ইনসাইড বাংলাদেশ

সেলফি ডিপ্লোমেসি

প্রকাশ: ০২:০১ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail সেলফি ডিপ্লোমেসি।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ যখন তুঙ্গে, তখন পাকিস্তান সফরে এসে ২৪ ঘণ্টার জন্য নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার। পরে জানা গেল, ওই সময়টায় গোপনে চীন সফর করেছিলেন কিসিঞ্জার। পিংপং বলের মত কিসিঞ্জারের এই ইসলামাবাদ-বেজিং ছোটাছুটি ইতিহাসে খ্যাতি পেয়েছিল ‘পিংপং ডিপ্লোমেসি’ নামে। সে সময়কার বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপটে কিসিঞ্জারের ‘পিংপং ডিপ্লোমেসি’ ছিল গেম চেঞ্জার।  কারণ ওই সময়ে ওয়ার্ল্ড অর্ডার ছিল দুই মেরুকেন্দ্রিক।

একদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ন্যাটো জোট আর অন্যদিকে অধুনালুপ্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের ওয়ারশ প্যাক্টের চাপে চিরে-চ্যাপ্টা বিশ্ব ব্যবস্থায় সে সময়ে এই দুই ধারার বাইরে থাকা দেশগুলোর বাঁচার ছাতা ছিল জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন বা ন্যাম। এসব কিছুর বাইরে থাকা তখন উঠতি ক্ষমতাধর রাষ্ট্র চীনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বরফটা গলাতেই কিসিঞ্জার ইসলামাবাদ সফরে এসে পিকিং, আজকের বেজিংয়ে হারিয়ে গিয়েছিলেন।

 একাত্তরে বাংলাদেশে পাকিস্তানের যে নির্বিচার আগ্রাসন, সে সময়কার বিশ্বব্যবস্থার বাস্তবতায়, তাতে পাকিস্তানের মূল চালিকাশক্তি ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর চীনের নিঃশর্ত সমর্থন। আর সেদিনের পাকিস্তানও ছিল আজকের তুলনায় অনেক সবল। তারা যে শুধু বিশে^র চতুর্থ সামরিক শক্তিধর রাষ্ট্র ছিল তাই-ই নয়, সে সময়কার ভূরাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটেও পাকিস্তানের গুরুত্বটা ছিল অনেক বেশি, যা আজকের পাকিস্তানের সাপেক্ষে মাপলে হবে বোকামি। সে কারণেই মার্কিন-চীন সম্পর্কের সূচনার চারণভূমি হিসেবে এই দুই দেশ পাকিস্তানকে বেছে নিয়েছিল। আর সে কারণেই কিসিঞ্জারের ‘পিংপং ডিপ্লোমেসি’।

বলা নেই, কওয়া নেই, হঠাৎ পিংপং ডিপ্লোমেসির প্রসঙ্গটা টেনে আনার কারণটা একটু ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন আছে বৈকি। বাংলাদেশের জন্য পিংপং ডিপ্লোমেসির রূঢ় বাস্তবতা আরও বহু লাখ বাঙালি শহীদের রক্তে রঞ্জিত বাংলার সবুজ প্রান্তর। অন্যদিকে সে সময়ের বৈশ্বিক রাজনৈতিক বাস্তবতায় কিসিঞ্জারের এই ঝটিকা ইসলামাবাদ সফরটি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে, একে আজও কূটনীতির ছাত্র আর ডিপ্লোমেটরা পিংপং ডিপ্লোমেসির নামেই মনে রেখেছে। 

সম্প্রতি একটি সেলফি আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়ও ঝড় তুলেছে। দল-মত নির্বিশেষে ফেসবুকে একটি অ্যাকাউন্ট আছে, আর এই সেলফিটি শেয়ার করেননি এমন বাঙালি খুব বেশি খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে বাঙালির সোশ্যাল মিডিয়ার বিশাল গণ্ডি পেরিয়েও সেলফিটি জায়গা করে নিয়েছে বিশ্ব মিডিয়ায় এবং ডিপ্লোমেটিক সার্কিটেও। একে বলা হচ্ছে ‘সেলফি ডিপ্লোমেসি’। নয়া দিল্লিতে সদ্য সমাপ্ত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর যে ১৫ মিনিটের অনানুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ, সেখানে আলোচিত এই সেলফিটির তিনজন ছাড়াও যোগ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

অগত্যা সেলফিটির গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে ভারতের জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, সে দেশের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী মিডিয়ার সামনে এটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তার মন্তব্যে উঠে এসেছে বডি ল্যাঙ্গুয়েজের বিষয়টি। বিষয়টি আসলেও তাই। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এই সেলফিটি যে কতটা গুরুত্ববহ, তা সেলফিটিকে কেন্দ্র করে এদেশীয় কিছু রাজনীতিবিদের পাগলের প্রলাপসম বিলাপের মধ্যেই সুস্পষ্ট। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে এর গুরুত্ব সম্ভবত আরও অনেক। আমরা কূটনীতির ছাত্র নই। অতএব, কূটনৈতিক বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা কিংবা এসব বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করা আমাদের পরিধির বাইরে।

তবে বিষয়টি এবং এর সম্ভাব্য ক্রিয়া-বিক্রিয়াগুলো এতটাই প্রবল যে, সামনের দিনগুলোতে এই একটি সেলফি দেশের মানচিত্রের সীমানা পেরিয়ে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মেরুকরণেও যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে, তা বোঝার জন্য বোধকরি অতশত কূটনীতি বোঝা আর ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। 

তবে একটা বিষয়েও আমি দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের দুই প্রধান নেতার সঙ্গে একমত। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মন্তব্য করেছেন যে, এই একটি সেলফিতেই বিরোধী দলের ধরাশায়ী দশা। তার এই মন্তব্যের সঙ্গে শুধু আমি কেন, আমার মনে হয় বিএনপি সমর্থকরাও একমত পোষণ করবে। অন্যদিকে, বিএনপির মহাসচিব আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে সেলফিটি গলায় ধারণ করার পরামর্শ দিয়েছেন। আমি তার সঙ্গেও একমত। তবে এক ডিগ্রি আগ বাড়িয়ে আমার মনে হয় যে, শুধু আওয়ামী লীগের নেতা-সমর্থকরাই নন, সেলফিটি গলায় না হলেও অন্তরে ধারণ করা উচিত মির্জা ফখরুলসহ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকেরই। কারণ, হেনরি কিসিঞ্জারের তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশকে ‘একজন শেখ হাসিনা’ যে আজ বিশ্বে কোন্ উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, তা বোঝার জন্য বোধকরি পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিটির অতি আগ্রহে তোলা এই একটি সেলফিই যথেষ্ট!

লেখক: ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, 

অধ্যাপক, ডিভিশন প্রধান, ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশন,

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। ও 

সদস্য সচিব, সম্প্রীতি বাংলাদেশ। 


সেলফি   ডিপ্লোমেসি   জো বাইডেন   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে ইসির প্রজ্ঞাপন

প্রকাশ: ০২:৫২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনের সময়সূচি পুনর্নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সই করা সম্প্রতি এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় ছিল গত ১০ মে। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের গত ১১ মে দিন ধার্য ছিল। ১৬ মে পর্যন্ত বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। আপিল নিষ্পত্তি ১৭ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৮ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৯ মে। সবশেষ আগামী ৫ জুন ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে, গত ৬ মে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করেন হাইকোর্ট। তার একদিন পর ৮ মে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। এরপরেই নির্বাচনের সময়সূচি পুনর্নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি।

গত ১৬ মার্চ ওই আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই মারা যান। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। পরে গত ২৩ এপ্রিল আসনটিতে উপনির্বাচনের জন্য তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। 


উপজেলা নির্বাচন   ঝিনাইদহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ০১:৫৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝি মোঃ ইলিয়াসকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। সোমবার (১৩ মে) ভোরে উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক্সটেনশনের হ্যান্ডিক্যাপ অফিসের পেছনে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।

উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘উখিয়ার আশ্রয় শিবিরের ক্যাম্প- এক্সটেনশনের সি-এর নম্বর ব্লকে থাকতেন রোহিঙ্গাদের হেড মাঝি মোঃ ইলিয়াস। ভোরের দিকে তার ঘরের দরজা ভেঙে অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী প্রবেশ করে তাকে ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে হ্যান্ডিক্যাপ অফিসের পেছনে নিয়ে এবং সেখানে তাকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।’

তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মোঃ ইলিয়াসের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়। বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বর্তমানে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও তিনি জানান। 


হেড মাঝি   রোহিঙ্গা ক্যাম্প   হত্যা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ১ জনের মৃত্যু, আটক ৩

প্রকাশ: ০১:২৯ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় পরাজিত মোটরসাইকেল প্রার্থীর সমর্থক আব্দুল আলিম নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

 

রোববার (১২ মে) দিবাগত রাতে ঢাকায় হাসপাতলে নেওয়ার পথে আব্দুল আলিমের মৃত্যু হয়। নিহত আব্দুল আলিম উপজেলার কামারপাড়া গ্রামের মৃত হায়দার আলী ছেলে। 

 

এঘটনায় আটককৃতরা হলেন, একই গ্রামের মৃত একরাম আলীর ছেলে চাঁন মিয়া (৬০), রাসেল (২২) ও আবুল হোসেন (৬৫) ।

 

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আব্দুল আলিম চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকিরের মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী ছিলেন। ৮ মে নির্বাচন ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী আমিনুল ইসলামের সরকার বিজয়ী হন। বিজয়ী হওয়ার পর আমিনুল ইসলামের কর্মী চাঁন মিয়া, রাসেল, আবুল বাবলু, মান্নান, সাদ্দাম ও খালেক মেম্বারের নেতৃত্বে আব্দুল আলীমের ওপর হামলা চালায়। তাকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করে। ওইদিন তাকে উদ্ধার করে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরান। অবস্থা অবনতি হলে সেখান থেকে রোববার দিবাগত রাতে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।  

 

এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, ‘নির্বাচনের দিন রাতে দুপক্ষের মধ্য মারামারি হয়। তারা একে অপরের চাচাতো ভাই। তারা দুজন দুই প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন। আব্দুল আলীম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।'


নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা   মৃত্যু   আটক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বজ্রপাতে প্রাণহানি কমাতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:২৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেছেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি কমাতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

সোমবার (১৩ মে) সচিবালয়ের অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মিজ মেরী মাসদুপুই সাক্ষাৎ করতে এলে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

মহিববুর রহমান বলেন, সম্প্রতি বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বজ্রনিরোধক যন্ত্র স্থাপন করাসহ এ বিষয়ক ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তুলতে কার্যকর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।


বজ্রপাত   সরকার   প্রতিমন্ত্রী   মহিববুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিএসএফের গুলিতে গরু চোরাকারবারি গুলিবিদ্ধ!


Thumbnail

যশোরের বেনাপোলের পুটখালী সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে চোরাই পথে গরু আনার সময় ভারতীয় বিএসএফ এর ছোড়া গুলিতে আমজেদ আলী (৩৫) নামে ব্যক্তি আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১২ মে) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। 

 

আহত আমজেদ আলী (৩৫) পুটখালীর কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত সুকচাদ আলীর ছেলে।

 

আহতের ভাই আমের আলী জানান, ‘রোববার রাত ৭টার দিকে পুটখালী সীমান্তের চরের মাঠ এলাকা দিয়ে ভারত থেকে গরু চোরাই পথে নিয়ে আসার সময় বিএসএফ এর সদস্যরা গুলি ছোড়ে। এতে আমার ভাই আমজেদ আলীর বাম পায়ে গুলি লাগে। এ সময় অবস্থায় তিনি পালিয়ে বাড়িতে গেলে বাড়ির লোকজন তাকে রাত ৩টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।’

 

আহত আমজেদ আলী বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বিষয়ে হাসপাতালে ভর্তি আমজেদ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।  

 

খুলনা ২১ ব্যাটালিয়নের লে. কর্ণেল খুরশীদ আলম বলেন, 'বিএসএফ এর গুলিতে এক ব্যক্তি আহত হয়েছে বলে শুনেছি। আমি খোঁজ খবর নিয়েছি, আমার ৯ কিলোমিটার এরিয়ার মধ্যে কোন স্থানে এ ঘটনা ঘটেছে সেই জায়গাটি আমরা খুঁজে বের করতে পারছি না।’

 

তিনি বলেন, 'গতকাল রাতে বিজিবির যে সকল সদস্যরা টহলরত ছিলো, তারাও জানিয়েছে যে তারা কোন গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাননি। আহতের বাড়ির এলাকায় আমি লোক পাঠিয়েছিলাম, তারা কেউ বাড়িতে নেই, এলাকার লোকজন বললো আহত হয়েছে, কিন্তু কিভাবে আহত হয়েছে বা ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে তারাও বলতে পারছেন না। আহত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আমরা বিস্তারিত জানতে পারবো।


বিএসএফের গুলি   বাংলাদেশী   চোরাকারবারী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন