গত এক বছরে বাজারে মুরগি ও ডিমের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। লাগামহীন ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে বিদেশ থেকে ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার এবং ইতোমধ্যে ভারত থেকে ডিম আমদানি শুরু হয়েছে।
দেশে
ডিমের মূল্য বৃদ্ধির অনেকগুলো কারণের মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে
পোল্ট্রি ফিডের দাম বৃদ্ধি পাওয়া।
আন্তর্জাতিক বাজারে পোল্ট্রি খাদ্যের কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায়
দেশীয় বাজারে দফায় দফায় পোল্ট্রি ফিডের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির ফলে
উৎপাদনকারীরাও পড়েছে বিপাকে। যার প্রভাব পড়ছে
গোটা বাজারে।
এখানে
উল্লেখ্যযোগ্য একটি বিষয় হচ্ছে,
বাংলাদেশে মুরগীর খাদ্যে এন্টিবায়োটিক গ্রোথ প্রমোটার এবং প্রানীজ প্রোটিন
যেমন মিট ও বোন
মিল মেশানো নিষিদ্ধ। ইউরোপের উন্নত দেশগুলো বাদ দিয়ে বিশ্বের
অনেক দেশেই উৎপাদন খরচ কমাতে এই
উপাদানগুলো ব্যবহার করা হয়। কিন্তু
একটি বিশেষ কারণে আমাদের দেশে এটি নিষিদ্ধ।
বাংলাদেশে
মিট এন্ড বোন মিলের
মধ্যে শুকরের মাংস ব্যবহার হতে
পারে এই ভয়ে এটা
বন্ধ করা হয়েছে। ফলে
বাধ্য হয়ে বাংলাদেশের ফিড
মিলাররা বেশী দামের বিকল্প
উপাদান ব্যবহার করে ফিড উৎপাদন
করছেন।
তবে
মুরগীর খাদ্যে এন্টিবায়োটিক গ্রোথ প্রমোটার এবং প্রানীজ প্রোটিন
বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হলেও ভারতে কিন্তু
সেটি নিষিদ্ধ নয়। তারা ঠিকই
এসব কাঁচামাল ব্যবহার করে পোল্ট্রি খাদ্য
উৎপাদন করে। কারণ ভারত
উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ কস্ট মিনিমাইজ করে,
এটাই প্রোডাকশন এফিসিয়েন্সি। সেই হিসেবে ভারতের
মিট এন্ড বোন মিলেও
শুকরের মাংস ব্যবহার হতে
পারে অথবা হয়েছে। এখন
আবার সেই ভারত থেকেই
আবার ডিম আমদানি করা
হচ্ছে।
তাহলে
প্রশ্ন হচ্ছে ভারত থেকে আমদানি
করা মুরগীর ডিম যদি জনস্বাস্থ্যের
জন্য হুমকি না হয়। তাহলে
বাংলাদেশে এন্টিবায়োটিক গ্রোথ প্রোমোটার এবং প্রানীজ প্রোটিনের
ব্যবহার নিষিদ্ধ কোন বিবেচনায়? এই
প্রশ্নের কে দেবে? ভোক্তা অধিকার না প্রতিযোগিতা কমিশন
না বানিজ্য মন্ত্রণালয়?
ডিমের দাম এন্টিবায়োটিক গ্রোথ প্রমোটার ডিম আমদানি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
হেফাজতে ইসলাম মাওলানা মামুনুল হক
মন্তব্য করুন
উন্মুক্ত কারাগার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগনে। ছোট ভাই শাহদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু প্রার্থী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।