আগামী অক্টোবরের ১২ তারিখে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব কি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাবেন? নাকি এই নির্বাচনের আগে নুতন মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পদায়ণ করা হবে?- এই প্রশ্নটি এখন সচিবালয়ের বড় আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এক বছরের জন্য চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে চায় সরকার। সেই জন্য সরকারের প্রস্তুতিও রয়েছে। বর্তমান মন্ত্রিপরিষদের কর্মকান্ডে সরকারের মধ্যে এক ধরনের আস্থা এবং সন্তুষ্টিও রয়েছে। কিন্তু সমস্যা হয়েছে অন্য জায়গায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য যে শর্তগুলো দিয়েছে, সে শর্তের অন্যতম একটা বিষয় হলো- চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ থেকে সরকারকে বেরিয়ে আসতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের দেশগুলো মনে করে, চুক্তিতে থাকা একজন সরকারি কর্মকর্তা অবশ্যই সরকারের প্রতি অনুগত থাকবেন এবং তিনি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। বরং সরকারকে সহযোগিতা করাই তার প্রধান লক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। এই কারণেই তারা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ঘোরতর বিরোধী।
এর আগে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতার সঙ্গে সাক্ষাতে তারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেও যদি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়, তাহলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করতে হবে, প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করতে হবে। প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ না হয়, তাহলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে না। আর এরকম বাস্তবতায় সরকার বর্তমান সংবিধানের অধীনে যদি একটি অবাধ, সুষ্ঠ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চায়, তাহলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতেই হবে।
সরকারের একজন ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, অতীতে যে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সেখান থেকে-তো আমরা বেরিয়ে আসতে পারবো না, কিন্তু ভবিষ্যতে যেন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ না হয়, সেই চেষ্টা যেন আমরা করি- এরকম একটা তাগিদ পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে থেকে আছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং নির্বাচনে প্রশাসনের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের যোগসূত্রের জায়গা হলো মন্ত্রী পরিষদ সচিব। মাঠ প্রশাসন নিয়ন্ত্রিত হয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে, যার নেতৃত্বে থাকেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। নির্বাচনের সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর একটি পদ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই সময় চুক্তিতে থাকা একজন মন্ত্রিপরিষদ সচিব কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, এ নিয়ে বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন রয়েছে।
বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নিরপেক্ষতা এবং বিচক্ষণতা, তার ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি একজন যোগ্য ব্যক্তি- এটিও মনে করছেন অনেকে। কিন্তু চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে কেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব নিয়োগ দেওয়া হবে, সেটি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের আগে মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে সাধারণত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের নজির ছিল না। খন্দকার আনোয়ারকে দু’বার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এখন নির্বাচনের আগে যদি বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিবকেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে প্রশাসনের যে শৃঙ্খলা বিন্যাস, তা থাকবে বলে সরকার মনে করছে।
এখন দেখার বিষয় যে, সমঝোতার স্বার্থে সরকার নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব নিয়োগ দেয়, নাকি বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিবকেই চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ। সম্প্রতি এক শুভেচ্ছা বার্তায় এ অভিনন্দন জানান তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী বছরগুলোতে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ।
বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাজ করতে চান উল্লেখ করেন এন্থনি এলবানিজ।
প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, ভারত মহাসাগরের দেশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উভয় দেশের একই ধরনের স্বার্থ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অস্ট্রেলিয়া এন্থনি এলবানিজ বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু’র সফর আর নির্বাচনের পরে তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর, দুটোর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। ডোনাল্ড লু নিজেই স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশ সফর শেষে যাওয়ার পথে তিনি তার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার বলেছেন, অতীতের মতপার্থক্যকে সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে আগের অবস্থানে নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
কীভাবে সম্ভব হল, কীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউটার্ন নিল? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার পার্সোনাল ডিপ্লোমেসির কারণে। এটি ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর আরেকটি অংশ। ২০১৮ সালের পর থেকেই বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি নেতিবাচক অবস্থান গ্রহণ করতে শুরু করে। বিশেষ করে জো বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নীতি বদলাতে থাকে। এসময় একের পর এক চাপ প্রয়োগ করা হতে থাকে বাংলাদেশের উপর।
বিশেষ করে ২০২২ সালের ১৫ মার্চ পিটার ডি হাস বাংলাদেশে আসার পর সরকারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় মুখোমুখি একটি অবস্থানে চলে যায়। দুই দেশের মধ্যে নানা রকম ভুল বোঝাবোঝি সৃষ্টি হয়েছিল। এর একটি বড় কারণ ছিল যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছিল। আর এই সমস্ত ভুল তথ্যের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র একটি ভিন্নরকম অবস্থান গ্রহণ করেছিল বাংলাদেশের ব্যাপারে।
কিন্তু ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আস্তে আস্তে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য মনে করেন যে, নির্বাচনের আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিবর্তন ঘটে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একাধিক ভূমিকা কাজ করেছে বলেই অনেকে মনে করে যেটি ডোনাল্ড লু’র সফরে স্পষ্ট প্রতিভাত হয়েছে।
প্রথমত ভারতের প্রভাব। ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের ব্যাপারে নেতিবাচক অবস্থান থেকে সরে আসার জন্য চেষ্টা করেছে এবং সফল হয়েছে। ভারতের এই অবস্থানের প্রধান কারণ ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত বিশ্বাস করে তার উপর আস্থা রাখে এবং শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প বাংলাদেশে নেই, এই উপলব্ধি থেকেই নরেন্দ্র মোদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেছেন বলে কূটনৈতিক মহল মনে করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত কারণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে চাইনি।
দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে ব্যক্তিগত উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পর তিনি সেখানে নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়াও ভারত সফরের সময় তিনি অ্যান্থনি ব্লিনকেন এবং জো বাইডেনের সঙ্গেও কথা বলেন। সবকিছু মিলিয়ে তার উদ্যোগ সফল হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সালমান এফ রহমানকেও দায়িত্ব দিয়েছিলেন এবং সালমান এফ রহমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন।
তৃতীয়ত, বিরোধী দলের ভুল রাজনীতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করেছিল যে, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং এই কারণেই নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু শর্তহীন সংলাপের উপর জোর দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যখন বিএনপি নির্বাচনে যায়নি, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেনি। আর সবকিছু মিলিয়ে এখন নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আছে, মার্কিন স্বার্থ আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে চায়, চীনের আগ্রাসন কমাতে চায়। সবকিছু মিলিয়ে তাদের সামনে বর্তমান সরকারই একমাত্র বিকল্প। আর তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে, রীতিমতো ইউটার্ন নিয়েছে।
বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জো বাইডেন ডোনাল্ড লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
ছাগলনাইয়া উপজেলা মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল
মন্তব্য করুন
১৭ মে ১৯৮১, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন। পিতার রক্তে ভেজা মাটিতে কপাল স্পর্শ করে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁর কান্নার সঙ্গে যোগ দিয়েছিল প্রকৃতিও। আর সে কারণেই ঢাকার আকাশ জুড়ে নেমেছিল মুষলধারে বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাখো মানুষ শেখ হাসিনাকে বরণ করে নিয়েছিল।
নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু’র সফর আর নির্বাচনের পরে তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর, দুটোর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। ডোনাল্ড লু নিজেই স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশ সফর শেষে যাওয়ার পথে তিনি তার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার বলেছেন, অতীতের মতপার্থক্যকে সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে আগের অবস্থানে নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ২০১৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের উপজেলা চেয়ারম্যান পদ অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে যত বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি গ্রহণ করেছেন তা ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই সময়ের মধ্যে ফেরত না দিলে ফেনীর জেলা প্রশাসককে তার থেকে আদায় করতে বলা হয়েছে।