বাংলাদেশে ব্যবসারত জাপানি কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রায় ৭১ শতাংশই ব্যবসার পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। এর মধ্যে ২৬ দশমিক ২ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ব্যবসার পরিবেশ নিয়ে একেবারেই অসন্তুষ্ট। বাকি প্রায় ৪৫ শতাংশ কোম্পানি জানিয়েছে, তারা ‘কিছুটা অসন্তুষ্ট’।
জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেট্রো) এক জরিপে এই মতামত দিয়েছে দেশটির কোম্পানিগুলো। গতকাল বুধবার রাজধানীর গুলশানে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জরিপের ফলাফল তথ্য তুলে ধরে জেট্রো। এশিয়া ও ওশেনিয়া বা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী জাপানি কোম্পানিগুলোর ওপর জরিপটি করা হয়। গত বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে পরিচালিত এই জরিপে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী ২১৪টি জাপানি কোম্পানি অংশ নেয়।
এদিকে ব্যবসার পরিবেশ নিয়ে অসন্তুষ্ট হলেও জাপানি কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রায় ৭২ শতাংশই জানিয়েছে, তারা এ দেশে ব্যবসা সম্প্রসারণে আগ্রহী। কারণ, এ দেশে ব্যবসার খরচ এখনো কম।
এশিয়া ও ওশেনিয়া অঞ্চলের ৪ হাজার ৩৯২টি জাপানি কোম্পানি জরিপে অংশ নেয়। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ব্যবসা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে কোন দেশ তাদের প্রথম পছন্দ। জবাবে সাড়ে ৭২ শতাংশ কোম্পানি প্রথম পছন্দ হিসেবে ভারতের নাম উল্লেখ করেছে। এর পরের অবস্থানেই রয়েছে বাংলাদেশ। জাপানিদের ব্যবসা সম্প্রসারণের আগ্রহের ক্ষেত্রে ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়াও বাংলাদেশের নিচে রয়েছে। বাংলাদেশের বাজারের বর্তমান আকার ও বাজার বড় হওয়ার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা—এ দেশে জাপানিদের বিনিয়োগ আগ্রহ তৈরিতে বড় ভূমিকা রাখছে।
সস্তা শ্রমে পছন্দের শীর্ষে বাংলাদেশ
জরিপে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ব্যবসার পরিবেশের ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ কোথায় এবং কেন এগিয়ে রয়েছে। জবাবে জাপানি কোম্পানিগুলো চারটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে পছন্দের তালিকায় রেখেছে। ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে সস্তা শ্রম, শ্রমিক ও কর্মচারীর সহজ প্রাপ্তি, বিশেষায়িত জনশক্তি ও প্রকৌশলীর সহজ প্রাপ্তি এবং বিদ্যমান বাজার।
জরিপে ৫১ দশমিক ৭ শতাংশ জাপানি কোম্পানি ‘সস্তা শ্রমের’ জন্য বাংলাদেশকে ব্যবসার পরিবেশের ক্ষেত্রে শীর্ষে রেখেছে। সস্তা শ্রমের কারণে জাপানিদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পছন্দ হলো যথাক্রমে মিয়ানমার ও ফিলিপাইন।
সাধারণ শ্রমিক ও কর্মচারী প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় পছন্দের তালিকায় রেখেছে ৪৬ দশমিক ৬ শতাংশ উত্তরদাতা। এ তালিকায় জাপানিদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ফিলিপাইন। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ বাজারের আকারের দিক থেকে বাংলাদেশ জাপানিদের কাছে তৃতীয় পছন্দের দেশ। এ ক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত ও ইন্দোনেশিয়া। আর বিশেষায়িত শ্রমশক্তি ও প্রকৌশলী প্রাপ্যতার দিক থেকে বাংলাদেশ তাদের তৃতীয় পছন্দ। এ ক্ষেত্রে জাপানিদের প্রথম ও দ্বিতীয় পছন্দ যথাক্রমে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।
ব্যবসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেখানে খারাপ
জাপানি কোম্পানিগুলো ব্যবসার পরিবেশের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সবচেয়ে পিছিয়ে; অর্থাৎ অপছন্দের শীর্ষে রেখেছে দুটি ক্ষেত্রে। প্রথমটি ব্যবসার অনুমোদন ও সনদ প্রদানের ক্ষেত্রে দক্ষতার ঘাটতি, দ্বিতীয়টি করব্যবস্থার অদক্ষতা। প্রায় ৮০ শতাংশ জাপানি কোম্পানি মনে করে, এ দেশে ব্যবসার ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। আর ৭৩ দশমিক ৪ শতাংশ জাপানি কোম্পানি মনে করে, করব্যবস্থার অদক্ষতা ব্যবসার ক্ষেত্রে এ দেশে বড় বাধা। এ ছাড়া বিদেশি মূলধনের আইনি কাঠামো বা ভিত্তি তৈরি এবং বিদেশিদের ভিসা ও কাজের অনুমতি (ওয়ার্ক পারমিট) প্রাপ্তির জটিলতাও বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশের ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা। যদিও এ দুটি ক্ষেত্রে মিয়ানমার, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার অবস্থা বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ।
ব্যবসা পরিচালনায় বড় চ্যালেঞ্জ
গত বছর; অর্থাৎ ২০২২ সালে বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে জাপানিদের কাছে প্রধান দুটি চ্যালেঞ্জ ছিল শুল্ক ছাড়পত্র প্রদানের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত জটিলতা ও বৈদেশিক মুদ্রার দামের অস্থিরতা। ২০২১ সালে বাংলাদেশে জাপানি কোম্পানিগুলোর ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল, দক্ষ শ্রমিকের ঘাটতি ও মজুরি বৃদ্ধি। জরিপে অংশ নেওয়া ৭৩ দশমিক ২ শতাংশ জাপানি কোম্পানি বলেছে, প্রথম চ্যালেঞ্জ শুল্কায়ন ব্যবস্থার জটিলতা। আর ৭২ দশমিক ৬ শতাংশ কোম্পানি বৈদেশিক মুদ্রার দামের অস্থিরতাকে ব্যবসার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানায়।
এ ছাড়া ৬৭ দশমিক ৪ শতাংশ জাপানি কোম্পানি স্থানীয়ভাবে কাঁচামাল কেনার জটিলতাকে, ৬৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সমস্যা ও ৬৩ শতাংশ কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধিকে ব্যবসার ক্ষেত্রে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
উৎপাদন খরচ অর্ধেক বাংলাদেশে
সার্বিকভাবে জরিপে জানতে চাওয়া হয়েছিল, পণ্য উৎপাদন খরচ কোন দেশে কেমন। এর জবাবে দেখা যায়, জাপানে যে পণ্য উৎপাদনে খরচ ১০০-তে ১০০, সেখানে বাংলাদেশে সেই পণ্য উৎপাদনে খরচ ৬০ শতাংশের কম। বাংলাদেশের চেয়ে পণ্য উৎপাদনে খরচ কম পড়ে শুধু কম্বোডিয়া ও লাওসে। কম্বোডিয়ায় উৎপাদন খরচ ৫৪ দশমিক ২ শতাংশ, যা লাওসে ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
জরিপে অংশ নেওয়া ১৯টি দেশের মধ্যে কম উৎপাদন খরচের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়।
আলোচনায় যা উঠে এল
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিঞা বলেন, বিদেশিদের কাজের অনুমতিপত্র বা ওয়ার্ক পারমিট যাতে তিন দিনের মধ্যে দেওয়া যায়, সেই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এ ছাড়া ভিয়েতনামের চেয়ে কম সময়ের মধ্যে যাতে ব্যবসা-সংক্রান্ত সেবার অনুমোদন চূড়ান্ত করা যায়, সেই কাজও করছে বিডা।
বিশেষ অতিথি জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, জাপানের সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগ শুরুর পর এ দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হবে। ব্যবসায়ীদের জন্য মাল্টিপল বা বারবার ভ্রমণের জন্য ভিসা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবদুস সামাদ আল আজাদ বলেন, জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি অনেক বড়। তাই জাপানে রপ্তানি বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে।
মেট্রো চেম্বারের সাবেক সভাপতি নিহাদ কবির বলেন, বাংলাদেশে এখনো কোম্পানি গঠনের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো অনেক ধরনের কাগজপত্র চায়। সময়ও লাগে বেশি, খরচও অনেক দেশের তুলনায় বেশি।
মেট্রো চেম্বারের সভাপতি সায়ফুল ইসলাম শুল্কায়ন জটিলতা কমাতে জাপানি কোম্পানিগুলোকে অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটর বা এইও সুবিধা ব্যবহারের আহ্বান জানান।
জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (জেবিসিসিআই) সহসভাপতি মানাবু সুগাওয়ারা বলেন, বিনিয়োগের সম্ভাবনা থাকা মানেই বিদেশি বিনিয়োগ চলে আসা নয়, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হলে প্রণোদনা দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে জরিপের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন জেট্রোর এদেশীয় প্রতিনিধি উজি আন্দো। এতে আরও বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের বাণিজ্য ও শিল্প সমিতির সভাপতি টেটসুরো কানো।
জেট্টো জরিপ বাংলাদেশ জাপান পণ্য উৎপাদন খরচ অর্ধেক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল রাজনৈতিক দিক থেকে। রাজনৈতিকভাবে যারা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছিল, নির্বাচন প্রতিহত করতে বলেছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনের পর তারা সঙ্কুচিত, কোণঠাসা এবং হতাশাগ্রস্ত। আওয়ামী লীগের সামনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে। না সংসদে, না রাজপথে।
বিএনপি এখন হতাশাগ্রস্ত একটি রাজনৈতিক দল। তাদের ভিতর অবিশ্বাস-কোন্দল প্রচণ্ড আকার ধারণ করেছে। যার ফলে দলটি এখন নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মতো অবস্থায় নেই। অন্য রাজনৈতিক দলগুলো অস্তিত্বের সংকটে আছে। তাদের কর্মী সমর্থক নেই। কাজেই রাজনীতিতে তারা সরকারের বিরুদ্ধে তেমন কোন প্রভাব বিস্তারের সুযোগই পাচ্ছে না।
আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচনের আগে মনে করা হয়েছিল সরকার বড় ধরনের সংকটে পড়বে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচনের আগে যেভাবে সরকারকে সতর্ক করেছিল, হুঁশিয়ারি দিয়েছিল; অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে নিষেধাজ্ঞার মত ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দিয়েছিল- নির্বাচনের পর সেই অবস্থা পাল্টে গেছে।
বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলা সত্ত্বেও নতুন সরকারের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টিকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার জন্যই বেশি চেষ্টা করছে। অন্যান্য দেশগুলো যেমন- ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য; তারাও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে এখন গুরুত্ব দিচ্ছে। বর্তমানে নির্বাচনের বিষয় তারা তেমন সামনে আনতে রাজি নন। এরকম একটি পরিস্থিতিতে সরকারের জন্য একটি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় থাকার কথা।
কিন্তু বাস্তবতা হল সরকার স্বস্তিতে নেই। বরং আস্তে আস্তে সরকারের উপর চাপ বাড়ছে। আর সরকারের এই চাপের প্রধান কারণ হল অর্থনীতি। বিগত মেয়াদেই অর্থনীতিতে বিবর্ণ চেহারাটা সামনে উঠেছিল। এটি আস্তে আস্তে ক্রমশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে এবং সরকারের জন্য অর্থনৈতিক সংকটগুলো মোকাবেলা করা অত্যন্ত দুরূহ হয়ে পড়ছে বলেই অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য সরকার বেশ কিছু দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করছে। কিন্তু সেই উদ্যোগগুলো নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যেমন অর্থনৈতিক সংকটের একটি প্রধান বিষয় হল মুদ্রাস্ফীতি। মুদ্রাস্ফীতি বেড়েই চলেছে, মুদ্রাস্ফীতি কমানোর জন্য সরকার যত ব্যবস্থাই নেক, সেই ব্যবস্থাগুলো এখন পর্যন্ত ফলপ্রসূ বলে বিবেচিত হয়নি।
অর্থনৈতিক সঙ্কটের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল, ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম-বিশৃঙ্খলতা। আর এটি দূর করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূতকরণের একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কয়েকটি ব্যাংক একীভূত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কৌশল এখন ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে। এর ফলে ব্যাংকিং সেক্টরে বিশৃঙ্খল অবস্থারও একটা উন্নতি হয়নি।
ব্যাংকিং সেক্টরের বিশৃঙ্খলার হওয়ার প্রধান কারণ হল খেলাপি ঋণ এবং অর্থপাচার। ঋণ খেলাপিদের আইনের আওতায় আনতে কঠোর অবস্থান গ্রহণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে বটে। কিন্তু বাস্তবে এই পরিকল্পনাগুলো কতটুকু বাস্তবায়িত হবে সে নিয়েও বিভিন্ন মহলের সন্দেহ রয়েছে। কারণ অতীতেও দেখা যে, ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর হতে পারছে না।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সঙ্কট বাড়ছে, বিশেষ করে এখন বাংলাদেশকে ঋণের দায় মেটাতে হচ্ছে। ঋণের দায় মেটানোর চাপ সামলাতে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রায় টান পড়ছে। আর বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান যে উৎস প্রবাসী আয় এবং রপ্তানী আয়- সে দুটোতেও কোনওরকম ইতিবাচক ব্যবস্থা নেই। সামনে বাজেট, আর এই বাজেটে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের একটি মহাপরিকল্পনা সরকারকে করতেই হবে। অর্থনৈতিক সংকট যদি সরকার নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে, তাহলে সরকারের জন্য সামনের দিনগুলো আরও কঠিন, চ্যালেঞ্জিং এবং সংকটাপন্ন হবে বলেই মনে করে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অর্থনীতি হাসান মাহমুদ আলী আয়শা খান আওয়ামী লীগ সরকার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল রাজনৈতিক দিক থেকে। রাজনৈতিকভাবে যারা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছিল, নির্বাচন প্রতিহত করতে বলেছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনের পর তারা সঙ্কুচিত, কোণঠাসা এবং হতাশাগ্রস্ত। আওয়ামী লীগের সামনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে। না সংসদে, না রাজপথে।