সেপ্টেম্বর মাস বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জন্ম মাস। এই সেপ্টেম্বর মাসেই দুনিয়ার নজরকাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অর্জনের উজ্জ্বল নেতৃত্বদানকারী বিশ্বনেতা রাষ্টনায়ক শেখ হাসিনা জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি জন্মগ্রহণ না করলে হয়তো বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মুক্তি, আইনের শাসন এবং উন্নত বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের অবস্থান উচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভবপর হতো না। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্ম ‘বাংলাদেশের আলোর পথযাত্রা’। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মমাসে ‘শেখ হাসিনা রচনা সমগ্র-১’ থেকে পাঠকদের জন্য তাঁর একটি লেখা তুলে ধরা হলো।
বিপন্ন গণতন্ত্র লাঞ্ছিত মানবতা (পর্ব- ৪)
-শেখ হাসিনা
‘মিলেনিয়াম সামিট’ জাতিসংঘে অনুষ্ঠিত হলো সেপ্টেম্বরে। বাংলাদেশ জাতিসংঘের সিকিউরিটি কাউন্সিলের অস্থায়ী সদস্য। সৌভাগ্য বাংলাদেশর যে এমন একটি সময়ে সদস্য হয়েছে যখন মিলেনিয়াম অর্থাৎ সহস্রাব্দ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য পদ নির্বাচিত হয়েছিল সর্বসম্মতিক্রমে। সাধারণত এ পদে প্রতিযোগিতা হয়। পূর্বে আশির দশকে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে ভোটের ক্ষেত্রে লজ্জাজনক অবস্থায় পড়েছিল।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্ভিক্ষের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পরিচিত ছিল বিশ্ববাসীর কাছে।
যেখানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের দক্ষ রাষ্ট্রপরিচালনা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা, খাদ্যে চল্লিশ লক্ষ মেট্রিক টন ঘাটতি পূরণ করে উদ্বৃত্ত খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা বেষ্টনি তৈরি, সর্বোপরি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ফলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি এক সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। অপর দিকে বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের কার্যক্রমকে সহযোগিতা করা এবং শান্তিরক্ষা মিশনে সশস্ত্রবাহিনী প্রেরণ ও বলিষ্ঠতার স্বাক্ষর বহনের ফলে বাংলাদেশ আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করে।
নিরাপত্তা পরিষদের বিভিন্ন সভায় আন্তর্জাতিক ইস্যু, শান্তি রক্ষা, মানবাধিকার, নারী ও শিশু অধিকার, সিটিবিটি, এনটিবি, ল্যান্ডমাইন ব্যবহার বিরোধী, পরমাণু বোমা ব্যবহার বিরোধী অর্থাৎ মানবতাবিরোধী সকল কর্মকাণ্ডে বলিষ্ঠ ভূমিকা বাংলাদেশকে শান্তির সপক্ষে, মানবতার পক্ষে দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।
দারিদ্র্য বিমোচনে ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচি ও তা বাস্তবায়নে সাফল্য সমগ্র বিশ্বে বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ একটি মডেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। পরবর্তীতে যা বাংলাদেশকে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যপদ অর্জনে সহায়তা করে। সহস্রাব্দের সম্মেলনে নিরাপত্তা পরিষদের সভায় বাংলাদেশ বক্তব্য রাখার সুযোগ পায়। এ সম্মেলনের সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য হলো নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সকল সদস্য দেশের সরকারপ্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন – যা জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠালগ্ন ছাড়া আর এমন ঘটনা ঘটেনি। কাজেই বিশ্বের এ ঐতিহাসিক ঘটনায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এক স্মরণীয় মুহূর্ত। জাতিসংঘ সমগ্র বিশ্বে মানবতা, মৌলিক অধিকার, গণতন্ত্র, শান্তিরক্ষায় অবদান রাখে।
এ স্বরণীয় সম্মেলনে আমার বক্তৃতায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এবং মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার, দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য কর্মসংস্থান। ইত্যাদি বিষয়ে ও বিশ্বের দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের কথা তুলে ধরি। নিজের দেশের মানুষের অধিকারের কথা উল্লেখ করে সঙ্গে সঙ্গে গণতন্ত্র, ভোটের অধিকারের ওপর গুরুত্বারোপ করি।
সম্মেলনে আমি একটি প্রস্তাব রাখি- সে প্রস্তাবটি হলো কমনওয়েলথ যেভাবে প্রস্তাব নিয়েছে কোনো সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে সে সরকারকে সামরিক শাসক উৎখাত করলে কমনওয়েলথ স্বীকৃতি দেবে না কাজেই জাতিসংঘেরও অনুরূপ সিদ্ধান্ত থাকা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি এবং অনুরূপ একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রস্তাব দেই। আমি আমার প্রস্তাবটি খুবই সাধারণ প্রস্তাব হিসেবে উল্লেখ করেছিলাম। কোনো নির্দিষ্ট দেশকে বা দেশের নাম উল্লেখ করিনি। কিন্তু পাকিস্তান এ বক্তৃতায় খুবই নাখোশ হয়। এতই নাখোশ হয় যে- পাকিস্তানের চিফ এক্সিকিউটিভ জেনারেল পারভেজ মোশাররফ আমার সঙ্গে নির্দিষ্ট বৈঠকে যোগ দেন না। আমি যখন তার জন্য অপেক্ষা করছি তখন মাত্র পাঁচ মিনিট আগে তারা জানালো যে, ট্রাফিক জ্যাম সে জন্য তাদের চিফ এক্সিকিউটিভ আসতে পারবেন না।
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর অনেক এজেন্ট আমাদের দেশে রয়েছে। ফিরে এসেই তাদের তৎপরতা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি হতে দেখলাম। আমার সরকার উৎখাত করার নীলনকশা কার্যক্রম শুরু হলো। গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলা কী অপরাধ?
(সূত্র: শেখ হাসিনা রচনা সমগ্র-১।। পৃষ্টা: ২৮৩-২৮৪)
বিপন্ন গণতন্ত্র লাঞ্ছিত মানবতা শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগে প্রায় ২৩ লাখ টাকা পাবনার সুজানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানপ্রার্থী, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহীনকে আটক করেছে র্যাব। এ সময় তার ১১ জন সহযোগীকেও আটক করা হয়।
পাশাপাশি উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহীনের ব্যবহৃত একটি গাড়িও জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (৬ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে সুজানগরের নির্বাচনী এলাকা থেকে তাকে আটক করেন র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের সদস্যরা।
তাৎক্ষণিকভাবে আটকদের সবার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে, আটকদের মধ্যে সুজানগর পৌরসভার ৪ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরও রয়েছেন।
শাহিনুজ্জামান শাহীন এবারের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। তিনি সুজানগর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। এছাড়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান বলেন, আগামী ৮ মে সুজানগর উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষ্যে আমাদের নিয়মিত টহল দল চর ভবানীপুর এলাকায় টহল দিচ্ছিল। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনকে দুই ব্যাগ ভর্তি ২২ লাখ ৮২ হাজার ৭০০ টাকা ও ১০ সহযোগীসহ আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে জানা গেছে, ভোটারদের নানাভাবে প্রভাবিত করার জন্য টাকাগুলো বিতরণের জন্য রাখা হয়েছিল। আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছি, তিনি এসে ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি জানান, আটকদের র্যাবের পাবনা অফিসে নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন র্যাব পাবনা আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রথম ধাপে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
আগামী ৮ মে ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার নিমিত্তে In Aid to the Civil Power এর আওতায় ৬ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃংখলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।
উপজেলা নির্বাচন আইনশৃঙ্খলা ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকরি জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন
মন্তব্য করুন
নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগে প্রায় ২৩ লাখ টাকা পাবনার সুজানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানপ্রার্থী, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহীনকে আটক করেছে র্যাব। এ সময় তার ১১ জন সহযোগীকেও আটক করা হয়। পাশাপাশি উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহীনের ব্যবহৃত একটি গাড়িও জব্দ করা হয়েছে। সোমবার (৬ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে সুজানগরের নির্বাচনী এলাকা থেকে তাকে আটক করেন র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের সদস্যরা।