। রাষ্ট্রদূত বললেন, তারা তাদের বাবা আর পরিবারের সবাইকে অসম্ভব ভালোবাসত। সেই গভীর অনুভূতি মার কেননা তাদের তাড়িয়ে ফিরছে।

(সূত্র: প্রবাসে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার দুঃসহ দিন।। পৃষ্টা:৭৯-৮৩)


শেখ হাসিনা   শেখ রেহানা   ডি ভেন্ট   মর্মস্পর্শী   প্রতিবেদন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:৪৭ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের মতো ১০ টাকার টিকিট কেটে নিজের চোখ পরীক্ষা করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রী ওই হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। তারপর লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেই টিকিট সংগ্রহ করেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী সাধারণ রোগীদের মতোই নিজের চোখ পরীক্ষা করান। সরকারি হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘটনা দেখে উপস্থিত অনেকেই উচ্ছ্বাস ও আনন্দ প্রকাশ করেন।


প্রধানমন্ত্রী   শেরে বাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:২১ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সাধারণ রোগীদের মতো ১০ টাকার টিকিট কেটে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিজের চোখ পরীক্ষা করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রী ওই হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। তারপর লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেই টিকিট সংগ্রহ করেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী সাধারণ রোগীদের মতোই নিজের চোখ পরীক্ষা করান। সরকারি হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘটনা দেখে উপস্থিত অনেকেই উচ্ছ্বাস ও আনন্দ প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কারামুক্ত হলেন মাওলানা মামুনুল হক

প্রকাশ: ১২:১৯ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। শুক্রবার (০৩ মে) সকাল ১০টার দিকে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।

পরে রিজার্ভ গার্ডে তাকে বসিয়ে রাখা হয় এবং বেলা ১১টার দিকে কারাগারের মূল ফটক থেকে তিনি বের হয়ে যান। গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার মামুনুল হকের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে তা যাচাই-বাছাই শেষে আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মাওলানা মামুনুল হককে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

জানা গেছে, মামুনুল হকের জিম্মাদার অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী আসতে দেরি হওয়ায় তাকে প্রায় এক ঘণ্টা রিজার্ভ গার্ডে বসিয়ে রাখা হয়। পরে বেলা ১১ টার দিকে সাদা রঙের একটি গাড়িতে করে তিনি কারাগারের মূল ফটো থেকে বের হয়ে যান।

এ সময় মামুনুল হকের সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে জিসান ও ভাগিনাসহ আরো কয়েকজন। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্ত পাবেন, এমন খবরে আলেম-ওলামারা কারা ফটকে ভিড় করেন। সন্ধ্যার পর থেকেই কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ভিড় করতে শুরু করেন মামুনুল হকের সমর্থকরা।  


মাওলানা মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: উঠান বৈঠকে বদির বিরুদ্ধে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ

প্রকাশ: ১২:১৪ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের টেকনাফের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আলমের উঠান বৈঠকে তার সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করার জন্য সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ১০টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। 

উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, আমি বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। আমার নির্বাচনী এলাকার হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ায় আমার একটি উঠান বৈঠক ও আলোচনা সভা ছিল। সেখানে হঠাৎ সাবেক এমপি বদি (আব্দুর রহমান বদি) চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলমকে সঙ্গে নিয়ে আমার অনুষ্ঠানস্থলে এসে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন।

তখন ভয়ে আমার সমর্থকরা পালিয়ে যায়। আমি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়েছি। পরে সেখান থেকে বের হয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। সাবেক এমপি বদি আমার সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। যাতে কেউ আমার বিরুদ্ধে কাজ না করে। আমার জনপ্রিয়তা বদি সাহেব মেনে নিতে পারছেন না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলম বলেন, গুলি ছোড়ার ঘটনা পুরাপুরি মিথ্যা। উল্টো নুরুল আলম আমার এক সমর্থককে ধরে নেওয়ার খবর শুনে আমি আর বদি ভাই (সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি) সেখানে যাই।

টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলমের একটি অনুষ্ঠানে ফাঁকা গুলি ছোড়ার ঘটনা শুনেছি। খবর পেয়ে আমাদের পুলিশের টিম সেখানে গিয়েছে। এ ঘটনায় নুরুল আলম একটি অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে কথা বলতে সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।


উপজেলা নির্বাচন   উঠান বৈঠক   অভিযোগ   সাবেক এমপি   আব্দুর রহমান বদি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গাজীপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত বহু

প্রকাশ: ১১:২৩ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের জয়দেবপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে জয়দেবপুর স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিলেন না বলে জানা গেছে। জয়দেবপুর স্টেশনমাস্টার হানিফ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে এসে গাজীপুর হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিল না।


দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন