ইনসাইড বাংলাদেশ

দোকান খোলা নিয়ে শঙ্কায় কৃষি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা

প্রকাশ: ০৯:১১ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটেরব্যবসায়ী ও দোকানদাররা। জীবনে টিকে থাকার নতুন লড়াই। দুঃখ-দুর্দশা আর ক্ষয়ক্ষতিকে পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লেখার আশা তাদের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কেট সংস্কার করে দ্রুত ব্যবসা চালু করতে পারলে কিছুটা দুর্দশা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। তবে কবে থেকে দোকান চালু হবে, সেই শঙ্কার রেখা তাদের মুখে।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে অগ্নিকাণ্ডের প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সকালে নিয়ন্ত্রণে আসে কৃষি মার্কেটের আগুন। এ ঘটনায় কোনো হতাহত নেই বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকার মালপত্র নিঃশেষ হয়ে গেছে।

আগুনের এ ঘটনায় সরকারের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। তাদের অনুরোধ, ক্ষতিগ্রস্তদের যেন সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হয়। তারা বলেন, দ্রুত পুনর্বাসনই পারবে এই ক্ষতি কিছুটা হলেও সামাল দিতে।

কৃষি মার্কেটের এক চালের ব্যবসায়ী বলেন, চাল-ডাল এবং অন্যান্য পণ্যসহ প্রায় ৬০ লাখ টাকার মালপত্র ছিল তার দোকানে। সবকিছু পুড়ে গেছে। পোড়া চাল থেকে গন্ধ বের হচ্ছে। তিনি বলেন, আমার আর কিছুই নেই। এসব পণ্য দিয়ে আমি আর কিছু করতে পারব না। ৮০ টাকা কেজির নাজিরশাইল চাল ১০ টাকা কেজিতে দিয়ে দিচ্ছি। এখন যা ক্ষতি হওয়ার তা তো আমার হয়েছে। আবার যদি সবকিছু ঠিকঠাক করে ব্যবসা শুরু করতে পারতাম, তাহলে কিছু উপকার হতো।

কসমেটিকসের দোকানের মালিক শরিফুল ইসলাম বলেন, আমার দুই দোকানে কোটি টাকার মালপত্র ছিল। এখন কিছুই অবশিষ্ট নেই। দোকানের শাটার পর্যন্ত পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার ৫০ লাখ টাকার লোন আছে। চোখে এখন অন্ধকার দেখছি। কবে সব ঠিক হবে, কবে আবার ব্যবসা শুরু করতে পারব, কিছুই বুঝতে পারছি না।

কাপড়ের দোকানদার জাবের হোসেন বলেন, মালিক সমিতি বা অন্য কেউ আমাদের জন্য কে, কীভাবে, কী করবে—জানি না। সরকারের কাছে অনুরোধ, যেন দ্রুত আমাদের আবার ব্যবসা করার সুযোগ দেয়। আর কিছু আর্থিক অনুদান দিলে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারতাম। আমাদের যে দুরবস্থা হয়েছে, পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। দোকানের সব শেষ। শুধু আমার গায়ের শার্ট আর প্যান্টটা আছে।

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় কাউন্সিলর সলিম উল্লাহ সলু গণমাধ্যমকে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী এবং ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে কাজ চলছে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশা করছি দ্রুতই সব স্বাভাবিক হবে, ব্যবসায়ীরা আবারও দোকান চালু করতে পারবেন।


কৃষি মার্কেট   ব্যবসায়ী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৫শ’ টাকার লোভে শিশুকে ব্রহ্মপুত্রে ফেলে দিলো কিশোর


Thumbnail

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।

আজ রোববার (১২ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।

এর আগে, শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকার পাটাধোয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শামিম হোসেনকে (১৫) আটক করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ওই কিশোর।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মুজাহিদ তার বাবা-মায়ের অগোচরে ঘর থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট নিয়ে পাশের এক দোকানে যায়। এসময় শামীম টাকার লোভে শিশু মুজাহিদের পিছু নেয় এবং টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাড়ির নিকটবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মুজাহিদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা নিতে না পেরে শামীম জোরপূর্বক ৫শ’ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে সানন্দবাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে শামিম গা ঢাকা দেয়। পরে নিখোঁজ মুজাহিদের স্বজনরা শামিমকে সন্দেহ করে পুলিশকে জানালে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।

দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, শামিমকে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে আটক করা হয়েছে। শনিবার ঘটনাস্থলে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মুজাহিদকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। ছোট ছেলে মুজাহিদ, সাঁতার জানে না। ধারণা করা হচ্ছে, মুজাহিদের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হলে আদালতে প্রেরণ করা হয় শামিমকে।


ব্রহ্মপুত্র নদ   ৫শ’টাকার লোভ   শিশু   কিশোর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতের হাইকমিশনারের সাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৬:১০ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান এর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রোববার (১২ মে)  দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তর কক্ষে এ সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়।

সৌজন্য সাক্ষাতকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেক্টরে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অভিন্ন ইস্যু রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের এসকল ইস্যু খুঁজে বের করে একসাথে কাজ করতে হবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে প্রযুক্তি হস্তান্তর, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, প্রশিক্ষণ, গবেষণাসহ এ সংক্রান্ত অভিন্ন ইস্যুতে একসাথে কাজ করলে দু’দেশই লাভবান হবে বলে এসময় আলোচনা করা হয়। 

ভারতের হাইকমিশনার   মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হাসপাতালের লিফটে আটকা ৪৫ মিনিট, রোগীর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৬:১৪ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকে পড়ে এক নারী রোগীর মৃত্যু হয়েছে। 

রোববার (১২ মে) সকালে হাসপাতালের ৩ নম্বর লিফটে এ ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে নিহতের স্বজনরা সাংবাদিকদের কাছে লিফট অপারেটরদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ করেছেন। 

মৃত মমতাজ বেগম (৫০) গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়িগাঁও গ্রামের শারফুদ্দিন বিএসসি'র স্ত্রী। 

মৃতের ভাগ্নে খন্দকার শাহদত হোসেন সেলিম বলেন, আমার মামি মমতাজ বেগম শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগ নিয়ে রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওই হাসপাতালের ১১ তলার মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা তাকে একই ভবনের ৪র্থ তলায় থাকা কার্ডিওলজি বিভাগে ট্রান্সফার করেন। মামি হাঁটাচলা করতে পারলেও দ্রুত হৃদরোগ বিভাগে নেওয়ার জন্য ট্রলিতে ওঠানো হয়। পরে মামি, তার ছেলে আব্দুল মান্নান, মেয়ে শারমিন ও আমি হাসপাতালের ৩নং লিফটে উঠি। ৯ম ও ১০ তলার মাঝমাঝি থাকা অবস্থায় লিফটি হঠাৎ ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে যায়। তখন আমি লিফটে থাকা মোবাইল নম্বরে একাধিক ব্যক্তিকে বার বার ফোন করলেও তারা কোনো কর্ণপাত করেননি। উল্টো আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন।

এমতাবস্থায় রোগী ছটফট করতে থাকলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করি। প্রায় ৪৫ মিনিট পর এক পর্যায়ে কয়েকজন অপারেটর দরজা কিছুটা ফাঁক করে আবার বন্ধ করে চলে যায়। এসময় অনেক কষ্টে আমরা তিনজন বেরিয়ে আসতে পারলেও মামীকে বের করা সম্ভব হয়নি। পরে ৯৯৯ নম্বরের কলের মাধ্যমে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা  ঘটনাস্থল যান। কিন্তু ততক্ষণে লিফটের ভেতরেই আমার মামি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

পরে জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা দরজা খুলে মমতাজ বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে। যদি সঠিক সময়ে তাকে উদ্ধার করা হতো তাহলে হয়তো বাঁচানো যেত।

এর আগে গত ৪ মে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কারণে ১২ তলার ভেতরের দেয়াল ও মেঝের মধ্যে থাকা ফাঁকা স্থান দিয়ে এক রোগী ১০ তলায় পড়ে গিয়ে মারা যান। এসব অবহেলায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন রোগীর স্বজনরা।

লিফটে আটকা পড়ে রোগীর মৃত্যুর খবরের সত্যতা স্বীকার করে হাসপাতালের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে হাসপাতালে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে লিফটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এতে রোগী মমতাজ বেগম ও তার কয়েকজন স্বজনসহ লিফটে আটকা পড়েন। লিফটের অপারেটর ও জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা ঘটনার ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে মমতাজের লাশ ও তার স্বজনদের উদ্ধার করে।

বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। এ ঘটনায় কারো গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


হাসপাতাল   লিফট   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি উন্নয়নকে মলিন করে দিচ্ছে: সাঈদ খোকন

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা শহরে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা মলিন করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। 

রোববার (১২ মে) দুপুর ১২টায় পুরান ঢাকার নর্থ-সাউথ রোডের সুরিটোলা সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তিন হাজার পরিবারকে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের’ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এই খাদ্যসামগ্রী ঢাকা-৬ আসনে বরাদ্দ দিয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা উন্নতি করার চেষ্টা করছি। এই উন্নয়ন, পরিশ্রম ও বদলে যাওয়া বাংলাদেশ কিছু আচরণে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এখন পুরান ঢাকার রাস্তার মোড়ে মোড়ে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি চলছে। হাতে লাঠি আর মুখে বাঁশি বাজিয়ে রিকশা, ভ্যান, ট্রাক, বাস থামিয়ে টাকা নিচ্ছে। এই চাঁদাবাজিতে জনগণ আতঙ্কিত। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা রিকশায় স্কুলে যাতায়াতের সময় হাতে লাঠি নিয়ে কেউ আসলে ভয় পেয়ে যায়, তাদের সঙ্গে থাকা মায়েরাও ভয় পেয়ে যায়। এই কাজ নেত্রীর উন্নয়ন-অগ্রযাত্রাকে মলিন করে দিচ্ছে।’

টোলের নামে যারা চাঁদাবাজি করে তারা সরকারের ভালো চায় না জানিয়ে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘চাঁদাবাজরা দল এবং নেত্রীর ভালো চায় না। তারা নেত্রীর ভালো চাইলে এসব কাজ থেকে বিরত থাকত এবং জনগণের সেবায় কাজ করত। আমি আশা করব অনতিবিলম্বে এই ধরণের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে নেত্রীর নির্দেশে জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করুন, জনগণের কাতারে আসুন।’

সাঈদ খোকন আরও বলেন, ‘সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বিষয়টি সম্প্রতি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে উপস্থাপন করেছি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে বলেছি আমার নেত্রীর অর্জন মলিন হয়ে যাচ্ছে। আপনি অনতিবিলম্বে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিন। তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।’

খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, ‘এই ধরণের অরাজকতা এবং চাঁদাবাজি অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। আমরা শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে জনগণের পাশে আছি, পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ। আপনারা (পুলিশ) এবং আমরা জনগণ হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন জানিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, ‘ভারতের চেয়েও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এই সরকারের আমলে প্রায় একশোর ওপরে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চলমান রয়েছে। যার মাধ্যমে গরীব-দুঃখী মানুষ খেতে পারে, চলতে পারে। ইউনিয়ন লেভেলে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। কোটি মানুষকে বিনামূল্যে-স্বল্পমূল্যে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা শহরের প্রতি ওয়ার্ডে হাজারো গরীব-দুঃখী মানুষকে চাল, ডাল, তেল, লবণ দেওয়া হচ্ছে।’

মোহাম্মদ সাঈদ খোকন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৫:২৫ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘরে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। গত ৮ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম সেলিমের ভোট করায় এমপি পুত্র সাবাব চৌধুরীর লোকজন এ হামলা করে।

রোববার (১২ মে) সকালে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতারা এমন অভিযোগ করেন। 

এ সময় বক্তব্য রাখেন সদ্য শেষ হওয়া সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌর মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেল, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, গত ৮মে অনুষ্ঠিত সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটারদের আসতে বাধা দেয় আনারস প্রতীকের কর্মীরা। কুপিয়ে আহত করে দোয়াত কলমের কর্মীদের। সন্ধ্যায় চারটি কেন্দ্রের ভোট উলটপালটও করা হয়। চরমহি উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, চরমহি উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরমহি উদ্দিন এনএ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজীপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বহুমুখী আশ্রয় কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত রেখে পুনঃভোট দেয়া এবং বাতিল হওয়া ১৯১৪টি ভোট পুনঃগননা করার পর চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার দাবী জানান তারা।

নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর থেকে প্রতিদিন সুবর্ণচরের বিভিন্ন উপজেলায় হামলা চালানো হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি হামলা, ভাঙচুর ও লুটের ঘটনা ঘটেছে চরজব্বার ইউনিয়নে। সেখানকার চাউয়াখালী বাজারে অন্তত ১৫টি দোকানপাট, আশপাশে অন্তত ২০টি বসত বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এ সময় পিটিয়ে আহত করা হয় অর্ধশত কর্মী ও তাদের স্বজনদের। বিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে এসব ঘটনার একটি ভিডিও উপস্থাপন করা হয়। অভিযোগকারীরা, ঘটনার বিষয়ে খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

সুবর্ণচর   আওয়ামী লীগ   সাবাব চৌধুরী   নোয়াখালী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন