ইনসাইড বাংলাদেশ

আদিলুরের রায়ের মাধ্যমে কলঙ্কমুক্ত হলো বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০১:৫০ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

৫ মে, ২০১৩। মতিঝিলের শাপলা চত্ত্বর। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে উঠা গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীদের নাস্তিক, মুরতাদ ঘোষণা করে তাদের শাস্তির দাবিতে কওমী মাদ্রাসা ভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের ঘোষিত ‘ঢাকা অবরোধ’ কর্মসূচীর সমাবেশ। সারাদেশ থেকে কওমী মাদ্রাসার লাখো নিরীহ শিক্ষার্থীকে এই সমাবেশে হাজির করে হেফাজতে ইসলাম। সমাবেশ থেকে ঘোষণা করা হয় সংবিধানবিরোধী ও মধ্যযুগীয় ১৩ দফা। দেয়া হয় সরকার পতনের হুংকার। শুধু সমাবেশেই সীমাবদ্ধ ছিলো না হেফাজতে কর্মসূচী। এই দিন সকাল থেকেই ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে অবরোধের পাশাপাশি জিপিও, বায়তুল মোকাররম মার্কেট, ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়, হাউজ বিল্ডিং ভবন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিবহন পুল, মুক্তি ভবনসহ অনেক প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাটের অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর চালায় হেফাজতের কর্মীরা। সরকার পতনের দিবাস্বপ্ন দেখে তাদের এই আন্দোলনকে সর্বোচ্চ সহায়তায় নামে বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মীরা। খোদ তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের হেফাজতের সমাবেশ যোগ দেয়ার আহবান জানান।

দিনভর চলা হেফাজতে ইসলামের তান্ডব মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ ধৈর্য্য ও সহশীলতার পরিচয় দেয়। হেফাজতে ইসলামকে বারবার অনুরোধ জানানো হয় নির্ধারিত সময়ে সমাবেশ শেষ করে ঘরে ফিরে যাওয়ার। বিকালে আওয়ামীলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের কর্মসূচী শেষে ঢাকা ছাড়ার আলটিমেটাম জানিয়ে বলেন, “আমাদের সরলতাকে দূর্বলতা ভাববেন না। রাতেই মধ্যেই আপনারা ঘরে ফিরে যাবেন।” সৈয়দ আশরাফের বক্তব্যের পর পরই হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ মঞ্চ থেকে সরকারকেই ঢাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়ে শাপলা চত্ত্বরে অবস্থান নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।   

সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বারবার করা শান্তিপূর্ণ আহবানকে উপেক্ষা করায় জনগণের জানমাল এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ৫ মে দিবাগত রাতে অভিযান শুরু করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনের কমলাপুর স্টেশনে যাবার রাস্তা এবং বঙ্গভবনের পাশের রাস্তা ফাঁকা রেখে দৈনিক বাংলা মোড়, দিলকুশা, ফকিরাপুল ও নটরডেম কলেজের সামনে অবস্থান নেয়। অভিযানে হেফাজতের কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যবহার করা হয় সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাস। কোন ধরনের প্রতিরোধ ছাড়াই হেফাজতের নেতাকর্মীরা শাপলা চত্ত্বর ত্যাগ করে। হতাহতের ঘটনা এড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও পুলিশের পক্ষ হতে উক্ত অভিযানে এগারো জন নিহত হয়েছে বলে জানানো হয় যার মধ্যে হেফাজতের কর্মীর পাশাপাশি ছিলেন পথচারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। যাদের বেশিরভাগই দিনব্যাপী চলা সংঘর্ষে নিহত হন।

শাপলা চত্ত্বরের অবস্থান গ্রহনের মাধ্যমে সরকার পতনের স্বপ্ন বিফল হবার পর হেফাজতে ইসলামের পক্ষ হতে দাবি করা হয় তাদের আড়াই হাজার নেতাকর্মী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযোগে নিহত হয়েছে। প্রচার করা হয় রাতের আঁধারে ট্রাকে শত শত লাশ সড়িয়ে নেয়া হয়েছে। অভিযোগকে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য বিভিন্ন দেশের নানান দূর্ঘটনায় নিহতের ছবি গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়। হাইতির দূর্ঘটনায় নিহতের লাশ সড়ানোর ছবিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহতদের ছবি প্রচারণা চালানো হয়। আর এই কাজে তাদের একযোগে সামিল হয় বিএনপি জামাতের নেতাকর্মীরা। এই প্রচারণার মূল উদ্দেশ্যই ছিলো আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা এবং দেশের সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরি করা। হেফাজতের প্রচারণায় তথ্যপ্রমাণে ঘাটতির কারণে তা যখন মুখ থুবড়ে পড়ে তখন মাঠে নামেন আদিলুর রহমান।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ডেপুটি এটর্নী জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আদিলুর রহমানের এনজিও ‘অধিকার’ এনজিওটি গুম খুন সংক্রান্ত নানান প্রতিবেদন প্রকাশ করে দূতাবাস এবং মানবাধিকার সংগঠনসমূহের নিকট পরিচিত লাভ করেছিল। এই সংস্থার ওয়েবসাইটেই ১০ জুন, ২০১৩ তারিখে ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর সমাবেশ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন’ শিরোনামে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংস প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বাংলা এবং ইংরেজী উভয় ভাষায় প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে দাবি করা হয় হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ৬১ জন নিহত হয়েছে যাদের বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত তালিকা অধিকার সংগ্রহ করেছে। এছাড়া এই রিপোর্টে আরো দাবি করা হয় প্রায় আড়াইহাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। অধিকারের প্রতিবেদন প্রকাশিত হবার পর সেটিকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে আল জাজিরা, সিএনএন, বিবিসিসহ দেশী বিদেশী সংবাদমাধ্যমসমূহে নানান নেতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুন্ন করে।

স্বাভাবিকভাবেই অধিকারের ’৬১ জন নিহত’ হবার দাবিকে যাচাই করতে উদ্যোগে হয় সরকার। তথ্য মন্ত্রণালয় হতে ১০ জুলাই, ২০১৩ তারিখে তথ্য অধিকার আইনে নিহতের তালিকা চাওয়া হয়। কিন্তু অধিকার সেই তালিকা প্রদানে অস্বীকৃতি জানিয়ে তাদের উদ্দেশ্যমূলক অপ-প্রচার অব্যাহত রাখে। ফলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনে উদ্যোগী হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ১০ আগস্ট, ২০১৩ তারিখে গুলশান থানায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম একটি জিডি করে সেই জিডির আলোকে অধিকারের কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে আদিলুর রহমানকে গ্রেফতার এবং প্রতিবেদন তৈরিতে ব্যবহৃত তিনটি ল্যাপটপ ও দুটি সিপিইউ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ডিভাইসমূহের ফরেনসিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে ৬১ জন নিহতের নাম সম্বলিত একটি তালিকা পাওয়া যায়। পুলিশের পক্ষ হতে উক্ত তালিকা যাচাই বাছাই করার জন্য বিস্তারিত তদন্ত পরিচালনা করা হয়। তদন্তকালে দেখা যায়, নিহতের তালিকায় উল্লেখিত চারজন জীবিত রয়েছেন, ভিন্ন ঘটনায় নিহত সাতজনকে হেফাজতের সমাবেশে নিহত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, মৃত পাঁচ জন ব্যক্তির নাম দুইবার করে উল্লেখ করা হয়েছে, এগারোজনের কাল্পনিক নাম যুক্ত করা হয়েছে যাদের কোন ঠিকানা উল্লেখ করা হয়নি, সাতজনের নামের পাশে ভুল তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় ছিলো সাতাশ জনের নামের পাশে ‘ইয়েট টু কনফার্ম’ লিখা থাকলেও ‘অধিকার’ কর্তৃক প্রকাশিত প্রতিবেদনে তাদেরকে মৃত হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এতে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির হীন উদ্দেশ্য নিয়ে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান এবং পরিচালক নাসির উদ্দিন এলান একটি বানোয়াট ও মিথ্যা প্রতিবেদন তৈরি এবং তা দেশে বিদেশে প্রচার করেছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সালে ঢাকার সিএমএম আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন এবং ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সালে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে এটি মামলা (মামলা নং-০১/২০১৩) হিসেবে গৃহীত হয়।

মামলা দায়েরের পর থেকে অভিযুক্ত আদিলুর রহমান ও নাসির উদ্দিন এলান সম্ভাব্য সব রকম আইনী সুবিধা ভোগ করে এবং তাদের আইনজীবীরা মামলাটি দীর্ঘায়িত সম্ভাব্য সকল আইনী প্রক্রিয়া গ্রহন করে। আদিলুর রহমানের আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত এবং সুপ্রিম কোর্টের দেয়া নির্দেশে মামলাটি প্রায় সাড়ে আটবছর স্থগিত অবস্থায় ছিলো। উপরন্তু সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার হবার সত্বেও আদিলুর রহমান দুই মাসের মাথায় উচ্চ আদালত হতে জামিন লাভ করেন এবং নাসির উদ্দিন এলান মামলার কার্যক্রম শুরুর আগেই আগাম জামিন পান। সকল আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ২০২১ সালের ৫ই অক্টোবর সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রায় দুইবছর যাবৎ শুনানী কালে মামলার মোট ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনকে আদালতে হাজির করে প্রসিকিউশন। চারজন স্বাক্ষী মারা যাওয়ায় সাক্ষ্য দিতে পারেননি। এছাড়াও সাক্ষ্য দিতে আসেননি আদিলুর রহমানের স্ত্রী এবং কর্মচারী।

অবশেষে ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সালে মামলা দায়েরের সুদীর্ঘ দশ বছর পর রায় ঘোষণা করেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত। মামলার সংক্ষিপ্ত রায়ে বিচারক সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন প্রসিকিউশন তাদের আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণে সক্ষম হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি আইনে উক্ত অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা অনধিক দশ বছর কারাদন্ড এবং এক কোটি টাকা জরিমানা। আদিলুর রহমান এবং নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও বিজ্ঞ বিচারক মাত্র দুই বছরের কারাদন্ড ও দশ হাজার টাকা অর্থদন্ডে শাস্তি ঘোষণা করেন। তর্কাতিতভাবেই এটিকে ‘গুরুপাপে লঘুদন্ড’ বলা চলে। 

তারপরও এই রায়কে এইকটি যুগান্তকারী রায় বলা চলে, কেননা এই রায়ের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা একটি নির্জলা মিথ্যা পরাজিত হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়েছে যে, হেফাজতের দাবি করা আড়াই হাজার তো দূরের কথা অধিকারের প্রতিবেদন প্রকাশিত ৬১ জন নিহতের খবর সম্পূর্ণ ভূয়া এবং উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে তৈরি। আদিলুর রহমান যদি আদালতে ৬১ জন নিহতের তালিকা দিতে পারত তাহলেই তো তাকে কোন সাজার সম্মুখীন হতে হয় না। দশবছরেও সেটা সে কিংবা তার আইনজীবীরা আদালতে দিতে পারেনি। রাষ্ট্রের ঘাড়ে যে মিথ্যা কলঙ্কের বোঝা চাপিয়ে দিতে উদ্যত হয়েছিল আদিলুর রহমান, আদালতের রায়ে সেই কলংকমোচনের প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন হলো।

এই মামলা চলাকালীন এবং মামলার রায় ঘোষণার পর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বাংলাদেশে অবস্থিত পশ্চিমা দেশের দূতাবাসসমূহ মামলাটি বাতিল এবং আদিলুর রহমান ও নাসির উদ্দিন এলানের মুক্তি চেয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে। তালিকায় রয়েছে জাতিসংঘের হিউম্যান রাইট কমিশন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, এমেনেস্টি ইন্ট্যারন্যাশনাল ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মতো সংস্থ। এছাড়াও এটি নিয়ে প্রতিবেদন এবং খবর প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ সব গণমাধ্যমে। একজন মানবাধিকার কর্মীকে কারাদণ্ড দেয়ায় তারা উদ্বেগ প্রকাশ করলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবার সময় তাদের কোন বিকার দেখা যায়নি। আমাদের মনে রাখতে দেশের স্বার্থ সর্বদাই ব্যক্তিস্বার্থের উর্ধ্বে। এই মামলায় আদালত কোন মানবাধিকার কর্মীকে সাজা দেয়নি, সাজা দিয়েছে একজন মিথ্যাবাদীকে যে কিনা উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে মিথ্যা তথ্য প্রচারের মাধ্যমে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্টের ঘৃণ্য প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছিল, যে কিনা হীন দলীয় স্বার্থে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার একজন ক্রীড়ানক হিসেবে কাজ করেছিল। সকল প্রতিবন্ধকতাকে পাশ কাটিয়ে যেভাবে এই মামলা পরিণতি পেয়েছে তাতে এই রায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।  


আদিলুর রহমান   অধিকার   বিচার   রায়   কারাদণ্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নয়: প্রশাসনের শীর্ষ দুই পদে কারা আসছে?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকার আর ঢালাওভাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিবে না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। আর এই তথ্যের বাস্তবতা পাওয়া গেছে সাম্প্রতিক সময়ে। দু’জন সচিবের চাকরীর মেয়াদ শেষ হয়েছে তারা চেষ্টা তদবির করেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিতে পারেননি। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে থাকা বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ শেষ পর্যন্ত অবসরে গেছেন। তার জায়গায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সেলিমকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য চেষ্টা করেছিলেন। তার জন্য অনেকে তদবিরও করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাকেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়নি। সেখানে নতুন সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকার আপাতত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। আর এই বাস্তবতার কারণে সামনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফিজুর রহমানেরও নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নবায়ন হচ্ছে না বলে জানা গেছে। তার স্থলে নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম দায়িত্ব পেতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

এছাড়াও আগামী মাসে বেশ কয়েকটি সচিবের পদ শূন্য হচ্ছে। ১২ জুন অবসরে যাচ্ছেন সত্যজিত কর্মকার। যিনি পরিকল্পনা বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও সরকারি কর্ম কমিশনের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোলের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে ১৫ জুন। তাকেও নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হবে না বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনের মধ্যে সবচেয়ে আলোচনা এবং জল্পনা-কল্পনার বিষয় হলো, প্রশাসনের শীর্ষ দুই পদে কারা আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চাকরীর মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী ৫ জুলাই। তিনি ইতোমধ্যে চুক্তিতে আছেন। নতুন করে তার চুক্তি যদি নবায়ন না হয় তাহলে এখানে নতুন মুখ দেখা যেতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, যদি জ্যেষ্ঠতার নীতি অনুসরণ করা হয়, তাহলে নৌ পরিবহন সচিব মোস্তফা কামাল প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন। আর অন্যদিকে দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ হিসেবে রয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা। তারও এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনের সম্ভাবনা রয়েছে।

আর যদি সরকার জ্যেষ্ঠতার নীতি অনুসরণ না করেন তাহলে ১৩ ব্যাচের কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর সচিব সালাহ উদ্দিন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কে হবেন এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানামুখী আলাপ আলোচনা চলছে।

চলতি বছর ১০ অক্টোবর শেষ হয়ে হচ্ছে চুক্তিতে থাকা মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের চাকরির মেয়াদ। আগামী ১৪ অক্টোবর তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। নতুন করে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়ার সম্ভাবনা খুব কম বলে মনে করছেন বিভিন্ন হল। এরকম বাস্তবতায় তার স্থলে কে মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব হবেন তা নিয়েও আলাপ আলোচনা চলছে।

আর বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা সিনিয়র সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী পরবর্তী মন্ত্রিপরিষদ সচিব হতে পারেন। কারণ এক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতার নীতি অনুসরণ করা হয়। মেজবাহ উদ্দিন চৌধুররির চাকরির মেয়াদ আছে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সবকিছু ঠিকঠাক তাহলে তারই মন্ত্রিপরিষদ সচিব হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে জানা গেছে।


প্রশাসন   সচিব   মন্ত্রণালয়   মন্ত্রিপরিষদ   বাংলাদেশ কর্ম কমিশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ব্যাংকে কেন ঢুকবেন, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

পৃথিবীর কোন দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকে অবাধে সাংবাদিকরা ঢুকতে পারে-এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সব ওয়েবসাইটে আছে। আপনার জানবার বিষয়, আপনি ভেতরে ডুকবেন কেন?

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ এদেশের এত উন্নয়ন সমৃদ্ধির একটাই কারণ, তা হলো সরকারের ধারাবাহিকতা। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে যে, বিএনপি ভারতবিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে। বিএনপি এখন ভারত প্রশ্নে মধ্যপন্থা নিতে চায়। দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদের মতো সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে, কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমন-পীড়ন করছে না সরকার। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের বহু দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।

দেশের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসায় সরকার উদ্বিগ্ন কি না, জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, কে বললো আপনাকে ১৩ বিলিয়ন ডলার? ‘নিউজে বলছে’; সাংবাদিকদের এমন উত্তরে তিনি বলেন, কোন নিউজে বলছে আপনাকে? আমাদের কাছে হিসাব আছে। তখন সাংবাদিকরা বলেন যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরই বলেছেন ব্যবহার করার মতো ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। তখন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাহলে গভর্নর কে জিজ্ঞেস করুন যে কি কারণে এইটা এই পর্যায়ে এলো? আমরা তো এটা জানি না, আমরা জানি ১৯ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার, এর মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে।

সাংবাদিকদের তো বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকতে দেয় না, তাহলে গভর্নরকে জিজ্ঞেস করবে কীভাবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর কোন দেশে সেন্ট্রাল ব্যাংকে ঢুকতে পারছে অবাধে? কোন দেশে? ভারতের ফেডারেল ব্যাংকে কি অবাধে ঢুকতে পারছে কেউ? কেন ঢুকবে? সব ওয়েবসাইটে আছে। আপনার জানবার বিষয়, আপনি ভেতরে ঢুকবেন কেন?

তিনি আরও বলেন, বলেন, বিশ্বের অনেক নামিদামি দেশ গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রবক্তা কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলন দমন করতে গিয়ে কিভাবে মেরে হাত-পা বেঁধে আটক করা হয়েছে। একজন প্রফেসরও এই নির্মমতার শিকার হয়েছেন। এক শিক্ষার্থী গণমাধ্যমে বলেছেন, তাদের উপর কেমিক্যাল স্প্রে করা হয়েছে। এ কারণে অনেক ছাত্রছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল, তাদের হাসপাতালে নিতে হয়েছে। 

কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ তো বিএনপির সঙ্গে এমন আচরণ করেনি। বিএনপি যখন যেখানে সভা সমাবেশ করতে চেয়েছে করেছে। সরকার তো কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। তাহলে গণতন্ত্রের ঘাটতিটা কোথায়? আমি যদি বলি আমরা অনেক দেশের তুলনায় গণতন্ত্রে সারপ্লাস আছি।

এ সময় র‍্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তিনি ডিনারের পর সাংবাদিকদের সামনে এ নিয়ে যে বক্তব্য রেখেছেন সে বক্তব্য যথাযথভাবে প্রকাশিত হয়েছে কি না তার সঙ্গে আলাপ করলে বুঝতে পারবো। তিনি হয়তো মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে পারেন এটা তুলে নিতে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নরসিংদী ও টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে ৫ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৩:০৩ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বজ্রপাতে নরসিংদীর আলোকবালী ও হাজীপুরে মা ছেলেসহ তিনজন এবং টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে দুই কৃষকসহ মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে ও দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, এদিন সকাল ৮টার দিকে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ি গ্রামে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়। এসময় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।

এছাড়া, একই দিনে দুপুর ১২টার দিকে নরসিংদীর আলোকবালী ও হাজীপুরে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। এসময় আহত হন আরও দুইজন।  

নরসিংদী সদর থানা পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, সকালে নিহত কামাল শরিফা ও ইয়াকুবসহ বেশ কয়েকজন খেতে ধান কাটছিল। সাড়ে ১২ টার দিকে হঠাৎ বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হয়। ওই সময় নিহত শরিফা ইয়াকুব ও কামালসহ পাঁচ জন আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে ইয়াকুব, শরিফা ও কামাল মারা যায়। আহত দুইজনকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।  

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ জানায়, বজ্রপাতে ৩ জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও আহত দুইজনকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এদিকে টাঙ্গাইলে নিহত হন, আফজাল হোসেন এবং মো. আমির হোসেন। তাদের বাড়ি দিনাজপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা সদরে। তারা সম্পর্কে আপন খালাতো ভাই।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বীরবাসিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন। তিনি জানান, শনিবার সকালে কয়েকজন শ্রমিক হযরত আলীর খেতে ধান কাটতে যান। এসময় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি সঙ্গে বজ্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই জনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও চারজন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।


নরসিংদী   টাঙ্গাইল   বজ্রপাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরে দেশে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি হয়েছিল’

প্রকাশ: ০২:৫১ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পরে দেশে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে বলে মন্তব্য করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রটোকল অফিসার ও ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম বলেন, ‘জাতির পিতার মৃত্যুর পরে দেশে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তখন বঙ্গবন্ধু সহ আওয়ামী লীগের নাম নেয়া নিষিদ্ধ হয়েছিল। পাঠ্যপুস্তকে বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে দেয়া হয়েছিল। এমন সময়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর দলীয় ঐক্য বজায় রাখা চ্যালেঞ্জ ছিল।’

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার যুদ্ধ কাছ থেকে দেখেছি। তিনি ভোগবিলাস পায়ে ঠেলে মানুষের অধিকার আদায়ের লড়াই করেছেন। সাধারণ জীবনই উনার বড় বৈশিষ্ট্য। নেতাকর্মীরা সেখান থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছি। ৬ দফা সহ বঙ্গবন্ধুর সময়কালের অনেক আন্দোলন দেখেছি।

নাসিম বলেন, ‘বর্তমানে নেতৃত্বের গুনে সৎ হতে হবে রাজনীতিবিদদের। রাজনীতির ধরন পাল্টাতে হবে। কর্মীদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেধাবীরা রাজনীতি থেকে পিছিয়ে পড়ছে।’

নাসিম চৌধুরী আরও বলেন, “আগামী সপ্তাহ থেকে ফুলগাজী-পরশুরামে প্রতিটা গ্রামে ঘুরবো। উঠান বৈঠক করবো। চা-বিস্কুট খাওয়াবো। গুণ্ডাপাণ্ডা, হোন্ডা লাগবে এটাতে বিশ্বাস করিনা। দরজা বন্ধ করে জনগণকে ভোট বঞ্চিত করে এমপি হবার ইচ্ছা নাই। জনগণের মন বুঝে আগামীতে নির্বাচন করবো। কারো উল্টাপাল্টা কাজের দায়িত্ব নিবোনা। দুষ্ট গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল ভালো।”

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ সভাপতি বলেন, “নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করো। কারো ভবিষ্যৎ কেউ গড়ে দেবেনা। মা-বাবার সেবা করো। প্রভাবশালী নেতা হওয়ার চেষ্টা করবেনা। জনপ্রিয় নেতা হতে হবে। প্রভাবশালী রাজনীতিক বলতে অভিধানে নেই। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অতীতে কী হয়েছে সেটা জানিনা, সামনের দিকে চলতে চাই।”

সভায় পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি এম. মোস্তফার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি খায়রুল বাশার মজুমদার তপন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মিজানুর রহমান মজুমদার, ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বুলবুল, ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হারুন মজুমদার, অ্যাডভোকেট এএসএম শহিদ উল্যাহ, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক জাফর উল্যাহ মজুমদার, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার আহাম্মদ ভুঁইয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ আহ্বায়ক ফরিদ উদ্দিন পাটোয়ারী ও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মুন্সি মোর্শেদ আলম প্রমূখ।


ফেনী   সংসদ সদস্য   আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম   স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নরসিংদীতে বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০২:৪৬ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

নরসিংদীতে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার আলোকবালী উত্তরপাড়া এবং শহরতলীর হাজীপুরে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, আলোকবালী উত্তরপাড়ার কামাল মিয়ার স্ত্রী শরিফা বেগম (৫০), তার ছেলে ইকবাল হোসেন (১২) এবং করম আলীর ছেলে কাইয়ুম মিয়া (২২) ঘটনায় কামাল মিয়া নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। নিহত এবং আহত সকলেই আলোকবালী উত্তরপাড়ার বাসিন্দা। তারা মাঠে ধান কাটছিল।

এছাড়া সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের চকপাড়ায় মোছলেহউদ্দিন (৫০) নামে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।

নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি তানভীর আহমেদ জানান, নিহতরা সকলেই ধান কাটার জন্য কৃষি জমিতে ছিলেন। সময় বজ্রপাতে শরিফা বেগম এবং তার ছেলে ইকবাল ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত আবস্থায় সদর হাসপাতালে আনার পথে মারা যায় কাইয়ুম নামের অপরজন। এতে কামাল হোসেন নামে আহত আরেকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া হাজীপুরে বজ্রপাতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।


নরসিংদী   বজ্রপাত   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন