শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মায়ের কোলের পাঁচ মাসের শিশুকে কেড়ে নিয়ে
ছুড়েঁ হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে
ঝগড়ার একপর্যায়ে মায়ের কোল থেকে কেড়ে নেয়া হয় শিশু আদিবাকে। পরে প্রতিপক্ষের লোকজন
ছুঁড়ে মেরে হত্যা করে শিশুটিকে।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌণে পাঁচটার দিকে উপজেলার যোগানিয়া
কান্দাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই নারীকে আটক করেছে পুলিশ। থানা
পুলিশ জানায়, ওই গ্রামের ময়ছর উদ্দিনের সাথে প্রতিবেশি মৃত গোলাপজলের দুই ছেলে
লিটন ও হামিদুলের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌণে পাঁচটার দিকে ময়ছর, তার স্ত্রী
ফাতেমা ও কন্যা সন্তানেরা মিলে নিজেদের সীমানায় কলার চারা রোপন করতে গেলে
হামিদুলের স্ত্রী লাভলী বেগম (৩০) ও তার মা হনুফা বেগম (৬৫)সহ তাদের লোকজন চারা
রোপন করতে বাধা দেয়।
এসময় উভয়পক্ষে হাতাহাতির একপর্যায়ে ফাতেমার কোলে থাকা পাঁচ
মাস বয়সী কন্যাশিশু আদিবাকে কোল থেকে কেড়ে নিয়ে মাটিতে ছুঁড়ে মারে লাভলী। এতে
শিশুটি মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হলে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে শেরপুর জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে
রাতে আদিবা মারা যায়। এঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার
অভিযোগে লাভলী ও হনুফাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
বিষয়টি রাত সাড়ে বারোটা দিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, হত্যাকান্ডে জড়িত দুই নারীকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। নিহত শিশুর পিতা ময়ছর উদ্দিন বাদী হওয়ায় মামলা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।
আজ রোববার (১২ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।
এর আগে, শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকার পাটাধোয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শামিম হোসেনকে (১৫) আটক করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ওই কিশোর।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মুজাহিদ তার বাবা-মায়ের অগোচরে ঘর থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট নিয়ে পাশের এক দোকানে যায়। এসময় শামীম টাকার লোভে শিশু মুজাহিদের পিছু নেয় এবং টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাড়ির নিকটবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মুজাহিদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা নিতে না পেরে শামীম জোরপূর্বক ৫শ’ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে সানন্দবাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে শামিম গা ঢাকা দেয়। পরে নিখোঁজ মুজাহিদের স্বজনরা শামিমকে সন্দেহ করে পুলিশকে জানালে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, শামিমকে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে আটক করা হয়েছে। শনিবার ঘটনাস্থলে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মুজাহিদকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। ছোট ছেলে মুজাহিদ, সাঁতার জানে না। ধারণা করা হচ্ছে, মুজাহিদের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হলে আদালতে প্রেরণ করা হয় শামিমকে।
ব্রহ্মপুত্র নদ ৫শ’টাকার লোভ শিশু কিশোর
মন্তব্য করুন
ভারতের হাইকমিশনার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।