ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে চীনের প্রভাব কেন ভারতের জন্য উদ্বেগের?

প্রকাশ: ০৭:২৯ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশে নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে বেশ সরব দেখা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বকে। সম্প্রতি এ বিষয়ে আবারও বিবৃতি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর সেই বিবৃতির প্রেক্ষাপটে যে কোনো ধরনের বহিরাগত হস্তক্ষেপ থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করার বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছে চীন। চীনের সাম্প্রতিক এ বক্তব্য ভারতের জন্যও তাৎপর্যপূর্ণ।

ভারতের অরুণাচল প্রদেশ এবং আকসাই চীনকে নিজস্ব ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দেখিয়ে মানচিত্র প্রকাশ করেছে চীন সরকার। ভারত চীন সরকারের এই অবৈধ দাবির বিরুদ্ধে যত প্রতিক্রিয়াই জানাক না কেন চীনের পক্ষ থেকে এ ধরনের কাজ বারবার ঘটছে।

ভারতের প্রতিবেশী পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশে প্রভাব বাড়াচ্ছে চীন। চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর এবং বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোরের মতো প্রকল্প স্থাপন করে এসব দেশে অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করতে চায় চীন সরকার। চীন চাইছে এসব প্রকল্পের মাধ্যমে দেশগুলোকে তার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের মতো উদ্যোগের অংশ বানাতে।

চীনের লক্ষ্য- আঞ্চলিক সংযোগের মাধ্যমে এই দেশগুলোর অর্থনীতিকে একীভূত করা।

এমন অনেক গবেষণা রয়েছে, যেখানে চীনা ঋণের গভীর এবং গুরুতর খারাপ প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু কার্যকর বিকল্পের অভাবে দেশগুলো এখনো অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য চীনা ঋণের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।

এই প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশ ও চীনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের সাথে বাংলাদেশের যোগসূত্রকে ব্যাখ্যা করা যায়। চীন যে ঋণ ফাঁদ নীতি অনুসরণ করে চলেছে তার ফল শ্রীলঙ্কায় দেখা গেছে এবং শেষ পর্যন্ত সবার জন্য সেই একই ফল বয়ে আনবে। আর এর প্রভাব পড়বে ভারতের ওপরও।

ভারতের উচিত এখনই সম্ভাব্য সেই প্রভাবকে অনুধাবন করা এবং সেই প্রভাবকে মোকাবিলা করে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাব্য পথ খুঁজ রাখা।

ঐতিহাসিকভাবে, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই। বাংলাদেশের অর্জিত সেই স্বাধীনতায় একটি অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা পালন করেছিল ভারত। আশ্চর্যজনকভাবে, জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করার বিরোধিতা করেছিল চীন। স্বাধীন বাংলাদেশের বিপক্ষে জাতিসংঘে চীন তার ভেটো ক্ষমতাও প্রয়োগ করেছিল।

আর আজ বাংলাদেশকে রক্ষা করার কথা বলছে চীন। চীনের সাম্প্রতিক বক্তব্য তার অতীতের অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীতে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং এটা পরিষ্কার যে, বাংলাদেশের বাজার দখল করাই চীনের একমাত্র উদ্দেশ্য।

বিশেষ করে, ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ নীতিমালা চালু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশ অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য চীনা ঋণ পেয়েছে যা বাংলাদেশের জন্য চীনের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার ঝুঁকির দিকে নিয়ে যায়।

চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের লক্ষ্য হলো- চীনের ইউয়ানকে আন্তর্জাতিক লেনদেনের মুদ্রায় পরিণত করা। আর এর মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরতা হ্রাস করতে চায় চীন। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে চীন যেসব দেশকে সঙ্গে পেতে চায় তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। কারণ বাংলাদেশ কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মধ্যে অবস্থিত। বাংলাদেশের রয়েছে একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি এবং প্রচুর শ্রমশক্তি।

উপরন্তু, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার জন্য, বিশেষ করে ভারতের জন্য কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

চীন সবসময় তার নীতির মাধ্যমে ঘৃণার ফাঁদ পেতেছে। তারা ঘৃণা ছড়ানোর কূটনীতিতে লিপ্ত এবং এর লক্ষ্য হতে পারে বাংলাদেশও। শ্রীলঙ্কা ইতিমধ্যেই এই লক্ষ্যের শিকারে পরিণত হয়েছে।

এশিয়া প্যাসিফিক বিষয়ে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের মতো সংস্থাগুলোর নির্দিষ্ট কিছু অনুসন্ধানও এই দাবিগুলোকে সমর্থন দেয়। অনুসন্ধানগুলোতে উল্লেখ করা হয়, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বড় আকারের অনুদান বাজারের অপ্রতুলতার কারণে এই দেশগুলোর সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিরাপদ নয়। অপর্যাপ্ত ঋণ ব্যবস্থাপনা এই দেশগুলোর জন্য সম্ভাব্য মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

সম্প্রতি ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একটি দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা জাতীয় নিরাপত্তার অবিচ্ছেদ্য অংশ। গত কয়েক বছরে জাতীয় নিরাপত্তার কারণে অনেক চীনা বিনিয়োগ ফিরিয়ে দিয়েছে ভারত। অতীতে, বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল উদ্যোগ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এশিয়া-আফ্রিকা গ্রোথ করিডোর প্রতিষ্ঠা করে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের চীনা হুমকি মোকাবিলার পদক্ষেপ নিয়েছিল। এখনো ভারত চীনা হুমকি মোকাবিলায় এটিকে একটি বিশেষ এবং কৌশলগত পথ হিসেবে দেখছে।

ব্যাপকভাবে বলতে গেলে, যে দেশগুলো অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে চীনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে তাদের অবশ্যই কর্মসংস্থান, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা বিধানের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের প্রয়োজনীয়তার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে পদক্ষেপ নিতে হবে। চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে এসব দেশকে তাদের মানবিক চাহিদার দৃষ্টিভঙ্গির ওপর জোর দিতে হবে। আর সেই মানবিক চাহিদার দৃষ্টিভঙ্গিগুলো হলো- জাতি হিসেবে পরিচয়, নিরাপত্তা, স্বীকৃতি, মর্যাদা এবং ন্যায়বিচার।

কার্টেসি: কালবেলা

বাংলাদেশ   ভারত   চীন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রীর লড়াই

প্রকাশ: ১০:১১ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ২৯ মে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা যেন কোন প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে না যায় বা না সমর্থন করে এমন নির্দেশনা থাকলেও চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রীর লড়াই চলছে।

জানা গেছে, আনোয়ারায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন প্রার্থী। তবে এর মধ্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান কাজী মোজাম্মেল হককে (আনারস) ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এম এ মান্নান চৌধুরীকে (মোটরসাইকেল) সমর্থন দিচ্ছেন। ভোট ছাপিয়ে উপজেলা নির্বাচন পরিণত হয়েছে সাবেক ও বর্তমান দুই মন্ত্রীর লড়াইয়ের মঞ্চ। তবে দুই নেতার বাইরে আলাদাভাবে প্রচারণা এগিয়ে নিচ্ছেন দুবারের চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী (দোয়াত কলম)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ১ মে সন্ধ্যায় আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভা ডেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বটতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান চৌধুরীকে প্রার্থী ঘোষণা করে। ওই সভায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী তাকে সমর্থন দেন। একই দিন রাতে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের অনুসারী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক প্রার্থী হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে আনোয়ারার চাতরী চৌমুহনীসহ বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ মিছিল করেন ওয়াসিকার অনুসারীরা। 

তবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের অনুসারী কাজী মোজাম্মেল হক উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচনী পরিবেশের মোড় ঘুরে যায়। মোজাম্মেলের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের অনেকে থাকায় জমে উঠেছে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী আমেজ।

উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ঘিরে আনোয়ারায় তিন পক্ষ একে অপরের মুখোমুখি অবস্থানে আছে। সাবেক ভূমিমন্ত্রীর প্রার্থী এম এ মান্নানকে জেতাতে ১০ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এককাট্টা হলেও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা মাঠে নেমেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের প্রার্থী কাজী মোজাম্মেল হককে জেতাতে। ওই দুই প্রার্থীর বাইরে জেলা-উপজেলার বেশ কিছু নেতাকে নিয়ে মাঠে আছেন তৌহিদুল হক চৌধুরী।

উল্লেখ্য, আনোয়ারা উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ৭৪টি ভোটকেন্দ্র আছে। তার মধ্যে স্থায়ী ভোটকক্ষ ৪৮৪টি এবং অস্থায়ী ভোটকক্ষ ৫০টি। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৮ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৯ হাজার ২২১ জন।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এমপিপুত্রের দাপটে অন্যরা কোণঠাসা

প্রকাশ: ০৯:৩৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সেনবাগ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলম দিপুর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসনকে নিজেদের সুবিধামতো ব্যবহার করার ফলে অন্য প্রার্থীরা তাদের শঙ্কার কথা জানিয়েছে।

প্রার্থীদের অভিযোগ, দিপু বাবার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তার সমর্থকরা পদে পদে হয়রানি করছে অন্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের। প্রশাসনকে নিজেদের কাজে লাগানো, অন্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের হুমকি, প্রচারণায় বাধাসহ বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ড করছেন ভোটের মাঠে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তার বাবা মোরশেদ আলম। সম্মেলনের মাধ্যমে লায়ন জাহাঙ্গীর আলম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। কিন্তু গত সংসদ নির্বাচন আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের পক্ষে ভোট করার দায়ে লায়ন জাহাঙ্গীরকে পদ থেকে বহিষ্কার করেন এমপি মোরশেদ। এরপর নিজের পছন্দের বাহার উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করেন তিনি। এ ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন মোরশেদ। কোনো সম্মেলন ছাড়াই তিনি এসব কমিটি দিচ্ছেন। সব মিলেয়ে সেনবাগে রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্বাভাবিক করে তুলেছে এমপি পরিবার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটিগুলোও তাদের দখলে।

জানা গেছে, নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই অন্য প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি এবং দলীয় সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার হুমকি দিচ্ছেন সাইফুল আলম দিপু ও তার অনুসারীরা। নির্বাচনে ১, ৬,৭ ও ৮ নং ইউনিয়নসহ অন্য ইউনিয়নেও অন্য প্রার্থীর এজেন্ট প্রবেশ না করার জন্যও প্রতিনিয়ত চাপ ও হুমকি দিচ্ছেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলীয় নেতা জানান, তার বিপক্ষে গিয়ে অন্য প্রার্থীর ভোট করায় তাদের সরকারি বরাদ্দ টিআর, কাবিখা এবং দলীয় পদপদবি না দেওয়ার চাপ দিচ্ছেন দিপু। এজন্য প্রশাসন দিয়েও নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। মামলারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আগামী মঙ্গলবার (২১ মে) দেশের ১৫৭টি উপজেলায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ২য় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২য় ধাপে সেনবাগসহ নোয়াখালীতে মোট ৩টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সেনবাগ উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়াই করছেন মোট ১৫ জন প্রার্থী৷ তারা সবাই ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে আনারস প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল আলম দিপু ছাড়াও চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন সেনবাগ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু জাফর টিপু, বর্তমান চেয়ারম্যান হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী জাফর আহাম্মদ চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী হাসান মঞ্জুর, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সদস্য মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম জাকির হোসেন জুয়েল ও টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর আলম মানিক।

উপজেলা নির্বাচন   নোয়াখালী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বান্দরবানে সেনা অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত

প্রকাশ: ০৭:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলা সীমান্তে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তিন সদস্য নিহত হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র, কার্তুজ, সামরিক পোশাক ও অন্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রুমা উপজেলায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডেবাছড়ার গভীর অরণ্যে কেএনএফ আস্তানা গেড়েছে- এমন খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ঘণ্টা ব্যাপী গুলি বিনিময়ের পর সেখান থেকে কেএনএফের দু’জন সদস্যের লাশ ও একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তিনিও মারা যান। নিহতদের এখনো কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রুমা উপজেলার রনিন পাড়ার কাছে ডেবাছড়া এলাকায় কেএনএফের একটি আস্তানায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিনজন নিহত হয়েছে। ঘটনার পর মরদেহ উদ্ধারের জন্য পুলিশ সেখানে গিয়েছে।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে বান্দরবানজুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

বান্দরবান   কেএনএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নিয়ে মতবিনিময় সভা

প্রকাশ: ০৭:৩৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস। 

 

মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

 

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।


ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য   মতবিনিময়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৭:২৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।

 
রোববার (১৯ মে) মোটরসাইলে প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

 
অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা ও মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে প্রচার কাজ চালিয়েছেন। যা নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঙ্ঘন।

 

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’

পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   আচরণ বিধি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন