ধ্বংসস্তূপ
থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটেরব্যবসায়ী ও দোকানদাররা।
জীবনে টিকে থাকার নতুন লড়াই। দুঃখ-দুর্দশা আর ক্ষয়ক্ষতিকে পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়ানোর
গল্প লেখার আশা তাদের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কেট সংস্কার করে দ্রুত
ব্যবসা চালু করতে পারলে কিছুটা দুর্দশা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। তবে কবে থেকে দোকান চালু
হবে, সেই শঙ্কার রেখা তাদের মুখে।
বুধবার (১৩
সেপ্টেম্বর) রাতে অগ্নিকাণ্ডের প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সকালে নিয়ন্ত্রণে
আসে কৃষি মার্কেটের আগুন। এ ঘটনায় কোনো হতাহত নেই বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে
ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকার মালপত্র নিঃশেষ হয়ে গেছে।
আগুনের এ ঘটনায়
সরকারের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। তাদের অনুরোধ, ক্ষতিগ্রস্তদের
যেন সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হয়। তারা বলেন, দ্রুত পুনর্বাসনই পারবে এই ক্ষতি
কিছুটা হলেও সামাল দিতে।
কৃষি মার্কেটের
এক চালের ব্যবসায়ী বলেন, চাল-ডাল এবং অন্যান্য পণ্যসহ প্রায় ৬০ লাখ টাকার মালপত্র ছিল
তার দোকানে। সবকিছু পুড়ে গেছে। পোড়া চাল থেকে গন্ধ বের হচ্ছে। তিনি বলেন, আমার আর কিছুই
নেই। এসব পণ্য দিয়ে আমি আর কিছু করতে পারব না। ৮০ টাকা কেজির নাজিরশাইল চাল ১০ টাকা
কেজিতে দিয়ে দিচ্ছি। এখন যা ক্ষতি হওয়ার তা তো আমার হয়েছে। আবার যদি সবকিছু ঠিকঠাক
করে ব্যবসা শুরু করতে পারতাম, তাহলে কিছু উপকার হতো।
কসমেটিকসের
দোকানের মালিক শরিফুল ইসলাম বলেন, আমার দুই দোকানে কোটি টাকার মালপত্র ছিল। এখন কিছুই
অবশিষ্ট নেই। দোকানের শাটার পর্যন্ত পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার ৫০ লাখ টাকার লোন আছে।
চোখে এখন অন্ধকার দেখছি। কবে সব ঠিক হবে, কবে আবার ব্যবসা শুরু করতে পারব, কিছুই বুঝতে
পারছি না।
কাপড়ের দোকানদার
জাবের হোসেন বলেন, মালিক সমিতি বা অন্য কেউ আমাদের জন্য কে, কীভাবে, কী করবে—জানি
না। সরকারের কাছে অনুরোধ, যেন দ্রুত আমাদের আবার ব্যবসা করার সুযোগ দেয়। আর কিছু আর্থিক
অনুদান দিলে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারতাম। আমাদের যে দুরবস্থা হয়েছে, পরিবার নিয়ে না খেয়ে
মরতে হবে। দোকানের সব শেষ। শুধু আমার গায়ের শার্ট আর প্যান্টটা আছে।
মোহাম্মদপুর
কৃষি মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় কাউন্সিলর সলিম উল্লাহ সলু গণমাধ্যমকে
জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী এবং ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে কাজ চলছে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে
পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশা করছি দ্রুতই সব স্বাভাবিক হবে, ব্যবসায়ীরা আবারও দোকান
চালু করতে পারবেন।
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।
আজ রোববার (১২ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।
এর আগে, শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকার পাটাধোয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শামিম হোসেনকে (১৫) আটক করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ওই কিশোর।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মুজাহিদ তার বাবা-মায়ের অগোচরে ঘর থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট নিয়ে পাশের এক দোকানে যায়। এসময় শামীম টাকার লোভে শিশু মুজাহিদের পিছু নেয় এবং টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাড়ির নিকটবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মুজাহিদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা নিতে না পেরে শামীম জোরপূর্বক ৫শ’ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে সানন্দবাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে শামিম গা ঢাকা দেয়। পরে নিখোঁজ মুজাহিদের স্বজনরা শামিমকে সন্দেহ করে পুলিশকে জানালে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, শামিমকে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে আটক করা হয়েছে। শনিবার ঘটনাস্থলে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মুজাহিদকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। ছোট ছেলে মুজাহিদ, সাঁতার জানে না। ধারণা করা হচ্ছে, মুজাহিদের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হলে আদালতে প্রেরণ করা হয় শামিমকে।
ব্রহ্মপুত্র নদ ৫শ’টাকার লোভ শিশু কিশোর
মন্তব্য করুন
ভারতের হাইকমিশনার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকে পড়ে এক নারী রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (১২ মে) সকালে হাসপাতালের ৩ নম্বর লিফটে এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে নিহতের স্বজনরা সাংবাদিকদের কাছে লিফট অপারেটরদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ করেছেন।
মৃত মমতাজ বেগম (৫০) গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়িগাঁও গ্রামের শারফুদ্দিন বিএসসি'র স্ত্রী।
মৃতের ভাগ্নে খন্দকার শাহদত হোসেন সেলিম বলেন, আমার মামি মমতাজ বেগম শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগ নিয়ে রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওই হাসপাতালের ১১ তলার মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা তাকে একই ভবনের ৪র্থ তলায় থাকা কার্ডিওলজি বিভাগে ট্রান্সফার করেন। মামি হাঁটাচলা করতে পারলেও দ্রুত হৃদরোগ বিভাগে নেওয়ার জন্য ট্রলিতে ওঠানো হয়। পরে মামি, তার ছেলে আব্দুল মান্নান, মেয়ে শারমিন ও আমি হাসপাতালের ৩নং লিফটে উঠি। ৯ম ও ১০ তলার মাঝমাঝি থাকা অবস্থায় লিফটি হঠাৎ ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে যায়। তখন আমি লিফটে থাকা মোবাইল নম্বরে একাধিক ব্যক্তিকে বার বার ফোন করলেও তারা কোনো কর্ণপাত করেননি। উল্টো আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন।
এমতাবস্থায় রোগী ছটফট করতে থাকলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করি। প্রায় ৪৫ মিনিট পর এক পর্যায়ে কয়েকজন অপারেটর দরজা কিছুটা ফাঁক করে আবার বন্ধ করে চলে যায়। এসময় অনেক কষ্টে আমরা তিনজন বেরিয়ে আসতে পারলেও মামীকে বের করা সম্ভব হয়নি। পরে ৯৯৯ নম্বরের কলের মাধ্যমে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল যান। কিন্তু ততক্ষণে লিফটের ভেতরেই আমার মামি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
পরে জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা দরজা খুলে মমতাজ বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে। যদি সঠিক সময়ে তাকে উদ্ধার করা হতো তাহলে হয়তো বাঁচানো যেত।
এর আগে গত ৪ মে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কারণে ১২ তলার ভেতরের দেয়াল ও মেঝের মধ্যে থাকা ফাঁকা স্থান দিয়ে এক রোগী ১০ তলায় পড়ে গিয়ে মারা যান। এসব অবহেলায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন রোগীর স্বজনরা।
লিফটে আটকা পড়ে রোগীর মৃত্যুর খবরের সত্যতা স্বীকার করে হাসপাতালের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে হাসপাতালে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে লিফটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এতে রোগী মমতাজ বেগম ও তার কয়েকজন স্বজনসহ লিফটে আটকা পড়েন। লিফটের অপারেটর ও জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা ঘটনার ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে মমতাজের লাশ ও তার স্বজনদের উদ্ধার করে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। এ ঘটনায় কারো গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সুবর্ণচর আওয়ামী লীগ সাবাব চৌধুরী নোয়াখালী
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।