চারদিকে প্রমত্তা যমুনা নদী এবং তাদের শাখা ক্যানেলে বেষ্টিত দুর্গম চরপাচুরিয়া চর। এখানে নেই কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র। অশিক্ষা ও রুগ্ণ স্বাস্থ্য নিয়ে বেড়ে উঠছে এখানকার শিশুরা। চরমভাবে পিছিয়ে থাকা এ চরে আলোকবর্তিকা হয়ে শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে দিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মো. সুরুজ মোল্লা নামে এক ব্যক্তি।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার”দুর্গম চর বেষ্টিত জনপদ।
দুর্গম চরের অবস্থিত চরপাচুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। যেখানে শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে কাজ
করছে সভাপতি সুরুজ মোল্লা ও অত্রবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম। তবে
বিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাহত হচ্ছে কিছুটা কারন দীর্ঘদিন সহকারী প্রধান
শিক্ষক ও দুজন অফিস সহায়ক না থাকায়। স্থানীয়দের দাবি দ্রুত সহকারী প্রধান শিক্ষক ও
দুজন অফিস সহায়ক নিয়োগ দিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা হবে
এটাই প্রত্যাশা'।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: সুরুজ মোল্লা
জানান,'ছাত্রছাত্রী সংগ্রহ করি'। এরপর আমি ও আমার স্কুলের শিক্ষকগন মিলে ওই
শিশুদের পড়াই। বিনিময়ে দরিদ্র অভিভাবকরাদের কাছ থেকে কোন কিছু গ্রহণ করিনা। খুব
কষ্টেই দিন কাটে। তবু চরের শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে আমরা চেষ্টা
চালিয়ে যাচ্ছি।’
স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকেই বলেন, আমরা সবাই নদীভাঙনের শিকার
ভূমিহীন দরিদ্র মানুষ। মাছ ধরে, জমিতে কাজ করে কোনোমতে পেট চালাই। তারপরও চাই
আমাদের সন্তানরা কিছুটা হলেও লেখাপড়া শিখুক। কিন্তু স্কুল থাকলেও খুব সমস্যা হচ্ছে
একজন সহকারী প্রধান শিক্ষক ও দুইজন অফিস সহায়ক প্রয়োজন।
এরই মধ্যে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও দুজন অফিস সহায়ক পেতে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন, উক্ত প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক'।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন