ইনসাইড বাংলাদেশ

লাউকাঠী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি অভিযোগ

প্রকাশ: ০১:৫৭ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার লাউকাঠি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানে মোঃ ইলিয়াস বাচ্চুর  বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির  নানান অভিযোগ রয়েছে । সাধারণ মানুষ ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে এসে প্রায় শিকার হচ্ছেন বিরম্বনার। তাকে বেশির ভাগ সময় খুঁজে পাওয়া যায় না নিজ ইউনিয়ন পরিষদে। ১৯৯৬ সালে তৎকালীন পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান লাউকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইলিয়াস বাচ্চুর। লাউকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের ৮ জন মেম্বার ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াস বাচ্চুর বিরুদ্ধে জেলা প্রসাশক বরাবর দিয়েছেন অনাস্থা। তারপরেও একটুও কমেনি তার দুর্নীতির দাপট। নিয়ম বহির্ভূতভাবে মুজিব বর্ষে ভূমিহীন  ও গৃহহীনদের মাঝে যে ঘর প্রদান করেছে সরকার থেকে সেই ঘরের সাথে সরকারি অর্থে আসা টিউবওয়েল দিতে সাধারণ মানুষদের থেকে নিচ্ছেন মোটা অংকের অর্থ। কেউ যদি এই অর্থ দিতে অক্ষম হয় তবে তাকে দেয়া হচ্ছে না সরকারের দেয়া এই সহায়তা। এছাড়াও বিভিন্ন কাজ দেখিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে সরকার থেকে বরাদ্দকৃত অর্থ হাতিয়ে নেয়া ও সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন সময় মারধর করা সহ ব্যাপক অনিয়মের পরেও তার বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে না কোনো পদক্ষেপ।

 

লাউকাঠি ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ডের আকন বাড়ীর মৃত মানিক আকনের স্ত্রী নাসিমা বলেন, "আমার স্বামীর কাছে চেয়ারম্যানের ভাই(সোহেল মোল্লা) বলছে যে, ৮ হাজার টাকা নিয়া আয় তোদের নামে কল আসছে। আমার স্বামী আমার কাছে বলে আমি টাকা কোথায় পাবো? পরে আমি আমার ছেলের বৌর কাছে বুঝিয়ে বললে সে তার কানের সোনার জিনিস দিয়ে দেয়। পরে আমার স্বামী সেই টাকা নিয়ে চ্যেয়ারম্যানের কাছে দিয়ে আসে। এই ঘটনার পরের দিনই আমার স্বামী মারা যায়। আমি কয়েকদিন পর চ্যেয়ারম্যানের কাছে ফোন করে টিউবওয়েলের কথা বললে সে বলে, তোদের ওখানে অনেক কাদা এখন মালামাল নিয়ে যাওয়া যাবে না। তোরা ওইখানে যেই কয়জন ঘর পাইছো সবার কল একসাথে যাবে পরে"।

 

লাউকাঠি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ভিক্ষুক ভুক্তভোগী হানুফা বলেন, "আমাকে চ্যেয়ারম্যান টিউবওয়েল দেওয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা দিতে বলছে। আমিও সেই টাকা দিয়েছি। কিন্তু আমি এখন পর্যন্ত টিউবওয়েল পাই নাই।"

 

লাউকাঠি ইউপি চ্যেয়ারম্যান ইলিয়াস বাচ্চুর হাতে নির্মমভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন গ্রাম পুলিশ সহ একাধিক মানুষ। তেমনি একজন ভুক্তভোগী মোঃ জাহিদ হোসেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি প্রজেক্ট এন এস পিতে কর্মরত ছিলেন।

 

মোঃ জাহিদ জানান, তাকে একদিন সকালে চেয়ারম্যান তাকে ফোন করে কাজের কাগজপত্র নিয়ে তার বাসায় যেতে বলে। একটি গ্রাম আদালতের মামলা নিম্ন আদালতে পাঠানোর জন্য বাদিকে আবেদন করতে বলেন চ্যেয়ারমান। সেই মামলার বিষয় একটি আবেদন লিখে দেয় জাহিদ। আর এতেই খেপে যান ইলিয়াস বাচ্চু। তিনি জাহিদকে মা বোন নিয়ে গালাগাল দিতে থাকেন ও মারধোর শুরু করেন। এক সময় জাহিদ কোন রকম সেই জায়গা থেকে গিয়ে চিকিৎসা নেন ও পরবর্তীতে চ্যেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে। মামলা নাম্বার - চেয়ারম্যানের অত্যাচারের শিকার রুহুল আমিন বলেন , "আমি পরিষদের স্টাফ ছিলাম। বেতনের টাকা চাইতে গেলেই চ্যেয়ারম্যান লাঠি দিয়ে মারধোর করতো। তার যাকে পছন্দ না হতো তাকেই সে মারতো।

 

এদিকে ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান খোকন বলেন, "আমি এই পরিষদের মেম্বার। আমার একটি ১ম শ্রেনীর ঠিকাদারি লাইসেন্স আছে। সেটি নবায়নের জন্য আমার থেকে আমার পরিষদে নেয়া হয়েছে ৫২০০ টাকা। আবার এই পরিষদে অনেকের থেকে নেয়া হচ্ছে ৪৫০ টাকা। তাহলে কি আমাকে মানুষ ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি করেছে এটি আমার ভুল?"

 

৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কাজল কর্মকার বলেন, "জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে জনগণকে সেবা করার সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু আমাদের চ্যেয়ারম্যান আমাদের কোন কথা শোনে না। ওনার কথা যে শোনে তার কাজ সে করে। কিন্তু আমরা ওনার অবৈধ কার্যকলাপে একমত হইনা বিধায় কোন পরিচয় পত্রতে সই করে না। আমরা আমরা একটা কাগজ পাঠালে তাতে সই করে না। এডিপির টাকা উঠিয়ে নিয়া যায়। আয় ব্যায়ের কোন হিসাব দেয় না। আমাদের তিনি পরিচয় পত্রটা পর্যন্ত দেয় না। আমরা জনগনকে সেবা দিতে পারতেছি না তার এই দুর্নীতির কারনে।  

 

এসব বিষয়ে জানতে চ্যেয়ারম্যান মোঃ ইলিয়াস বাচ্চুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো অসত্য। একজন চ্যেয়ারম্যান কখনো কাউকে মারতে পারে না। চ্যেয়ারম্যান পারে বিচার করতে। মেম্বাররা অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাহার করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া জাহিদের দায়ের করা মামলা তারা উঠিয়ে নিবে এমন স্বিদ্ধান্ত নিয়েছে। টিউবওয়েল দিতে টাকা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে চ্যেয়ারম্যান বলেন, এগুলো সম্পূর্ণ অসত্য। আমি ব্যাবসা বাণিজ্য করি। আমি এসব জিনিস পছন্দ করি না।

 

পটুয়াখালী সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, "ইতোমধ্যে আমাদের লাউকাঠির চ্যেয়ারম্যনের বিরুদ্ধে সেখানকার ইউপি সদস্যরা অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। এ বিষয়ে তদন্তের কাজ চলমান আছে। পাশাপাশি ফৌজদারি বিষয় আছে যেটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় মন্তব্য করা সমিচিন হবে না। তবে সেখানে জদি সে দোষী সাব্যস্ত হয় ফৌজদারি অপরাধে তাহলে পরবর্তীতে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরো যে অভিযোগ আছে সে বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি। ইউনিয়ন পরিষদ একটি স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠান। এর নিজস্ব আয় আছে এবং সে আয় থেকে ব্যায় করতে হবে। এর নির্দিষ্ট কিছু বিধিবিধান আছে। তার বাইরে গিয়ে সে কাজ করতে পারবে না। এগুলো আমরা তদন্ত করছি। সে যদি দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


পটুয়াখালী   ইউপি চেয়ারম্যান   দূর্নীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অবশেষে ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

একমাস তাপদাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজেছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে।

এদিন সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মেঘের দেখা মেলে। অবশেষে রাত ৯টার দিকে সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায় বিদ্যুতও চমকানোর সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর ক্রমে বাড়তে থাকে বৃষ্টির তীব্রতা। অবশ্য ১৫ মিনিট পর বৃষ্টি অনেকটা থেমেও যায়। কোথাও কোথাও বৃষ্টির সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। স্বস্তির বৃষ্টি দেখে অনেকেই উচ্ছ্বাসে ভিজতে নেমে যান। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ায় এসব এলাকায় শীতল অনুভব হচ্ছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিত বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

স্বস্তির বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার উপজেলায় ওবায়দুল কাদেরের ভাই-ভাগ্নের মনোনয়ন দাখিল

প্রকাশ: ১০:২৫ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগনে। ছোট ভাই শাহদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু প্রার্থী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৪র্থ ধাপের নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (২ মে) তারা মনোনয়ন দাখিল করেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন।

চেয়রাম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, আমেরিকা প্রবাসী ওমর আলী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগ্নে বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রশীদ মঞ্জু, মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মামুন হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পারভীন আক্তার, ফাতেমা বেগম, রেহানা আক্তার। 

এ উপজেলায় আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্যকোন রাজনৈতিক দলের কেউ প্রার্থী হয়নি।

৪র্থ ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ২ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে।

উপজেলা নির্বাচন   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মুক্তি পাচ্ছেন মামুনুল হক

প্রকাশ: ১০:১৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতেই মুক্তি পাচ্ছেন।

তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন এমন খবরে সেখানে হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন।

এর আগে গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। 

বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, ‘মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’

এদিকে, গত ২৪ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ বিষয়ে মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। ওইসব মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ ছাড়া গত ৫ ফেব্রুয়ারিতে আরও দুই মামলায় জামিন পান তিনি। তার আগে ২০২৩ সালের ৩ মে পাঁচ মামলায় হাইকোর্ট থেকে স্থায়ী জামিন পান মামুনুল হক। গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে সব মিলিয়ে বর্তমানে অন্তত ১১টি মামলায় জামিনে আছে হেফাজতের এ নেতা।

হেফাজতে ইসলাম   মাওলানা মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশে হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার

প্রকাশ: ০৯:৫৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশেও উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিন প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার কমিউনিটি রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামের (সিআরপি) আদলে এই উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের জন্য কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় ১৬০ একর জমি বন্দোবস্ত পাওয়া গেছে। সেখানে শিগগিরই উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করা হবে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশে বর্তমান সরকারের বিগত তিন মেয়াদে ৮৩ হাজার ৫৭৭টি পদ বাড়ানো হয়েছে। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব পদে জনবল নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ও অভিযান পরিচালনার জন্য এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরের জন্য দুটি অত্যাধুনিক হ্যালিকপ্টার সংযোজনের কার্যক্রম চলমান আছে।

পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে বিভিন্ন ধরনের যুগোপযোগী আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। আগে ব্যবহৃত পয়েন্ট ৩০৩ রাইফেলের পরিবর্তে বর্তমানে ৭ পয়েন্ট ৬২ মিলিমিটার রাইফেল ব্যবহৃত হচ্ছে। সেই সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের ৭ পয়েন্ট ৬২ অথবা ৯ এমএম পিস্তল ছাড়াও ৯ এমএম এসএমজি, পয়েন্ট ৪৫ ইঞ্চি এসএমজি, ১২ বোর শটগান, ৩৮ মিলিমিটার টিয়ারগ্যাস, গ্যাস গান/লঞ্চারসহ প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সরবরাহ করা হচ্ছে।

এ ছাড়া সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অত্যাধুনিক অস্ত্র, যানবাহন, আকাশযান ও জলযান দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে।

উন্মুক্ত কারাগার   স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী   আসাদুজ্জামান খান কামাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

টানা খরতাপ থেকে স্বস্তি পেতে বৃষ্টির আশায় রাজশাহীতে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১ মে) থেকে প্রতীকী এই বিয়ের আয়োজন করা হয় রাজশাহীর পবা উপজেলার ভুগরইল পশ্চিম আদিবাসীপাড়ায়। এ গ্রামের বাসিন্দারা সাঁওতাল। তবে খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী। সাঁওতালি রীতিনীতি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যাঙের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

গ্রামের একমাত্র চার্চের শিক্ষক অঞ্জলী বিশ্বাসসহ কয়েকজন ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেন। এ জন্য বুধবার বিকেলে তারা গ্রামের এক শুকনো পুকুরপাড় থেকে একটি ছেলে ব্যাঙ ও একটি মেয়ে ব্যাঙ ধরে আনেন। তারপর সন্ধ্যায় গ্রামের চার্চে সাজানো ছাতনাতলায় বর ও কনের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হয়।

এই বিয়েতে বরের নাম রাখা হয় শিমুল। আর কনের নাম মেঘলা বিশ্বাস। গায়ে হলুদের পর কনেকে রাখা হয়েছিল গ্রামের আলফন্স বিশ্বাসের বাড়িতে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রামের নারী ও শিশু-কিশোরীরা নেচে-গেয়ে নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন। এরপর সবাই লাইন ধরে গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ নারীদের আশীর্বাদ নিয়ে বরযাত্রী হিসেবে বর নিয়ে রওনা দেয়। সঙ্গে যান বরের প্রতীকী বাবা সৈকত বিশ্বাস আর প্রতীকী মা ভাবনা বিশ্বাস নামের দুই শিশু।

আলফন্স বিশ্বাসের বাড়ি গেলে বরের বাবা-মায়ের পা ধুইয়ে দেওয়া হয় পানি দিয়ে। তারপর সবাই বাড়িতে কনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। কনে সাজানো শেষ হলে অঞ্জলী বিশ্বাস পুরোহিত সেজে বর-কনের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। এরপর বর শিমুলের হাত দিয়ে কনে মেঘলার মাথায় সিঁদুর পরিয়ে দেওয়া হয়। খাওয়া-দাওয়ার পর শেষ হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। পরে বর-কনেকে একটি পুকুরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বিয়ের আয়োজক অঞ্জলী বিশ্বাস বলেন, ‘টানা খরায় পথঘাট পুড়ে যাচ্ছে। সব ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। পশুপাখি ও অন্যান্য প্রাণি কষ্ট পাচ্ছে পানির অভাবে। আমরা বিশ্বাস করি ব্যাঙের বিয়ে দিলে বৃষ্টি হবে। তাই আমাদের সামাজিক রীতিনীতি অনুযায়ী দুই কোলা ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হলো।’

বৃষ্টি   ব্যাঙের বিয়ে  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন