৩ সেপ্টেম্বর (রবিবার) রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ৫টি বিভাগে প্রথমবর্ষে ভর্তিকৃত নবীন শিক্ষার্থীদের অভিষেক সম্পন্ন হয়েছে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে একযোগে সকাল ১০ টায় নবীন শিক্ষার্থীদের অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়। নবীন শিক্ষার্থীদের আগমনে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা । অভিষেক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্ব স্ব বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ। নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করে বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ, এ সময় বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মুখরিত হয়ে উঠে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে রুটিন অনুযায়ী প্রতিটি বিভাগে যথারীতি শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পেরে বাংলা বিভাগের নবীন
শিক্ষার্থী আকলিমা খাতুন বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান
সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয়, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সাংস্কৃতিক মনায় নিজেকে
প্রভাবিত করার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত বোধ করছি। ওরিয়েন্টশনের দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে
সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড দেখে আমি খুবই উচ্ছ্বসিত ও বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে
আমি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে আমার পছন্দের তালিকায় অগ্রাধিকার দিয়েছি কারণ
এখানে সাংস্কৃতিক ধারায় সাহিত্য শেখানো হয়। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী
ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, আমার স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় 'রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে'
ভর্তি হতে পেরে গর্ববোধ করছি। বিভাগে প্রথম দিনে ক্লাস করতে পেরে মনে হয়েছে এখানে
শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ পাবো। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেকে দেখে আনন্দ পাচ্ছি।'
এ উপলক্ষে প্রদত্ত এক শুভেচ্ছা বার্তায় নবীন শিক্ষার্থীদের
উদ্দেশ্যে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম
বলেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত শাহজাদপুরে নতুন
ছাত্র-ছাত্রীদের আগমন এই অঞ্চলকে অত্যন্ত আনন্দমুখর, প্রাণচঞ্চল করে তুলেছে।
প্রতিটা প্রতিষ্ঠানেরই সব থেকে বড় আনন্দের দিন যখন সেখানে নতুন অতিথির আগমন ঘটে।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষার্থীদের আগমনে বিশ্ববিদ্যালয়ের
যে লক্ষ্য-রবীন্দ্র ভাবধারায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ
বিস্তার ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত একটি শিক্ষায়তন গড়ে তোলা-তা আরও
বেগবান হবে।'
তিনি আরো বলেন, নতুনদের আগমন আমাদেরকে আনন্দিত ও উদ্বেলিত করে। আজকে যারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যুক্ত হলো, আমি মনে করি তাদের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। নবীন শিক্ষার্থীরা সংস্কৃতিমণ্ডিত হয়ে বর্তমান বিশ্বের যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা মোকাবেলা করার জন্য নিজেদের সক্ষম করে গড়ে তুলবে। তারা এখান থেকে গ্রেজুয়েট হয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করবে এবং একইসঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়নের যে ধারা রচনা করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা, সেই উন্নয়ন-সমৃদ্ধির ধারায় বাংলাদেশকে সক্রিয় রাখার প্রক্রিয়ায় নবীন শিক্ষার্থীরা যুক্ত হবে। উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি বিভাগে এই নবীন শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়।
সিরাজগঞ্জ রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নবীন বরণ
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ আইইবি
মন্তব্য করুন
খরা মৌসুম শুরু হওয়ার পূর্বেই কক্সবাজারে পানীয় জলের তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে। শুকিয়ে গেছে জেলার ১ লাখ ৩০ হাজার অগভীর নলকূপের পানি। আর তীব্র গরমে এ পানি সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
তবে সংকট উত্তরণে সামুদ্রিক লোনা জলকে পরিশোধন করে স্বচ্ছ পানি সরবরাহের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর প্রকল্প গ্রহনের জন্য গবেষণা কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কক্সবাজারের সহকারী প্রকৌশলী মনজুর আলম। তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের পাশাপাশি অতিমাত্রায় ভূ-গর্ভের পানি উত্তোলনে জেলার বিভিন্ন স্থানে দিন দিন পানির স্তর ক্রমাগতভাবে নিচে নামছে।
জেলার অনেক এলাকায় নলকূপ গুলোতে পানি ওঠা বন্ধ রয়েছে। পানি উঠছে না বৈদ্যুতিক মোটরেও। পানির জন্য গ্রামের পর গ্রামে লোকজনের মধ্যে হাহাকার চলছে। যে পাড়ার নলকূপে পানি উঠছে, সেখানে দূর-দূরান্ত থেকে এসে লাইন ধরে খাবার পানি সংগ্রহ করছেন ভুক্তভোগীরা।
কক্সবাজার শহরে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে লবণাক্ততা। এতে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্যের ওপর প্রভাব পড়ছে চরমভাবে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পানিতে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া বেড়ে গিয়ে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন ডা, আবদুর রহমান।
সুপেয় পানি সংকট উদ্বেগজনক জানিয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে, কক্সবাজারে এই সংকট মোকাবিলায় তারা কাজ করছেন।
কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হান্নান জানান, বর্তমানে কক্সবাজারে তাপমাত্রা উঠানামা করছে ৩৯ দশমিক ৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয় সূত্র মতে, ২০১৭ সালে উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জরুরি ভিত্তিতে পানি সরবরাহ করতে তারা বিভিন্ন ক্যাম্পে তিন হাজার অগভীর, ৮০টি গভীর এবং এনজিও সংস্থা আরও ২০০টি গভীর নলকূপ স্থাপন করে। প্রতিদিন রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের জন্য ৩০ লাখ লিটার পানি উত্তোলন করা হচ্ছে। অতিমাত্রায় পানি উত্তোলন ও তীব্র গরমের কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসানো ৯০ শতাংশ অগভীর নলকূপ থেকে এখন পানি উঠছে না।
টেকনাফের হ্নীলা, টেকনাফ সদর, বাহারছড়া, সাবরাং, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লেদা, দমদমিয়া এলাকায় সবচেয়ে বেশি সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এরসঙ্গে যোগ হয়েছে লবণাক্ততা।
উখিয়ায় দিন দিন পানির স্তর নিচে নামছে। কক্সবাজারের ঈদগাঁও সদর, পোকখালী, গোমাতলী, ইসলামপুরের অনেক নলকূপে পানি উঠছে না। অকেজো হয়ে গেছে অনেক বৈদ্যুতিক মোটরও।
কক্সবাজার শহরের নুরপাড়া, মাঝিরঘট, টেকপাড়া, নতুন বাহারছড়া, বদরমোকামসহ বিভিন্ন এলাকায় সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে। অনেক স্থানের পানি পান তো দূরের কথা, গৃহস্থালি কাজেও ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা, ধরা কক্সবাজারের আহবায়ক ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে ধ্বংস করা হয়েছে প্রায় ১২ হাজার একর বনভূমি। একইসঙ্গে প্রতিদিন ভূগর্ভ থেকে যে পরিমাণ পানি উত্তোলন করা হচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে মাটির নিচে সুপেয় পানি পাওয়া যাবে না। শুধু তাই নয়, বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি হওয়ায় বাড়ছে পানির লবণাক্ততা। এখান থেকে রক্ষা পেতে হলে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
উখিয়া উপজেলা সদর রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের উপকূলীয় এলাকা এবং পাহাড়বেষ্টিত গ্রামগুলোতে সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে। নলকূপ অকেজো হওয়ার পাশাপাশি অকেজো হয়ে গেছে অনেক বৈদ্যুতিক মোটরও।
একইভাবে পানি সংকট চলছে কুতুবদিয়া, মহেশখালী, সোনাদিয়া দ্বীপেও। পুরো শুকনা মৌসুমজুড়ে এটি চলমান থাকতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দ্বীপের বাসিন্দারা।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া বলেন, লবণাক্ততা বাড়লে পান অযোগ্য পানিতে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যেতে পারে। ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া বায়বীয় ও অবায়বীয় দুই অবস্থাতেই থাকতে পারে। এ ব্যাকটেরিয়ার কারণে মূত্রনালীতে সংক্রমণ, রক্তে বিষক্রিয়া, মেনিনজাইটিস টাইফয়েড, ডায়রিয়া, বমি ও রক্তযুক্ত মল, মূত্রত্যাগের সময় ব্যথা, প্রস্রাবে দুর্গন্ধ এবং প্রচণ্ড জ্বর হতে পারে।
কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সুপেয় পানি সংকট দূর করতে রেইন ওয়েটার হার্ভেস্টিং প্রকল্প চলমান। বিশেষ করে রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত উখিয়া-টেকনাফের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে উখিয়ার পালংখালীতে ৬০০ একর জমি লিজ নিতে প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, টেকনাফ, উখিয়া এবং কক্সবাজার শহর ও উপকূলীয় এলাকায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিতে পারে এমন শঙ্কায় ওয়াটার-এনার্জি-লাইভলিহুড (ওয়েল) নামে একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। চলমান রয়েছে রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং প্রকল্প। সব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সুপেয় পানি সংকট দূর হবে। একইসঙ্গে সাগরের লবণাক্ত পানি পরিশোধন করে কীভাবে ব্যবহার করা যায় তা নিয়েও পরিকল্পনা রয়েছে। এ বিষয়ে কয়েকদফা উচ্চ পর্যায়ের গবেষণা টীম কক্সবাজারের পানীয় জলের সংকট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছেন।
কক্সবাজার যেহেতু পর্যটন জোন, এখানে সারা বছর গড়ে লক্ষাধিক বহিরাগত লোকজন অবস্থান করেন।জেলার লোক সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ ও রোহিঙ্গা ১৪ লাখ সব মিলিয়ে ৪২ লাখ লোকের চাহিদা মেটাতে যে পরিমাণ পানি প্রয়োজন তার ৩৫ শতাংশ পানি পাওয়া যাচ্ছে শুধু। আগামী দিনের চাহিদা মাথায় রেখে কক্সবাজারে সূপেয় পানির জন্য বৃহত্তর প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর নুরুল আবছার। একটি বেসরকারি সংস্থার জরিপ অনুযায়ী কক্সবাজার জেলায় সরকারী বেসরকারি ও এনজিও সংস্থার দেয়া গভীর অগভীর নলকূপ রয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার গভীর অগভীর নলকূপে পানি পাওয়া যাচ্ছে না।
মন্তব্য করুন
দেশের প্রাচীন পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) ৬১তম কনভেনশনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১১ মে) সকাল ১০টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ প্রাঙ্গণে এই কভেনশনের উদ্বোধন করেন তিনি।
এবারের কনভেনশনের মূল প্রতিপাদ্য ‘ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’। কনভেনশনের মূল আকর্ষণ ‘দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স ফর ট্রান্সফরমিং টেকনোলজি ড্রাইভেন স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনার।
পাঁচ দিনব্যাপী আয়োজিত ৬১ তম কনভেনশনে সমাপনী অনুষ্ঠান, জাতীয় সেমিনারের উদ্বোধনী ও সমাপনী পর্ব, শহীদ প্রকৌশলী পরিবারের সংবর্ধনা, চারটি স্মৃতি বক্তৃতাসহ বিদেশি অতিথিদের সংবর্ধণা এবং বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হবে।
সোমবার দুপুর আড়ায়টায় জাতীয় সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বিকাল সাড়ে তিনটায় কনভেনশনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
আইইবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
টানা তীব্র তাপদাহের পর বেশ কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও গুড়ি গুড়ি, আবার কোথাও শিলাবৃষ্টি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সাত সকালে বজ্রসহ বৃষ্টি দেখা দিয়েছে রাজধানী ঢাকাতে।
শনিবার (১১ মে) ভোর থেকেই অন্ধকার নেমে আসে ঢাকাজুড়ে। সকাল সাড়ে ৭টার পর থেকে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি। যা চলে প্রায় সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। আর দেড় ঘণ্টার এই বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
মালিবাগ, শান্তিনগর, সায়াদাবাদ, শনির আখড়া, পুরান ঢাকা, বংশাল, নাজিমুদ্দিন রোড, ধানমন্ডি, মিরপুর ১৩, হাতিরঝিলের কিছু অংশ, আগারগাঁও থেকে জাহাঙ্গীর গেট যেতে নতুন রাস্তায়, খামারবাড়ি থেকে ফার্মগেট, ফার্মগেট-তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা, মোহাম্মদপুরের কিছু অংশ, মেরুল বাড্ডা, ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকায়, মোহাম্মদপুর, ইসিবি, গুলশান লেকপাড় এলাকার সংযোগ সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সকালে যারা কাজে বের হয়েছিলেন বৃষ্টির কারণে তাদের পড়তে হয়েছিল ভোগান্তিতে।
সকালে বৃষ্টির পর হাতিরঝিলের অংশ দিয়ে কারওয়ানবাজারে অফিসে যাওয়া হাসিবুল ইসলাম বলেন, আমি কয়েকজায়গায় জলাবদ্ধতা পেয়েছি, এছাড়া আমার সহকর্মীরাও জানিয়েছে তাদের বেশিরভাগই পথে আসার সময় বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখেছে এবং ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
এদিকে সকাল সকাল কাজে বের হওয়া অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ভিডিওসহ জলাবদ্ধতার কারণে নিজেদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরে পোস্ট করেছেন। সেই পোস্টগুলোতেও বিভিন্নজন বিভিন্ন এলাকার কথা উল্লেখ করেছেন।
রাজধানী ঢাকা বৃষ্টি বজ্রপাত শিলাবৃষ্টি জলাবদ্ধতা
মন্তব্য করুন
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, তেলের দাম প্রতি মাসে কমবে বা বাড়বে। এরই ধারাবাহিকতায় বিদ্যুতের দামও বছরে চারবার কমবে-বাড়বে। প্রয়োজনে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় লোডশেডিং দেওয়া হবে।
শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামনের হিটওয়েভের জন্য প্রস্তুতি আছে। সময়মতো অর্থের জোগান দেওয়া হলে কোনো সমস্যা হবে না। প্রয়োজন হলে ঢাকা এবং আশপাশের এলাকায় লোডশেডিং দেওয়া হবে।
তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, তেলের দাম প্রতি মাসে কমবে বা বাড়বে। এরই ধারাবাহিকতায় বিদ্যুতের দামও বছরে চারবার কমবে-বাড়বে। কারণ, ধীরে ধীরে বিদ্যুতের ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে সরকার।
ডলারের
দাম বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ডলারের
দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে বাড়তি
চাপ তৈরি হবে। বিষয়টি
নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
মন্তব্য করুন