ইনসাইড বাংলাদেশ

মার্কিন আইন ভঙ্গ : আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি বিএনপির দুই লবিস্ট

প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ৩১ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail মার্কিন আইন ভঙ্গ : আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি বিএনপির দুই লবিস্ট।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে এই বাহিনীর সাতজন বর্তমান এবং প্রাক্তন কর্মকর্তা রয়েছেন, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। পরে জানা গেছে, এ ঘটনা বাংলাদেশ সরকার এবং ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে সরকার বিরোধী প্রচার চালানোর জন্য মার্কিন লবিস্টদের জড়িত থাকার দিকে ইঙ্গিত করে এবং বিএনপির লবিস্টরা এই নিষেধাজ্ঞার পিছনে চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করেছিল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বজনীন প্রবেশযোগ্য লবিং ব্যয় ডেটাবেস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, এটি এখন স্পষ্ট যে, বিএনপি ২০০৭ থেকে শুরু করে তাদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আটটি লবিং সংস্থার সাথে চুক্তি করেছিল। দলের প্রধান লবিস্ট ফার্ম ছিল ব্লু স্টার এবং সাব-কন্ট্রাক্টর ছিল রাস্কি পার্টনার্স।

সম্প্রতি দুই প্রাক্তন মার্কিন কূটনীতিক- উইলিয়াম বি মিলাম এবং জন ড্যানিলোভিজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুষ্টিমেয় অন্যান্য ব্যক্তির সাথে ইসলামবাদী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পার্টির (বিএনপি) পক্ষে লবিস্ট হিসেবে তাদের তৎপরতা সত্ত্বেও আনুষ্ঠানিকভাবে লবিস্ট হিসেবে নাম তালিকাভুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এর ফলে ফরেন এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট (FARA) এ বর্ণিত প্রবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে। ফলে আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হচ্ছেন বিএনপির এই দুই লবিস্ট। 

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিসের মতে, কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ফরেন এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট (FARA) লঙ্ঘন করে, তবে তাদের সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, ও ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়ই হতে পারে। 

বিশেষ করে উইলিয়াম, জন এবং মুশফিকুল ফজলে আনসারীর (একজন ব্রিটিশ নাগরিক) ক্ষেত্রে, তাদের ক্রিয়াকলাপ ফরেন এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট (FARA) লঙ্ঘন করেছে। কারণ তারা সংবাদের উৎস এবং সংস্থা হওয়ার ভান করে লবিস্ট হিসেবে তাদের ভূমিকাকে অস্পষ্ট করেছে। যদিও বাস্তবে এই সমস্ত সংস্থাগুলি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জন্য লবিস্ট হিসেবে কাজ করছে এবং এরা অতি-ইসলামবাদী এজেন্ডা দ্বারা পরিচালিত।

ফরেন এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টের (FARA) অধীনে, বিদেশি প্রিন্সিপালদের পক্ষে কাজ করে এবং রাজনৈতিক বা অন্যান্য নির্ধারিত কর্মে অংশগ্রহণকারী নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের অবশ্যই বিদেশি সত্তার সাথে তাদের অধিভুক্তির স্বচ্ছ ডকুমেন্টেশন প্রদান করতে হবে। এছাড়া, তারা যে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে, তারা যে তহবিল অর্জন করেছে এবং উক্ত কার্যক্রমকে সমর্থন করার জন্য তারা যে ব্যয়গুলি বিতরণ করেছে, তার বিশদ বিবরণ দিতে হবে। কিন্তু উইলিয়াম বি মিলাম, জন ড্যানিলোভিজ, মুশফিকুল ফজলে আনসারী এবং অন্যান্যরা ফরেন এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টের (FARA) অধীনে, বিদেশি এজেন্ট বা লবিস্ট হিসেবে নিবন্ধনের আইনি প্রয়োজনীয়তা মেনে চলছেন না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জন ড্যানিলোভিজ, পূর্বে বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন হিসাবে তার ভূমিকার জন্য তিনি পরিচিত। তিনি দেশে ইসলামপন্থী এবং জিহাদিদের পক্ষে প্রচারক হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছেন। তিনি এখন সক্রিয়ভাবে ‘স্বাধীনতার অধিকার’ গ্রুপের সাথে যুক্ত । তার টুইটার অনুসারে, তিনি সক্রিয়ভাবে বাংলাদেশ এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরোধীতায় নিযুক্ত রয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ সম্পর্কে ক্ষতিকারক ভুল তথ্য ছড়ানোকে তার প্রাথমিক পেশা হিসেবে বানিয়েছেন। নেতিবাচক তথ্য প্রচারের চলমান প্রচারণার পাশাপাশি, জন সম্প্রতি তার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে ‘সাউথ এশিয়া পারসপেক্টিভস’ নামে বাংলাদেশ সম্পর্কে অবমাননাকর বিষয়বস্তু প্রকাশ করেছেন।

‘সাউথ এশিয়া পারসপেক্টিভস’ ওয়েবসাইটের ‘আমাদের সম্পর্কে’ পৃষ্ঠাটি প্রকাশ করে বিএনপি-জামায়াত জোটের সাথে যুক্ত একই গ্রুপ, যেমন উইলিয়াম বি মিলাম, জন ড্যানিলোভিজ এবং মুশফিকুল ফজলে আনসারী এই প্ল্যাটফর্ম পরিচালনার জন্য দায়ী।

মুশফিকুল ফজলে আনসারী, উইলিয়াম বি মিলামের সাথে ‘জাস্ট নিউজ’ নামে একটি অননুমোদিত ওয়েবসাইটের ‘স্থায়ী সংবাদদাতা’ হিসাবে জড়িত ছিলেন, যিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির একজন শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব এবং উইলিয়ামের সাথে অংশীদারিত্বে ‘স্বাধীনতার অধিকার’ পরিচালনা করেন। বাংলাদেশ, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দল ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বানোয়াট তথ্য ছড়িয়ে প্রভাবশালী সিদ্ধান্তে হেরফের করার অক্লান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এই দুজন।

তারেক রহমানের কুখ্যাত হাওয়া ভবনের প্রেক্ষাপটে আনসারী একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে আবির্ভূত হন। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সহকারী প্রেস সচিবের দায়িত্বও পালন করেন আনসারী। যদিও প্রাথমিক তৎপরতা বিএনপির লবিংকে ঘিরে নয়, বরং তহবিলের উদ্ভবকে ঘিরে।

২০২২ সালে ১৮ জানুয়ারী বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম একটি বিবৃতি দেন। তিনি বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লবিং কার্যক্রমে জড়িত থাকার জন্য ৩.৭ মিলিয়ন বিনিয়োগ করেছে। ফেব্রুয়ারী ২০১৫ থেকে এপ্রিল ২০১৭ পর্যন্ত, বিএনপি প্রতি বছর ২.৭ মিলিয়ন বরাদ্দ করেছে, যা ইউএস ওয়েবসাইটগুলিতে প্রকাশিত হিসাবে ১ লাখ ২০ হাজার ডলারের মাসিক রিটেইনার ফি দ্বারা পরিপূরক।

কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হলো, আন্তর্জাতিকভাবে তহবিল স্থানান্তরের আইনি জটিলতার কারণে দল কীভাবে লবিংয়ের জন্য ব্যয় পরিচালনা করতে পারে? বাংলাদেশ সরকারের নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তাদের আর্থিক নিরীক্ষায় লবিং সম্পর্কিত অর্থপ্রদান রেকর্ড করার যথার্থতা তদন্ত করছে। তবে বিএনপি নির্বাচন কমিশনের নিয়ম লঙ্ঘন করতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে।

যদিও লবিং পশ্চিমা দেশগুলিতে একটি স্বীকৃত কৌশল, এই বিষয়ে স্বচ্ছতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে একটি সাধারণ বোঝাপড়া তৈরি হচ্ছে। গত অর্ধ দশকে এই এলাকায় আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেছে, যা পূর্ববর্তী ৬০ বছরের নির্ধারিত ফলাফলকে ছাড়িয়ে গেছে। এই স্থানান্তরটি আন্ডারহ্যান্ড লবিং এর সমাপ্তির দিক নির্দেশ করে, যা সরকার এবং অগণিত সংস্থার ক্রিয়াকলাপের মধ্যে আরও অস্পষ্ট একটি অন্তর্দৃষ্টি প্রকাশ করে।


মার্কিন   আইন   ভঙ্গ   বিএনপি   লবিস্ট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নতুন সরকারের প্রথম বাজেট ঘোষণা ৬ জুন

প্রকাশ: ০৮:৩৮ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের টানা চতুর্থ মেয়াদের সরকারের প্রথম বাজেট ঘোষণা করা হবে আগামী বৃহস্পতিবার (৬ জুন)। নতুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীরও এটি প্রথম বাজেট।

তাকে সহায়তা করবেন দেশের প্রথম নারী অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। এদিন উত্থাপিত হবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৬ জুন। বাজেট পেশের দিনক্ষণ ঠিক করে ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট হবে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার। যা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আকারের বাজেট। এবারের বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সরকারের এবারের বাজেট হবে ব্যয় সংকোচনমূলক। এটি তৈরি হচ্ছে অত্যন্ত সুকৌশলে। প্রতি বছর বাজেটের প্রবৃদ্ধি সংকোচনমূলক ধরেই এবারের হিসাব প্রাক্কলন করা হয়েছে। ফলে বাজেটের আকার এবার খুব বেশি বাড়ছে না।


নতুন সরকার   বাজেট ঘোষণা   জাতীয় সংসদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ওয়াজেদ মিয়া ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুর কাছাকাছি থেকেও ক্ষমতাচর্চায় আগ্রহী হননি: নানক

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী। যদিও বৈবাহিক সম্পর্ক বাদেই বাঙালি জাতির এক গর্বিত ও আলোকিত মানুষের নাম ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া। এক বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী ছিলেন এই পরমাণু বিজ্ঞানী। ক্ষমতার শীর্ষ পর্যায়ে থেকেও তার নির্মোহ জীবনযাপন তাকে জাতির কাছে করেছে চির অমর। ব্যক্তিজীবনে নিজেকে গুটিয়ে রাখতে অভ্যস্থ এই বিজ্ঞানীর দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা হোসেন পুতুল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়েও, রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুর সবচেয়ে কাছাকাছি থেকেও কোনোদিন তিনি ক্ষমতাচর্চায় আগ্রহী হননি। ক্ষমতার উত্তাপের বিপরীতে তিনি ছিলেন স্থির, অচঞ্চল, নিভৃতচারী ও নিষ্কলুষ একজন। নিজের মেধা, শ্রম ও যোগ্যতায় তিনি ক্রমে ক্রমে হয়ে উঠেছেন সত্যিকার আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মানুষের প্রতিচ্ছবি। 

ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী নানক বলেন, তিনি আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। যে মানুষটি আমাকে এত পছন্দ করতেন তার শেষ যাত্রায় আমি রংপুর গিয়েছিলাম।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) মোহাম্মদপুর টাউন হলে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগারে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম মন্ডল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোঃ শৌকত আকবর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান প্রমুখ।

মন্ত্রী নানক বলেন, ১৯৬২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে পদার্থবিজ্ঞানে এমএসসি পাস করেন। ১৯৬৭ সালে লন্ডনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। শুধু পড়াশোনা নয় রাজনীতিতেও ছিলেন সক্রিয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে পড়ার সময় থেকেই ধীরে ধীরে সংশ্লিষ্ট হতে শুরু করেন রাজনীতির সাথে। ১৯৬১ সালের প্রথম দিকে শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক আদশের্র প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদান করেন। ১৯৬১-৬২ শিক্ষা বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হল ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন । ১৯৬২ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাৎ ঘটে এবং ওই বছরেই জেনারেল আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে গ্রেপ্তারও হন তিনি। 

ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সময়টা ১৯৬৭ সাল। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ। ছয় দফা আন্দোলনের কারণে গোটা দেশে তখন বিরাজ করছে ভীতিকর পরিস্থিতি। এ রকম পরিস্থিতিতে ১৭ নভেম্বর পবিত্র শবেবরাতের রাতে বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের পছন্দের পাত্র, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মেধাবী পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শেখ হাসিনা। বিরূপ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বাবা শেখ মুজিব জেলে থাকায় তাদের বিয়ের আয়োজনটি ছিল খুব সাদামাটা। বিয়ের পরদিন জেলগেটে ওয়াজেদ-হাসিনা নবদম্পতিকে দোয়া করেন বঙ্গবন্ধু। নতুন জামাইকে সে সময় তিনি একটি রোলেক্স ঘড়ি উপহার দেন। এই উপহার আজীবন সযত্নে রেখেছিলেন ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া। 

মন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭১ সালে এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং এর আগে-পরের রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে তার উপস্থিতি ছিল। তিনি সর্বদা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু ড. ওয়াজেদ মিয়াকে বিজ্ঞানী হিসেবেই তাকে দেখতে চেয়েছেন। রাজনীতিতে তাকে কখনোই জড়ানোর চেষ্টা করেননি। ড. ওয়াজেদ মিয়া ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ সাত বছর নির্বাসিত জীবন কাটান। ৪০ বছরের বিবাহিত জীবনে ড. এম এ ওয়াজেদের বিভিন্ন পর্যায়ে তিনি তার পরিবারের পাশে থেকে যে ধৈর্য, সাহস ও সেবার পরিচয় দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন, তা অসাধারণ।

নানক বলেন, বিজ্ঞান নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতেন ওয়াজেদ। প্রথিতযশা পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার স্বপ্ন ছিল, বাংলাদেশের রূপপুরে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপিত হবে। তিনি স্বপ্ন দেখতেন, বিশ্বমাঝে বাংলাদেশ বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ একটি দেশ হিসেবে পরিচিতি পাবে। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার নিরলস পরিশ্রম অব্যাহত রেখেছিলেন আমৃত্যু। তার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য সামনে রেখে ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয় ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন। বাংলাদেশকে বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিক ডিজিটাল রাষ্ট্রে পরিণত করাই আমাদের উদ্দেশ্য। 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড ও তৎপরবর্তীকালের ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে মন্ত্রী নানক বলেন, আজকে যারা প্রতিনিয়ত সরকারের সমালোচনা করেন তাদের কাছে প্রশ্ন কোন সময়টা আমাদের চেয়ে ভালো ছিলো। আমি বলব তারা ভুল পথে আছে। লন্ডন থেকে নির্দেশনা নিয়ে চলা দলটি রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত নিতেই থাকবে।

ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডোনাল্ড লু'র ঢাকা সফরের কারণ জানালেন পররাষ্ট্রসচিব

প্রকাশ: ০৭:৩০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দুই দিনের সফরে আগামী ১৪ মে ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। নির্বাচন পূর্ববর্তী অস্বস্তিকে পেছনে ফেলে ঢাকা-ওয়াশিংটের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার আলোচনা করতে তিনি ঢাকা সফরে আসছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রার সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রসচিব।

নির্বাচন পূর্ববর্তী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের যে অস্বস্তি ছিল তা কাটিয়ে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে লুর সফরে আলোচনা করবেন কিনা জানতে চাওয়া হয় পররাষ্ট্রসচিবের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, নতুন সরকার গঠন হওয়ার পর ওনার প্রথম সফর হবে এটা। তার (লু) আসার সেটাই উদ্দেশ্য নিশ্চই। নির্বাচনের আগে যে চিত্র ছিল, এখনকার চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। স্থিতিশীল একটি সরকার। সরকার রেগুলার কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। সুতরাং সব দেশ আমাদের সঙ্গে এনগেজ হতে চায়।

দুই দিনের সফরে আগামী ১৪ মে ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু। তার সফরে আলোচনার বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আমাদের সঙ্গে ওদের প্রচুর মেকানিজম আছে, ডায়লগ আছে। সেগুলো কীভাবে রিয়েক্টিভ করা যায়। ওদেরও আবার নির্বাচন আছে। কোন কোন মেকানিজমকে আরও এগিয়ে নেওয়া যাবে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। তার মধ্যে অবশ্যই রোহিঙ্গা ইস্যুটা সবসময় আলোচনায় থাকছে। পারস্পরিক সম্পর্কের সবগুলো উপাদান থাকবে।

দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর চারবার বাংলাদেশ সফর করেছেন লু। গত বছরের জুলাইতে তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। তখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার সঙ্গী হয়ে ঢাকায় আসেন।

ডোনাল্ড লু   পররাষ্ট্রসচিব   মাসুদ বিন মোমেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চীন-ভারতের সাথে ভারসাম্য কতদিন রক্ষা করতে পারবে বাংলাদেশ?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই সে দেশের পররাষ্ট্র সচিব এখন বাংলাদেশ সফর করছেন। বাংলাদেশ সফরে তিনি আজ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। নির্বাচনকালীন সময়ে একজন পররাষ্ট্র সচিবের বাংলাদেশ সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ। 

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আগামী মাসে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানানোর জন্যই মূলত বিনয় মোহন কোয়াত্রার বাংলাদেশ সফর। এই সফরে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে বিনয় মোহন কোয়াত্রা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। 

ভারতের লোকসভার নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে ৪ জুন এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশে অনিশ্চয়তায় ভরা এই নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা এখন পর্যন্ত অনুমান করা যাচ্ছে না। এ রকম পরিস্থিতিতে ভারতে যে সরকারই আসুক না কেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যে ভারতের সম্পর্কের কোন পরিবর্তন হবে না তার ইঙ্গিত দেওয়া হলো পররাষ্ট্র সচিবের বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে। এই সফরের মধ্যে দিয়ে ভারত বুঝিয়ে দিল যে, বাংলাদেশ তাদের কাছে কত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রাখতে এবং সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারত যে অত্যন্ত আগ্রহী এই বার্তাটি সুস্পষ্ট হলো। 

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব যখন বাংলাদেশ সফর করছেন, সেই সময় জানা গেল যে, আগামী জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের জন্য প্রস্তুতি চলছে। চীনের পক্ষ থেকে আগেই প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে বাংলাদেশের কূটনীতির একটি অন্যতম নীতি হলো প্রতিবেশী প্রথম। আর এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে যাচ্ছেন ভারতের। ভারতের পরপরই তিনি চীন সফরে যাবেন বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো মনে করছে। 

এবারের পররাষ্ট্র সচিবের সফরের একটা তাত্পর্যপূর্ণ দিক ছিল যে, বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পের জন্য ভারত বিনিয়োগে আগ্রহী। এই তিস্তা প্রকল্পের ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরেই আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে চীন। বিশেষ করে তিস্তা ব্যারাজের দুইপাশে জলাধার নির্মাণ করা এবং বর্ষা মৌসুমে সেই জলাধারে পানি সংরক্ষণ করা যেন গ্রীষ্ম মৌসুমে কোনো সমস্যা না হয়। সেই জন্য এই প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ভারত এতদিন ধরে এই ধরনের প্রকল্পের বিরোধিতা করে আসছিল। কিন্তু এবার পররাষ্ট্র সচিব এই প্রকল্পের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাছাড়া বাংলাদেশের জন্য স্পর্শকাতর ইস্যু তিস্তার পানি চুক্তির ব্যাপারেও আশ্বস্ত করা হয়েছে। 

প্রশ্ন উঠেছে যে, ভারত বাংলাদেশের ব্যাপারে এত আগ্রহী কেন? এর অন্যতম কারণ হলো বাংলাদেশ যেন চীনের বলয়ের মধ্যে প্রবেশ না করে এবং চীনের।নিয়ন্ত্রণের মধ্যে না যায়। এমনিতেই উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশগুলো এখন চীনের বলয়ের মধ্যে ঢুকে গেছে। মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, নেপালে চীনের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বাংলাদেশ এখন এই অঞ্চলে ভারতের একমাত্র বন্ধু। এ কারণেই ভারত এখন কোন ভাবেই চাচ্ছে না যে, বাংলাদেশ যেন চীনের সাথে অতি মাখামাখি সম্পর্ক করে। আবার বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য চীনের ওপর অনেক খানি নির্ভরশীল। আর এ কারণেই বাংলাদেশ চীন এবং ভারতের সাথে সমান্তরাল ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করে চলছে। কিন্তু দুদেশ বাংলাদেশকে কাছে পাওয়ার জন্য যেভাবে আগ্রাসী ভূমিকায় আছে তাতে কতদিন বাংলাদেশ এই ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে সেটাই দেখার বিষয়।

চীন   ভারত   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সৌদিতে পৌঁছাল বাংলাদেশের প্রথম হজ ফ্লাইট

প্রকাশ: ০৬:৪২ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ থেকে এই বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরবে পৌঁছেছে।  

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় ফ্লাইটটি দেশটির জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দরের হজ টার্মিনালে অবতরণ করে।

সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিমানবন্দরে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের স্বাগত জানান। এ সময় অন্যদের মধ্যে জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক ও বাংলাদেশ হজ মিশনের কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এদিন বিমানবন্দরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের স্বাগত জানান সৌদি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টার আয়েত আল-খোয়ামী, জেদ্দা বিমানবন্দরের (JEDCO) সিইও ইঞ্জিনিয়ার মাজেন জাওয়াহার, সৌদি পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান মেজর জেনারেল ফয়সাল আল রাজি, হজ্জ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহমান ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী হজযাত্রীদের শুভকামনা জানানোর পাশাপাশি যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ দূতাবাস, কনস্যুলেট ও বাংলাদেশ হজ মিশন সবসময় হজযাত্রীদের পাশে রয়েছে বলেও আশ্বাস দেন।

বাংলাদেশি হজযাত্রীগণ এদিন বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে আগত হজযাত্রীরা বিমানবন্দরের সুন্দর ব্যবস্থাপনা ও উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সৌদি আরব   হজ ফ্লাইট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন