ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম


Thumbnail বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম।

সেপ্টেম্বর মাস বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জন্ম মাস। এই সেপ্টেম্বর মাসেই দুনিয়ার নজরকাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অর্জনের উজ্জ্বল নেতৃত্বদানকারী বিশ্বনেতা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি জন্মগ্রহণ না করলে হয়তো বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মুক্তি, আইনের শাসন এবং উন্নত বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের অবস্থান উচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভবপর হতো না। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্ম ‘বাংলাদেশের আলোর পথযাত্রা’। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মমাসে ‘শেখ হাসিনা রচনা সমগ্র-১’ থেকে প্রথম পর্ব পাঠকদের জন্য তাঁর একটি লেখা তুলে ধরা হলো।

বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম

প্রথম পর্ব

বাংলাদেশের জনগণ ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শাসকের পতন ঘটিয়ে ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে। আন্দোলনের মাধ্যমে সংবিধানসম্মতভাবে ক্ষমতার পরিবর্তন করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর এক নজিরবিহীন ঘটনা। যে ক্ষমতা হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ পনেরো বছর বার বার পরিবর্তিত হয়েছে, সেই ক্ষমতা সংবিধানের নির্দিষ্ট ধারা মতে পরিবর্তন করা হলো। বাঙালি জাতির জীবনে এও এক অনন্য সাহসী, ঐতিহাসিক ঘটনা ।

পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে গণতন্ত্রকে কখনই স্থিতিশীল হতে দেওয়া হয় নি। তার জন্য প্রথম থেকেই সোচ্চার হয়েছিল এই বাঙালি জাতি। ১৯৫৮ সালে সেনাপ্রধান আইয়ুব খান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের যে প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন এবং বাঙালি জাতিকে শাসন ও শোষণের যাঁতাকালে নিষ্পেষিত করবার জন্য যে স্বৈরতন্ত্রের পত্তন করেছিলেন তারই বিরুদ্ধে বাংলার জনগণ দীর্ঘদিন রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম করেছিল।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর আইয়ুববিরোধী আন্দোলন অব্যাহতভাবে পরিচালিত করেন। আর এজন্য তাঁকে অনেক অত্যাচার নির্যাতন জেল জুলুম মিথ্যা মামলার হয়রানি সহ্য করতে হয়েছে। এমন কি মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে অকুতোভয় নেতা দেশ ও জাতির মুক্তির সংগ্রামে অব্যাহত রেখেছিলেন বলেই তাঁর আজীবনের স্বপ্ন স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা বিশ্বের মানচিত্রে স্থান পেয়েছে। অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময় প্রাপ্ত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তোলার জন্য অর্থনৈতিক মুক্তির কর্মসূচি দিয়ে দেশকে যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে গড়ে তুলে নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। স্বাধীন দেশে তখনও আইয়ুব-ইয়াহিয়া প্রেতাত্মারা দেশের স্বাধীনতাকে ধ্বংস করবার জন্য উঠে-পড়ে লাগে। বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, জনগণের অগাধ বিশ্বাস ও আস্থা, নেতৃত্বের দূরদর্শিতা ও সময়োচিত পদক্ষেপ সব ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে যখন দেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল তখন এই ষড়যন্ত্রকারীরা চরম আঘাত হানে — ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। আর তারপরই জন্ম নেয় আইয়ুব- ইয়াহিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণে দেশ শাসনের স্বৈরতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। যে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার জন্য এদেশের মানুষ স্বাধীনতা এনেছে, ত্রিশ লক্ষ শহীদ হয়েছে, দু লক্ষ মা-বোন সম্ভ্রম দিয়েছে। সেই স্বাধীনতার মূল্যবোধ নস্যাৎ করে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম দেওয়া হলো। সামরিক শাসন জারি করে গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে বাংলার মানুষকে আইয়ুবী কায়দায় শাসন ও শোষণ করা শুরু হলো। যেখানে স্বাধীন দেশে নতুন চিন্তা-চেতনায় আমরা প্রগতির পথে যেতে পারতাম, সেখানে সেই পিছনেই যেতে হলো।

এই ক্ষমতা দখলের পিছনেও ছিল এক গভীর চক্রান্ত। যে অশুভ শক্তি বাংলার মানুষের স্বাধীনতা চায়নি, চায়নি বাঙালি বিজয়ী হিসেবে পৃথিবীতে সম্মানিত হোক, বাংলার মানুষের সেই বিজয়ের মুকুটকে ধুলোয় লুণ্ঠিত করবার জন্যই এই চক্রান্ত করা হয়েছিল। স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসন করবার জন্য পরবর্তী সরকারগুলোর প্রতিটি কর্মকাণ্ড একে একে ধরা পড়ে। জনমানুষের চেতনায় তার অশুভ প্রভাব জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তোলে। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, সামাজিক ক্ষেত্রে এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এক চরম নৈরাজ্য নেমে আসে। মানবিক মূল্যবোধ নষ্ট হয়ে যায়— মানুষ ধীরে ধীরে নৈতিকতাহীনতায় ভুগতে শুরু করে। দুর্নীতি যেন জাতীয়করণ করা হয়েছে, ঘুষ ছাড়া কোনো স্তরেই কোনো কর্মকাণ্ড চলছে না। এক সময় ছিল যখন ঘুষ নিতে মানুষ লজ্জাবোধ করত, এখন যেন তা দাবিতে পরিণত হয়েছে। বাহ্যিক জৌলুশের প্রকাশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মৌলিকত্ব হারিয়ে বাগাড়ম্বিতার প্রাধান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সামাজিক ক্ষেত্রে এর অশুভ ফল মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।

হয়তো প্রশ্ন জাগবে যে এরপরও দেশ কিভাবে চলছে। হ্যাঁ, চলছে। কারণ হচ্ছে, কোনোকিছুই থেমে থাকে না তাই চলছে। কিন্তু যে স্তরে চলছে তা আর যাই হোক সম্মানজনক নয়। দেশের জন্য নয়, জাতির জন্য নয়, ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য কোনো সম্ভাবনা বা কল্যাণধর্মী চিন্তা নিয়ে নয়, চলছে জোর যার মুল্লুক তার এই নীতিতে। অন্যায়বোধ পাপবোধ হারিয়ে যাচ্ছে। ন্যায়পরায়ণতা, সত্যবাদিতা শব্দগুলো যেন আর সামাজিকভাবে স্থান পাচ্ছে না। সমাজের যারা আজও এতটুকু নৈতিকতাবোধ ধরে রাখতে বাধ্য হচ্ছে, তারাও জীবনযুদ্ধে মার খাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এদেশের মানুষ অত্যাচার-অনাচার অব্যাহতভাবে সয়ে যাচ্ছে। জনগণের অধিকারকে অগ্রাহ্য করে একের পর এক শাসকগোষ্ঠী এসেছে। আর জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। ক্ষমতাসীনদের কোনো সময় ছিল না জনগণের দিকে ফিরে তাকানোর। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ কোথাও ছিল না, কেবল ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছার বলি হতে হয়েছে জনগণকে।

(সূত্র: শেখ হাসিনা রচনা সমগ্র-১।। পৃষ্টা: ৮৩-৮৪)


বাংলাদেশ   স্বৈরতন্ত্র   জন্ম   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:২১ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সাধারণ রোগীদের মতো ১০ টাকার টিকিট কেটে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিজের চোখ পরীক্ষা করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রী ওই হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। তারপর লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেই টিকিট সংগ্রহ করেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী সাধারণ রোগীদের মতোই নিজের চোখ পরীক্ষা করান। সরকারি হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘটনা দেখে উপস্থিত অনেকেই উচ্ছ্বাস ও আনন্দ প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কারামুক্ত হলেন মাওলানা মামুনুল হক

প্রকাশ: ১২:১৯ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। শুক্রবার (০৩ মে) সকাল ১০টার দিকে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।

পরে রিজার্ভ গার্ডে তাকে বসিয়ে রাখা হয় এবং বেলা ১১টার দিকে কারাগারের মূল ফটক থেকে তিনি বের হয়ে যান। গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার মামুনুল হকের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে তা যাচাই-বাছাই শেষে আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মাওলানা মামুনুল হককে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

জানা গেছে, মামুনুল হকের জিম্মাদার অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী আসতে দেরি হওয়ায় তাকে প্রায় এক ঘণ্টা রিজার্ভ গার্ডে বসিয়ে রাখা হয়। পরে বেলা ১১ টার দিকে সাদা রঙের একটি গাড়িতে করে তিনি কারাগারের মূল ফটো থেকে বের হয়ে যান।

এ সময় মামুনুল হকের সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে জিসান ও ভাগিনাসহ আরো কয়েকজন। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্ত পাবেন, এমন খবরে আলেম-ওলামারা কারা ফটকে ভিড় করেন। সন্ধ্যার পর থেকেই কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ভিড় করতে শুরু করেন মামুনুল হকের সমর্থকরা।  


মাওলানা মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: উঠান বৈঠকে বদির বিরুদ্ধে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ

প্রকাশ: ১২:১৪ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের টেকনাফের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আলমের উঠান বৈঠকে তার সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করার জন্য সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ১০টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। 

উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, আমি বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। আমার নির্বাচনী এলাকার হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ায় আমার একটি উঠান বৈঠক ও আলোচনা সভা ছিল। সেখানে হঠাৎ সাবেক এমপি বদি (আব্দুর রহমান বদি) চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলমকে সঙ্গে নিয়ে আমার অনুষ্ঠানস্থলে এসে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন।

তখন ভয়ে আমার সমর্থকরা পালিয়ে যায়। আমি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়েছি। পরে সেখান থেকে বের হয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। সাবেক এমপি বদি আমার সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। যাতে কেউ আমার বিরুদ্ধে কাজ না করে। আমার জনপ্রিয়তা বদি সাহেব মেনে নিতে পারছেন না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলম বলেন, গুলি ছোড়ার ঘটনা পুরাপুরি মিথ্যা। উল্টো নুরুল আলম আমার এক সমর্থককে ধরে নেওয়ার খবর শুনে আমি আর বদি ভাই (সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি) সেখানে যাই।

টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলমের একটি অনুষ্ঠানে ফাঁকা গুলি ছোড়ার ঘটনা শুনেছি। খবর পেয়ে আমাদের পুলিশের টিম সেখানে গিয়েছে। এ ঘটনায় নুরুল আলম একটি অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে কথা বলতে সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।


উপজেলা নির্বাচন   উঠান বৈঠক   অভিযোগ   সাবেক এমপি   আব্দুর রহমান বদি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গাজীপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত বহু

প্রকাশ: ১১:২৩ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের জয়দেবপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে জয়দেবপুর স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিলেন না বলে জানা গেছে। জয়দেবপুর স্টেশনমাস্টার হানিফ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে এসে গাজীপুর হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিল না।


দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল

প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কাইনাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানান, পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীতে পানি বাড়ছে। 

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন