চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে রাজধাবীর মালিবাগ রেললাইন অবরোধ করেছেন রেলের অস্থায়ী শ্রমিকরা। এর ফলে ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধাবীর মালিবাগ রেললাইন অবরোধ করেছেন রেলের অস্থায়ী শ্রমিকরা।
জানা যায়, সরকারি গেজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে রেলপথমন্ত্রী, রেলওয়ে সচিব ও রেলওয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার গিয়েও কোনো সমাধান পাওয়া যায়ানি। তাই অস্থায়ী শ্রমিকরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।
হাজারো শ্রমিক রেলপথে অবস্থান নেওয়ায় মালিবাগ রেলগেটে আটকা পড়ে ঢাকা থেকে রংপুর যাওয়ার ট্রেন ‘রংপুর এক্সপ্রেস’। যার কারণে ঢাকার সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ আপাতত বন্ধ।
এদিকে গত রোববার (২৭ আগস্ট) মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে পরের দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেই কর্মসূচি পালন করেছে রেলের রানিং স্টাফ কর্মচারি সমিতি।
পরে বিভিন্ন আশ্বাসে রেলের রানিং স্টাফ কর্মচারি সমিতি তাদের পূর্বঘোষিত কর্মবিরতি সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে নেয়। ওই সময় সারা দেশে ট্রেনের শিডিউলে ব্যাপক বিপর্যয়ের আশঙ্কা দূর হয় কর্মসূচি প্রত্যাহার করায়।
মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্সের বাড়তি টাকা ও সেই অনুসারে পেনশন দেয়ার দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন রেলের রানিং স্টাফরা। তবে এদিন সন্ধ্যায় রেলের রানিং স্টাফ কর্মচারি সমিতি কর্মবিরতি সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে নেয়।
রেলওয়ে শ্রমিক-কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে দাবিদাওয়া নিয়ে বৈঠক হয়েছে। তিনি দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি দেখবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ফোন করেছিলেন। এজন্য আমরা ১০ কর্মদিবসের জন্য কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছিলাম।
রানিং স্টাফদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ব্রিটিশ রেল আইন অনুযায়ী চলন্ত ট্রেনে দায়িত্ব পালন করা কর্মীদের মূল বেতনের সঙ্গে অতিরিক্ত কাজের জন্য বাড়তি টাকা দেয়া হয়। যা মাইলেজ প্রথা নামে পরিচিত। মূল বেতন অনুযায়ী প্রাপ্য পেনশন থেকে দেয়া হয় ৭৫ শতাংশ বেশি টাকা। এভাবেই বেতন ও পেনশন পেয়ে আসছিলেন রানিং স্টাফরা।
তবে ২০২১ সালে রানিং স্টাফদের মাইলেজ সুবিধা সীমিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। পেনশনে পাওয়া অতিরিক্ত ৭৫ শতাংশ টাকাও বাতিল করা হয়। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেও সুফল পাননি তারা।
এ অবস্থায় রোববার মধ্যরাত থেকে কর্মবিতরতির ডাক দিয়েছিলেন রানিং স্টাফরা। রেলের রানিং স্টাফদের মধ্যে রয়েছেন ট্রেন চালক, সহকারী চালক, টিটিই ও ট্রেন পরিচালকরা।
মালিবাগ শ্রমিক অবরোধ ঢাকা সারাদেশ ট্রেন চলাচল বন্ধ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।