আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশের উপর বিভিন্ন রকমের চাপ প্রয়োগ করছে। গতকাল ইউরোপের পার্লামেন্টে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। শুধু মানবাধিকার নয়, বরং বলা যেতে পারে বিএনপিপন্থী এনজিও অধিকার’র ব্যাপারে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব আনা হয় এবং সেই প্রস্তাবে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতিতে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়েছে। প্রস্তাবে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চর্চার বিষয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুসরণের আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, মানবাধিকার কর্মী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের কাজের নিরাপদ ও অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে।
বোঝা যাচ্ছে যে, বিএনপির পক্ষে লবিস্টরা এই প্রস্তাব এনেছে এবং এই প্রস্তাবে ইউরোপের পার্লামেন্টের মধ্য ডানপন্থী সোশ্যাল ডেমোক্রেট এবং বামপন্থীরা আলোচনা করেছেন। প্রস্তাবে অধিকার’র কাজের বিষয়টি বারবার উঠে এসেছে।
যে সময়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফর করে গেলেন, মধ্যরাতে জলের গান শুনে মুগ্ধতা ছড়ালেন; সেরকম পরিস্থিতিতে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ সৃষ্টি করতে পারে বলে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে এই বিষয়গুলো উদ্বেগজনক। একইভাবে জি-২০ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডনের সাথে সেলফি তোলার পরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এবং নীতির খুব একটা পরিবর্তন হয়েছে বলে কূটনৈতিকরা মনে করেন না। বরং তারা মনে করেন, নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অতীতের মতোই অবস্থানে আছেন। খুব শিগগিরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরো কিছু প্রতিনিধি বাংলাদেশে আসবেন এবং সেখানে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথাবার্তা বলবেন।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর পার্সোনাল ডিপ্লোমেসি’র কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কিংবা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে এসেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাপারে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশগুলোর যে নেতিবাচক ধারণা আছে, তা নিরন্তর অপপ্রচারের ফল। একটি সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এইসব দেশে নিরন্তরভাবে নালিশ করছে এবং বিভিন্ন অপপ্রচার করছে। তাই এটি দূর করার জন্য বাংলাদেশের যে পাল্টা সমন্বিত কূটনীতি প্রয়োজন, সেটির অনুপস্থিতি রয়েছে। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো কূটনৈতিকভাবে দিক নির্দেশনাহীন কাজ করছে। শুধুমাত্র বর্তমান ইস্যুগুলোকেই সামনে আনছে। এমনকি নির্বাচনে বিশ্বের অন্যান্য প্রভাবশালী দেশগুলোর আস্থা অর্জনের ক্ষেত্রেও কোনো রোডম্যাপ নেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোতে যারা রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তারাও এক ধরনের হাত-পা গুটিয়ে আছেন। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সদর দপ্তর ব্রাসেলস-এ রাষ্ট্রদূতদের ভূমিকা এবং কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তারা কতটুকু নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন, সেটি কারো কারো কাছে একটি বড় প্রশ্নবোধক?
প্রধানমন্ত্রী এখন বিশ্ব নেতা। তার বিশ্বব্যাপী একটা ইমেজ রয়েছে। কিন্তু এই ইমেজের বাইরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের পার্লামেন্টসহ বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত যে অপপ্রচার হচ্ছে, সেটি বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আর না হলে প্রধানমন্ত্রীর ‘পার্সোনাল ডিপ্লোমেসি’তে তার ইমেজ বাড়বে বটে, তবে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের ভ্রান্ত ধারণা দূর হবে না।
যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশ চাপ
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
মন্তব্য করুন
জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব
মাওলানা মামুনুল হক। শুক্রবার (০৩ মে) সকাল ১০টার দিকে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই
সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
পরে রিজার্ভ গার্ডে তাকে বসিয়ে রাখা হয় এবং বেলা ১১টার দিকে কারাগারের
মূল ফটক থেকে তিনি বের হয়ে যান। গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের
সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার মামুনুল হকের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে
এসে পৌঁছায়। পরে তা যাচাই-বাছাই শেষে আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মাওলানা মামুনুল
হককে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
জানা গেছে, মামুনুল হকের জিম্মাদার অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী
আসতে দেরি হওয়ায় তাকে প্রায় এক ঘণ্টা রিজার্ভ গার্ডে বসিয়ে রাখা হয়। পরে বেলা
১১ টার দিকে সাদা রঙের একটি গাড়িতে করে তিনি কারাগারের মূল ফটো থেকে বের হয়ে যান।
এ সময় মামুনুল হকের সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে জিসান ও ভাগিনাসহ আরো কয়েকজন। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্ত পাবেন, এমন খবরে আলেম-ওলামারা কারা ফটকে ভিড় করেন। সন্ধ্যার পর থেকেই কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ভিড় করতে শুরু করেন মামুনুল হকের সমর্থকরা।
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারের টেকনাফের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আসন্ন উপজেলা
পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আলমের উঠান বৈঠকে তার সমর্থকদের ভয়ভীতি
প্রদর্শন করার জন্য সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ
উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ১০টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া
পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, আমি বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র
জমা দিয়েছি। আমার
নির্বাচনী এলাকার হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ায় আমার একটি উঠান বৈঠক ও আলোচনা
সভা ছিল। সেখানে হঠাৎ সাবেক এমপি বদি (আব্দুর রহমান বদি) চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর
আলমকে সঙ্গে নিয়ে আমার অনুষ্ঠানস্থলে এসে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন।
তখন ভয়ে আমার সমর্থকরা পালিয়ে যায়। আমি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়েছি।
পরে সেখান থেকে বের হয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। সাবেক এমপি বদি আমার সমর্থকদের ভয়ভীতি
প্রদর্শন করছেন। যাতে কেউ আমার বিরুদ্ধে কাজ না করে। আমার জনপ্রিয়তা বদি সাহেব মেনে
নিতে পারছেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলম বলেন, গুলি ছোড়ার
ঘটনা পুরাপুরি মিথ্যা। উল্টো নুরুল আলম আমার এক সমর্থককে ধরে নেওয়ার খবর শুনে আমি আর
বদি ভাই (সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি) সেখানে যাই।
টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনী
ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলমের একটি অনুষ্ঠানে ফাঁকা গুলি
ছোড়ার ঘটনা শুনেছি। খবর পেয়ে আমাদের পুলিশের টিম সেখানে গিয়েছে। এ ঘটনায় নুরুল আলম
একটি অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির মুঠোফোনে একাধিকবার
কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উপজেলা নির্বাচন উঠান বৈঠক অভিযোগ সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের জয়দেবপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৩ মে) সকালে জয়দেবপুর স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিলেন না বলে জানা গেছে। জয়দেবপুর স্টেশনমাস্টার হানিফ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে এসে গাজীপুর হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিল না।
মন্তব্য করুন
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কাইনাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানান, পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীতে পানি বাড়ছে।
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের জয়দেবপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩ মে) সকালে জয়দেবপুর স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিলেন না বলে জানা গেছে। জয়দেবপুর স্টেশনমাস্টার হানিফ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।