দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের ( ডিএসই) ট্রেনিং একাডেমি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য 'পুঁজিবাজার কেন্দ্রিক একাডেমিক সচেতনতা মূলক কর্মশালার আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর প্রধান উদ্দেশ্য হল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও শিক্ষার্থী সহ ঈদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ দিয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা পর্যায়ক্রমে সমগ্র দেশের
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরিচালিত হবে। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১২
সেপ্টেম্বর) ডিএসই ট্রেনিং একাডেমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফিন্যান্স
বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীদের জন্য দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন
করে।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের ( ডিএসই) ট্রেনিং
একাডেমি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য
'পুঁজিবাজার কেন্দ্রিক একাডেমিক সচেতনতা মূলক কর্মশালার আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ
করেছে। এর প্রধান উদ্দেশ্য হল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও শিক্ষার্থী সহ ঈদের
অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ দিয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালার ৮৪ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক
(ভারপ্রাপ্ত) এম. সাইফুর রহমান মজুমদার। তিনি বলেন, এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা
অত্যন্ত সময়োপযোগী। এ কর্মশালার মাধ্যমে একজন ভবিষ্যৎ বিনিয়োগকারী তাত্ত্বিক
জ্ঞানের সঙ্গে বাস্তব অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য জ্ঞান অর্জন
করতে পারবেন। এ ধরনের উদ্যোগের ফলে আগামী প্রজন্ম বিনিয়োগ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। যা
পুঁজিবাজারের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা আপনাদের জ্ঞানের
পরিধিকে বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে। এছাড়াও আপনারা ডিএসই’র ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন
ব্রোকারেজ হাউজ থকে পুঁজিবাজার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পেতে পারেন। যা
আপনাদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে সহায়তা করবে।
প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেন ডিএসই’র উপ মহাব্যবস্থাপক ও
ট্রেনিং একাডেমির ইনচার্জ সৈয়দ আল আমিন রহমান। তিনি প্রশিক্ষণ কর্মশালায়
পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা, প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা ও বিনিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা
করেন।
কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সগির হোসেন খন্দকার এবং সহযোগী অধ্যাপক শেখ আলমগীর হোসেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সগির হোসেন খন্দকার। এ ধরনের উদ্যোগের জন্য ডিএসইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।