ইনসাইড বাংলাদেশ

ভয়াবহ ডেঙ্গু সংক্রমণের কবলে বাংলাদেশ: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

প্রকাশ: ১২:০৪ পিএম, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail ভয়াবহ ডেঙ্গু সংক্রমণের কবলে বাংলাদেশ: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বাংলাদেশ সবচেয়ে ভয়াবহ ডেঙ্গু সংক্রমণের কবলে পড়েছে বলে উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এ পরিস্থিতির জন্য সংস্থাটি জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছে। বুধবার অনলাইন সম্মেলনে সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস এ তথ্য জানান।

এদিকে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবকে ‘বিশ্বের ইতিহাসের ভয়াবহতম ডেঙ্গু সংক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে সংস্থাটি বুধবার জানিয়েছে, গত সাড়ে চার মাসে এই দেশে ১ লক্ষ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে এবং এর মধ্যে মারা গিয়েছেন ৬৫০ জনের বেশি মানুষ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিলে গত বছরের মতো বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বেশ কিছু অঞ্চলে ডেঙ্গু ছড়ানো শুরু হয়। আগস্টে তার প্রাদুর্ভাব ছিল সব চেয়ে বেশি। শুধু গত আগস্ট মাসেই ৩০০’র বেশি মানুষ এই রোগে প্রাণ হারিয়েছেন। এখন ঢাকায় সংক্রমণের হার সামান্য কমলেও বাংলাদেশের অন্যান্য শহর এবং গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে। এই ধরনের পতঙ্গবাহিত অসুখের এমন ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবকে ‘আসন্ন জলবায়ু সঙ্কটের অশনিসঙ্কেত’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে। 

সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছেন। গত বছর বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব হলেও এবার গোড়া থেকেই হাসপাতালে ভর্তির হার অনেক বেশি ছিল। মশার বংশবৃদ্ধির জন্য ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাসিন্দাদের সচেতনতার অভাবকে দায়ী করেছে। আর অন্যদিকে বাসিন্দারা দায়ী করেছেন কর্পোরেশনের গাফিলতি ও উদাসীনতাকে।

অন্যদিকে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশের প্রকৃতিতে সময়ে-অসময়ে বৃষ্টিপাত, অতিরিক্ত গরম ও আর্দ্রতা বাড়ছে। এ ধরনের আবহাওয়া ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক এডিস মশার বংশ বিস্তারের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে। সেপ্টেম্বর মাসজুড়েই এই অবস্থা থাকতে পারে। এমন বাস্তবতায় এবার ডেঙ্গুর বিস্তার আরও দীর্ঘায়িত করবে।

কীটতত্ত্ববিদ ও জনস্বাস্থ্যবিদরা জানান, এতদিন তারা বলে আসছেন পরিবেশ বিপর্যয় ও জলবায়ুর পরিবর্তনে মশার বিস্তার বাড়ছে। বিশেষ করে এডিস মশা বিরূপ আবহওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে শিখেছে।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ২০ জন। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৬৮৯ জন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১১ জন, বাকি ৯ জন ঢাকার বাইরের। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯১ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকায় ১৯৯ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ হাজার ৭৯০ জন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৭১১ জনে। বর্তমানে ৯ হাজার ৭১১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৪ হাজার ১৫১ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ৫ হাজার ৫৬০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, এপ্রিলে সংক্রমণ শুরুর পর পৃথিবীর অষ্টম জনবহুল দেশ বাংলাদেশে ১ লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৬৫০ জন মারা গেছেন। ডব্লিউএইচও প্রধান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশে শুধু গত মাসেই ৩০০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এই সংক্রমণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে। তিনি আরও বলেন, রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কমে এলেও দেশের অন্যান্য অংশে এতে আক্রান্তের হার বাড়ছে।

সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশে মাঠপর্যায়ে তারা বিশেষজ্ঞ মোতায়েন করেছে। তারা সার্বিকভাবে নজরদারি জোরদারে কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করছেন। সেই সঙ্গে তারা গবেষণাগারের সক্ষমতা ও আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতেও সহায়তা করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সাধারণত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে দেখা দেওয়া ডেঙ্গু মূলত একটি সংক্রামক রোগ। এর কারণে জ্বর, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি করা, পেশিতে ব্যথা এবং সবচেয়ে ভয়াবহভাবে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে রক্তপাত ঘটতে পারে, যা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, পীতজ্বর ও জাইকার মতো মশাবাহিত রোগ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খুব দ্রুত এবং দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ছে।

ডব্লিউএইচও’র অ্যালার্ট অ্যান্ড রেসপন্স বিভাগের পরিচালক আবদি মাহামুদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এ ধরনের সংক্রমণের ঘটনাগুলো ‘আসন্ন জলবায়ু সংকটের অশনি সংকেত’ দিচ্ছে। 

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও এ বছরের বাড়তি উষ্ণতা সৃষ্টিকারী এল নিনোর মতো কিছু আবহাওয়াগত নিয়ামক বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আমেরিকাসহ বেশকিছু অঞ্চলে ভয়াবহ পর্যায়ের ডেঙ্গু সংক্রমণ সৃষ্টি করেছে।

জানতে চাইলে সরকারের জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. গোলাম ছারোয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, তাপমাত্রা, আপেক্ষিক আর্দ্রতা ও বৃষ্টিপাত প্রভৃতি পরিবেশের উপাদানগুলো এডিস মশার প্রজনন সক্ষমতা অর্থাৎ তাদের মিলনের ফ্রিকুয়েন্সি বৃদ্ধি করে। মিলনের পরপরই স্ত্রী মশা রক্ত পান করার জন্য পাগলপ্রায় হয়ে যায়। তাপমাত্রা, আপেক্ষিক আর্দ্রতা ও বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি যে শুধু মশার সংখ্যা বৃদ্ধিতে সহায়ক তা নয়, ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়াতেও মুখ্য ভূমিকা রাখে।

যত বেশি পুরুষ আর স্ত্রী মশা মিলিত হবে তত বেশি স্ত্রী মশার ডিম পাড়ার ফ্রিকুয়েন্সিও বেড়ে যাবে। অর্থাৎ একক মশার ডিম পাড়ার ক্লাস্টারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। পরিবেশের এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে ডিম ফুটে লার্ভা বের হওয়ার জন্য যেমন অনুকূল, তেমনি তাদের খাবারও পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। কারণ সবগুলো উপাদানই লার্ভার প্রাকৃতিক খাবার ব্যাকটেরিয়ার রেপ্লিকেশনের অত্যন্ত অনুকূল।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকায় পানি সরবরাহের সমস্যা রয়েছে। বাসিন্দারা তাদের টয়লেট বা বাড়ির অন্যান্য জায়গায় বালতি বা প্লাস্টিকের পাত্রে পানি ধরে রাখেন। সেখানে সারা বছরই মশা থাকতে পারে। গত বছর ডেঙ্গুর সর্বোচ্চ সংক্রমণ হয়েছিল অক্টোবর মাসে। এবার অক্টোবর আসার আগেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি চলে গেলেই গরম বাড়ছে। সঙ্গে আর্দ্রতাও বেশি। এই আবহাওয়া এডিস মশার বংশ বিস্তার আরও বাড়াবে।


ভয়াবহ   ডেঙ্গু   সংক্রমণ   বাংলাদেশ   বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা   ডব্লিউএইচও  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা

প্রকাশ: ০৪:৫৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার শিশু তানজিম সুলতানা ঝুমুরকে (৯) ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। 

বুধবার (১ মে) র‌্যাব-১১ কুমিল্লা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানানো হয়। এসময় র‌্যাব-১১ পরিচালক তানভীর মাহমুদ পাশা ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন, চোখ মোছেন। পরে ধরা গলায় ঘটনার বর্ণনা দেন। এসময় উপস্থিত অনেক সাংবাদিককেও আবেগাপ্লুত হতে দেখা যায়।

ধর্ষণের পর হত্যার শিকার শিশু কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়নের খিলপাড়া গ্রামের জাকির হোসেনের একমাত্র মেয়ে। সে স্থানীয় সোনালী শিশু বিদ্যানিকেতনের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

এঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানাধীন ফেরুয়া বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি সদর দক্ষিণ উপজেলার খিলপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মফিজুল ইসলাম প্রকাশ মফু (৩৮)। 

র‌্যাব-১১ পরিচালক তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, ঘটনার দিন ২৯ এপ্রিল সকালে ঝুমুর স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। কিন্তু ১১টা পর্যন্ত সে বাড়ি না ফিরলে মা স্কুলে যান। কোনো হদিস না পেয়ে মা স্কুল থেকে ফেরার পথে ঝুমুরের সহপাঠীর কাছে জানতে পারে সে স্কুল শেষে বাড়ি চলে গেছেন। বিকেলে বাড়ির অদূরে একটি ধান খেতে একটি লাশ পড়ে আছে বলে তিনি জানতে পারেন। সেখানে গিয়ে তার মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন জানান, গ্রেপ্তার মফিজুল ইসলাম মফুকে ঘটনাস্থলের পাশে থাকা বাঁশঝাড়ের ভিতর থেকে দ্রুত রাস্তায় উঠে আসতে দেখেছেন।

গ্রেপ্তার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিহত ঝুমুরকে সে চিনতো। এই সুযোগে ২৯ এপ্রিল সকালে ঘটনাস্থলের পাশের রাস্তায় ওৎ পেতে থাকে। ঝুমুর ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌঁছালে মফু ঝুমুরকে রাস্তার পাশের ধানী জমিতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ঝুমুর চিৎকার করার চেষ্টা করলে মফু তার মুখ ও গলা চেপে ধরে। এতে সে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায়। কোনো নড়াচড়া দেখতে না পেয়ে ভিকটিমের কানে থাকা দুল ছিড়ে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। মামলা দায়ের করলে মফু চাঁদপুরে পালিয়ে যায়। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মফু মাদকাসক্ত ও তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য গাঁজা সেবনের বিষয়েও তথ্য পাওয়া যায়। 

ধর্ষণ   কুমিল্লা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুরে স্বাচিপের সম্মেলন শুরু

প্রকাশ: ০৪:৪৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও শরীয়তপুর জেলা শাখার সম্মেলন শুরু হয়েছে।

বুধবার (১ মে) ফরিদপুরে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান।

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত আছেন স্বাচিপের সভাপতি ডা. মোঃ জামাল উদ্দিন চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন স্বাচিপের মহাসচিব ডাঃ মোঃ কামরুল হাসান মিলন।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন ফরিদপুরের সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ঝর্ণা হাসান, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক ও সাধারণ সম্পাদক শাহ মো ইশতিয়াক আরিফ। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত চিকিৎসকবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

ফরিদপুর   স্বাচিপ সম্মেলন   স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখে শ্রমিকরা: খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:০৯ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন,  শ্রমিকরাই জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখে। তাই শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। উন্নত কর্মপরিবেশ শ্রমিকের কর্মদক্ষতা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। তাই শোভন কর্মপরিবেশ তৈরিতে বিনিয়োগ করতে হবে।

‘শ্রমিক মালিক গড়ব দেশ; স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্যে দেশে পালিত হচ্ছে মহান মে দিবস। বুধবার (১ মে) সকালে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় শ্রমিক লীগ নওগাঁ জেলা শাখা আয়োজিত মহান মে দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমার বাংলার মাটি যদি থাকে, মানুষ যদি থাকে, একদিন এই বিধ্বস্ত বাংলাকেই আমি সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা বাংলায় রূপান্তরিত করব।’ বাংলাদেশ এখন খাদ্য শষ্য উৎপাদনে স্বয়সম্পূর্ণ। বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সর্বদা। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ উন্নয়ন হয়েছে, হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের কল্যাণে মালিকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মজুরি বৃদ্ধি করেছেন। দেশের ভেতরে ও বাইরে কর্মরত শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রমে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অচিরেই স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম এ খালেক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল, বিভাস মজুমদার গোপাল, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ বকুল, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. আব্দুল মজিদ, ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান উপস্থিত ছিলেন।

পরে এক বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।


খাদ্যমন্ত্রী   সাধন চন্দ্র মজুমদার   শ্রমিক   মে দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বেনাপোলে সড়ক দুর্ঘটনায় শ্রমিকের মৃত্যু


Thumbnail বেনাপোল পোর্ট থানা

বেনাপোল পৌরসভার ঢাকা-বেনাপোল হাইওয়ে সড়কের রজনী ক্লিনিক এর সামনে দুইজন বাইসাইকেল চালক ও ঢাকা থেকে বেনাপোলগামী বাসের মধ্যে দুর্ঘটনায় গোলাম মোস্তফা (৪৮) নামে এক ধান কাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তার সঙ্গী আনিসুর রহমান (৩৩) নামে আর একজন শ্রমিক মারাত্মক আহত হয়েছেন। 

 

বুধবার (০১ মে) সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত গোলাম মোস্তফা ও আহত আনিসুর রহমান উভয় শার্শা উপজেলার লাউতাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় বাসের চালক, সুপারভাইজার এবং হেলপার পলাতক রয়েছে। 

 

বেনাপোল পৌরসভার কাউন্সিলর শাহীন আলম জানান, ‘আমার পার্শ্ববর্তী লাউতাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফা ও আনিসুর রহমান দুইজনই মাঠে ধান কাটার শ্রমিক। তারা কাজের সন্ধানে বাইসাইকেল চালিয়ে বেনাপোল বাজারের উদ্দেশ্যে স্থানীয় রজনী ক্লিনিকের সামনে দিয়ে আসছিল। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগামী একটি বাস তাদেরকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে গোলাম মোস্তফা মারা যায়। এবং আনিসুর রহমান মারাত্মকভাবে আহত হয়। আনিসুরকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে নাভারন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।’

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সুমন ভক্ত সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন শ্রমিক হতাহতের ঘটনা স্বীকার করে জানান, সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে সেখানে ফোর্স পাঠায়। সেখান থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার এবং আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 


সড়ক দুর্ঘটনা   শ্রমিক   ধানকাটা   ময়নাতদন্ত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা বঞ্চিত করলে ছাড় নেই: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:১১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা বঞ্চিত করলে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হলেও ছাড় নেই বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ৯৬ সালে বিরোধী দলে থাকাকালে আমি শ্রমিকদের দেখেছি তাদের মজুরি ছিল মাত্র ৮০০ টাকা। তখন সরকারে এসে আমরা মজুরি বাড়িয়েছিলাম। যতবার সরকারে এসেছি ততবারই মজুরি বৃদ্ধি করেছি। শ্রমিকদের আরো উপযুক্ত করে গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

বুধবার (১ মে) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মে দিবস উপলক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। সরকার চায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠুক। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে। শ্রমিকদের কল্যাণ দেখা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর মে দিবসকে প্রথমে শ্রমিক সংহতি দিবস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতিও দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, মা যেমন একটা রুগ্ন সন্তানকে বুকে নিয়ে লালন-পালন করে গড়ে তোলেন, ঠিক সেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর শূন্য হাতে একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব হাতে নিয়ে সব কলকারখানা জাতীয়করণ করেন। শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেন। তাদের কর্মসংস্থান যাতে ঠিক থাকে সে পদক্ষেপটাই তিনি হাতে নিয়েছিলেন। 

শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য মজুরি কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মে দিবসের সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। এদেশে মানুষের মধ্যে যে বৈষম্য সে বৈষম্য তিনি দূর করতে চেয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য। আমরা সব সময় সেই পদক্ষেপ নিই। জাতির পিতা যখন দেশটাকে গড়ে তুলেছেন, তখন যে সব মালিক বাংলাদেশে ছিল শিল্প কলকারখানা মালিক তারা হবেন। আর যেগুলো মালিকানাবিহীন সেগুলো সরকার চালাবে। সে ব্যবস্থাও তিনি করেছিলেন, সরকারি খাতকেও গুরুত্ব দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, মাত্র নয় মাসের তিনি আমাদের একটি সংবিধান দেন। সংবিধানের ১৩ অনুচ্ছেদে আমাদের অর্থনৈতিক নীতিমালা কী? সেটা কিন্তু স্পষ্ট বলা আছে। সেখানে যেমন সরকারি প্রতিষ্ঠার থাকবে, সমবায় হবে এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থাকবে। অর্থনীতিকে বহুমুখী করে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, মানুষের জীবনমান উন্নত করার এটাই ছিল জাতির পিতা লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়ে তিনি কাজ করেছেন।

সরকারপ্রধান বলেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা সরকার গঠন করে আমাদের প্রধান কাজ হলো মানুষের কল্যাণ করা। সেই প্রচেষ্টাই আমরা হাতে নিয়েছিলাম। আমরা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ২০০৮ নির্বাচনের ইশতেহারে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. মাহবুব হোসেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এম ইব্রাহীম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি আরদাশীর কবির, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর কুতুব আলম মান্নান।

 


প্রধানমন্ত্রী   মে দিবস   শ্রমিক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন