কুড়িগ্রামে বিনা খরচ ও কম ভিজিটে পুলিশি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সব অংশীজনের সমন্বয়ে জেলার ভুরুঙ্গামারীতে পুলিশের উদ্ভাবনী প্রয়াসে আয়োজিত হলো 'ক্রাইম প্রিভেনশন ক্লিনিক'।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলা হলরুমে ভুরুঙ্গামারী,
নাগেশ্বরী ও কচাকাটা থানা এলাকা থেকে আগত প্রায় ২০০ জন নাগরিক ও সেবা প্রার্থীর
বক্তব্য শুনেন 'ক্রাইম প্রিভেনশন ক্লিনিক'।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুড়িগ্রাম জেলার বিজ্ঞ সিনিয়র
জেলা ও দায়রা জজ আলমগীর কবীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পরিচালক
(প্রশাসন) (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট শেখ
মুজাহিদ উল ইসলাম ও বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর কবির শিপন।
বিশেষজ্ঞ প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন, ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী
অফিসার (ইউএনও) গোলাম ফেরদৌস, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) শারমিন
আক্তার, নাগেশ্বরী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুমন রেজা, ভুরুঙ্গামারী
সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোর্শেদুল হাসান পিপিএম, ভুরুঙ্গামারী উপজেলা সবাজসেবা
অফিসার শামছুজ্জামান, ভুরুঙ্গামারী মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জয়ন্তী রাণী।
অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মাহফুজুল
ইসলাম।
জানা গেছে, সব শ্রেণি পেশার মানুষের নানাবিধ সমস্যা মনোযোগ দিয়ে
শুনে ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থা নেয় সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা। উপস্থিত অতিথি ও বিশেষজ্ঞ
প্যানেলের অফিসারগণ সম্মানিত সেবা প্রার্থীদের বক্তব্য শুনে কার্যকরী ব্যবস্থা ও
ন্যায্যতার জন্য তাৎক্ষণিক প্রসিকিউশন বা জিডি গ্রহণের উদ্যোগ নেন। কিছু কিছু
ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানকারী অফিসসমূহে সেবা প্রার্থীদের পরবর্তী
কার্যক্রমের জন্য রেফার করেন।
কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, জমিজমা
ও সম্পর্ক নিয়ে যেসব ফৌজদারি মামলা রুজু হয় তার অধিকাংশই সিভিল স্যুট বা সামাজিক
ইস্যু। কিন্তু অনেকের মাঝে ঘুরিয়ে পেচিয়ে এসব ইস্যুকে যেনতেন ভাবে ফৌজদারি
মামলায় রুপান্তর করার অভিপ্রায় লক্ষ্য করা যায়। যা কোনো পক্ষের জন্যই মঙ্গলজনক
হয় না বরং বেড়ে যায় ব্যয় ও লেগে যায় অনেক সময়।
এমতাবস্থায় ফৌজদারি মামলা হওয়ার উপক্রম হয়েছে এমন সব বিষয়ে নাগরিকদের সময়, অর্থব্যয়, ভিজিট কমাতে এই উদ্দ্যোগ পর্যায়ক্রমে অব্যাহত থাকবে।
কুড়িগ্রাম পুলিশ অপরাধ প্রতিরোধ ক্লিনিক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।