যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কি ড. ইউনূস এবং নির্বাচন নিয়ে দর কষাকষি করছে?- সাম্প্রতিক সময়ে হঠাৎ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলাগুলো সামনে চলে এসেছে। মামলাগুলোর বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এই নিয়েই ড. মুহাম্মদ ইউনূস উদ্বিগ্ন। তিনি তার ঘনিষ্ঠদেরকে বলেছেন, তাকে কারাগারে নেওয়ার জন্য সব আয়োজন সম্পূর্ণ হয়েছে।
গতকাল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আগামী ১৩ই সেপ্টেম্বর শ্রম আদালতে ড. ইউনূসের শ্রমিক ঠকানোর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ শুনানির দিনেও আদালতের পরিস্থিতি ছিল উত্তপ্ত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন নির্বাচন নিয়ে সরকারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করার জন্য নানা শর্ত আরোপ করছে, ঠিক সেই সময় ইউনূস ইস্যুটি সরকার চাতুর্যের সঙ্গে সামনে এনেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সরকার ড. ইউনূস ইস্যুকে সামনে এনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নির্বাচন ইস্যুতে দর কষাকষি করতে চায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগ মনে করে যে, একটি নির্বাচনে কোন দল অংশগ্রহণ করলো- না করলো, সেটি মূল বিষয় না। নির্বাচনে যদি জনগণ অংশগ্রহণ করে তাহলেই সেই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলে বিবেচনা করতে হবে।
অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, নির্বাচনে সকল বড় রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে অর্থাৎ তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, তাহলে সেক্ষেত্রে সেই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হিসেবে বিবেচিত হবে না। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরিভাবে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে সমর্থন করেনি বা এর পক্ষে-বিপক্ষে কোনো মন্তব্য করেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের নির্বাচন কি প্রক্রিয়ায় হবে, সেটি বাংলাদেশের বিষয়। কিন্তু তারা বাংলাদেশে নির্বাচনে জনমতের প্রতিফলন দেখতে চায়।
অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনে করে, নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলো - কি করলো না, সেটা বড়ো বিষয় না, দেখতে হবে জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলো কিনা। আর এরকম একটি পরিস্থিতির মধ্যে বিএনপি বলেছে, তারা নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাবে না। ইতিমধ্যে বিএনপি এক দফা আন্দোলনে কিছু বিক্ষিপ্ত কর্মসূচি পালন করছে। এখন প্রশ্ন হলো যে, বিএনপি যদি তার অবস্থানে অনড় থাকে এবং আওয়ামী লীগ যদি বিএনপিকে ছাড়াই আরেকটি নির্বাচন করতে চায়, সেই নির্বাচনের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব কি হবে?
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সুস্পষ্টভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই নির্বাচনকে বৈধতা দেবে না বা সেই নির্বাচন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের উপর নানারকম নিষেধাজ্ঞার খরগ আসতে পারে। আর এখানেই সরকার কৌশলে ইউনূস ইস্যুটি সামনে এনেছে। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচনের চেয়ে ইউনূস ইস্যুতে বেশি ব্যতিব্যস্ত। কারণ ডেমোক্রেটরা এখন ক্ষমতায় রয়েছে। আর ডেমোক্রেটদের অত্যন্ত আস্থাভাজন ব্যক্তি হলেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস। বিশেষ করে হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা পুরো বিশ্বই জানে। আর তাই ইউনূসকে দায়মুক্তি দেওয়ার জন্য, বিচার থেকে ইউনূসকে বাঁচানোর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন সম্ভাব্য সব কিছুই করতে পারে। এক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে তারা কথাও বলছে- এমন খবরও পাওয়া গেছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে, তাদের মনোভাব এ ব্যাপারে খুব সুস্পষ্ট। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ড. ইউনূসের মামলাটি তারা ধীর গতি করতে পারে, কিংবা মামলার কার্যক্রম আপাতত নির্বাচন পর্যন্ত বন্ধ রাখা যেতে পারে। কিন্তু সেটি হতে হবে শর্ত সাপেক্ষে। মার্কিন প্রশাসন যদি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানেই বিএনপির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা - এই অবস্থান থেকে সরে আসে এবং তারা যদি বাংলাদেশের জনগণ একটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলো - তাতে সন্তুষ্ট হয়, সেক্ষেত্রে ইউনূসের মামলার কার্যক্রম নির্বাচন পর্যন্ত আটকে যেতে পারে বা ধীর গতিতে এগোতে পারে।
নির্বাচনের পরে হয়তো সরকার এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তবে সরকারের একাধিক সূত্র বলছেন, ইউনূসের ব্যাপারে সরকারের ছাড় দেওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই। কারণ সরকার মনে করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরকারের যে সম্পর্কের টানাপোড়েন, তা ড. ইউনূসের কারণেই সৃষ্টি। এখন দেখার বিষয়, ড. ইউনূস সরকারের দর কষাকষির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হন কিনা।
ইউনূস দায়মুক্তি নির্বাচন বৈধতা যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হক প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থান করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে। পরে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি ডিবির কার্যালয় ত্যাগ করেন।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নেওয়ার জন্য তিনি ডিবি কার্যালয়ে এসেছিলেন।
মামুনুল হক বলেন, আমাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তখন মামলার আলামত হিসেবে আমার মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছিল। সেই মোবাইল ফোনটি নিতে আমি আজ ডিবি কার্যালয়ে এসেছি।
ডিবি কার্যালয়ে মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে ডিবি ডাকেনি এবং মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি।
মোবাইল ফোনটি তিনি ফেরত পেয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই হেফাজতের এই নেতা গাড়িতে উঠে যান।
মন্তব্য করুন
ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথ
পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হবে আগামী অক্টোবরে। ভাঙ্গা জংশনের নির্মাণকাজ শেষ হবে সেপ্টেম্বরে।
রাজবাড়ী থেকে ভাঙ্গা হয়ে ঢাকা পর্যন্ত যে চন্দনা কমিউটার ট্রেন চলছে, তা ফরিদপুরে
স্টপেজ দেওয়ার ব্যাপারে আন্দোলন চলছে।
এ ব্যাপারে মন্ত্রীর দৃষ্টি
আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম সাংবাদিকদের বলেন, ফরিদপুরে চন্দনা ট্রেনের রিশিডিউল
দিয়ে দেব। আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে আশ্বস্ত করছি। ওদের আশ্বস্ত করে দেন। আন্দোলন করতে
হবে না।
শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা সাড়ে
৬টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার বামনকান্দা এলাকায় অবস্থিত ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশনের নির্মাণকাজ
পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবির, রেলের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত ঢালী, প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন, প্রজেক্ট ম্যানেজার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কবির হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম কুদরত এ খুদা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও চায়না রেলওয়ে কোম্পানিসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।
ভাঙ্গা যশোর রেলপথ অক্টোবর রেলমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য,
পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চান সোনালি
আঁশের আভিজাত্য ফিরিয়ে আনতে। যেকোনো মূল্যেই আমরা পাটের গৌরবময় সোনালি ঐতিহ্য ফিরিয়ে
আনতে চাই।’
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে খুলনায় বাংলাদেশ
জুট অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএ) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘পাটবীজের
আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে। দেশে ছয় হাজার টন পাটবীজ প্রয়োজন। দেশে এক হাজার পাঁচশত
টন উৎপাদন হয়। বাকি সাড়ে চার হাজার বীজ ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। ব্যাপকভাবে পাটবীজ
উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে।’
পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দায়িত্ব
নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ফ্রাষ্কফুর্টে পাঠালেন। আমাদের দেশের পাটপণ্যের ৫০ টি স্টল,
ভারতের ২১টি স্টল। বিদেশে পাটপণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। কাঁচাপাট রপ্তানি করেও বড়
অংকের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী চান সোনালী আঁশের আভিজাত্য ফিরিয়ে
আনতে। পাটচাষি, পাট ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দেওয়া দরকার।’
তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের ঋণ পরিশোধের
উদ্যোগ নেওয়া হবে। উৎস কর কমিয়ে আনতে সবার সঙ্গে কথা বলা হবে। এ বিষয়টি নিয়ে অর্থমন্ত্রী
অর্থ সচিব এবং প্রয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন মাননীয়
নেত্রী শেখ হাসিনা ৬ মার্চকে পাট দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। মাননীয় নেত্রী এই পাটকে
কৃষি পণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। কিন্তু পাট চাষিরা যখন ব্যাংকে যান, পাট ব্যবসায়ীরা
যখন ব্যাংকে যান তখন গাত্রদাহ হয়। সেইভাবে তারা একসেপ্ট করে না পাট ব্যবসায়ীদের। এটা
মেনে নেওয়া যায় না। এটার জন্য যা যা করা দরকার আমি আছি। আমি আপনাদের পক্ষ হয়ে সেই দায়িত্ব
পালন করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি পরিবেশবান্ধব
এই সোনালি ব্যাগকে অতি দ্রুত উৎপাদনে নিয়ে আসার। পলিথিনের ব্যাগ বন্ধ করতে বলবো কিন্তু
বিকল্প ভোক্তার হাতে দেব না বা বিক্রেতার হাতে দেব না, এটি হতে পারে না! বাজারে গিয়ে
পাঁচ রকমের সবজি যদি কিনেন তাহলে পাঁচটা ব্যাগে পাঁচ রকম সবজি বিক্রেতা দেয় বিনা পয়সায়।
তারপরও যদি বলেন সবগুলো আরেকটা ব্যাগে দিয়ে দেন সেটাও দিয়ে দেয় বিনা পয়সায়। কিন্তু
আমাদের যে সোনালি ব্যাগ হচ্ছে সেটির উৎপাদনে যে দাম হচ্ছে সেটিকে আমরা কমিয়ে আনার চেষ্টা
করছি। সেটিকে আমরা মানুষের ক্ষয়ক্ষমতার মধ্যে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নানক
বলেন, ‘আমি হেভিওয়েট মন্ত্রী না। আমরা রাস্তা থেকে বেড়ে ওঠা মানুষ। আমরা খুব সহজ মন্ত্রী।
কাজেই আমাদের কাছে আসবেন। আমাদের দরজা খোলা। আমাদের কাছে আসবেন যেকোনো সমস্যা নিয়ে
যেকোনো প্রয়োজনে আপনারা ডাকবেন। প্রয়োজনবোধে এই খুলনায় চলে আসব।’
বিজেএর চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ আহমেদ
আকন্দের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার
আব্দুল খালেক ও খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এসএম কামাল হোসেন।
আওয়ামী লীগ পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয়
যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে
গিয়েছিলেন। শনিবার (১৮ মে) বিকেলের দিকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মামুনুল হক ডিবিতে যান।
গত ৩ মে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্তি পান। এর আগের দিন রাতে মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তির কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তিনি মুক্তি পাননি। তখন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেলার সুপার সুব্রত কুমার বালা জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার মামুনুল হককে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে না। তার জামিনের কাগজপত্র যাচাইবাছাই চলছে।
গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, ‘মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’ গত ২৪ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন পান মামুনুল হক।
মন্তব্য করুন
র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হচ্ছে কিনা এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে দুই ধরনের অবস্থানের কথা জানা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফরের সময় র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ইতিবাচক কথাবার্তা শোনা গিয়েছিল। সে সময় ডোনাল্ড লু’র বরাত দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছিলেন যে, র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে এবং বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সালমান এফ রহমান এটাও বলেছেন যে, এটা জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের হাতে রয়েছে এবং জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। তবে পররাষ্ট্র দপ্তর এবং হোয়াইট হাউস এ ব্যাপারে তাদেরকে তাগদা দিচ্ছে।
আর এরকম একটি বাস্তবতায় শেষ পর্যন্ত র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতে পারে এমন আশাবাদ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার এই আশাবাদে জল ঢেলেছেন হোয়াইট হাউসের স্টেট ডিপার্টমেন্টের উপ মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। তিনি নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন যে, র্যাবের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হোয়াইট হাউস বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট কাজ করছে এমন দাবি সঠিক নয়। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না। নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করা হয়েছে আচরণ পরিবর্তন এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য।
উল্লেখ্য, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাব এবং সংস্থাটির সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। আর তিন বছরের বেশি সময় ধরে এই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
নির্বাচনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে তার কৌশল পরিবর্তন করেছে। ইতোমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, অতীতের তিক্ততা ভুলে তারা সামনের দিকে এগোতে চায়। এরকম একটি বাস্তবতায় অনেকেই মনে করেছিল যে, র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে সরকার ইতিবাচক ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে। বিশেষ করে ডোনাল্ড লু’র এই সফরের পর সরকারের অনেকেই আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন। তবে এখন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের বক্তব্যের ফলে ভিন্ন সুর পাওয়া গেল।
তবে কূটনৈতিক মহল বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নানামুখী হয় এবং তাদের প্রকৃত অবস্থান বোঝা অত্যন্ত কষ্টকর। নির্বাচনের আগেও যেমন ডোনাল্ড লু, আফরিন আক্তারের অবস্থানের সঙ্গে জ্যাক সুলিভানের অবস্থানের মিল ছিল না। এমনকি শেষ দিকে পিটার ডি হাসের অবস্থানের সঙ্গেও হোয়াইট হাউসের অবস্থান এক রকম ছিলনা। বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেই নানা প্রসঙ্গে বিভিন্নরকম মতামত থাকে। তাই ডোনাল্ড লু’র বরাত দিয়ে সালমান এফ রহমান যা বলেছেন কিংবা বেদান্ত প্যাটেল যা বলেছেন তার মধ্যে কোনটি সত্যি তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
তবে র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য নির্বাচনের পর থেকেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে সেখানে এ বিষয়টি আলাপ-আলোচনা করার জন্য একটি লবিস্ট ফার্মকেও দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাদের কাজও বহুদূর এগিয়েছে। তবে অতীত অভিজ্ঞতা এটি বলে দেয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর সেটি প্রত্যাহার করাটা অনেক জটিল এবং দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ব্যাপার।
র্যাব বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র ডোনাল্ড লু হোয়াইট হাউস স্টেট ডিপার্টমেন্ট বেদান্ত প্যাটেল
মন্তব্য করুন
র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হচ্ছে কিনা এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে দুই ধরনের অবস্থানের কথা জানা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফরের সময় র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ইতিবাচক কথাবার্তা শোনা গিয়েছিল। সে সময় ডোনাল্ড লু’র বরাত দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছিলেন যে, র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে এবং বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সালমান এফ রহমান এটাও বলেছেন যে, এটা জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের হাতে রয়েছে এবং জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। তবে পররাষ্ট্র দপ্তর এবং হোয়াইট হাউস এ ব্যাপারে তাদেরকে তাগদা দিচ্ছে।