ফরাসি প্রেসিডেন্ট
ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁএনজিও ফ্রেন্ডশিপ এসপিও-এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান কন্টিক পরিচালিত
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পানসি নৌকায় নদী ভ্রমণ উপভোগ করেছেন।
সোমবার (১১
সেপ্টেম্বর) ফ্রেন্ডশিপের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকাস্থ ফ্রান্স দূতাবাস ও
ফ্রেন্ডশিপ এসপিও যৌথভাবে এ নৌকা ভ্রমণের আয়োজন করে।
‘ফিশ
ডি’ওর’ (সোনার তীর)
নামের বৃহত্তম পানসিনৌকাটি ফরাসি প্রেসিডেন্টকে নিয়ে সকাল ১১টায়
তুরাগ নদের তীরে মিরপুরের
বড় বাজার ইকো পার্ক ডক
থেকে রওনা হয়।
নৌকায়
তাঁর সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের বেশ
কয়েকজন। তাঁদের একজন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান
ফ্রেন্ডশিপের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক
রুনা খান।
রুনা
খান গণমাধ্যমকে বলেন, দুই-তিন দিন
আগে ফরাসি দূতাবাস থেকে কল করা
হয়। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ নৌকায় তুরাগ নদ ভ্রমণ করতে
যেতে পারেন, এমনটা জানানো হয়। তবে সেটা
চূড়ান্ত কিছু নয়। দুই
দিনের সফরে রোববার ফরাসি
প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে এলে তাঁর সম্মানে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৈশভোজের
আয়োজন করেন। সেখানে অতিথি হিসেবে গিয়ে তিনি অনেকটাই
নিশ্চিত হন যে নৌকায়
তুরাগ নদ ঘুরে দেখবেন
ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
নৌকায়
বসে এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ কী নিয়ে আলাপ
করেছেন, সে বিষয়ে রুনা খান বলেন,
‘আলাপে তো আবহাওয়া, জলবায়ু
পরিবর্তন থেকে শুরু করে
অনেক কিছুই এসেছে। তিনি নৌকা, নৌকার
ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমরা তাঁকে ক্লাইমেট
মাইগ্র্যান্টদের (জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অভিবাসী) গল্প বলেছি। নৌকায়
বসে নৌকাবাইচ দেখতে দেখতে তিনি বলছিলেন, ইতিহাস-ঐতিহ্যে বাংলাদেশ অনেক সমৃদ্ধ। দুই
দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের মধ্যে অনেক বিষয়েই মিল
আছে।’
জলবায়ু
অভিবাসীদের গল্পের প্রসঙ্গ আসতেই রুনা খান তুরাগের
পারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে ফরাসি প্রেসিডেন্টের আন্তরিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের
কথা বারবার বলছিলেন। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট
ঘাটের দিকে যাওয়ার সময়
দোকানিদের দিকে হাত নেড়ে
শুভেচ্ছা জানান। দোকানের ক্রেতা–বিক্রেতারা দাঁড়িয়ে যান। তাঁর শুভেচ্ছার
জবাব দেন। তিনি অনেকের
সঙ্গে হাত মেলান। বারবার
তাঁদের বসে খাওয়াদাওয়া চালিয়ে
যাওয়ার কথা বলতে থাকেন।
তবে বিদেশি প্রেসিডেন্টকে কাছে পেয়ে সবাই
তাঁর দিকেই মনোযোগী হন। তাঁর সঙ্গে
কথা বলেন। কেউ কেউ আবার
তাঁর সঙ্গে সেলফি তোলেন।
ভ্রমণকালে
পানসির যাত্রীরা নৌকা বাইচ, ঐতিহ্যবাহী
বাদ্যযন্ত্র ও বাউল গান
এবং স্থানীয় মাছ ধরার কৌশলের
একটি লাইভ প্রদর্শনী উপভোগ
করেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
হেফাজতে ইসলাম মাওলানা মামুনুল হক
মন্তব্য করুন
উন্মুক্ত কারাগার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগনে। ছোট ভাই শাহদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু প্রার্থী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।